নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবর্তন চাই

আমাদের একটা মানুষের সমাজ লাগবে

হোরাস

যেকোন সমালোচনা, আলোচনা, যেকোন কিছু জানাতে পারেন [email protected] ঐক্যবদ্ধ লড়াই ই মুক্তির একমাত্র পথ।

হোরাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের দিকেই তাক করা ওই কালাশনিকভ: কোথায় যাচ্ছি

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

গতকাল পল্টনে খোলা জিপে আর্মির তাক করা স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র দেখে মস্তিস্ক উথালপাথাল হয়ে গেল।ভাবতে ইচ্ছা করছিল যে এটা কোন সিনেমার শুটিং।কিন্তু না দলে দলে প্লাটুনে প্লাটুনে তাদের উপস্থিতি দেখে নিশ্চিত হতে বাধ্য হলাম তারা সত্যি সত্যি পাব্লিকের দিকে অস্ত্র তাক করে আছেন। এই আর্মি পার্সোনেল গন হয়তো অভাগা এই জনগোষ্ঠির অনেককে সপাটে মারবেন, পেয়ে যাবেন দায়মুক্তি। বি.এন.পি আমলের অপারেশন ক্লিনহার্টের কথা প্রাতস্মরণীয়।



অবস্থা এমন দাড়িয়েছে বাংলাদেশে এখন পথ দুটা।হয় আপনি আ.লীগ নয়তো বি.এন.পি.স্বাধীনভাবে কথা বলতে গেলেই কোন একটা ট্যাগ আপনি পেয়ে যাবেন বলে আশা রাখি। আপনি যদি স্বৈরাচারী মনোভঙ্গির বিরুদ্ধে কথা বলেন তাহলে আপনি বি.এন.পির দোসর আর রাজাকারদের বিচার চাইলে আপনি আ.লীগের কিছু একটা।

সম্মতি উৎপাদন ব্যাতিরেকে কোন প্রয়োজনীয় ভালো কাজও অকার্যকর ও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যেতে পারে। ২০১৩ সালের এই জনগোষ্ঠিকে এসল্ট কালাশনিকভ-৪৭ কিবা বিডি-০৮ এর ভয় দেখিয়ে হয়তো আপাত দলন করা যেতে পারে কিন্তু এর ফল যে ভয়াবহ হবে সেটা কোন সন্দেহ ব্যাতিরেকেই বলা যায়। কারণ ইতিহাস সে কথাই বলছে।



বি.এন.পি আজ গণতন্ত্রের অভিযাত্রার ডাক দিয়েছে কিন্তু তারা কতটুকু গণতান্ত্রিক তা তাদের শাসনামলে জনগণের চোখে অঙ্গুলি প্রবেশ করিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন। আর যারা বাসে ট্রেনে তল্লাশি চালিয়ে জনসাধারণকে হয়রানি করে এই অভিযাত্রাকে থামাতে চাচ্ছেন তারা ইতোমধ্যেই একতরফা নির্বাচনের সকল যোগাড়যন্ত্র করে সুস্পষ্ট করেছেন যে তারা বঙ্গ অঞ্চলের সবচে গণতান্ত্রিক দল!।



আজকের দিনেও দেশের বেশীর ভাগ মানুষ কার্যত আ.লীগ কিংবা বি.এন.পির পিছনে সমবেত।মানুষ সহ্যের শেষ প্রান্তে উপনীত হয়েছেন। মানুষের পছন্দের এই দল দুটার সন্ত্রাস হত্যা খুনের রাজনীতি পথ খুলে দিচ্ছে জামাত, হিজবুত, কিংবা হেফাজতের মতো সংগঠনগুলোর রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার।



মানুষ চরম অবস্থায় এক ঝটকায় সকল দুর্দশা থেকে রক্ষা পেতে চায়। সে কারনেই কোন শক্তিশালী বিরোধীগোষ্টি হোক কট্টর কিবা অমুক তমুককে সমর্থণ দিয়ে বসতে পারে। এই সমর্থনের বাজে ফলও জাতি ভোগ করে অনেক দিন ধরে। জার্মানীর কট্টর সাম্প্রদায়িক একনায়ক এডলফ হিটলার অত্যাচারের পাল্টা হিসেবে তারচে বড় অত্যাচারের মন্ত্র দিয়েছিল জার্মান জাতিকে। ফলাফল বিপুল প্রাণনাশ।



