নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হুমায়ূন আহমেদের বই যখন পড়ি, তখন আমার লেখার ইচ্ছাটা জেগে উঠে। আপাতত ছোট গল্প দিয়ে না হয় শুরু করলাম..

রব্বানী রবি

রব্বানী রবি

রব্বানী রবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেধাবীরা স্বপ্ন হারায়

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩


মেধাবীরা স্বপ্ন হারায়
দুচোখের জল ঝড়ে
একটি আসন সেও যদি পেতো
শেষের দিকে !
ফুটতো হাসি মুখে
কিংবা বলতো বাবা,
এবার ক্ষান্ত দাও আমায়
আরাম করি ক্ষাণিক
তোমার ছোট বোনের
বিয়ের কথা ভাবি !

ছাত্রদের পারবা না দমিয়ে রাখতে
সেই ৪৬ থেকে ৭১
কিংবা একবিংশ শতাব্দির ১৮
বিজয় আসবেই
মেধাবীরা হাসবেই !

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮

নাঈম মুছা বলেছেন: মানুষে বলে আমি নাকি মেধাবী! B-) অামার কোনো কোটা নাই! জানিনা কবে হাসব। আদৌ হাসতে পারব কিনা তাও জানিনা। কবিতাটা যে লিখেছে তাকেও মেধাবী বলে দুঃখ দিতে হচ্ছে। কারণ তারও জানার কথা না নিশ্চিত ভাবে সে কবে হাসতে পারবে।

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২১

রব্বানী রবি বলেছেন: হা হা হা

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪

করুণাধারা বলেছেন: কবিতা পড়ে মন খারাপ হলো, সত্যিই পরিস্থিতি খুবই দুঃখজনক।

প্রার্থনা করি, সবার স্বপ্ন পূরণ হোক।

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২১

রব্বানী রবি বলেছেন: আমিন

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫১

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: :):)

ছবিটা দারুন লাগছে।

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২২

রব্বানী রবি বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: মেধাবীরা হাসবেই।

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২২

রব্বানী রবি বলেছেন: অবশ্যই

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১৯

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন:

যেখানে সরকারের উচিৎ মেধাবীদের উৎসাহ দেয়া, যত্ন নেয়া সেখানে সেই সরকার দ্বারাই মেধাবীরা অবহেলিত, বঞ্চিত। জাতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২৩

রব্বানী রবি বলেছেন: সরকার যদি আপনা্র মতো করে একটু চিন্তা করতো !

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: যারা মেধাবি না তারাই কোটা চায়।

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

রব্বানী রবি বলেছেন: মেধাবীরাও চায়।

৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৪

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: অারেকটি কোটা অাছে...

হতভাগা কোটা

২৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

রব্বানী রবি বলেছেন: সেটা কারা পায়?

৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৪০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: কোটা নিয়ে দেশে অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে! কোটা না থাকলে কি চাকুরী পাবো না? আর কোটা থাকলে কি যোগ্যতা না থাকলেও চাকুরী পাবো?
অনেকে এই বিষয়গুলো গুলিয়ে ফেলছেন, অনেকে হা হুতাশ করছেন এই ভেবে যে, আহারে এইজন্যই বুঝি দেশে অনেক বেকার! আসলে কি তাই?
আপনি মেট্রিক পাস দিয়ে কি ব্যাংকের ম্যানেজার হতে পারবেন?
আর দেশে সরকারি সেক্টর থেকেও সবচেয়ে বড় সেক্টর বেসরকারি সেক্টর!  সেখানে তো কোটা নাই? তাহলে সেখানে ইন্ডিয়া শ্রীলংকা থেকেও যোগ্য প্রার্থী এসে মোটা অংকের মাইনে নিচ্ছে,  আপনি পাচ্ছেন না কেন?

আসলে কোটা জিনিসটা কি?
আসুন দেখি কোটার বিশ্লেষণ --
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হয়। এগুলো হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পোষ্যদের ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সুযোগ রয়েছে বাকি ৪৪ শতাংশ।

খেয়াল করে দেখুন এইখানে ৪৪ শতাংশ বলা হলেও আসল অনুপাত আরো বেশি!
যেমন -- নারী ১০% + জেলা কোটা ১০% +  প্রতিবন্ধী ১%  = মোট ২১ %
এই ২১ শতাংশ কিন্তু সাধারণ সকল  জনগণের মাঝে থেকেই করা হয়েছে! ( যাদের কোটা নাই)
আর   এইখানে নারী এবং জেলা কোটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়!  সাথে প্রতিবন্ধী দের অগ্রাধিকার দেয়া পৃথিবীর সকল মানুষের মানবিক দায়িত্ব! 

