![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(১)
অনেককে বলতে শুনেছি, সুন্দরবন ঘুরে আসা থেকে দার্জিলিং ঘুরে আসা অনেক সহজ, খরচও বেশ কম। কোথায় যাবো আগে দার্জিলিং নাকি সুন্দরবন! এই নিয়ে ভাবতে ভাবতে, ডিপার্টমেন্ট ঘোষণা দিলো, সুন্দরবন ভ্রমণ আসছে। আমার সাথে সাথে ভ্রমণপিয়াসু অনেক মুখ হাসছে।
সময়টা চলে এলো ১০ জানুয়ারী। ক্যাম্পাস থেকে ৮৩ জন নিয়ে ছুটে চলেছি বাঘ,বাঘীনির রাজ্যে।মাঝরাতে প্রায় ২ঘন্টা আটকে গেলাম মাওয়াতে। ফেরীতে অনেকেই নতুন উঠেছে। ফেরীতে উঠার আগে আমরা রাতের খাবার সারি বাসে।তারপর বাদাম খাওয়া নিয়ে রসিকতার কথা না বললেই নয়, নিজাম স্যারকে বাদাম দেওয়া হলো হাতে। হাতে হাত মোজা থাকায়, রাত খুলতেই পারলেন না বাদামের খোসা ! ওখানে একবাসে সবাই এসে যাই। স্যাররা অনেক মজা করেন। রফিক স্যারের কৌতুক, নিজাম স্যার এবং জসিম স্যারের গান। আহ ! ছাত্রদের মাঝেও কেউ কেউ গেয়ে উঠে গান।
বাস ফেরীতে উঠলো। কেউবা ফেরীর ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে বাসে ঘুমায়। কেউ বা চা খেয়ে গা গরম করে। কেউবা গলা ছেড়ে গান গায়।
(২)
পরদিন ভোরে পৌছে গেলাম খুলনা বন্দরে। গাইড আগেই দাঁড়িয়ে ছিলো।আমাদেরকে ছোট নৌকায় করে নিয়ে একটা লঞ্চে উঠায়, সকালের নাস্তার জন্য। এখানে আমাদের ৮ ঘন্টা বিরতি হয়। পরে বড় লঞ্চে আমাদের স্থানান্তর করা হয়। সেদিন কিছুই দেখতে পারি নি আমরা। রাতে আয়োজন করা হয় কালচারাল প্রোগ্রাম। লঞ্চে কেউবা ঘুমিয়েছে কেউবা আড্ডা দিয়েছে। পরদিন থেকে আমাদের ভ্রমণ শুরু, টাইগার পয়েন্টে যেতেই দেখি বানরের সম্ভাষণ। গাইড মানা করে দিয়েছে চুপচাপ থাকতে, না হলে হরিণ পালাবে। সামনে রাইফেল ম্যান। ন্যাশানাল জিওগ্রাফি তে দেখেছি বনে হরিণ কিভাবে দৌড়ায়। সেটা দেখলাম স্বচক্ষে। Just Amazing !
এরপর পৌছে গেলাম কটকা বীচে। ওখানে নাকি খুলনা বিশ্বাবিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র একসাথে ডুবে মারা যায়। ভয়ংকর বীচ। যেখানে বাঘের ভয় সেখানে বীচ কেড়ে নিলো অনেকগুলা তরতজা তাজা প্রাণ। সেখান থেকে ফিরে আমরা গেলাম আরেকটা জায়গায়, যেখানে হরিণের পাল। শতশত হরিণ, তাদেরকে গাছ থেকে পাতা দিলে, তারা গাছের পাতা খেতে চলে আসে, আমাদের খুব নিকটে। সেখান থেকে ফিরি লঞ্চে। তাকাই পাশে, বনের গাছগুলো দেখলে মনে হয়, কেউ খুব সুক্ষ্মভাবে গাছগুলোর পাতা কেটে সমান করেছে। আসলে, হরিণ যতটুকু পারছে, ততটুকু পাতা খেয়ে সব গাছকে ঝাউবনের মতো বানিয়ে ফেলেছে। না দেখলে এই অুভূতি বুঝানো অসম্ভব।
(৩)
হীরণপয়েন্টে দেখার মতো তেমন কিছুই ছিলো। দেখেছি দুটো মায়া হরিণ। হারবাড়িয়েতে পুকুরে শাপলা দেখে অভিভূত হয়েছিলাম। এখানেও বাঘ আছে। বাঘের পায়ের ছাপ দেখেছি এখানে। সবার মনে একটা ভয় কাজ করছিলো, এই না বুঝি এলো বাঘ !
দুবলার চরে স্যারদের এবং ছাত্রদের মনোমুগ্ধকর ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলো। এখানে নিউ মার্কেট নামক বাজার থেকে সবাই শুটকি কিনে নিয়ে প্রিয়জনের জন্য।
রাতে স্যারদের এবং ছাত্রদের গানের কলি খেলায় সবার মন উদ্ভাসিত হলো। টুরো লঞ্চ গানের কলির সাথে কেঁপে উঠতে লাগলো। রাতে খাবারে বার্বি কিউ আয়োজন করা হয়।
হাড়বাড়িয়াতে কুমিরের দেখা মিললো। বনের মাঝে এমন ভাবে রাস্তা তৈরী করা হলো যেনো দর্শনার্থীরা ঘুরে ঘুরে দেখতে পারে। এখানে বানরের উৎপাত খুব বেশী। একটা কিছু পেলেই হইছে টেনে নিয়ে যাবে। সেদিন আরো দেখলাম ষাট গম্বুজ মসজিদ এবং খান জাহান আলী মাজার।
এরপর ফিরা , মংলা থেকে যখন ছোট নৌকায় জেটির দিকে যাচ্ছি, বারবার লঞ্চের দিকে ফিরে চাইছে। গত ৩টা দিন একসাথে কতোগুলা মানুষ ছিলাম একসাথে। বিদায়....
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৫৬
রব্বানী রবি বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি ফুটবল খেলেছেন?
কোন সাবজেক্টে লেখাপড়া করছেন?
৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩০
রব্বানী রবি বলেছেন: ইকোনোমিক্স এন্ড ব্যাংকিং, IIUC @চাঁদগাজী
৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩০
রব্বানী রবি বলেছেন: ধন্যবাদ @শামসুল হক
৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
পাঠকের মন্তব্যের ডানপাশে উপরে একটা "তীর" চিহ্ন আছে, উহাতে ক্লিক করে, আপনি উত্তর দিবেন।
৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ফুটবল খেলেছিলেন?
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৫৬
রব্বানী রবি বলেছেন: জ্বি
৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫
কালীদাস বলেছেন:
বোঝা যাচ্ছে ভালই এনজয় করেছেন। লেখাটা খুবই ব্রিফ। আরও ছবি আশা করছিলাম, বাংলাদেশে এরকম ন্যাচারাল ট্যুরিস্ট স্পটে খুব বেশি লোকজন যায় না।
০২ রা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯
রব্বানী রবি বলেছেন: ছবি আমার ফেসবুকে আছে বেশ
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫৪
শামচুল হক বলেছেন: ভালো লাগল ভ্রমণ কাহিনী। ধন্যবাদ