ইতিহাস সাক্ষী স্বৈরতান্ত্রিকতা তা সে যত ভাল কাজের জন্যই হোক ফলাফল হয় ভয়াবহ। রক্ত দিয়ে তখন এই ঘটনার দায় মেটাতে হয়। আর ওই ভাল কাজের প্রতি বীতশ্রদ্ধ মানুষের সংখ্যাও বেড়ে যায়, পূর্বের চেয়ে আরো বেশী

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-১

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৯

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: আজকে আমাদের ভাবার সময় হয়েছে কে আমাদের আপন,কে পর। কে আমাদের শুভাকাঙ্খী , কে নয়। কে বন্ধু, কে বন্ধু বেশে শত্রু।আমরা সকলেই জানি যে,
আমাদের দেশের কোন রাজনৈতিক দলের কোন নেতাই দেশ বা জনগনের জন্য রাজনীতি করে না, আদর্শে জন্য করে না ।সবাই নিজের জন্যেই রাজনীতি করে । বড়জোর নিজ পরিবারের জন্য ,দলের জন্য করে । সে বর্তমান প্রধানমণ্ত্রীই হোক আর বিরোধীদলীয় নেত্রীই হোক,এরশাদ সাহেবই হোক আর সাবেক প্রেসিডেন্ট বদরূদ্দোজা চৌধূরীই হোক। সে ৭১'রণান্গনে বীর যোদ্বা আবদুল কাদের সিদ্দীকিই হোক আর দেলোয়ার হোসেন সাইদীই (দেইল্ল্যা রাজাকার) হোক। সাকাচৌই হোক আর তেতুঁল হুজুর(যদিও এদের নামের সাথে হুজুর শব্দটি লেখা ঠিক নয )শফি সাহেবই হোক। এদের মধ্যে কেউ একত্তরের চেতনা ফেরী করে বন্ধু বেশে শত্রু প্রতিবেশী দাদাদের আশির্বাদের(!) জন্য দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেয়,কেউ বা জাতীয়তাবাদী চেতনা ফেরী করে বন্ধুবেশি শত্রু , বিশ্ব সন্ত্রাসী মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের আস্থা অর্জনের জন্য সবকিছু করার অন্গীকার করে,কেউ ইসলাম রক্ষার দোহাই দিয়ে জণগনের জানমালের ক্ষতি করে বেড়ায় ইত্যাদি ইত্যাদি ।এরা সকলেই এক ও অভিন্ন আদর্শে (?) বিশ্বাসী। সেটা হলো দেশ ও জাতীর জন্য সর্ব্বোচ্চৌ ত্যগের কিছু গৎবাধাঁ বুলি আওড়াও , জণগন নামক একদল গাধাঁর সামনে একগাদা মিথ্যা আশ্বাসের মুলা ঝুলিয়ে ছলে বলে কৌশলে ক্ষমতায় যাও । তারই ফল আজকের এই জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি ।সুতারাং এখন সময় এসেছে আমাদের সাবধান হওয়ার। নয়তো আরো কঠিন পরিণতি আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে।
গতকাল আমার এক বন্ধু আমাকে "তুই ব্যটা একনম্বর Politisian ...." বলতেই খুব খেপে গেলাম।
বলুনতো কারনটা কি ?

Click This Link

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

হোরাস বলেছেন: রাজনীতির মধ্যে পলিটিক্সের ঘ্রাণ লেগে গেছে তো তাই।

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

হা...হা...হা... বলেছেন: "amora" mane kara? Dekher sadharon manusher buke AK47 tak kora hocche na.. Obosso "amora" bolte nijeke jodi kono sontrashi doler sodosho mone koren tobe aponar jonno voyer karon ache.

