![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পর্ব-৪
বিজ্ঞান,জ্যোতিষ বিজ্ঞানই নয়,চাষা-কুলি এমনকি পশুদের মতেও ১২টি মাসের মধ্যে এ মাসটি বিচার বিশ্লেষণে শ্রেষ্ঠ মাস ও উপবাস পালনের সহজতর মাস অর্থাৎ রহমতের মাস বলেই বিবেচিত হয়। এ মাসটি রোজাদারীর জন্য কষ্ট ক্লেশহীন তথা আরামদায়ক ও কল্যাণকর। এমন সুযোগ সুবিধা ও গুণাগুণ রমজান মাসে বিদ্যমান ছিল বলেই আল্লাহ রমজান মাসে রোজা রাখার সময় ধার্য করেছিলেন। কিন্তু ওমরের আমল থেকে চন্দ্র বর্ষ চালু করার কারণে আজ তা লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। প্রত্যেক দেশ বা জাতির তুলনামূলকভাবে এমন একটি কল্যাণকর মাস অবশ্য অবশ্যই আছে। রমজান বলতে প্রত্যেকের সেই মাসটিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।পক্ষান্তরে বাংলাদেশে এমন একটি মাস আছে যখন:
১. দিনটি থাকে সবচেয়ে বড় ১৫/১৬ ঘণ্টার;কোন দেশে ২০/২২ ঘন্টাও হয়।
২. মাসটি থাকে সবচেয়ে বড়,৩১ দিনে।
৩. তখন খাদ্য-শস্যের থাকে চরম অভাব;এমনকি মধ্যবিত্তের ঘরেও দু’মুঠো খাদ্যের যোগান থাকে না।
৪. ঝড় বাদল,জলোচ্ছাস,হাজারো রকমের আসমানী জমিনী বালা মছিবত তথা দুর্যোগে থাকে ভরপুর।
৫. চলা-ফেরা,ব্যবসা-বাণিজ্য,যোগাযোগ প্রকৃতি চরমভাবে প্রতিকুল অবস্থা ধারণ করে।
৬. প্রচন্ড গরমে এমনকি পশু-পক্ষী,জন্তু-জানোয়ার পর্যন্ত পানিতে আশ্রয় নেয়।
৭. মারাত্বক রোগ-শোক,মহামারি ইত্যাদির প্রাদুর্ভাব থাকে।
৮. প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাঠে ময়দানে এমনকি ঈদের নামাজ পর্যন্ত করা সম্ভব হয় না। ঈদের যাবতিয় আনন্দ আয়োজন মুহুর্তের মধ্যেই লন্ড-ভন্ড হয়ে যায়! জীবন, সংসার নিয়েই ব্যতিব্যস্ত থাকতে হয়,ফলে একনিষ্ঠ সাধন-ভজন বা ধর্মানুশীলণ অতিরিক্ত বোঝা হয়ে দেখা দেয়।
৯. বৃদ্ধ,শিশু এমন কঠিন দিনে রোজা রাখতে ভয় পায়;অভাব,অস্বাস্থ্যকর তদুপরি এমন লম্বা দিনে সুস্থ লোকেরাও রোজা রেখে অসুস্থ হয়ে কল্যাণ কামনায় বরং অকল্যাণ ডেকে আনে। রোজা অবস্থায় এ সময় অনেককে লজ্জা ভয়ে পালিয়ে পালিয়ে খেতেও দেখা যায়।
১০. এহেন অবস্থায় ছোয়াবের আশায় রোজা রেখে বরং সমূহ আপদ-বিপদ ডেকে আনে। এমন কষ্ট-ক্লেশের মধ্যে আল্লাহ কোন মতেই মানুষের কাছ থেকে রোজা চাহে না ; তা পরিস্কারভাবেই কোরানে ঘোষণা করেছে।
