![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেকোন সমালোচনা, আলোচনা, যেকোন কিছু জানাতে পারেন [email protected] ঐক্যবদ্ধ লড়াই ই মুক্তির একমাত্র পথ।
ভেবেছিলাম আর কোন অন্যায্য রায় না হওয়া পর্যন্ত গনজাগরণ মঞ্চ আলোচনার বাইরে থাকবে। গতকালের ঘটনায় এককথায় হতভম্ব হয়ে গেলাম, এবং রাজাকারদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা এই মঞ্চ দুঃখজনক কায়দায় আলোচনায়ও আসলো...
পরশু দিন গরম পানি ছুড়ে মারা সংক্রান্ত ঘটনায় গণজাগরণ মঞ্চ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড গতকাল শুক্রবার শাহবাগে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয়। কেননা উভয় পক্ষই নিজেদের নির্যাতিত, অপর পক্ষ দ্বারা আহত বলে দাবি করে।
মঞ্চের সেই দিন অনেক আগেই গত হয়েছে, সব সময়ে ক্ষমতাসীন দলের দায় এড়িয়ে যাবার আত্মঘাতী কৌশলের কারণে জনগনের কাছে এই প্লাটফর্ম একটি সরকারী মহড়া ব্যাতিত আর কিছু বলে জনগনের কাছে ঠাহর হয়না।
গত বিকেলে এক সময়ের হাজার হাজার মানুষের মিছিল করা গনজাগরণ মঞ্চ যখন ৫০ বা ৬০ জন নিয়ে আজিজ মার্কেটে সামনে পৌছালো, পুলিশ যে যাকে যেভাবে পারল মারল। কাউকে রাইফেলের বাট দিয়ে বাড়ি দিল, কাউকে বুট দিয়ে সর্বশক্তি দিয়ে লাথি মারল। বাধন ভাইকে পুলিশ বর্বর কায়দায় সর্বশক্তি দিয়ে পুলিশ রাস্তায় ফেলে মারল। প্রচন্ড ব্যাথায় তিনি এত লোকের মধ্যে কেদে ফেলেছিলেন। যে পরিমান ফটোগ্রাফার তার ছবি তোলায় ব্যাস্ত হয়ে পড়ল সেটাকে ছোট খাট মানব বর্ম বলা যেতে পারে। মনে হইল তাকে যে কেউ উঠাবে সে সুযোগ আলোকচিত্রীগণ দিতে নারাজ। এভাবেই সন্ধ্যা নামল শাহবাগে...
একটু পর শোনা গেল মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের দুজন নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ তাদের মধ্যে একজনকে টানা হেচড়া করে পাঞ্জাবী ছিড়ে ফেলেছে পুলিশ।
থাবড়া দিয়ে হেফাজতের হাজার হাজার লোকের কান বয়রা করে দিয়েছে যে দল, বিরোধী প্রধান শক্তিকে রাজধানীতে মিছিল করতে ভয় পাইয়ে দিয়েছে যে দল, তাদের বোধহয় আর এই ৫০ বা ১০০ লোকের লাগাতার ঘ্যানঘ্যান ভাল্লাগতেছে না। তাই হয়তো এই শর্টকোর্সের প্রয়োগ।
৭১ পরবর্তী সময়ে গত ৪৩ বছরে রাজাকারদের যে বিচার হয়নি তার দায় সব সরকারের এই কথা জোরের সাথে বলতে পারতে হবে, পাকিস্তানের উদ্ধতার প্রতিবাদে আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ঘেরাও করতে হবে, বাকী সকল রাজাকারদের রায় এবং তা কার্যকর করা নিয়ে যে কালক্ষেপন করছে সরকার তা নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে।
গতকালের ঘটনার বিচার চাই, দোষীদের শাস্তি চাই।
আওয়ামীলীগের সাথে প্রানের বন্ধুত্ব রেখেই দাবী আদায় করতে চান তাহলে শর্টকোর্স সামনে আরো আছে, কেননা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড টাইপ সংগঠন আওয়ামীলীগের আছে অগণন। তাদের যে কেউ একজন এসে কালকে আবার হয়তো আপনাদের গায়ে গরম কেতলি ছুড়ে মারবে......
যদিও বন্ধুতে বন্ধুতে মারামারি বাধলে রাগ করতে নেই!!!
