নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

is not available

is not available › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবেক বনাম ইন্দ্রিয়

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৫

পশুপাখিদের শুধু শরীর আছে। তাদের সমস্ত কাজ শারীরিক আনন্দ বা শরীর কে টিকিয়ে রাখার জন্য। বাঁচার তাগিদে তারা শারীরিক চাহিদাগুলো মেটানোর জন্য যে-কোন কাজ করতে পারে, কাজগুলো ভাল, না খারাপ তার প্রশ্নই আসে না। ফেরেশতাদের শুধু ভাল বৃত্তিগুলো আছে, তারা চাইলেও খারাপ কাজ করতে পারবে না। কিন্তু মানুষের মধ্যে পশুদের মত শরীরবৃত্তি যেমন আছে, আবার আছে ফেরেশতাদের মত ভাল বৃত্তি। মানুষ স্বাধীন, তারা শরীরকে প্রাধান্য দিতে পারে একইসাথে তার ভাল গুণগুলোর চর্চাও করতে পারে। তাদের সু-প্রবৃত্তি আর কু-প্রবৃত্তি দুইটাই আছে। সে যদি কোন ভাল কাজ করতে যায়, খারাপ বৃত্তিগুলো সেই কাজে বাধা দেয়। আবার খারাপ কাজ করতে গেলে বিবেকে খোঁচা দেয়। একইসাথে দুই পরষ্পরবিরোধী সত্তা তার মধ্যে আছে। কোন মানুষ ব্যক্তিগতভাবে কেমন সেটা নির্ভর করে তার ভেতরে কোন শক্তি সবল, তার উপর। তার পশুবৃত্তি বা খারাপবৃত্তিগুলো যদি সবল হয়, তাহলে সে তার প্রকৃত পরিচয় হারিয়ে পশুর কাছাকাছি চলে যায়। পশুর সাথে তার পার্থক্য তখন কম থাকে। যদি তার বিবেক বেশী অ্যাকটিভ থাকে, যদি বিবেক দিয়ে সে শরীরসর্বস্বতাকে জয় করতে পারে, তাহলে মানুষ হিসেবে সে হয় উৎকৃষ্ট। তার ভাল কাজের পরিমাণ যত বেশী হয়, সে ফেরেশতাদেরকে ততটাই ছাড়িয়ে যেতে থাকে। কোন ভাল কাজ করার জন্য ফেরেশতাদের চাইতে মানুষকে অনেক বেশী কষ্ট করতে হয়, কু-প্রবৃত্তির সাথে যুদ্ধ করতে হয়। এই কারণে মানুষের ভাল কাজের মূল্য ফেরেশতাদের চাইতে বেশী। সবচাইতে পূণ্যবাণ কোন ফেরেশতাও একজন উৎকৃষ্ট মানুষের চাইতে উৎকৃষ্ট কোন সৃষ্টি হতে পারেনা।
‘ভাল মানুষ’ আর ‘মন্দ মানুষ’ ধারণাগুলো আপেক্ষিক। কাউকে খারাপ মানুষ বলা হয় তখন, যখন তার ভাল কাজের চাইতে খারাপ কাজের সংখ্যা অনেক বেশী হয়ে যায়।
একইভাবে ভাল মানুষদের সব কাজই ভাল না, কাজগুলোর মধ্যে ভালোর পরিমাণ বেশী।
.
বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গের অনেক লেখক তাদের লেখায় এমন ঘটনা অহরহ ঘটায় যেগুলো মানুষের বিবেক কখনো মানবে না। এসবের অভিযোগ তুললে তারা আমাদেরকে বলতে চায়, “এগুলোই বাস্তবতা”। ঐসব ঘটনাগুলো কল্পনা করলে মনে হয় মানুষের পাঁচটা ইন্দ্রিয় ছাড়া বিবেক বলে কোন জিনিসই নাই, কোনদিন ছিলও না। বাংলাদেশের একশ্রেণীর বিপথগামী বুদ্ধিজীবী আর তাদের অনুসারীরা একটা ধারণা প্রচার করছে, “এইসব বাস্তবতা, লুকিয়ে রাখার কোন প্রয়োজন নাই”। এইসব যদি অাধুনিক আর প্রগতিশীল চিন্তা হয়, তাহলে এসব চিন্তায় মানুষের চাইতে কুকুর, শুকর-জাতীয় প্রাণীরা অনেক এগিয়ে। তাদের মধ্যে কোন কাজ লুকিয়ে রাখার কোন প্রবণতা নাই।
