![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেকোন সমালোচনা, আলোচনা, যেকোন কিছু জানাতে পারেন [email protected] ঐক্যবদ্ধ লড়াই ই মুক্তির একমাত্র পথ।
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রোজ রবিবার দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদকীয় পাতায় বিশিষ্ট কলামিস্ট, তাত্ত্বিক, এন.জি.ও মালিক(উবিনীগ), হেফাজতের তাত্ত্বিক নেতা ফরহাদ মজহারের পৃষ্ঠাব্যাপি কলাম ছাপা হয়েছে তেল-গ্যাস কমিটির আন্দোলন বিষয়ে। তিনি বলছেন,
১.বাঘ সুন্দরবন ইত্যাদি রোমান্টিক ব্যাপার স্যাপার এর সাথে খেটে খাওয়া শ্রমিক মানুষের যোগ নেই।
২.তেল গ্যাস কমিটির আন্দোলন মধ্যবিত্তের আন্দোলন,আন্দোলনকারীরা মধ্যবিত্ত শ্রেণী থেকে আসা, শ্রমিকদের এই আন্দোলনে অংশগ্রহন নেই।
৩. এই কমিটির বিভিন্ন পোস্টারে বাঘ সুন্দরবনের ছবি থাকে অথচ মানুষ নাই,যা আন্দোলনের রোমান্টিক ভাবকে প্রকাশ করে
৪.নামেই জাতীয় কমিটি কিন্তু জাতীয় সংগঠন নয়। এবং নিজেদের নেতৃত্ব ধরে রাখতে তারা ব্যাপক সমর্থন থাকা স্বত্তেও আমজনতাকে যুক্ত করতে আগ্রহী নন।
৫.কৃষকের বীজ গত দশ বছরে চোখের সামনে দিয়ে বিভিন্ন কোম্পানী প্যাটেন্টশিপের নামে দখল করলেও এই জাতীয় কমিটি কিছুই করেনি ফলে এরা যতই বলুক শ্রমিকের কথা তবু এরা মধ্যবিত্তের স্বার্থ রক্ষার্থেই নিবেদিত কৃষকের স্বার্থে নয়।
৬.বাঘ বাচানো এই রোমান্টিক আন্দোলন তবু্ও তিনি সমর্থন করেন কেননা ভারতের বাংলাদেশের উপর খবরদারিত্ত্বের বিরুদ্ধে দাড়ায় এই আন্দোলন।
ফরহাদ মজহার সাহেব আমাদের আন্দোলন সমর্থন করে আমাদের উদ্ধার করেছেন!!যাই হোক উনাদের বড় মিডিয়া ,এটা সেটা আছে লোকের কানে এসব কথা দ্রুত পৌছে যাবে। কিন্তু আমাদের ও তো কথা বলতে হবে...
১.মানুষ সমগ্র বাস্তুসংস্থানের অংশ, প্রকৃতির ধ্বংস সাধন মানুষের বেচে থাকার জন্যও ভয়ংকর হুমকি। ফরহাদ সাহেব বলছেন বাঘ নিয়ে গ্রামের শ্রমিক মানুষ চিন্তিত না কথাটা ফেলে দেয়া যাবে না । গ্রামের মানুষ ওই প্রকল্প হলে কি হবে, কি ক্ষতি হবে সেটাই তো জানে না সে বাঘের কথা ভাববে কিভাবে। বুদ্ধিজীবি ফরহাদ সাহেবদের দায়িত্বও তো ছিল ওই অঞ্চলের মানুষকে জানানো। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি জানাতে।লিফলেট দিয়েছি, কথা বলেছি, পোস্টার মেরেছি। বাঘের প্রতি কৃষকের মায়া আপনার আমার চেয়ে বেশী কারন তারা প্রতিবেশী।
আন্দোলনের পর তার খুত ধরাতেই ফরহাদ গং কার্যকর হচ্ছে। এই আন্দোলন শ্রমিকের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নয় এটা বলা বড় ধরনের মিথ্যাচার ও প্রতারণা।গ্রামে বসবাসকারী কৃষকশ্রেনীর উপরেই প্রথম আঘাত আসবে সুন্দরবন ধ্বংস হলে ।
২.আন্দোলনকারীরা মধ্যবিত্ত অংশ থেকে আসা, নেতারা মধ্যবিত্ত অংশ থেকে আসা এটা ঠিক কিন্তু অনেক শ্রমিক সংগঠনও কমিটির সাথে যুক্ত আসা।বাংলাদেশের শ্রমিকদের ৫ দিন ব্যায় করার মতো সুযোগ অবকাশ শাসক মালিক গোষ্ঠী রেখেছেন কিনা সেটা ফরহাদ সাহেব খেয়াল করার সুযোগ পাননি হয়তো ।
এলাকার শ্রমজীবি মানুষ এই আন্দোলনের সাথে একাত্ম, উচ্ছেদ হওয়া কৃষকেরা তো নিঃসন্দেহে। অনেক মধ্যবিত্ত তো এ আন্দোলনে আসেননি, এসে যারা দুনিয়ার মজদুর স্লোগান তুলছেন এদের নিয়েই ফরহাদ সাহেবরা বিপদে পড়েছেন, কেননা এদের মজুরি না দেবার ভয় দেখিয়ে ,কেরামতি দেখিয়ে, ভীতি দেখিয়ে আন্দোলন থেকে সরানো যাচ্ছেনা। পরিবর্তন শ্রমিকদের শক্তিতেই হবে তবে মধ্যবিত্তের সহায়তা নেতৃত্ত্ব ব্যাতিত সেটা সম্ভব নয়।
৩.পোস্টারে বাঘ ও মানুষের একত্রে লড়াইয়ের ছবি আছে, বাঘের উপস্থিতি কেন রোমান্টিক সেটা বোঝা গেলনা। বাঘ যদি মরে সুন্দরবন যদি ধ্বংস হয় তবে মানুষের বাচাও কঠিন হবে বৈকি।