১১. উল্লিখিত প্রাকৃতিক বালা-মছিবত বা সমস্যাগুলির বাস্তব সত্যতা উপলব্দি করতঃ স¤প্রতি ( ২০১০ ইং সন) মিশর বাধ্য হয়ে ঘড়ির কাটা আগ/পিছ করে ১ ঘন্টা আগেই রোজা ভঙ্গের (ইফতার) সময় নির্ধারন করে;একই কারণে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যহানি বা অসমর্থতা ও উৎপাদন ব্যহত হওয়ার কারণে আমিরাতের শ্রমিকদের রোজা রাখার কঠিণ আদেশ রহিত করার ফতোয় দেয়।
অদূর ভবিষ্যতে চাঁদ,সূর্য বা অন্য যে কোন গ্রহে মানুষ বসবাস করলেও এই একই নিয়মে তাদের যে কাল বা মাসটি তুলনায় কল্যাণকর পাবে ঠিক সেই মাসেই তারা রোজা রাখবে। আল্লাহর আইন সর্বত্র এবং সবার জন্য একরকম। এখানে কোন রকমের পক্ষপাতিত্ব বা প্রকৃতি বিরোধ নেই,নেই অসামাঞ্জস্যতা।
‘কোরান মনুষ্য জাতির জন্য’,একথা ওয়াজ-নছিহত ছাড়া বাস্তব প্রমাণ করার ক্ষমতা আমাদের নেই ;কারণ প্রচলিত রমজান অন্য গ্রহে তো দূরের কথা! পৃথিবীর উত্তর মেরু অঞ্চল,কানাডার নর্থওয়েস্ট টেরিটরি, নুনোভাট ও ইউকন টেরিটরি প্রভিন্সত্রয়; গ্রীনল্যান্ড,নরওয়ে,রাশিয়ার খানিক উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ মেরুর এ্যান্টারটিকা প্রভৃতি এলাকায় ৬ মাস দিন ও ৬ মাস রাত্র;এমন দেশ আছে যেখানে ২০/২২ ঘন্টা উতপ্ত দিন, ঐ সকল এলাকায় আদিকাল থেকেই প্রচলিত নামাজ,রোজা,শবে মেরাজ,শবেবরাত, শবেকদর প্রভৃতি অনুষ্ঠানাদি অচল হয়ে পড়ে আছে;অতএব তাদের নিজস্ব পবিবেশ, সময়-সুযোগ অনুযায়ী হিসাব নিকাশ করে তাদের অনুষ্ঠানাদির সময় সূচি নির্ধারণ করে নিতেই হয়। (খবর: সিএনএন) (চলবে-৬)
বিনীত।
২৫ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:১১
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
সাক্ষি, যুক্তি-প্রমানহীণ মন্তব্যে জ্ঞানের পরিচয় নেই।
২. আপনার জানা কথা না হয় কিছুটা শুনাতে পারতেন।
বিনীত।
২| ২৬ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:০৯
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: একটা কথা মনে পড়ল - আপনি ক্যানাডায় থেকে ফেব্রুয়ারী মাসে সাওম করেন - কিন্তু ফেব্রুয়ারীতো ক্যানাডার স্থানীয় ক্যালেন্ডারের মাস নয়। প্রচলিত ইংরেজী ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেছিল বৃটিশরা তাদের স্থানীয় আবহাওয়ার ভিত্তিতে। বৃটেন থেকে কয়েক হাজার মাইল দুরের ক্যানাডায় থেকে বৃটিশ ক্যালেন্ডার অনুসরণ কি যৌক্তিক? আপনারতো ক্যানাডিয়ান আদিবাসী রেডইন্ডিয়ানদের ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা উচিত - তাই না?
