![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেকোন সমালোচনা, আলোচনা, যেকোন কিছু জানাতে পারেন [email protected] ঐক্যবদ্ধ লড়াই ই মুক্তির একমাত্র পথ।
ঝিনাইদহ মানে কি জানেন? ঝিনাই মানে ঝিনুক আর দহ হলো ফার্সী শব্দ মানে পাড়া বা এলাকা, মানে দাড়ায় ঝিনুকের এলাকা। কথা হচ্ছিল ঝিনাইদহ সরকারী গার্লস স্কুলের শিক্ষক শফিক সেলিম ভাইয়ের সাথে। তিনি কবি, এককালে সাধু ছিলেন। ঝিনাইদহে গিয়ে উনার সঙ্গ অসম্ভব ভালো লেগেছে। শফিক সেলিম ভাইয়েরা ওরফে এলাকার স্যারগণ ঝিনাইদহের পুরাতন জেলখানায় থাকেন। আমিও উনাদের সাথে দুই রাত জেলখানায় ছিলাম। হ্যা হ্যা হ্যা। ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত এই জেলখানা বছর দুয়েক আগে পরিত্যাক্ত হয়েছে এখন এটা স্কুলের বর্ধিতাংশ। সেই সুবাদে এলাকার স্যারগণ জেলখানায়(প্রাচীন) এবং সেই সুবাদে আমিও জেলখানায় বসবাস করলাম। ওখানে থাকা অবস্থায় একটা কবিতা মাথায় এসেছিল, বলি
" এখানে ছাদ নেই,
এখানে নদী নেই
আমি চলে যাব
আমি এবার প্যাভিলিয়নে ফিরে যাব।"
তবে এখানে শহরে আরাপপুর নামে জায়গায় নবগঙ্গা নদীর সাক্ষাত পেলাম। গঙ্গা জীবিত থাকলেও নবগঙ্গা মৃত, এটা যে নদী সেটা মনে করিয়ে দেবার জন্যই বিভিন্ন জায়গায় হয়তো পারাপারের ব্রিজগুলো বানানো হয়েছে।
নজরুল ভাই, অসামান্য মানুষ। জীবনের প্রায় সবটুকুই ব্যায়িত করেছেন রাজনীতিতে। শোষন মুক্তির মন্ত্র এখনও বুকে ধারন করে আছেন। অসংখ্যবার জেল-জুলুম আর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যে জেলে আমি দু-রাত কাটালাম সেখানেই তিনি প্রায় সাড়ে ৪ বছর জেল খেটেছেন। ৯০ এ "ছাত্রমঞ্চ" ডাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক তিনি। উনার সমসাময়িক অনেক পূর্বতন সহযোদ্ধা গতানুগতিক (লীগ-বি.এন.পি) রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে অনেক সুবিধা বাগিয়ে নিয়েছেন, নজরুল ভাইদের মত ব্যতিক্রম খুবই কম। উনার চশমার মোটা ফ্রেমের মধ্যে দিয়ে চোখে যেৌবনের আলোকচ্ছটাই দেখি। এই মানুষটা দ্বারা অসম্ভব অনুপ্রানিত হয়েছি। স্যালুট।
গেৌতম শুভ মানে বাইসাইকেল চোর( বিশিষ্ট রাজনীতি গবেষক), উত্স মানে উত্স অরণ্য, সানি( ব্যাপক ছেলে), রাতুল(শুকনা,চিকনা, চশমা পড়ে), মুন্না(তার একটা সাইকেল আছে), রুদ্র(সম্ভাব্য ডাক্তার), সবুজ(নো কমেন্ট) ওরা সবাই মুক্তিযুদ্ধের নতুন যুগের সারথী। ঝিনাইদহের গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক, স্লোগানার, ব্যাবস্থাপক।
ওরা ৮ জন সময়ের লড়াকু সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নতুন কুড়ি, নতুন সদস্য। ওদের সঙ্গ খুবই আনন্দদায়ক ছিল। নতুনেরাই তো প্রেরনা।
আজাদ রেস্ট হাউজ, জেলখানা, পায়রা চত্বর, সুইট মোড়, হিমু মঈন ভাই, বাপ্পি দা, নবগঙ্গা, মিয়ার দালান সব সবকিছু আর সবাইকে খুবই মিস করব।
আমাদের পূর্বতনদের রক্তের রিন যে আমাদের শোধ করতেই হবে, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও মানবিকতার নতুন নির্মান আমরা করবোই।
©somewhere in net ltd.