সুতরাং আসল সমিকরনটা হবে ( ৪৪% + ২১ %= ৬৫ %)  যা কৌশলে বাদ দিয়ে ছেঁটে দেখাচ্ছে বিষয়টা জটিল আর আতঙ্কিত করতে একটা গোষ্ঠী! 

তাহলে বাকি রইলো কত?
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫% + মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ৩০% = ৩৫%
নৃগোষ্ঠী বা আদিবাসী ৫% কোটা রাখা হয়েছে তাদের রেশিও কম বিধায় রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা থেকে যেন পিছিয়ে না পরে!
আমার মনে হয় এই ৩৫% নিয়েই একটা গোষ্ঠির বিরোধিতা!

আবার এই ৩৫% এর মাঝেও  আরেকটা বিশেষ পরিবর্তন হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে,
(এত দিন নিয়ম ছিল নির্ধারিত কোটায় যদি উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া না যায়, তাহলে পদগুলো শূন্য থাকবে। মেধাবীদের থেকে সেগুলো পূরণের কোনো সুযোগ ছিল না।) 
কিন্তু সম্প্রতি এক সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এখন থেকে নির্ধারিত কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাবীদের তালিকা থেকে পূরণ করা হবে।

এখন বলেন কোটা নিয়ে সমস্যা কোথায়??

কোটা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে, মিছিল মিটিং হচ্ছে আলোচনা হচ্ছে--- অনেকে অনেক কথা বলছেন, অনেক পরিসংখ্যান ব্যাখ্যা দিচ্ছেন --- কিন্তু একটা প্রজাতি কোটা কে বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা কোটাকে  ঠাট্টা তাচ্ছিল্য করছেন ---- এরা কারা?

কোটা নিয়ে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটা চমৎকার কথা বলেছেন... "  মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতেই চাকরিতে তাদের সন্তান ও নাতি-নাতনীদের জন্য কোটা চালু করা হয়েছে। তারা যদি যুদ্ধ না করতেন তাহলে বাংলাদেশ আসতো না, স্বাধীন বাংলাদেশ দেখা সম্ভব হতো না। তারা যুদ্ধ করেছিলো বলেই আপনারা আজ বড় পদে আসীন হতে পারছেন। তাই কোটা থাকবে।"

এখন যারা এই স্বাধীন দেশে বসে মুক্তিযোদ্ধা দের ভিক্ষুক ডাকছেন,  ঠাট্টা করছেন -- তারা একটা প্রশ্নের উত্তর দিন--- জীবনের মায়া ত্যাগ করে যারা দেশের জন্য অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন, তাদের ছেলেমেয়ে কে এই স্বাধীন দেশ কি দিয়েছে?

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কয়জন মুক্তিযোদ্ধা এই কোটায় চাকুরী পেয়েছে? ৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু কে হত্যার পর ঘাতকচক্র মুক্তিযোদ্ধা দের কখনো সরকারি চাকুরী তে অগ্রাধিকার দিয়েছে?
তখন কোথায় ছিলো আন্দোলন?

আমি এমন অনেক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার দেখাতে পারবো যারা বিন্দুমাত্র রাষ্ট্রীয় সহায়তা নেননি,  এমন অনেক আছে যারা কোনদিন কোন অনুদান ও পাননি!

আবার এমন ও আছে যাদের যোগ্যতা না থাকায় চাকরী বাকরির সুযোগ ছিলো না আগে, কিন্তু সন্তানদের সে সুযোগ আছে!

তবে হ্যা কোটা কিঞ্চিৎ সংস্কারের পক্ষে অনেকেই সুপারিশ দিয়েছেন যা মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় গণ ভেবে দেখতে পারেন--
< ভুয়া এবং ঘুষ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ধারী দের চিহ্নিত করে বাদ দেয়া হোক!

< একই প্রার্থী যেন একবারই কোটা নিয়ে চাকুরী পায়! বার বার না!