আপনি বার বার একটা কথা বলেন - "উমর(রা.) চন্দ্র বর্ষের হিসেব শুরু করেন"। এখানে সম্ভবত একটা ছোট্ট ভুল আছে। ইতিহাস বলছে উমর(রা.) হিজরী সনের প্রবর্তন করেন - তার অর্থ হচ্ছে তিনি হিজরতের বছর থেকে বছর গননার শুরু করেন, চন্দ্র সালের হিসেব আগে থেকেই ছিল।
ঠিক যেমন বাংলা সনের প্রবর্তন করেন বাদশা আকবর - তিনি কিন্তু সৌর বর্ষ উদ্ভাবন করেন নি। সৌর বর্ষ আগেও ছিল। তিনি শুধু বাংলা মাসের নাম ও দিন ঠিক করে নতুন ভাবে বছর গননা শুরু করেন।
মুসলমানরা রাসুল(স.) এর সময় থেকেই চাঁদ দেখে সাওম শুরু করেছে, চাঁদ দেখেই ঈদ করেছে, চাঁদের ভিত্তিতেই হজ্জের তারিখ ঠিক করেছে। এর পক্ষে প্রচুর ঐতিহাসিক বর্ণনা আছে। আপনি বিষয়টি আর একবার যাচাই করে দেখলে মনে হয় ভুলটা ধরতে পারতেন।
২৬ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:১৯
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. পূর্বেই বলা হয়েছে যে,কে করলো,কারা করলো,কেন করলো ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা গৌণ;মূখ্য হলো বিষয়টি মানব কল্যাণের নিমিত্তে পরীক্ষীত কি না।
২.সৌর সেকেন্ড,মিনিট,ঘন্টা,দিন,মাস বছর পৃথিবীর প্রায় সর্বত্রই সমভাবে প্রযোজ্য,দুর্বল চন্দ্র বছরও। যে চন্দ্র বছর সেকেন্ড,মিনিট,ঘন্টা,দিন নির্ধারণ করতে অসমর্থ। তাছাড়া চন্দ্র বছরে কোরান উল্লিখিত ১২ মাস নেই;তাছাড়াও চন্দ্রবছরের সমস্যাগুলি পরম্পরায় বর্ণিত হয়ে আসছে,সেগুলি বিবেচনায় আনা জরুরী।
৩. হ্যা,আগে থেকেই ছিল,পৌত্তলিক,হিন্দু ধর্মীয় পর্বগুলি এখনো সে হিসাবেই প্রচলিত আছে;ওমর মাসগুলির নাম অপরিবর্তীত রেখেছেন বলেই শরিয়ত অনুরূপ ধারণা করে থাকে। তাদের বিবেচনা করা উচিত যে ওমরের পূর্বে বা রাছুলের সময় চন্দ্রসন চালু থাকলে রাছুলের জন্ম-মৃত্যু তাং, ২২ বছরে ২৩টি যুদ্ধের চন্দ্র সন-তারিখের সাক্ষি-দলিল নেই কেন? সর্বত্রই সৌরসন কেন লেখা থাকে? পক্ষান্তরে সৌর খৃস্টপূর্ব ও খৃষ্টাব্দগুলি আদির আদিকাল থেকেই সাক্ষি-দলিল বিদ্বমান।
৪. পূর্বেই বর্ণিত হয়েছে যে,সৌর-চন্দ্রসন কোন মানুষ সৃষ্টি করেনি;তারা শুধু কল্যাণ অকল্যাণ-বিবেচনা,দূরদশী/খামখেয়ালী করে প্রতিষ্ঠা করেছে মাত্র। সৌর প্রধানত কালের হিসাব দেয়,চন্দ্র জলের হিসাব দেয়;অদূরদর্শীতার কারণে কালে-জলে হজবরল করে ফেলেছে।
