নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবর্তন চাই

আমাদের একটা মানুষের সমাজ লাগবে

হোরাস

যেকোন সমালোচনা, আলোচনা, যেকোন কিছু জানাতে পারেন [email protected] ঐক্যবদ্ধ লড়াই ই মুক্তির একমাত্র পথ।

হোরাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাবি রণাঙ্গন, পুলিশের ভয়ংকর টিয়ারশেল লাঠিচার্জ আর আন্দোলনের য়ৌক্তিকতা

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৬

আজ দুপুরে ঢাবি ক্যাম্পাস রণাঙ্গনে পরিণত হযেছিল, বি সি এস পরীক্ষার্থীরা সামনে যা পেয়েছে সবই ভাঙচুর করার চেষ্টা করেছে। তবে পুলিশ আর ছাত্রলীগের কাছে তাদের আত্মসমর্পন ছিল অবাক করার মতো। ১.০০ টার দিকে কলা ভবনের সামনে ১০ থেকে ১৫ জন ছাত্রলীগ কর্মীর ধাওয়ায় প্রায় শ তিনেক ছেলে পালিয়ে গেছেন প্রবল বিক্রমে। চারুকলার সামনে তারা ভাঙচুর করেছে, মঙ্গল শোভাযাত্রায় ব্যাবহৃত জিনিসপত্র ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে, কিন্তু এখনো কোনো প্রমান পাওয়া যায়নি। আন্দোলনের নেতৃত্বহীনতা এর অসংগঠিত আচরনের একটি বড় কারণ। হঠাত তীব্র রাগ থেকে অনেক কিছু করে ফেলার প্রবণতা আন্দোলনে স্পষ্ট, কয়েকজন শিক্ষার্থী ধর্মঘট ডাকার ঘোষনা দেয় তাদেরকে একদিন ডাকার পরামর্শ দেয়া হলে তারা বলেন একদিন না অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘট!!! অথচ একদিন ধর্মঘট করার মতো নেতৃত্ব তাদের নেই। দেখা গেছে টি.এস.সি ভাঙ্গচুর রত ছাত্রলীগ কর্মী আবার ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলনে এসে বসছে মানে অবস্থা তথৈবচ। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠেছে, এতেই বোঝা যাচ্ছে আন্দোলনে শিবির সংশ্লিষ্ট রয়েছে। আগেও বলেছি শিবিরকে হটাতে হলে প্রগতিশীল ছাত্রজোটকেই সামনে দাড়াতে হবে, বিকেলে প্রগতিশীল ছাত্রজোট একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দাবির পক্ষে তাদের অবস্থান ব্যাক্ত করেছেন।

মনে করি কর্ম কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষায় বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বৈষম্যপুর্ণ হওয়ায় কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার খুবই জরুরী। তবে কোটা প্রথা সম্পুর্ন বাতিল করার দাবিও অযৌক্তিক ও বিদ্বেষমূলক। নারী, আদিবাসী, প্রতিবন্ধী কোটা অবশ্যই বহাল রাখা উচিত, মুক্তিযোদ্ধা কোটারও একটি গ্রহণয়োগ্য সংস্কার জরুরী। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাইতে কোটার হার সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় তাই এর ফাক ফোকর দিয়ে দূর্ণীতির সুযোগ অবারিত থেকে যাচ্ছে। সে কারণে কোটা পদ্ধতি বাতিল নয় এর যৌক্তিক পূর্নবিন্যাস করাই সময়ের দাবি।

গত ৪২ বছরে শিল্পের ধ্বংসের কারণে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমছে দিনকে দিন। ফলে নিশ্চিত কর্মসংস্থান হিসেবে বি.সি.এস ব্যাতিত আর কোন সুযোগ থাকছে না। আবার বি.সি.এসে বৈষম্যপূর্ণ কোটা পদ্ধতির কারণে অধিকতর যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে।

৮ জুলাই প্রকাশিত ফলের প্রতিবাদে গড়ে ওঠা পরীক্ষার্থদের আন্দোলনের দাবিকে যৌক্তিকভাবে বিবেচনা করার দাবি জানাই বলেন, অন্যয্যতা টিকিয়ে রেখে পুলিশী নির্যাতন করে আন্দোলন দমনের চেষ্টা কোনো সমাধান আনবে না। আজ ১১ জুলাই দুপুর বেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত বি সি এস পরীক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের ব্যাপক টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জের তীব্র নিন্দা জানাই।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৩

