নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কৌতুহলী

মাহদী হাসান শিহাব

কৌতুহলী পাঠক ও লেখক

মাহদী হাসান শিহাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনে কৃতজ্ঞ হওয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ? কৃতজ্ঞ হবেন কীভাবে?

০৩ রা এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪




কৃতজ্ঞতাবোধ ও আনন্দ নিয়ে একটা স্টয়িক ফিলোসফি আছে। এইটা কৃতজ্ঞ হতে পারার টেকনিক।

.

টেকনিকটা হইলো-

যে জিনিস আপনার মালিকানায় আছে, ধরে নেন সেই জিনিসটা আপনার নাই বা সেই জিনিসটা আপনি হারাইছেন। এমতাবস্থায় আপনার অবস্থা কী হবে চিন্তা করেন। একটু ডিটেইল চিন্তা করেন।

এই চিন্তা করলে মালিকানায় থাকা জিনিসটার জন্য আপনার কৃতজ্ঞতাবোধ আরো বাড়বে। এইটা ব্যবহারে আপনি আরো বেশি সুখ পাবেন।

মালিকানা শুধু বস্তুর না। ব্যক্তি ও হইতে পারে। যেমন- মা, বাবা, ভাই, বোন, বউ, বন্ধু ইত্যাদি।

আবার চাকরি, ধন সম্পত্তি, গাড়ি, বাড়ি দিয়েও চিন্তা করা যাইতে পারে।

প্রাকটিসের জন্য আপনি আপনার মত চিন্তা করে নেন।

.

কৃতজ্ঞ হওয়ার আরেকটা স্টয়িক টেকনিক হইলো,

যে সুযোগ সুবিধা ভোগ করার আপনার সামর্থ আছে তা মাঝে মাঝে ভোগ না করা। এক্ষেত্রে ঐ সুবিধাটার গুরুত্ব আপনি আরো ডিপলি অনুধাবন করতে পারবেন।

যেমন ধরেন, আপনি ঢাকায় বসবাস করেন এবং আপনার পারসোনাল গাড়ি আছে যাতে আপনি দৈনিক অফিসে যান।

একদিন আপনি নিজের গাড়ি ব্যবহার না করে লোকাল বাসে অফিসে গেলে পারসোনাল গাড়ি এফোর্ড করতে পারার জন্য আরো কৃতজ্ঞ হইতে পারবেন।

এইভাবে চিন্তা করলে, আমরা যে তিন ওয়াক্ত খাইতে পারি রোজা রাখলে এই খাইতে পারার জন্য কৃতজ্ঞ হওয়া যায়। এবং রোজা থাকলে পানি ও খাবারের গুরুত্ব বোঝা যায়।

.

“A few seconds of thinking about loss can dramatically boost gratitude.”

“At spare moments in the day, make it a point to contemplate the loss of whatever you value in life. It can make you realize, if only for a time, how lucky you are — how much you have to be thankful for, almost regardless of your circumstances…”

লেখাটা আমার নিউজলেটার থেকে নেওয়া। আমার সব লেখা এক জায়গা পেতে সাবস্ক্রাইব করতে পারেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

নতুন বলেছেন: কৃতজ্ঞতাবোধ থাকলে মানুষ বিনয়ী হয়, অল্পতেই তৃপ্ত হয়। মানুষ সুখী হতে পারে।

২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৪৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বিগত ১৮ বছরে খুব সম্ভবত দুটো বা একটা ঈদে কাজ থেকে ছুটি পেয়েছিলাম ও নিজের জন্য কাপড় কেনার সৌভাগ্য হয়েছিলো। বাকি সময়টাতে বেশীরভাগ ঈদের দিনে কাজ করতে হয়েছে, প্রবাসে থাকার কারনে পরিবারের সবার জন্য ঈদের খরচ পাঠানোর পর খুব একটা কিছু হাতে থাকতো না। এখন কাপড় কেনার সামর্থ্য থাকলেও নিজের জন্য আর কেনা হয়ে উঠে না। পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটার পাশাপাশি দান করা তথা যাকাতে কারো মুখে হাসি ফুটাতে পারলে বেশ ভালো লাগে। তুলনামূলকভাবে আমার কাপড়-চোপড় কিছুটা কম বলে বাসায় প্রায়ই কথা শুনি। আমার কাছে অবশ্য এই "অঢেল" থাকাকে অপচয় মনে হয়।

এবারের ঈদে মোটামুটি সবার পোশাক কেনা হলেও বাজেটে অবশ্য আমার জন্য কোন বরাদ্দ নেই। ঈদের পরের দিন ঢাকার বাইরে যাওয়ার ইচ্ছে আছে, খুলনার একটা দরিদ্র পরিবারকে একটা রিকশা ভ্যান কিনে দেয়ার ইচ্ছে আছে। পুরো ব্যাপারটা নিয়ে আমি কিছুটা উচ্ছস্বিত আর উদ্বিগ্ন। রাব্বুল আলামিন আমার এই প্রচেষ্টাকে গ্রহণ করুন আর আমার কাজকে সুন্দরভাবে সম্পাদন করার তৈফিক দিন, আপাতত এটাই চাওয়া। সবাই খুশি থাকলেই আমার খুশি লাগবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.