৫. ভুল! ভারতে ১১দিন পিছে হটা চন্দ্র বর্ষ চালু ছিল বলেই আকবর চন্দ্র বর্ষের বিপরীতে সৌর বর্ষ চালু করত পিছে হটা বন্ধ করেন।
৬. না,ভুল ধারণা। চাদ দেখে রোজা শুরুও করতে পারে না,শেষও করতে পারে না, যা আজো সুঠামভাবে প্রতিষ্ঠিত। বাপ-দাদার দর্শনের স্বপক্ষে দীর্ঘদিন যাবত আপনার নিরলস অস্তিত্বের লড়াই বিবেচনাযোগ্য এবং সবসময়ই গুরুত্ব দিয়ে আসছি। বিপরীতে ম জ বাসারের নিজস্ব দর্শন হলে বহু আগেই জয়লাভ করতে পারতেন;কিন্তু তা হবার নয়।
৭. হজ্জের সময়টা ব্যতিক্রম যা কোরানে সুস্পষ্ঠভাবে উল্লেখই আছে কিন্তু রোজায় তা উল্লেখ নেই। উহাতে চন্দ্র বা চন্দ্রসনের কথা বলা নেই;বলা আছে ‘আহেল্লাত’ বা নতুন চন্দ্রের কথা। পৃথিবীর সব লোকের ১টি স্থানে বিভিন্ন মাসে অনুষ্ঠান পালন করতে হয় এবং চাদের (দিন) রাতে হজ্জ করার নির্দেশ আছে বলেই ‘আহেল্লাত’ বা চাদের প্রথম ৩দিনের কথা সহজ,সরল ও সুস্পষ্ঠ;পৃথিবীর সব মানুষ নির্দিষ্ট ১টি স্থানে হাজির হয়ে চাদের রাতে রোজা পালনের নির্দেশ নেই।
ক. শরিয়ত চাদের (দিন) রাতে হজ্জ পালনের আদেশ উপেক্ষা করে সুর্যের দিনে হজ্জ পালণ করছে,যা বৈধ নয়। অর্থাত রোজা-হজ্জ উভয়দিক থেকেই কোরান অবমাননা করছে। এভাবে শরিয়ত কোরানের সমূহ বিধি-বিধানের বিপরীতে ২ নম্বরী গ্রন্থ রচনা করে কোরানকে সমূলে গিলে ফেলেছে। হাজার উদাহরণের মধ্যে ১টি পুন দেখুন:
ছালাতের স্বর উচু কিংবা মনে মনে করো না। বরং দুয়ের মধ্যম পথ অবলম্বন করো (কোরান);কিন্তু বিদাতী শরিয়ত উভয় আদেশ লংঘন করত কিছু উচ্চ স্বরে আবার কিছু মনে মনে করে থাকে।
* কোরানের উপর যদি কিছুটাও ঈমান থাকে তবে অতিরিক্ত পন্ডশ্রম না করে বরং আপনার/শরিয়তের দর্শন ২: ১৮৩-১৮৭’র আয়াতগুলির আলোকে দাড় করাতে পারলেই আপনি বা শরিয়ত জয়যুক্ত হবেন, একমাত্র সেটাই জরুরী দরকার।
বিনীত।
৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:১৭
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ১. তাহলে আপনি বাংলাদেশে এসে বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসরণ করেন কেন? এখানে অফিস আদালততো ইংরেজী ক্যালেন্ডারেই চলে। আপনি একবার বলছেন সাওমের মাস ঠিক করতে হবে স্থানীয় ক্যালেন্ডার অনুসারে সবচেয়ে ছোট ও আরামের মাসে - আবার সেই আপনিই ক্যানাডায় গিয়ে স্থানীয় ক্যালেন্ডারের পরিবর্তে হাজার মাইল দুরের ব্রিটিশের ক্যালেন্ডার অনুসরণ করছেন - এ'টা কি স্ববিরোধীতা নয়?
