নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবর্তন চাই

আমাদের একটা মানুষের সমাজ লাগবে

হোরাস

যেকোন সমালোচনা, আলোচনা, যেকোন কিছু জানাতে পারেন [email protected] ঐক্যবদ্ধ লড়াই ই মুক্তির একমাত্র পথ।

হোরাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৬ জানুয়ারি বামদলের হরতাল: সরকারি সহায়তার আশঙ্কা,কয়েকটি কথা

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০৮

তেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জনগনের জন্য এক ভয়াবহ বিষয় হিসেবে দেখা দিয়েছে, ইতোমধ্যে সি.এন.জি চালিত যানবাহনও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় শুরু করে দিয়েছে। তেলের দাম বৃ্দ্ধির প্রভাব সরাসরি প্রভাব পড়বে কৃষিখাত, শিল্পখাত সহ সার্বিক অর্থনীতিতে। তেল,বিদ্যুৎ,গ্যাস এগুলি লাভ ক্ষতির দৃষ্টি দিয়ে দেখলে অর্থনীতির বারোটা বাজবে, কারন এসবের এক টাকা মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব সার্বিক অর্থনীতিতে পড়ে বিপৃল পরিমানে, যার বোঝা বহন করতে হয় জনগণকে। বি.এন.পি সরকার নিজেরাই বারংবার তেলের দাম বাড়িয়েও আজকে হরতাল ডাকছে, এটাকে মায়াকান্না্ বলাই যায় এতদস্বত্ত্বেও হরতালে তারা জনগণের সমর্থন পেয়েছে।বিদ্যুৎ এর মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ও সম্ভাব্য বিদ্যুৎ বিল বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে বাতিল করতে গণতান্ত্রিক বামমোর্চা আর সিপিবি-বাসদ জোট ১৬ জানুয়ারি তারিখে হরতাল ডেকেছে। এর আগে এই দুই জোট ১৮ ডিসেম্বর হরতাল করেছিল যাতে সরকারি বাহিনীর বিপুল সহযোগিতা এই হরতালকে প্রশ্নের সম্মুখীন করেছিল। সরকারি সহযোগিতার কারণে মানুষ এই হরতালকে সরকারী হরতাল ও বলেছিল। প্রথম আলোতে ১৬ জানুয়ারীতে ডাকা হরতালের নিউজ এর কমেন্ট অপশনে দেখলাম বেশীর ভাগ মন্তব্যকারী আবারও একটি সরকারি হরতালের আশঙ্কা করছেন, এক ব্যাক্তি লিখেছেন "আপনাদের সাথে আমিও আছি। হরতাল সফল হউক। তবে প্রশাসন, পুলিশ ও র্র্যাবকে দিয়ে পিকেটিং করানো লজ্জা জনক। কর্মী না থাকলে ঘরে ঘুমান জনগণ হরতাল করবে। "

একথাটি সত্যিকার অর্থে গুরুত্বপূর্ন। তেলের দাম বৃদ্ধির সরকারি দায় দায়িত্বহীন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে এটা প্রমানিত, বি.এন.পির হরতালে পিকেটারদের খুব একটা দেখা না গেলেও হরতালে নগরীতে যান চলাচল ছিল খুবই সীমিত এবং লেন-দেন ও হয়নি এটা সম্ভব হয়েছে জনগণের সমর্থনের কারনেই। জনমত জরিপে দেখা যায় ৮৫ ভাগ লোকই হরতাল সমর্থন করেছে(প্রথম আলো,৭ জানুয়ারি)

বাম দলের ডাকা ১৬ জানুয়ারির হরতালের প্রতি তাদের আন্দোলনের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে যদিও হরতালের বিকল্প নিয়ে অনেকে কথা বলছেন।অপরভাগে ১৬ জানুয়ারির হরতাল সরকারের হরতাল হয়ে যাবার আশঙ্কাটা গুরুত্বপুর্ন। এদেশে বামপন্থীদের আওয়ামীদের লেজুড় হওয়ার প্রবণতাটা অত্যন্ত স্পষ্ট ও নির্লজ্বরকম। ৭৫ এর বাকশাল থেকে আজকের দিনের আওয়ামী সরকারেও অনেকগুলি বাম সংগঠন নিদারুন রকমভাবে আওয়ামী লীগের পেটে মধ্যে অবস্থান করছে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। তবে মহাজোটের ১৪ দলের ৭ বামদল বাদেও কিছু শক্তি আছেন যারা সরকারের বাইরে আছেন, এদের মধ্যে প্রধানতম দুটি বামজোট ১.গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা , ৭টি বামদলের রাজনৈতিক জোট(গনসংহতি আন্দোলনের স্বমন্বয়ক জোনায়েদ সাকীর নেতৃত্বাধীন) ২. সিপিবি-বাসদ জোট( মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও খালেকুজ্বামানের নেতৃত্বাধীন) যদিওবা সিপিবি বাকশালে আওয়ামীলীগের শরীক সংগঠন ছিলো(১৯৭৫)