< তৃতীয় প্রজন্মের পর চতুর্থ প্রজন্ম ( মুক্তিযোদ্ধাদের নাতী নাতনী দের সন্তানদের ক্ষেত্রে) তা কমিয়ে অর্ধেক  ১৫ % এ আনা সমুচিত হবে!
ভিন্নমত থাকলে কমেন্ট করে জানান!
ধন্যবাদ!

Al Bakki Al Mayzan

প্রাসঙ্গিক মনে হলো তাই রেখে গেলাম

২৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

রব্বানী রবি বলেছেন: ধন্যবাদ

৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৪২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনি মেট্রিক পাস দিয়ে কি ব্যাংকের ম্যানেজার হতে পারবেন?

আপনার এই যুক্তি কোনোভাবেই মানতে পারলাম না |

শুধু মাত্র পাস্ করা আর মেধা তালিকার উপরে থাকার মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য আছে তা আপনার না বোঝার কথা নয় | এই মেধার মূল্যায়নের প্রয়োজন না থাকলে বিশ্বের কোথাও কোনো পরীক্ষা সিস্টেমে গ্রেডিং পদ্ধতির ব্যবস্থাই থাকতো না, শুধু দুটি স্কেলে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হতো - পাশ এবং ফেল |

শুধুমাত্র ভুয়া মুক্তিযুদ্ধে কোটাই নয়, জেলা কোটারও চরম অপব্যবহার হচ্ছে | পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং বৃহত্তর সিলেটের কয়েকটি জেলার প্রকৃত প্রার্থীর বদলে অন্য জেলার প্রার্থীরা ওই কয়টি জেলার বাসিন্দা হিসাবে ভুয়া পরিচয় দিয়ে কোটার সুবিধা নিচ্ছেন | কোটার অপব্যবহারের এরকম ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে | কোটা পদ্ধতিটাই সম্পূর্ণ ত্রূটিপূর্ণ এবং এর চরম অপব্যবহার মেধার বিকাশের প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে |

যদি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আগামীতে একটি সুন্দর এবং সম্ভাবনাময় বাংলাদেশকে দেখতে চান তবে দলীয় সংকীর্ণতা থেকে বেরিয়ে এসে এই চরম অন্যায্য এবং অকার্যকর কোটা ব্যবস্থার বিলুপ্তির জন্য দেশের শীর্ষ নেতৃত্বকে আহ্বান জানান |

২৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

রব্বানী রবি বলেছেন: ধন্যবাদ

১০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ৯ নং এ বিশুদ্ধানন্দ ভালো বলেছেন, আমি আপনার সাথে দ্বিমত রাখছিনা। কোটার সুবিধে অসাধু ভাবে নেয়া হচ্ছে।

মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে যদি এইটুকু ৩০% মানবিক চিন্তা না করতে পারেন, তবে যে জাতি হিসেবে আমরা অকৃতজ্ঞ স্বার্থপর হয়ে যাই ভাই! তাঁদের জন্যই তো আমরা কোটা নিয়ে আন্দোলন করার সুযোগ পাচ্ছি।
তারপর, মহিলা ১০% জেলা ১০% উপজাতি ৫% প্রতিবন্ধী ১% এগুলো তো আমাদের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই রাখা উচিৎ বলে মনে হয়।
আসল কথা হচ্ছে সমস্যা সেই মুক্তিযোদ্ধা ৩০% নিয়েই। তাঁদের দোষ তারা লুটপাট করে নিজেদের ব্যাংক সিন্ধুক না ভরে মাতৃভূমি আর দেশের মানুষের জন্য জীবন বাজী রাখতে গেছেন। এমন বোকাদের আসলেই কোন সুবিধে দেয়া উচিৎ নয় রাষ্ট্রের। কারণ, এরা বোকা, এদের দ্বারা কিচ্ছু হবে না। দেশটা তাঁদের জন্য পেয়েছি এর কোন সাক্ষ্য প্রমাণ নাই। কি বলেন?

১১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:১৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য আর্থিক, চিকিৎসা সহ নানাধরণের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন | কিন্তু দেশের উন্নয়নের জন্য প্রকৃত মেধাবীদের শিক্ষা এবং চাকুরীতে সুযোগ প্রদান করার জন্য কোটা ব্যবস্থা অবলুপ্ত করা প্রয়োজন - এই একটি ক্ষেত্রে আবেগের রাশ টেনে ধরা দরকার | মেধার যথাযথ মূল্যায়ন না হলে একটি জাতির অবনতি ঘটতে বেশি সময় নেয় না |

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.