নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবর্তন চাই

আমাদের একটা মানুষের সমাজ লাগবে

হোরাস

যেকোন সমালোচনা, আলোচনা, যেকোন কিছু জানাতে পারেন [email protected] ঐক্যবদ্ধ লড়াই ই মুক্তির একমাত্র পথ।

হোরাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

রক্তেভেজা গার্মেন্ট আন্দোলন: নাদিয়া গার্মেন্ট(ইস্কাটন)

১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

১২.০৬.২০১৩

এই জায়গাতে একটা গার্মেন্টস কারখানা আছে জানতাম না। অনেকবার আসা যাওয়া হয়েছে এই বিয়াম গলি দিয়ে কিন্তু গার্মেন্টসটা দেখিনাই। ইস্কাটন এর মতো একটা রাজধানীর পশ এলাকায় কারখানাটা। অনেক পুরনো কারখানা, কিন্তু কখনো আন্দোলন হয়নি তাই মিডিয়ার আগ্রহও নাই। আজকে এখানে লাঞ্চ বিল ৫০০ টাকার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে,কিন্তু কোন ভাংচুর নৈরাজ্য হয়নি। শ্রমিকরা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে আন্দোলন শুরু করেন, সব ফ্রোরের এই মাসের বেতন দেয়ার পর তারা আন্দোলন শুরু করেছেন। গার্মেন্টসে আন্দোলন সংঘবদ্ধ হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে....

নাদিয়া গার্মেন্টস, সালাম মুর্শেদির গার্মেন্টস। শ্রমিকদের দাবী এই গার্মেন্টস থেকেই মালিক ১৬-১৭টা গার্মেন্টস এর মালিক হয়েছেন। কিন্তু তার আশুলিয়ায় অবস্থিত মান্থা গার্মেন্ট এর বেতন আর লাঞ্চ ফি সবই মেনে নিয়েছেন কিন্তু এই গার্মেন্ট এর প্রতি কোন নজর নাই, কারণ সোজা। দাবি আদায়ের জন্য ওখানে আন্দোলন হয় এখানে হয় না। শ্রমিক ভিতরে মালিকদের দালাল আছেন, এলাকার পাতি মাস্তান তারাও শ্রমিকের বিপক্ষে, পুলিশ প্রশাসণ তারা শ্রমিকদের বিনা কারণে গ্রেফতার, নির্যাতন করতে কোনরুপ পিছপা হননা মোদ্দাকথা শ্রমিকের পক্ষে কেউ নাই।

আমরা শ্রমিকের অধিকারের পক্ষে। শ্রমিকদের রিজাইন দিতে বাধ্য করা হয়, রিজাইন দিলে আইনগতভাবে কিছু করা যায়না এটা মালিকপক্ষ জানেন। মালিকেরা শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দেয় না, কিংবা শ্রমিকরাও অনেক ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে সচেতন না। নিয়োগপত্র না থাকলে লেবার কোর্টে কিছু করা যায়না।

আজকে ফেরার পথে এক পাতি নেতা আমাদের উদ্দেশ্য করে বললো, এদিকে আবার দেখলে দাত ভেঙে দিব। আসছি আর ভাবছি, আমরা যে এই রাষ্ট্রে বেচে আছি এ্টাই একটা দৈব দুর্বিপাক। খাবারে বিষ, রাস্তাঘাটে ছিনতাই খুন, ঘরে ঢুকে হত্যা, পুলিশ কাস্টডিতে হত্যা, ভবন ধ্বসে হত্যা, দাবি আদায়ের মিছিলে গুলি ইত্যাদি ইত্যাদি চলছে, তবুও বেচে আছি এটাই একটা দুর্ঘটনা। দাত হারানো কোন বিষয় বলে মনে হলোনা।



১৩.০৬.২০১৩

গতকালের আন্দোলনের জের আজকেও চলছে। ইস্কাটনের নাদিয়া গার্মেন্টের শ্রমিকরা সকাল থেকে কাজ বন্ধ করে বসে থাকে, তাদেরকে পাড়ার মাস্তানরা জোর করে সকালে কারখানায় ঢুকায়। আজকের প্রথম আলোতে যেই দড়ির দ্বারা তৈরী ফায়ার একজিট এর ছবি দেখেছেন সেই কারখানাটাই নাদিয়া গার্মেন্ট। এর মালিক প্রখ্যাত ফুটবলার সালাম মুর্শেদি। উনারা এত টাকা মুনাফা করতে পারেন শ্রমিকের ৭৫০ টাকা নাস্তার বিল দিতে পারেন না। শ্রমিকেরা ১১টার দিকে কারখানা ছেড়ে বের হয়ে এবং মালিবাগে এই একই এনভয় গ্রুপের অন্য গার্মেন্টস এর শ্রমিকদের রাস্তায় নামার আহবান জানায়। কড়া রোদ, সামনে পিছনে লাঠি হাতে দাঙ্গা পুলিশ, জল কামান এত সব বাধা ঠেলেও শ্রমিকেরা সারা রাস্তা মালিবাগ পর্যন্ত মিছিল করে। এক পর্যায়ে চৌধুরিপাড়ায় শ্রমিকদের নামানোর সময় তিন চারজন শ্রমিককে লাইন-চিফরা ছুড়ি দিয়ে হাতে আঘাত করে।

কিছুক্ষন আগে খবর পেলাম ফেরার পথে হৃদয় আর ইউসুফকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে....

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: এইসব মুর্শেদীদের পেছনে আছে ..সিনার সরকার, আছে বিজিএমইর মত একটা সরকারী চামুচ, আছে এফবিসিসিআইর মত সরকারী খাস এজেন্ট। শ্রমিকরা মার খাবে আর এরা কোটিপতি থেকে শত কোটি পতি হতে থাকবে। সাথে বড়লোক হবে আমাদের নেতা নেত্রিরা।

২| ১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৫

হোরাস বলেছেন: বড়লোক হবে নেতা নেত্রীরা, আর আমাদের প্রতিরোধ করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.