![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেকোন সমালোচনা, আলোচনা, যেকোন কিছু জানাতে পারেন [email protected] ঐক্যবদ্ধ লড়াই ই মুক্তির একমাত্র পথ।
আমদের দেশটা ভারী আনন্দময় জায়গা, মানুষগুলান অদ্ভুৎ আর নানান কিসিমের। কত যে আইডিয়া তাহাদের মাথায়। এক বাক্যে বলতে গেলে বেশুমার।গত কিছুদিনে এমন কিছু লোকের সঙ্গে পরিচয় ঘটলো যাদের আমাদের শিক্ষিতদের ন্যায় একাডেমিক জ্ঞান অতি নগণ্য।কিন্তু তারা যা করতে পারেন আমাদের ভাবতে কষ্ট হবে।
মোহাম্মদ রাসেল ক্লাস এইট অবধি পড়েছেন, ছোটবেলা থেকে বিদ্যুৎচালিত জিনিসপত্রের প্রতি তার বিপুল আকর্ষন। একই কারনে আর ক্লাসে পাস করা হয়ে ওঠেনি। ফলে বাসার বিরাগভাজন ছোটবেলা থেকেই, নিবাস রাজারবাগ।
এই রাসেলের কাছে একখান কাজ আসে, একটা বড় বাড়িকে টোটাল সিকিউরিটি এলার্মের আওতাধীনে আনার।বাড়িটা বৃহদায়তন হওয়াতেই কাজটা সাধারণ ভাবে ব্যায়বহুল হয়ে পড়তো। কিন্তু রাসেল ভেবেছেন অন্যভাবে, সে তার এলাকার বুয়েট পড়ুয়া বন্ধুর কাজ থেকে জানতে গেছেন মানুষের শরীরে কি পরিমান বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। উত্তেজিত হলে কতটুকু হয়। ব্যাস।
তার আর কোন সহায়তা দরকার হয়নি রাসেলের, মোবাইল যে ডিভাইসের মাধ্যমে ভাইব্রেট করে এরকম কয়েকটি ডিভাইস ব্যাবহার করে সে সিকিউরিটি নিশ্চিত করেছেন একেবারে অকল্পনীয় কম খরচে।শেষ দেখার সময় দেখেছি সে নরসিংদীর এক গ্রামে কিভাবে কম খরচে সৌর বিদ্যুৎ আর টাটা স্কাই সংযোগ দেয়া যায় তার ছক আটিতেছেন।
এই লোক প্রেম করিয়া বিবাহকরণের অপরাধে বাসা থেকে বহিস্কৃত হইয়া আলাদা ঘর পাতিয়াছেন। অদ্ভুৎ, আমাদের সমাজের কাঠামোগত সব বিষয়ই যেন তার সাথে আজীবনের যু্দ্ধে নামিয়াছে।
নুর মোহাম্মদ, তাকে লোকে আবডালে বকলম নুরমোহম্মদ বলে ডাকে। ছোটবেলা থেকে নির্মানশ্রমিকের কাজ করত। তার একাডেমিক শিক্ষাহীনতা তাকে ইন্জিনিয়ারিং এর জটিল হিসাব নিকেশ করতে কোন বাধাই তৈরী করতে পারেনি।তার অসম্ভব শেখার প্রবনতা তাকে প্রতিষ্ঠানটির প্রধানের নজরে নিয়ে আসে। দেশের প্রতিষ্ঠিত একটি নির্মান প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় তিনি অনেক পাস দেয়া লোকের ডিজাইন ঠিক করে দিয়েছেন, ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন। শিক্ষা তো আসলে এমনই হওয়ার কথা, মুখস্থ করা নম্বর তোলা বাণিজ্যিক শিক্ষা আদতেই একখান পন্য হয়ে গেছে।
আমি যখন ৯ ক্লাসে পড়ি আমার একজন ছোটভাই সানোয়ার ওরফে চোরা সানোয়ার ছিল ৬ ক্লাসে পড়ত।সে সেই বয়েসেই ঘড়ি ঠিক করতে পারত, অবাক হতাম।ওর সব যন্ত্রপাতি বাসার জিনিস চুরি করে বিক্রয়ের মাধ্যমে কিংবা সরাসরি চুরি করে সংগৃহিত হত। একবার তার সাথে একস্থানে গিয়ে আমি ব্যাপক কট এর সম্মুখীন হয়েছিলাম।যাই হোক,১০ ক্লাসে থাক অবস্থায় বিরাট পরিশ্রম করে বিদ্যুতে চার্জ নেয়া একখান ছোট গাড়ি বানিয়েছিল সে। আমরা বিপুল বিনুদিত হয়েছিলাম । তার পড়ালেখার দুরবস্থার দরুন এস.এস.সি পাস করতে গিয়েও হয়নি।শেষ খবর এই ছেলে মেকানিকে পরিনত হয়েছে অথচ তার বিপুল সম্ভাবনা ছিল।
এই প্রতিভাগুলো কাজে লাগাতে পারছি না আমরা।যতদিন না আমাদের শিক্ষা প্রদানের পদ্ধতি না বদলাচ্ছে ততদিন আমাদের বিপদ আছে।কথায় কথায় পরীক্ষা, ছাত্রের ভাল লাগা না লাগার মূল্যহীনতা, ১ম ও শেষ হবার কায়দা কানুন, এগুলো বদলাতে লাগবে।৬২ এর শিক্ষা আন্দোলনকে এজন্যই আমাদের স্মরণ করতে হবে, পদ্ধতিটা বদলানোর নিরন্তর লড়াইটা চালাতে হবেই নইলে বিপদ আছে আমরা পারবো না।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪
হোরাস বলেছেন: agree
২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই প্রতিভাগুলো কাজে লাগাতে পারছি না আমরা।যতদিন না আমাদের শিক্ষা প্রদানের পদ্ধতি না বদলাচ্ছে ততদিন আমাদের বিপদ আছে।কথায় কথায় পরীক্ষা, ছাত্রের ভাল লাগা না লাগার মূল্যহীনতা, ১ম ও শেষ হবার কায়দা কানুন, এগুলো বদলাতে লাগবে
++++++++++++++++++++++++
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪
হোরাস বলেছেন: আমাদের দেশটা বদলানোর জন্য শুধুমাত্র রাজনৈতিক সিদ্ধান্তটা দরকার। খুবই দ্রুতই অসম্ভব প্রতিভাধর এক তরুন শ্রেনী আমাদের দেশে বিকশিত হচ্ছে।
৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
বোকামন বলেছেন:
যথার্থই বলেছেন ...
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০১
হোরাস বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
বটের ফল বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই। আমাদের প্রতিভা গুলোকে আমরা এভাবেই হারিয়ে ফেলছি। আর শিক্ষাব্যবস্থার কথা আর কি বলবো-অদ্ভুৎ এক উটের পিঠে চলেছি আমরা।