নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার উপস্থিতি ও আমার পরিচয়: www.linktr.ee/mhshihab

মাহদী হাসান শিহাব

কৌতুহলী পাঠক ও লেখক

মাহদী হাসান শিহাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুজবে বিশ্বাস করে আনস্মার্ট না হওয়া: ঘটনার সত্যতা যাচাই করে বিশ্বাস-অবিশ্বাস ও প্রচার করা বিষয়ে

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:০৭



বর্তমান জামানায় ফ্যাক্ট চেক করার সক্ষমতা থাকা অতীতের অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি জরুরি।

এটার একটা কারন হলো, এখন যে পরিমাণ তথ্য মানুষের হাতের মুঠোয় আছে তা আমাদের জানা অতীতের কোন সময় ছিলো না।

ফ্যাক্ট চেক করা অর্থাৎ যে কোন তথ্যের সত্যাসত্য যাচাই করা প্রতিদিন প্রতিক্ষণে অনুশীলন করা প্রয়োজন।

এবং কোন তথ্যই যেন আমরা চেক না করে বিশ্বাস করি বা নিজে থেকে প্রচার করি সেটা অনলাইনে বা অফলাইনে যে মাধ্যেমেই হোক না কেন, এ বিষয়টা সিরিয়াসলি প্রত্যেকের বিবেচনা করা উচিৎ।

ফেসবুক খুললেই যে পরিমাণ গুজব ও অধিকাংশ মিথ্যার ছড়াছড়ি দেখা যায় তা রীতিমত ভয়ানক হয়ে দাড়িয়েছে।

.

কোন তথ্য সত্য কিনা তা বুঝবেন কীভাবে?

প্রথম পদ্ধতি হতে পারে ফেসবুকের অপরিচিত কোন পেজ থেকে তথ্য নিবেন না। তথ্য নিতে হবে প্রমিনেন্ট সব পত্রিকা থেকে। অনেক সময় প্রমিনেন্ট অনেক পত্রিকাও অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য প্রচার করে ফলে।

দেশি কোন ঘটনা হলে দেশি টপ লেভেলের কয়েকটি পত্রিকা দেখতে পারেন। একটা পত্রিকা দেখে কনফার্ম হওয়ার চেয়ে কয়েকটি পত্রিকা দেখা ভালো।

আন্তর্জাতিক কোন নিউজ হলে সেটা দেশি পত্রিকা থেকে রেফারেন্স না নিয়ে আন্তর্জাতিক পত্রিকা থেকেই রেফারেন্স নেওয়া উচিৎ।

.

যে কোন ওয়েবসাইট থেকে যেসব তথ্য পাওয়া যায় সে একই তথ্য অন্য ওয়েবসাইট থেকে রিচেক করে কনফার্ম হওয়া দরকার।

যে কোন তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার আর একটা এবং সলিড মাধ্যম হলো "বই"।

যদিও বই বা বড় পত্রিকাতেও ইনটেনশনালি তথ্য ঘুরিয়ে বলা হয়, তারপরও বই ও পত্রিকাই মোটামুটি ফ্যাক্ট চেক করার বড় মাধ্যম।

আর ফার্স্টহ্যান্ডে যেয়ে সরেজমিনে স্বশরীরে তথ্য যাচাই করতে পারলে তো সবচেয়ে ভালো হয়। কিন্তু সব তথ্যের ক্ষেত্রে এই সুযোগ থাকে না।

মূল কথা, যাই লেখেন বা যাই বলেন সেটা যে গুজব না, এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে বলতে হবে। রেফারেন্স যদি স্ট্রং না হয় তাহলে সেটাও স্বীকার করতে বা লেখার ভিতর উল্লেখ করতে হবে।

আর কোন তথ্য বা ক্লিপ দেখেই উপসংহারে পৌছানো যাবে না। ঘটনা সম্পর্কে যতদূর সম্ভব জেনে বুঝে তারপর মন্তব্য করতে হবে।

ফ্যাক্টচেক করে তথ্য কনজিউম করার ক্ষমতা এখন অত্যাবশ্যকীয় এক স্কিলের পর্যায় পৌছেছে। ভুল তথ্য বলে বা প্রচার করে বা বিশ্বাস করে আনস্মার্ট হওয়া যাবে না।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৪১

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: চমৎকার লেখা ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪

মাহদী হাসান শিহাব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:৫৮

কামাল১৮ বলেছেন: তথ্যের সত্য মিথ্যা যানা যায়।বিশ্লষণের সত্য মিথ্যা জানবেন কি ভবে।জনে জনে আলাদা হবে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৫৯

মাহদী হাসান শিহাব বলেছেন: বিশ্লেষণের সত্য মিথ্যা হয় না। বিভিন্ন পারসেপশনে বিভিন্ন বিভিন্ন বিশ্লেষণ সত্যি, অন্য পারসেপশানে সেটা মিথ্যা।

বিশ্লেষন হলো রিলেটিভ ট্রুথ।

ফ্যাক্ট হলো- এবসোল্যুট ট্রুথ।

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৫২

নাহল তরকারি বলেছেন: আমার এক খালু আছে। তিনি খুব সরল সোজা। তিনি এত প্যাঁচ বুঝেন না। উনি ফেসবুকে এ আই দিয়ে বানানো এক ভিডিও দেখেছেন। এবং সেখানের ঘটান প্রবাহ বিশ্বাস করেছেন। এবং শেয়ার করেছেন। এমন সরজ সোজা লোকও সমাজের জন্য বিপদজক।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০১

মাহদী হাসান শিহাব বলেছেন: এমন সরল সোজা লোকের হাতে ফেসবুক থাকা বিপজ্জনক। আমাদের সমাজে এই টাইপের লোকের সংখ্যা বেশি। সরল সোজা না হয়েও অনেকে গুজব শেয়ার করে।

৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: এই সমাজে গুজব বিশ্বাস করা লোকের অভাব নেই।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০১

মাহদী হাসান শিহাব বলেছেন: গুজব বিশ্বাস করা লোকের সংখ্যাই বেশি। কারণ গুজব বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় না। ফ্যাক্টচেক করতে কষ্ট হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.