নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবর্তন চাই

আমাদের একটা মানুষের সমাজ লাগবে

হোরাস

যেকোন সমালোচনা, আলোচনা, যেকোন কিছু জানাতে পারেন [email protected] ঐক্যবদ্ধ লড়াই ই মুক্তির একমাত্র পথ।

হোরাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমরা ৬টা মেয়ের প্রতিঃ

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:০৭

আজ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টা। ওরাই সম্ভবত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচে প্রানোচ্ছল একদল বন্ধু। আগামীকালের মিডটার্ম পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাওয়ায় ওরা ঘুরতে বেরিয়েছিল ফুলার রোড ধরে।একটা খেলা আছে হাটা প্রতিযোগিতা, ম্যারাথনে আছে. কে কত দ্রুত হাটতে পারে....



এই সময়ের এ বয়সের মেয়েরা, এমনকি ক্যাম্পাসের মেয়েরাও সারাক্ষণ রাস্তাঘাটে মৌখিক নিগ্রহের ভয়ে গুটিয়ে থাকে।ওদের ছুটতে ইচ্ছা করে, সাইকেল চালাতে ইচ্ছা করে, ক্রিকেট ফুটবল আর ব্যাডমিন্টনও খেলতে ইচ্ছা করে।কারণ ওরা মানুষ। কিন্তু, কেউ কেউ মনে করেন ওরা মানুষ না।ভয়ে জড়সড় হয়ে কাচুমাচু হয়ে না থাকলে এই কেউ কেউরা ওই মেয়েদের উত্যক্ত করা নিজের সাংবিধানিক অধিকার বলে মনে করেন। আর এই কেউ কেউ দের ভয়ে মেয়েরা গুটিয়ে যায, শামুকের খোলসের মতো শক্ত গভীরে। কিন্তু সেখানেও পৌছে যায় কেউ কেউ দের হাত। এ যেন একদল শ্বাপদের মধ্যে সারাটা জীবন ভয়ের চোটে শুকিয়ে নিঃশেষ হয়ে যাবার অনিঃশেষ অনুভূতি।



কিন্তু এই হাটা প্রতিযোগিতার প্রতিযোগীরা আলাদা। ফুলার রোডে উদয়ন স্কুলের সামনে প্রায়শই এমন উত্যক্ত করার খবর পাওয়া যায়।ওই জায়গায় বেড়াতে আসা ক্যাম্পাসের কিংবা বাইরের ছেলেমেয়েদের শারীরিক লাঞ্চনা থেকে আরম্ভ করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়া ওই সংঘবদ্ধ কেউ কেউ দের কাজ।কারো হাত ভেঙে কিংবা মোবাইল মানিব্যাগ ছিনতাই করে একেকটি অপূর্ব সন্ধ্যা কেটে যায় কেউ কেউ দের।প্রশাসন জেনেও নির্বিকার।সূতরাং একেকটি মারমার কাটকাট সন্ধ্যা..

কেউ কেউরা ওদের দেখে বাজে ইঙ্গিত করে, এমনকি পূর্বের মতোন শারীরিক ভাবে লাঞ্ছনা করতেও উদ্যত হয়।কিন্তু ওরা তো আমাদের লক্ষী মেয়ের দল নয়..... ওরা একযোগে প্রতিবাদ করে।আশপাশের অনেক মানুষ চেয়ে থাকে....অপলক। কমবেশ সবাই সমঝোতা করবার কথা বলতে থাকে। কারণ লক্ষী মেয়েরা রাস্তাঘাটে ঝগড়াঝাটি করে না।আর কারন এই কেউ কেউরা তো ক্ষমতাবান বাপু,এবং আরো কারণ ক্ষমতাবানরা যদি কিছু করে বসে...

কিন্তু এই হাটা প্রতিযোগিতার প্রতিযোগীরা ওদের ছাড়ে না, প্রক্টরিয়াল বডি আসে তারাও কেউ কেউ দের পক্ষে সাফাই গায়। তাদের হাত গলে এই নিপীড়করা হলে চলে যান। প্রক্টর সাহেব সদর্পে কিছুকাল পর মাটিতে অবতরণ করেন এবং বিচারের আশ্বাস দেন। এই ছয়টা মেয়ে একটাই কথা বলেন বার বার"এই নিপীড়কদের ক্যাম্পাস থেকে বহিস্কার করতে হবে"।

কাউকে না কাউকে তো সিনা টান করে দাড়াতেই হয়, আর তোমাদের তো পারতেই হবে.....রেড স্যালুট টু ইউ সিক্স।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৬

আরজু পনি বলেছেন:

কাউকে না কাউকে তো সিনা টান করে দাড়াতেই হয়, আর তোমাদের তো পারতেই হবে.....রেড স্যালুট টু ইউ সিক্স।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৪

হোরাস বলেছেন: আজ প্রক্টর সাহেব তদন্ত শুরু করবেন

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রেড স্যালুট টু ইউ সিক্স। :)

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৫

হোরাস বলেছেন: Salute...

৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

মশিকুর বলেছেন:
স্যালুট

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৭

হোরাস বলেছেন: হমম।ধন্যবাদ

৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

কাফের বলেছেন: সাবাস! ঐ ছয় মেয়েদের

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪২

হোরাস বলেছেন: প্রশাসন সমঝোতার কথা বলার চেষ্টা করছে, এটা মানা হবেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.