মুহাম্মাদ আলী২ বলেছেন: সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে এখনি নিষিদ্ধ করা উচিৎ।আওয়ামী লীগকে কেবল ভোটে না ওদের পরবর্তী সরকারের আমলে ব্যাপক ধোলাই দিয়ে বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত করে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি পরবর্তী সরকারের কাছে

মুক্তিযুদ্ধ ব্যাবসায়ী আওয়ামী লীগ এবং জামাত-শিবিরকে আইন করে নিষিদ্ধ করা উচিৎ

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

হোরাস বলেছেন: দেশে এমন কোন রাজনৈতিক সংগঠন নাই যার পিছনে মানুষ মার্চ করবে, ধোলাই মাইর নিষিদ্ধ এই শব্দগুলো থেকে বের হয়ে আসতে হবে। মাইর দিয়া কোন সংগঠনকে নিস্ক্রিয় করা যায়না। তাতে ফুয়েল হয়। পাল্টা রাজনৈতিক আদর্শ সম্পন্ন সংগঠনটাই সময়ের আকাঙ্খা।

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

গেস্টাপো বলেছেন: হিজবুতিদের তো নিষিদ্ধের মাধ্যমে ধোলায় দেওয়া হয়েছিলো।এখন দেখুন হিজুদের কোন অস্তিত্ব নেই।ঠিক তেমনি জঙ্গিবাদী জেএমবিকেও তো নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো।এরা যদি নিষিদ্ধ হতে পারে তাহলে এই বাংলার মাটিতে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ এবং জামাত-শিবির নিষিদ্ধ হবে না কেন?


আপনি কি দেশের উন্নতি চান না তাহলে?

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৪

হোরাস বলেছেন: হিজবুতিরা এখনো জীবিত আছে, এদের সাংগঠনিক টাই গণবিচ্ছিন্নতা কিন্তু আম্লীগের কি তা?

৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

গেস্টাপো বলেছেন: হিজবুতিদের তো নিষিদ্ধের মাধ্যমে ধোলায় দেওয়া হয়েছিলো।এখন দেখুন হিজুদের কোন অস্তিত্ব নেই।ঠিক তেমনি জঙ্গিবাদী জেএমবিকেও তো নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো।এরা যদি নিষিদ্ধ হতে পারে তাহলে এই বাংলার মাটিতে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ এবং জামাত-শিবির নিষিদ্ধ হবে না কেন?


আপনি কি দেশের উন্নতি চান না তাহলে?

৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

গেস্টাপো বলেছেন: হিজবুতিদের তো নিষিদ্ধের মাধ্যমে ধোলায় দেওয়া হয়েছিলো।এখন দেখুন হিজুদের কোন অস্তিত্ব নেই।ঠিক তেমনি জঙ্গিবাদী জেএমবিকেও তো নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো।এরা যদি নিষিদ্ধ হতে পারে তাহলে এই বাংলার মাটিতে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ এবং জামাত-শিবির নিষিদ্ধ হবে না কেন?


আপনি কি দেশের উন্নতি চান না তাহলে?

৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫০

হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেছেন: ভাই, আমি এতো কিছু বুঝি না
আমার কথা কোটা বাতিল করতেই হবে.।
নইলে আমার মতো মেধাবিরা কি করবে?
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাদের সম্মান অবশ্যই করতে হবে, তাই বলে আমাদের অবহেলা করে?
মুক্তিযোদ্ধাদের ঢাকায় একটা করে ফ্লাট দিক, মাস মাস ৫০০০ টাকা দিক, আমার আপত্তি নাই, কিন্তু তাই বলে দেশের মেধাবিদের মেধার অবমূল্যায়ন করে কেন তাদের এই সম্মান?????????????????????????????????????????

সরকার যা খুশি করুক, কিন্তু আমাদের মতো সাধারন ছাত্রদের মেধার উপরে কেন এই হস্তক্ষেপ?
তাদের যদি জজ্ঞতা থাকে তবে তারা কম্পিটিশন করুক না কেন আমাদের সাথে???????????????????????????????
এমনিতেও ভার্সিটি তে যখন ভর্তি হই তখনও কিন্তু এই কোটা এর জন্য তাদের কিছু সিট ছেড়ে দিছিলাম।
তাদের তো একবার করে চান্স দিছিলাম, তবে এখন আবার কেন???????????????????
সো, আমার কথা, কোটা বন্ধ করতেই হবে
এই লিঙ্ক দেখেন।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

হোরাস বলেছেন: বন্ধ না সংস্কার করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.