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৪:৩৯
হোরাস বলেছেন: হাজার মানুষ এই প্লাটফর্মে স্বপ্ন দেখতে চেয়েছিল, নেতারা যদি বিশেষ সুবিধার জন্য কোন কিছুতে ছাড় দেন সেটা পাব্লিকের পক্ষে যায় না।
এত কষ্ট করে শেষ পর্যন্ত গালিই দিলেন, গালি তো সবাই দিতে পারে। কারণ কিবোর্ডটা আপনারই। কি করা যায় এটা ভাবতে হবে আমাদের।
২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৪:২৫
লাবিব ইত্তিহাদুল বলেছেন: িশপু মাস্তান বলেছেন: আমি দেখেছি, আমাদের এলাকাতে যখন কোন বিয়ের অনুষ্ঠান হতো এবং সেই অনুষ্ঠান শেষে কিছু খাবার অবশিষ্ট থেকে যেত সেই খাবার গুলি এলাকার কুকুরদের খেতে দিতো। যেহেতু খাবারের পরিমান বেশি থাকাই কুকুর গুলো একসঙ্গে খাবার গুলি শেষ করতে পারতো না। তাই তারা খাবারের পাশেই বসে পাহারা দিতো যাতে অন্য এলাকার কুকুর এসে ঐ খাবার গুলি খেয়ে না ফেলে। বিয়ের খবর তো চাপা রাখা যায় না। অন্য এলাকারও কুকুর খবর পেয়ে যায় এবং তারাও চলে আসে খাবার খাওয়ার জন্য। কিন্তু পরিনতি হচ্ছে যে সব কুকুর খাবার খেয়ে পেট ভর্তি করে অবশিষ্ট খাবার পাহারা দিচ্ছে তারা ঐ অন্য এলাকা থেকে আসা কুকুরদের খাবার খেতে দিবে না। এটাই হচ্ছে কুকুরদের স্বভাব। কারন তাদের পরবর্তি সন্ধার খাবার যোগাড় নেই। যখনই অন্য এলাকার কুকুর আসে তখনই প্রচন্ড বেগে ঝগড়া শুরু করে তাদের এলাকা ছাড়া করে। আর এই স্বভাব যখন মানুষের মধ্যে দেখা যায় তখন বন্ধু বন্ধু ঝগড়াই পরিনত হয় তাই না???
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৪:৪১
হোরাস বলেছেন: সহমত জানাতে পারলাম না। তাদের উপর আমাদের সবচে রাগ, কিন্তু একেবারে খারিজ করে দেওয়াটা ঠিক কাজ হবেনা।
৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৪২
কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
লাঠিচার্জ! এই সামান্য বিচ্ছিন্ন ঘটনা। হতেই পারে।
ছাগুরা খুসিতে লাফালাফি করে লাভ নেই।
জাগরণ আগেই তার মেইন কাজ করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।
গণজাগরনের দাবি কোটি কোটি সাধারন মানূষের দাবি। এখানে কিছুটা আওয়ামীকরন হয়েছিল। হবেই। গণজাগরনের সাধারন মানূষের দাবি ও আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইসতেহারের প্রথম দিকের একটি ধারা মুলত একই, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তি।
গণজাগরন মঞ্চের সাথে একাত্ততা পোষন করে ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন ও অন্যান্ন কিছু ছাত্র সংগঠন, বিচ্ছিন্ন ভাবে ছাত্রদল ও অন্যান্ন দলের কিছু সদস্য।
নীতিগত ভাবে গনজাগরন মঞ্চের সাথে আওয়ামীলীগ একাত্ত ছিল শুরু থেকেই। থাকতে হবেই, কারন বিচার করছে আওয়ামীলীগ, পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত আওয়ামীলীগেরই।
সবাই ভালকরেই জানে আওয়ামীলীগ ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোন দল এত বড় দুঃসাহসি কাজে হাত দিত না।
আওয়ামি লীগ এই আন্দোলন রাজনৈতিক উদ্দেস্যে ব্যাবহার করে থাকলে এটা পচে যেতে পারে না।
বেশিরভাগ দাবী মেনে নেয়াতে এবং বিচার প্রকৃয়া সঠিক ভাবে চলাতে গণজাগরন মঞ্চের কার্যক্রম সাভাবিক ভাবেই স্তিমিত হয়ে যায়।
ছাগুরা লাফাইসনা।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪১
হোরাস বলেছেন: একজনের ফাসি কার্যকর হয়েছে মাত্র, পথ কিন্তু অনেকটা বাকী ছিল। এত তাড়াতাড়ি পিছলে যাওয়াটা ভাল হয়নাই। যে বিশাল পরিমান অর্থ এই আন্দোলনে ব্যায়িত হয়েছে যার ফলে প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক...