৩. আপনি কোথায় পেলেন ইসলামের ঘটনাগুলি সৌর ক্যালেন্ডার অনুসারে সংরক্ষিত? হিজরী বছর শুরুর আগের কিছু ঘটনা খ্রিস্টাব্দ হিসেবে লেখা আছে ঠিকই কিন্তু অন্য সব তারিখ আছে হিজরী হিসেবে। যেমন বদর যুদ্ধ, বিদায় হজের ভাষণ, রাসুল(স.) এর মৃত্যু, খোলাফায়ে রাশেদীনের খেলাফত, কারবালার হত্যাকান্ড . . . ইত্যাদি।
আচ্ছা আসুন একটা পরীক্ষা করি - আমরা জানি বদর যুদ্ধ অনুষ্ঠিক হয়েছিল রমজানের ১৭ তারিখ। মুসলমানরা সাওম করা অবস্থায় সেই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। আপনার দাবি অনুসারে যদি ওমর(রা.) এর আগে সৌরবর্ষ চালু থাকে এবং সৌর বর্ষের সবচেয়ে ছোট ও আরামের মাসে সাওম চালু থাকে তাহলে বদরের যুদ্ধ সেই আরামের সময়ে হওয়ার কথা। আমরা বদর যুদ্ধের বর্ণনাগুলি মিলিয়ে দেখতে পারি তখনকার আবহাওয়া কেমন ছিল। আমি যতদুর জানি যুদ্ধের ঠিক আগে বৃস্টি হয়েছিল, আর বৃস্টি স্বাধারনত গরমের সময়ই হয়ে থাকে। আপনি কি বদর যুদ্ধের বর্ণনাগুলি আরো একবার যাচাই করে দেখবেন?
৬. নিশ্চয়ই চাঁদ দেখেই রোজার মাস শুরু হয় - কারণ আমরা রোজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করি তারাবীহর নামাজের মাধ্যমে, তার পর ভোর রাতে সেহরী খাই এবং পরের দিন রোজা করি।
যদি সুর্য দেখে রোজা শুরু হত তাহলে আগে সারাদিন রোজা থেকে তারপর রাতে তারবীহ পড়তে হত এবং সেই রাতে সেহরী খেতে হত - যেটা একান্তই অযৌক্তিক।
বস্তুত: আপনার দর্শনের অধিকাংশই এ'রকম স্ববিরোধী ও অযৌক্তিক বিষয়ে পরিপুর্ণ। কিন্তু হায় তা বোঝারমত অবস্থা কি আপনার আছে??
আচ্ছা, আপনি যখন সৌর হিসেবে রোজা করেন তখন কি আগে রোজা করে তার পর সেই দিনের রাতে সেহরী খান?
২৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:১৭
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. বিষয়টা নিজকে প্রশ্ন করলেই সমাধা পেতে পারেন। আপনি বাংলায় বসে ২১শা ফেব্রুয়ারী কেন পালন করেন? জৌষ্ঠ-আসাঢ়ের আম-কাঠালের মওসুম কেন ভোগ করেন? আবার রমজানের রোজায় ভোগেন কেন? ইহাকে স্ব বিরোধীতা মনে না করলে ম জ বাসারেরটা স্ব বিরোধী বলার সুযোগ কোথায়?
মূলত হিসাব-নিকাশগুলি আমরা সকলেই নির্বোধের মত হযবরল করেই পালন করি; এর একটা সুঠাম বিহিত ব্যবস্থার সুত্রপাতই ম জ বাসারের সুত্র।
খ. হাসিনাসরকার ক্যামনে চলে, বৃটিশ সরকার কিভাবে চলে সেগুলি মূখ্য বিষয় নয়; বরং কোরান কিভাবে বলছে সেটাই মূখ্য। এবং পরবর্তিতে সেটা নিয়েই আলোচনায় আসুন? অবশ্য যদি কোরানের উপর সামান্যটুকুও ঈমান-আমান থাকে।
৩. শতভাগ হাস্যকর দাবি। হিজরীসন চালুই হয় ওমরের সময়, রাছুলের মৃত্যুর ৭/৮ বছর পরে। পক্ষান্তরে বর্ণিত ঘটনাগুলি ঘটে হিজরীপূর্ব এমন কি আবুবকরেরও আগে; তবে হ্যা! ৫/১০ হাজার বছর আগের নির্দিস্ট ১টি ঘটনার তারিখ আজকের খৃষ্ঠপূর্ব, খৃষ্টাব্দ, হিজরীপূর্ব, হিজরাব্দ অনুসারে যে কোনভাবেই ঐ সময়টি সনাক্ত করা যায় এবং যার যার হিসাবে সেই সেই সত্য বলে ঈমান করে। শরিয়ত হিজরীপূর্ব সকল ঘটনাকে হিজরীঅব্দে কল্পনা করেই লিখে থাকে; যার কোন ভিত্তি নেই।
খ. প্রশ্নের কখনোই জবাব দেয়া প্রয়োজন মনে করেন না, তবুও ছোট্ট ১টি প্রশ্ন করি: আপনার দাদা-পরদাদার বা পীর সাহেবের ১লা বৈশাখের মৃত্যু তারিখটি কি কখনো আষাঢ়-শ্রাবণ বা পৌষের ১লা-৫/১০ তারিখ পালন করেন? করবেন?