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬

হোরাস বলেছেন: ক্লিনহার্ট অপারেশনের সময় কত সাধারণ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন আপনি ধারনা করতে পারবেন না। এই বছর রাজনৈতিক ডামাডোলে জামাতের কয়টা লোক মরছে, বেশীর ভাগই আম আদমী। বিএনপির কয়টা ব্যাবসায়ী নির্যাতিত হয়েছে, আ.লীগ কয়জন ক্ষতিগ্রস্থ হইছে তুলনায় ৯৯ ভাগের বেশী আম আদমী। অবশ্য আপনি যদি দলকানা হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে কিছুই বলার নাই.....

৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

ইসপাত কঠিন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ক্লিনহার্ট অপারেশনের সময় কত সাধারণ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন আপনি ধারনা করতে পারবেন না। এই বছর রাজনৈতিক ডামাডোলে জামাতের কয়টা লোক মরছে, বেশীর ভাগই আম আদমী। বিএনপির কয়টা ব্যাবসায়ী নির্যাতিত হয়েছে, আ.লীগ কয়জন ক্ষতিগ্রস্থ হইছে তুলনায় ৯৯ ভাগের বেশী আম আদমী। অবশ্য আপনি যদি দলকানা হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে কিছুই বলার নাই....

ক্লিনহার্টের সময় মারা যাওয়া একজন সাধারন লোকের ডিটেইলস বলেন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮

হোরাস বলেছেন: ক্লিনহার্ট, ক্রসফায়ার, যৌথ বাহীনির অভিযান যে অভিধা ই দেন না কেন, এতে সাধারণ আম জনতাই ক্ষতিগ্রস্থ হয় সবচে। এটা মনে করার কোন কারণ নাই যে রাজনৈতিক নেতারা ক্ষতিগ্রস্থ হলে আমি আনন্দে ডুগডুগি বাজানোর উপলক্ষ্য পাব...
আমরা স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলাম ... এই সব ক্লিনহার্ট কিবা ক্রসফায়ারের জন্য না। অর্থনীতির সাথে সন্ত্রাস সহিংসতার যোগ আছে..গুলি করে অপরাধী শেষ করা যায় না।
আপনার চাহিদা মতো উদাহরন দিলে আমি এই সকল বলপ্রয়োগের বিরোধীতিার মূলসুরটা খেলো হয়ে যাবে। তাই থাক।

৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

ইসপাত কঠিন বলেছেন: আমি প্রথম কমেন্টে আপনার লেখা প্রশ্নের জবাব খুঁজতে প্রশ্নটা করেছি। আপনি বিএনপি, জামাত আর আওয়ামী লীগের কতজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই প্রশ্ন রেখে বলেছেন যে শতকরা ৯৯ ভাগেরও বেশী সাধারন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই আপনাকে ১ জনের ডিটেইলস বলতে বলেছিলাম। জবাবে আপনি কিন্তু পাশ কাটিয়ে মূলসুরের দোহাই দিয়ে গেলেন।

যাই হোক, শুভকামনা রইলো।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

হোরাস বলেছেন: একটা বড় পোস্ট দিব এই সিভিকো আর্মি লুটপাটতন্ত্র নিয়ে।কয়জন মরলো সেটা গুরুত্বপূর্ন তবে আমি যে শব্দটা ব্যবহার করেছি সেটা হলো"ক্ষতি"। আপনার প্রতিও শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ।

৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

ইসপাত কঠিন বলেছেন: আশা করি ঐ পোস্টে প্রকৃত সত্য থাকবে। আপনার পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।

৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬

মদন বলেছেন: আওয়ামীলীগ যদি দেশের লোককে নির্বিচারে গুলি করে মারে, তার পক্ষে বলার লোকের অভাব নাই দেশে। আবার বিএনপি যদি জ্বালাওপোড়াও করে পুরো দেশ জ্বালিয়ে দেয় তার পক্ষে কাজ করারও দেশে লোকর অভাব নাই।

এই দেশে স্বয়ং সৃষ্টকর্তা যদি কোনো কিছু না করে তাইলে শান্তি আসবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.