মানুষের সাথে পশুর পার্থক্য হল বিবেকের অস্তিত্ব। বিবেক যদি একদম নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, তাহলে মানুষ পশুর কাতারে দাঁড়াবে, পশুর মত নির্লজ্জ হবে।
একমাত্র তখনই সম্ভব এইরকম লজ্জাহীন কথা চিন্তা করার আর কিছু মানুষকে বিপথে পরিচালিত করে বিনোদন পাওয়ার।
খারাপ মানুষ এসব নষ্ট বুদ্ধিজীবীর শিষ্যদের চাইতে তো ভাল। অন্তত তারা তাদের খারাপ কাজকে স্বীকার করে, মানুষকে উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে নিজেদের বিকৃতি ঢাকতে চায় না।
এইসব লোকদের জন্যই বিখ্যাত প্রবাদটা তৈরি হয়েছে, “দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিতাজ্য”।
শিক্ষক বা আধ্যাত্মিক শিক্ষক নির্বাচন খুব জরুরী।
যার চিন্তা-ভাবনা আমরা মনে ধারণ করব, সে ব্যক্তিগতভাবে কেমন, এটা জানা খুব বেশী জরুরী।
মানুষ হতে শিখতে হয়। কিন্তু পশু ইচ্ছা করলেই হওয়া যায়। পশু হতে উৎসাহিত করার মানুষেরও অভাব নাই পৃথিবীতে। এইসব পশুচিকিৎসকদের ডাইরেক্ট শিক্ষক হল শয়তান।
শিক্ষক হিসেবে শয়তান অনেক বেশী নিষ্ঠাবান। তার বিপজ্জনক ধ্যানধারণা তার ছাত্রদের মস্তিষ্কে খুব দায়িত্বের সাথে প্রবেশ করায়।
মজার ব্যাপার হল, শয়তানের ক্লাসে কোন অমনোযোগী ছাত্র নাই। শয়তানের হোমওয়ার্ক করতে করতে তারা ঘুমিয়ে যায় না, ঘুম অনেক দূরে ছুটে পালায়।
শয়তানের শিষ্য হওয়ার জন্য শয়তানের সাধনা বা প্রেতসাধনার কোন প্রয়োজন হয়না।
ধ্বংসের একটা আনন্দ আছে। কোন মানুষকে যদি চোখের সামনে লেজ গজিয়ে অমানুষ হয়ে যেতে দেখা যায়, তাহলেও কিছু মানুষ কষ্ট পাবার বদলে আনন্দ পাবে।
কারা আনন্দ পাবে, কেন পাবে- এসব প্রশ্নের উত্তর জানার যদি কারও আগ্রহ হয়, তাহলে সে যেন ধৈর্য ধরে চোখ-কান খোলা রেখে অপেক্ষা করে। ভার্চুয়াল জগতে অনেক কিসিমের শিক্ষক আমাদের মত ছাত্রদের অপেক্ষায় বসে থাকে।
তাদের কেউ আমাদেরকে সঠিকভাবে আর শর্টকাটে পশু হওয়ার টেকনিক শেখাবে। তাদের কেউ কেউ “কেন পশু হওয়া উচিত”-টাইপের ভারিক্কি বয়ান দিবে।
তাদের কল্যাণে আমরা দেখব নানা রঙের যুক্তি- লাল, নীল, বাদামী ইত্যাদি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


শয়তান আপনার শিক্ষক?

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩১

is not available বলেছেন: @চাঁদগাজী, পোষ্ট পড়ে এটাই মনে হল?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.