গ. না! পরীক্ষা/যাচাই করা নিষ্প্রয়োজন। কোরানের বিধান ১৪শ বছর পরের বদরের যুদ্ধের হাদিছ-ইতিহাস দিয়ে বাতিল করা যায় না। হয় কোরান মানেন নয়তোবা বদরের যুদ্ধ!
ঘ. আপনার জন্য একটি মিশ্রিত উদ্বৃতি দেয়া হলো, এত্থেকে মূল বিষয়টা উদ্ধার করতে পারেন কি না দেখুন:
-সৌরবর্ষ হিসাব অনুসারে শুরুতে হাজ্জব্রত প্রতি বছর শরত্কালে অনুষ্ঠিত হইত; এই তারীখ মহাজাগতিক নিয়ম অর্থাত্ চন্দ্রসনের ২৮টি মনজিলের কোন বিশেষ একটির সহিত সংযোগ রাখিয়া নির্দিস্ট হইত। এইভাবে সৌরবর্ষীয় তারিখ নির্ধারণের প্রথা পরবর্তীকালেও দৃস্টিগোচর হয়। আমরা পৃথিবীর অন্যান্য অংশেও পুরাকালে এই পদ্দতির প্রচলন দেখিতে পাই (চীন, ভারত ও মিসর)। কিন্তু হযরত মুহাম্মদ এর সময়ে চান্দ্র-সৌরবর্ষের অনুসরণ ও অতিরিক্ত সময় সংযোগকরণে সীমাবদ্ধ জ্ঞানের ফলে চান্দ্র-সৌরবর্ষ খাটি সৌরবর্ষের এত অধিক অগ্রগামী হইয়া পড়ে যে, বর্ষের ১ম মাস মুহাররাম উহার পূর্ববর্তী যুলহিজ্জা মাস এবং হাজ্জের সময় বসন্তকালে গিয়া পতিত হয়—(সং. ই. বিশ্বকোষ, ১ম খ. ৩য় মুদ্রণ, ১৯৯৫; পৃ: ৪৩৫)
৬. হ্যা! চাদ দেখে মাস শুরু করেন আর সূর্য দেখে রোজাটি শুরু-শেষ করেন; এই দুমূখো বা মোনাফেকী ঈমান ত্যাগ করা উচিত।
ক. তারাবীর নামাজ কোরান বহির্ভূত, কোরান বিরুদ্ধ ও কোরানের বিপরীত। নামাজ-রোজা সম্বন্ধে কোরানে উল্লেখ থাকলে উহার তারাবীর নামাজ সম্বন্ধে উল্লেখ নেই কেন? ৮/১০/১২/১৬/২০ রাকাতী অসামঞ্জস্য পার্থক্যই বা কেন?
স্মরণ করুণ:
অহি/কোরান অনুযায়ী যারা বিচার মীমাংশা করে না তারাই কাফির, ফাছিক ও জালিম (৫: ৪৪-৪৭)।
ঘোষনাটির আলোকে আপনার হৃদয় মোটেও কি কাপে না?
