![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেকোন সমালোচনা, আলোচনা, যেকোন কিছু জানাতে পারেন [email protected] ঐক্যবদ্ধ লড়াই ই মুক্তির একমাত্র পথ।
বান্দরবান না গেলে হয়তো বিষয়গুলো এভাবে অনুভব করতে পারতাম না।
একদম সত্যি বলছি এমন অনুভুতি হয় যেন কোন একটা আর্মি ইউনিট এর মধ্যে প্রবল নজরদারির মধ্যে ঘোরাফেরা করছি। আর্মিরা নীলাচল নীলগিরিকে পিকনিক স্পটে পরিনত করেছেন দেদার বানিজ্য হচ্ছে তেনাদের। কেওক্রাডং আর বগা লেক দখল করার প্রস্তুতির মধ্যে আছে সেনাবাহিনী মানে রাষ্ট্র। চোখের ভাষা, মুখের ভাষা, অস্ত্রের ভাষা মদ খেয়ে মাতাল আদিবাসী যুবকদের চোখে চোখ রেখে কথা বলার শক্তি সাহস কেড়ে নিচ্ছে। যেসব জায়গায় এখনো সেনাবাহিনীর পরিপূর্ন নিয়ন্ত্রন আসেনি সেখানে বেড়াতে আসা লোকজনের সাথে তাদের আচরণ অত্যন্ত বৈরিতাপূর্ন। এক ঘন্টা ধরে পাহাড় বেয়ে বগা লেকে উপরে ওঠার পর যে কোন বসার জায়গা পেলেই মানুষ বসে পড়া স্বাভাবিক , এক সেনার প্রশ্ন "আপনারা টেবিলের উপরে বসলেন কেন এই আপনাদের শিক্ষা?" গলা ছেড়ে গান গা্ইলে আবার নাম ঠিকানা লিখে নিয়ে যাবার হুমকি ইত্যাদি। আর জানেন তো সন্ধার পর এখন আর কেওক্রাডং এর সর্বোচ্চ চুড়াস্থলে ওঠা নিষেধ কেননা সেখানে একে ৪৭ ওয়ালারা ক্যাম্প বানিয়েছেন। ওই এরিয়া পুরাপুরি দখল হয়ে গেলে হয়তো নান্দনিক ইট পাথরের রিসোর্ট হবে, উপজাত-দের দিয়ে খানিক নাচা গানার আয়োজন হলেও হতে পারে আমাদের প্রবল প্রচন্ড সংস্কৃতিমনা আর্মিদের পৃষ্ঠপোষকতায়; ওড়বে দেদার পয়সা। আমরা খয়রাতিগন হয়তো দূর থেকে দেখবো। আর ওরা, ওরা কোথায় যাবে? ওদের হয়তো লাখে লাখে গুলি করে মেরে ফেলবে না, রাষ্ট্র অনেক চতুর এখন। রাষ্ট্র এখন পাহাড়ে সংস্কৃতি করে !!, রাষ্ট্র এখন পাহাড়ে ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ করে পাহাড়ী জনপদের জীবনমান উন্নয়ন করে!!, রাষ্ট্র এখন আদিবাসী ও বাঙালীদের দূরত্ব নিরসনে পারস্পরিক বোঝাপড়ার ক্ষেত্র তৈরী করার জন্য একে ৪৭ নিয়ে পাহাড়ে পাহাড়ে জীবন বাজি রেখে মধ্যস্থতা করে!! রাষ্ট্র ওদের বলে বাবারা তোমরা তো ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী তোমরা এত বিশাল এলাকা আর এত সুন্দর এলাকা এমনি এমনি ফেলে রেখেছ কেন, এগুলো বাণিজ্যপ্রসবা অনেক আয় হয় এতে। অার তোমরা তো আমাদের মত বাণিজ্য করতে পারবা না আমাদের নিয়ন্ত্রনে এগুলো দিয়ে দাও আর তোমরা কিছু লোক এখানে থাক। না হলে তো ঠিক সঙস্কৃতিটা ঠিক হবেনা। তোমাদের আমরা পর্যটকদের দিয়ে দেখিয়ে পয়সা কামাবো। তোমাদের আপাদমস্তকতো দেখবার জিনিস...দালাল রাজাকার সব জাতিতে সব সময় ছিল আছে, হয়তো পাহাড়ীদের মধ্যে আছে।
কিন্তু মুক্তিকামীরা কই, স্বাধীনতা মানুষের এমন অধিকার মাঝে মাঝে ওই জিনিস বিহনে মৃত্যুও শ্রেয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চু চু চু...
সেনাবাহিনীর দেশ রক্ষার অস্ত্র দেখার কি দৃষ্টি ভঙ্গি!!! বলী হারি!
তারচে বোধকরি সন্তু লারমার অস্ত্রগুলো খুব দেশাত্ববোধ বহন করে...একই দেশের একই সংবিধঅনের অধীনে বিশাল এলাকায় শুধূ তাদেরই অধিকারের নামে বাকী ১৫-১৬ কোটির অধীকার বঞ্চিত করা খুব ণ্যায়পরায়নতা!!!
তাদের হাতে সেটেলারদের নির্মম খূন ঠেকাতে দেশের সার্বভৌমত্ব ঠেকাতে জানবাজি রাখা সেনাবাহিনী কেবলই বানিজ্য করে সেথায়! বাহ বেশতো ..
বিশেষ দলে চশমায়তো খুব পাওয়ার দেখা যায়!!
ওরা আছে বলেই ঘুরতে যেতে পারেন। নিজের দেশে নিজের ঘোরার অধীকারও ওরা কেড়ে নিয়েছীল। একসময় প্রচুর শুটিং হোত সেখঅনে- পাহাড়ী সন্ত্রীদের গুম, অপহরন আর চাঁদাবাজিতে মানুষ ওইপথ ভুলে গেছে...সেনাবাহিনী সেখানে না থাকলে তাদের অত্যাচারে আপনার পর্যটনের সখ অংকুরেই মরে যেত...
ওরাইতো মুক্তিকামী! দেশের মুক্তির জন্য বিপথু কিছূ স্বার্থান্ধকে দমন করতে জানবাজী নিয়ে লড়ছে... একাত্তরে পাকিদের পক্ষ নেয়া সন্তু গোস্ঠির পক্ষে ছিচকাদুনে আবেগে একেবারে আপ্লুত হক্কলে............