নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবর্তন চাই

আমাদের একটা মানুষের সমাজ লাগবে

হোরাস

যেকোন সমালোচনা, আলোচনা, যেকোন কিছু জানাতে পারেন [email protected] ঐক্যবদ্ধ লড়াই ই মুক্তির একমাত্র পথ।

হোরাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভর্তি পরীক্ষা দুবারই হোক: বেচে থাকুক গ্রামের ছেলেটার পড়বার আশা

২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

আজ সকালে ২য় বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগের দাবিতে ছাত্রছাত্রীরা অপরাজেয় বাংলায় সমবেত হবার চেষ্টা করলে ঢাবি প্রক্টর আমজাদ হোসেন নিজ হাতে ব্যানার কেড়ে নেন। এই প্রক্টরগণ আমাদের কি শিক্ষাদান করবেন তা সহজেই অনুমেয়। গত পরশুদিনও প্রক্টর এর ইশারায় ৫জন ছাত্রকে পুলিশ কর্মসূচির আগে রাজু ভাস্কর্য থেকে গ্রেফতার করে। এগুলো যে বিষয়ের আলামত তা হল কাউকে কথা বলতে দেয়া হবেনা। বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ মিনারে রাজু ভাস্কর্যে বিভিন্ন সময়ে সামাজিক সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক সংগঠন কর্মসূচি পালন করে, আর উচ্চমাধ্যমিক পাসকৃত ছাত্ররা যারা এই সিদ্ধান্তে সবচে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবে তারা কর্মসূচি নিলেই হয়ে যায় বহিরাগত। এই বিষয় একদম পরিস্কার যে ২য় বার ভর্তি পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক ভাবে গৃহিত ও ছাত্র স্বার্থবিরোধী। আচমকা এমন সিদ্ধান্ত ছাত্রদের শিক্ষাজীবনকে চরমভাবে ব্যাহত করবে। যে ৪০০ সিট ফাকা থেকে যাবার কথা প্রশাসন বারবার বলছে ভর্তি হওয়া ছাত্রদের দ্বিতীয়বার ভর্তির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ বন্ধ করে দিলেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। কারণ উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে বাজারদর দেখে বিষয় নির্বাচনের যে চল রয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষনার ক্ষেত্রে পরিনত করার ক্ষেত্রে বিপুল বাধা তৈরী করছে। আর কোচিং এর বিষয়ে বলা যায়; পরীক্ষা একবারই হোক বা যে কয়বারই হোক কিংবা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরপরই নেয়া হোক রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ ব্যাতিত কোচিং বন্ধ করা সম্ভব নয়। ফলাফলের ধারা বিবেচনা করে দেখা গেছে ২য় বার অপেক্ষাকৃত সুবিধাবঞ্চিত ছাত্র ছাত্রীরা বিশেষ করে গ্রামের শিক্ষার্থীরা ভাল করেন। কারণ সমগ্র শিক্ষাজীবনে এ ধরনের প্রশ্ন পদ্ধতির সাথে পরিচয় না থাকা। সুবিধাপ্রাপ্ত ছাত্ররা কোচিং গৃহশিক্ষক ও অন্যান্য যোগাযোগের কারনে প্রশ্ন পদ্ধতির সমস্যা উতরে যান। যে শিক্ষার্থীটি ১ম বার সুযোগ না পেয়ে ২য় বার সুযোগ পায় সে মূলত বাস্তব কাঠামোগত সমস্যার কারনে ১ম বার সুযোগ পাননা তাকে কোনভাবেই কমমেধাবী বা অমেধাবী বলার সুযোগ নেই। এটা সহজেই অনুমেয় ভর্তি পরীক্ষায় বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন হলে কম সুবিধাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ভালো করার সম্ভাবনা বাড়ে।কিন্তু দুর্ভাগ্য এই আমাদের হতে হবে সব্যসাচী যে কোন একটা বিষয়ও খুব গভীরভাবে জানেন না।
যাই হোক ২৫ তারিখে শহীদ মিনারের কর্মসূচীতে ছাত্রদের উপর পুনরায় পুলিশী হস্তক্ষেপ ঘটলে যেকোন শক্ত কর্মসূচি নিতে ছাত্র সমাজের প্রস্তুত থাকতে হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:১১

হোরাস বলেছেন: ১বার পরীক্ষা নিলে প্রশাসনের হয়তো কিছু চাপ কমে কিন্তু গোটা ব্যাবস্থার যখন এমন নৈরাজ্যিক পরিস্থিতি সেখানে কম সুযোগ পাওয়া ছাত্রদের স্ট্রাকচারে এডজাস্ট হওয়া মহা কঠিন বিষয়।

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৬

শরতের আকাশ বলেছেন: http://mcq-exam.com ( Mcq Exam ) এ Bcs, Govt. Job, University Admission এর জন্য সাধারনজ্ঞানের পরীক্ষা দিন। বার বার পরীক্ষা দিয়ে নিজের মধ্যে confidence বারান। প্রতিবার পরীক্ষা শেষে ভুল উত্তরগুলো জেনে নিন। এখানে ৭টি বিভাগে (সাধারনজ্ঞান, ইতিহাস, বাংলাদেশ, English, আর্ন্তজাতিক, বাংলা, বিজ্ঞান, গনিত) পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.