খ. আর কতো হাসাবেন/কাদাবেন জনাব! কোরানে লেখাই আছে সূর্য উঠার আগ পর্যন্ত পানাহার কর; অতপর ডুবা পর্যন্ত রোজা রাখ। চন্দ্রের কোনই বালাই নেই, কোন পুজায়ও লাগে না।
গ. হাস্যকর প্রশ্ন:
রাত আগে না দিন আগে? ডিম আগে না মুরগী আগে? শীত আগে না গরম আগে? পূব আগে না পশ্চিম আগে? সাদা আগে না কালো আগে? হাত আগে না পা আগে? অতপর: আপনি আগে না আপনার দেহ আগে?
বিনীত।
৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১০:১৫
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "মূলত হিসাব-নিকাশগুলি আমরা সকলেই নির্বোধের মত হযবরল করেই পালন করি;"
যাক অন্তত একটা স্বীকারউক্তি পাওয়া গেল। হ্যা, আপনি সবকিছুই হযবরল করে পালন করেন - এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই। আমরা শত কোটি মুসলমান কোন ব্যাতিক্রম ছাড়াই হাজার বছর ধরে চন্দ্র-বর্ষ অনুসারে ইসলামী বিধানগুলি (সাওম, ঈদ, কোরবানী, হজ্জ ইত্যাদি) পালন করছি - এখানে হযবরল এর কিছুই নাই।
৩.গ: পরীক্ষা করার সৎসাহস কোনদিনও হবে না। কারণ আপনি ভাল করেই জানেন আপনার দর্শন কত ঠুনক। যেই কোরআনের কথা বার বার বলেন সেই কোরআনের খুব সামান্যই অনুসরণ করেন - বরং কোরআনের বক্তব্যকে ব্যাখ্যার আড়ালে নিজের মত করে বর্ণনা করাই আপনার বৈশিষ্ট্য।
যে দিন কোরআনের বক্তব্যের ভিত্তিতে নিজের মতামত বদলাতে পারবেন সেদিনই সঠিক পথ পাবেন - তার আগে এ'রকম হযবরল অবস্থাই চলবে।
৩০ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১০:২৯
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
এজন্যই ১৪শ বছরের উত্তরাধিকারী অন্ধ বিশ্বাস রক্ষায় ব্যর্থ হচ্ছেন।
২. রোজার দিনে ঈদ, ঈদের দিনে রোজা; কাল রোজা শুরু হবে কিনা তা আজ নিশ্চিত নয়; এমন অনিশ্চিত হিসাব প্যাগনদের আমলেই চলতো, আজো চলে।
বিনীত।
৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১০:৩৫
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "মূলত হিসাব-নিকাশগুলি আমরা সকলেই নির্বোধের মত হযবরল করেই পালন করি;"
যাক অন্তত একটা স্বীকারউক্তি পাওয়া গেল। হ্যা, আপনি সবকিছুই হযবরল করে পালন করেন - এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই। আমরা শত কোটি মুসলমান কোন ব্যাতিক্রম ছাড়াই হাজার বছর ধরে চন্দ্র-বর্ষ অনুসারে ইসলামী বিধানগুলি (সাওম, ঈদ, কোরবানী, হজ্জ ইত্যাদি) পালন করছি - এখানে হযবরল এর কিছুই নাই।
৩.গ: পরীক্ষা করার সৎসাহস কোনদিনও হবে না। কারণ আপনি ভাল করেই জানেন আপনার দর্শন কত ঠুনক। যেই কোরআনের কথা বার বার বলেন সেই কোরআনের খুব সামান্যই অনুসরণ করেন - বরং কোরআনের বক্তব্যকে ব্যাখ্যার আড়ালে নিজের মত করে বর্ণনা করাই আপনার বৈশিষ্ট্য।
যে দিন কোরআনের বক্তব্যের ভিত্তিতে নিজের মতামত বদলাতে পারবেন সেদিনই সঠিক পথ পাবেন - তার আগে এ'রকম হযবরল অবস্থাই চলবে।
৩০ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:১১
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
প্রমান হয় আপনার হাতে সময় নেই, খুবই ব্যস্ত।
বিনীত।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:০২
কসমিক রোহান বলেছেন: Murkho lokder ggan niye murkher moto likhechen.
Islamke janun, islamke manun