ইতোমধ্যেই গনতান্ত্রিক বাম মোর্চার বিদ্যুৎ বিল বাড়ানোর প্রতিবাদে ৩০ডিসেম্বরের জ্বালানি মন্ত্রনালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশ ন্যাক্কারজনক ভাবে শটগানের গুলি করেছে বাম মোর্চার অন্তর্গত ছাত্র সংগঠন ছাত্র ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক সৈকত মল্লিককে । এতেই প্রমানিত হয় সরকার যুদ্ধাপরাধের ইস্যুর হরতাল নিজের পকেটস্থ করতে সমর্থ হলেও এইবার তারা ছেড়ে কথা বলবে না, বামশক্তিকে এবার লড়াই করতে হবে। কারণ আই.এম.এফ আর বিশ্বব্যাংকের বাইরে যাওয়া এই নতজানু সরকারের পক্ষে সম্ভব না আর সঙ্গত কারনেই তারা এই ক্ষুদ্রতর রাজনৈতিক শক্তির বিরুদ্ধেও খড়গহস্ত হচ্ছে। বামপন্হীরা যে সর্বাংশে আওয়ামী লীগের অংশ নয় সেটা প্রমাণ করতে পারলে জনগণের কাছে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচির গুরুত্ব এবং সমর্থন বেড়ে যাবে তড়িৎগতিতে। তবে এতো দিনের দুর্বল রাজনৈতিক কর্মসূচি ও নিজেদের মধ্যে ক্রমাগত ভাঙ্গন, তত্বের সাথে বাস্তব সংগ্রামের অমিল, এবং প্রায় জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ফলস্বরুপ নিজেদের সংকীর্ন মনস্তত্ব ইত্যকার সমস্যাদি কাটিয়ে উঠতে হলে আওয়ামী বলয়ের বাইরে জনগণের পক্ষের সংগ্রামী শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রমানিত করতে হবে। ১৬ জানুয়ারির হরতাল আওয়ামী বিরোধী স্বাধীন, জনগনের পক্ষের শক্তি হিসেবে গণতান্ত্রিক বামমোর্চার আর সিপিবি-বাসদ জোটের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে, এ হরতাল বামপন্থীরা কম আওয়ামী বিরোধী তাদের দ্বিতীয় রাজনৈতিক শক্তি ইত্যকার পরিচয় বিলোপ সাধনে সহায়তা করবে এবং জনগণকে এই শক্তির উপর ভরসা করার সুযোগ করে দিবে বলে বোধ করছি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:০২

মরু বালক বলেছেন: .
.
.
.
.
বাপরে ..... বাপ !!!!!

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

আরিফ রুবেল বলেছেন: বাংলাদেশের বামপন্থীদের জনগণের নেতৃত্ব প্রদানে কি রকম বাধার সম্মুখীন হতে হয় বলে মনে করেন ? রাজনৈতিক কর্মসূচীতে জনসম্পৃক্ততা তুলনামূলকভাবে কম থাকার কারণ কি ? ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মত জনসম্পৃক্ত আন্দোলন এখন দেখা যায় না কেন ?

এটার কারণ কি ? ব্যর্থতা কার ? জনগণের না রাজনৈতিক দলসমূহের যারা পরিবর্তন চান ? নাকি পরিস্থিতিই সেরকম না, যার কারণে জনগণ ঘর থেকে দলে দলে বেরিয়ে আসছে না ?

তৃণমূল থেকে জাতীয় নেতৃত্ব গড়ে তোলার ব্যাপারে বামপন্থীদের ভূমিকা কি ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.