আওয়ামী লীগ কেন প্রত্যেক রাজনৈতিক দল যেকোন আন্দোলন থেকে তার নিজের সুবিধা নিতে চায়, চাইবে। আন্দোলনকারীদের কে খুশি হইল বা কার লস হইল তা ভাবলে চলবে না, তার নিজের জায়গায় স্ট্রিক্ট থাকা দরকার। কিন্তু আন্দোলনে অনেক সময়ই অা.লীগ কে বাচানোর প্রানময় চেষ্টা লক্ষনীয় ছিল যা এই আন্দোলনের সর্বজন চেহারা নষ্ট করেছে।
আর ছাগুদের খুশি হবার মত কিছুই ঘটেনাই, তাদের আনন্দ দেখে ওদের ব্যাপক হাসি পাচ্ছে। রাজাকারদের বিচার এদেশে হবেই, আমাদের দুর্ভাগ্য আন্দোলনের নেতৃত্ব এমন মানুষের কাছে চলে গেল যাদের রাজনৈতিক দর্শন পরিস্কার না।
৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৬
কর্পোরেট ভালোবাসা বলেছেন: গনপ্রজনন মঞ্চ
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬
হোরাস বলেছেন: মানুষ মাত্রেই প্রজনন এর স্বত্বা আছে, এমনকি আপনিও করেন বা করছেন নয়তো সম্ভাবনা আছে। তবে প্রজনন এর জন্য মঞ্চ কোন সুবিধার জায়গা না, বেডরুমটাই ভালো বোধহয়। তবে আপনার ভাল লাগলে ট্রাই মারতে পারেন আপনার কাপলকে নিয়ে.... শুভ হোক প্রজনন!!!
৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১৭
অবুঝ পাঠক বলেছেন: আমাদের তামাশা দেখা ছাড়া আপাতত কিছু করার নাই ; কেউ কেউ চাইলে ডুগডুগি বা বগল বাজাইতে পারেন ; সব নিজের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে ;
ধন্যবাদ
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪২
হোরাস বলেছেন: আমাদের করার আছে অনেক কিছু। তামাশা দেখাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবেনা।
৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬
মুদ্দাকির বলেছেন: ডিজিটাল বঙ্গবন্ধুকে দেশের প্রেসিডেন্ট বানানোর দাবি করতে পারি !!
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৮
হোরাস বলেছেন: সেটা আপনি দবিরউদ্দিন কেও বানাতে চাইতে পারেন, আপনার চাওয়ার অধিকার আছে..
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৪:০১
িশপু মাস্তান বলেছেন: আমি দেখেছি, আমাদের এলাকাতে যখন কোন বিয়ের অনুষ্ঠান হতো এবং সেই অনুষ্ঠান শেষে কিছু খাবার অবশিষ্ট থেকে যেত সেই খাবার গুলি এলাকার কুকুরদের খেতে দিতো। যেহেতু খাবারের পরিমান বেশি থাকাই কুকুর গুলো একসঙ্গে খাবার গুলি শেষ করতে পারতো না। তাই তারা খাবারের পাশেই বসে পাহারা দিতো যাতে অন্য এলাকার কুকুর এসে ঐ খাবার গুলি খেয়ে না ফেলে। বিয়ের খবর তো চাপা রাখা যায় না। অন্য এলাকারও কুকুর খবর পেয়ে যায় এবং তারাও চলে আসে খাবার খাওয়ার জন্য। কিন্তু পরিনতি হচ্ছে যে সব কুকুর খাবার খেয়ে পেট ভর্তি করে অবশিষ্ট খাবার পাহারা দিচ্ছে তারা ঐ অন্য এলাকা থেকে আসা কুকুরদের খাবার খেতে দিবে না। এটাই হচ্ছে কুকুরদের স্বভাব। কারন তাদের পরবর্তি সন্ধার খাবার যোগাড় নেই। যখনই অন্য এলাকার কুকুর আসে তখনই প্রচন্ড বেগে ঝগড়া শুরু করে তাদের এলাকা ছাড়া করে। আর এই স্বভাব যখন মানুষের মধ্যে দেখা যায় তখন বন্ধু বন্ধু ঝগড়াই পরিনত হয় তাই না???