৪. জাতীয় কমিটি জাতীয় নয় বলে দাবি করছেন ফরহাদ মজহার। বিভিন্ন সংগঠন এই কমিটিতে কাজ করে যেমন-লিটল ম্যাগ গ্রুপ, পত্রিকা গ্রুপ, বিজ্ঞান মঞ্চ, সাংস্কৃতিক গ্রুপ, রাজনৈতিক দল-সি.পি.বি, ছাত্র ইউনিয়ন, বাসদ, ছাত্র ফ্রন্ট, গনসংহতি আন্দোলন,ছাত্র ফেডারেশন, ওয়ার্কাস পাটি,ছাত্র মৈত্রী ইত্যাদি।সুতরাং এদের যেখানে সংগঠন আছে সেখানে তেল-গ্যাস কমিটি আছে। কমিটি সাধারণ লোককে যুক্ত করতে চায়না এটি একটি ডাহা মিথ্যাচার, এই আন্দোলন সকল সংগঠনেই প্রাণ প্রবাহিত করেছে। অনেকেই ইতোমধ্যেই এসকল সংগঠনে এই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে যুক্ত হয়েছেন। তবে মাত্রা কম রাজনীতি বিষয়ক বাজে ধারনা আর জাতীয় চেতনের অভাব এজন্য দায়ী।
৫. এই স্টাইলটা অমিপিয়াল-আইজু গংদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে এবার দেখালেন ফরহাদ সাহেব। তেল গ্যাস কমিটি সুন্দরবন লংমার্চ করলো কিন্তু ওটা করলেন না কেন এটা করলেন না কেন ইত্যাদি বাহাস। একটা জরুরী বিষয়ের আলোচনার সময়কালে আরেকটা তার চেয়েও অনেক গুরুত্বপূন বিষয়ের উপস্থাপনও প্রথম আলোচ্য জরুরী বিষয়কে লঘু করা কিংবা অপ্রয়োজনীয় প্রমান করার অপচেষ্টা বলা যায়। হ্যা বীজ সাম্রাজ্যবাদী সংস্থার হাতে যাচ্ছে যে বিষয়ে বামপন্থীরাই সোচ্চার, বিভিন্ন সভাতে সমাবেশে এ কথা উঠছে। যে রাষ্ট্র এই বীজ কোম্পানীর পৃষ্ঠপোষকতা করছে তাকে আক্রমন না করে তেল গ্যাস রক্ষা কমিটির আঙ্গুল তুলে বলছে কেন ঘের এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেনা(অমি-আইজু),বীজ কোম্পানির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন না ইত্যাদি ইত্যাদি।
সময় আসছে মানুষ সংগঠিত হচ্ছে সকল অব্যাবস্থার বিরুদ্ধে মানুষ লড়বে,আপনাদের প্রেসক্রিপশনে না মানুষ নিজের দায়িত্বে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়বে।আপনারা কাদের পক্ষের মানুষ, লোকে তা বুঝতে পারছে পালাবার পথ পাবেন না।
৬. ফরহাদ মজহার ভারতবিরোধী লোক, কেন তিনি ভারতবিরোধী? আমাদের দেশের অধিকাংশ শ্রমিক ধর্মবিশ্বাসে মুসলমান।তাই তিনি মুসলিমদের ভালবাসেন অপছন্দ করেন হিন্দুদের, হিন্দুরা আবার এখানে প্রতিষ্ঠিতও। ভারত হিন্দুর রাষ্ট্র, শ্রমিক মুসলমানের উপর হিন্দুর কতৃত্ব তিনি মানবেন না। মুসলমান হলে হয়তো মানতেন।
পাকিস্তান যদি এই প্রকল্প করে তাও আমরা বিরোধিতা করব, সৌদি আরব যদি এই প্রকল্প করে তাও আমরা বিরোধিতা করব, ভারত করলেও করব, রাশিয়া করলেও করব। দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যটাই মুল বিষয়।সম্প্রদায়গত দৃষ্টিভঙ্গি মানুষের অশেষ ক্ষতি করেছে আজও করছে।ফরহাদ সাহেবরা তাদের সাম্প্রদায়িক পশ্চাদপদ ধারনা ঢাকতে একটু "শ্রেনী", "বৈষম্য", "শ্রমিক" ইত্যাদি প্রত্যয় ব্যবহার করে লোককে ধোকা দিতে চাচ্ছেন।এদের চরিত্র উন্মোচন করা আশু কর্তব্য। সবিনয়ে বলছি ফরহাদ সাহেব আপনার সমর্থন আমাদের দরকার নাই। প্লিজ মুড়ি খান।
পাদটীকা;ফরহাদ মজহার বিষয়ে ১৯৮৯ সালে আহমদ ছফা একটা প্রবন্ধ লিখিয়াছিলেন।পাঠ করা আশু কর্তব্য বলে মনে করছি লিংকু নিচে
Click This Link
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১
গরম কফি বলেছেন: ফরহাদ মজহার
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:১৯
হোরাস বলেছেন: হয়।
৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯
বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: সুন্দর লেখা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
অগ্নি সারথি বলেছেন: হেপাচুতিয়া মাদারচোদ।