![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুবী সাদাসিধে একজন মানুষ অনেকটাই সহজ-সরল।
মেয়েটির নাম নদী, সে একটি বেসরকারি
শিক্ষা প্রতিষঠানে পড়া-শোনা করে।
ছাত্রী হিসেবেও অনেক ভাল!! ছেলেটির
নাম নীল,সে এই ইয়ারের এস.এস.সি
পরীক্ষারথী।
নীল নদীকে অনেক ভালবাসে,নদীও তার
চেয়ে কম নয়।তাদের ভালবাসার বন্ধনটি
অনেক অসাধারণ। কেউ কাউকে এক মহুর্তের
জন্যেও ভুলে থাকতে পারে না, নিউ প্রেম
তো তাই প্রেমটি অনেক গাঢ়, সো প্রতিদিন
কথা হতো ফোনে।
.
তবে দেখা কম হতো,কারন দু'জন দুই
প্রতিষ্ঠানে,তারপরেও স্পতাহে কমপক্ষে দুই
বার দেখা করত। তাদের প্রেম রানিং
থাকতেই নীলের এস.এস.সি পরীক্ষা চলে
আসলো, তাই নীলের আম্মু নীলের কাছে
একটি আবদার রাখে, আবদারটি হলো এইঃ
দেখ বাবা,তুই আমাদের বড় সন্তান আমাদের
যা স্বপ্ন শুধু তোকে নিয়েই,আমি জানি তুই
পরীক্ষাই ভালো করবি,তারপরও আরো একটু
ভালো তোকে করতেই হবে,তাই আমি তোকে
এতটুকু বলতে চাই পরীক্ষার আর যে দুইটি মাস
আছে,সেই দু'টি মাসে তোর মোবাইলটি
ধরিসনা,তুই এমনি না পড়ে সারাদিন মোবাইল
টিপস,তাই মোবাইলটা আমার কাছে রেখে
দে।আম্মুর এরকম আবদার শুনে তো নীল
চিন্তায় পরে গেল,নীল কখনো তার আম্মুর
অবাধ্য হয়নি।
.
তাই ভাবতে লাগল এবং বলল আচ্ছা আম্মু
তোমার আবদার টুকু আমি রাখবো জাস্ট একটি
দিন সময় দাও,আম্মু বলল আচ্ছা ঠিক আছে।
দিন শেষে যখন রাত ২:৩৭ হলো তখনই নদীর
ফোন,,,
~ হ্যালো....( নদী)
~ হুম শুনতেছি....(নীল)
~ হুম শুনতেছি মানে? আপনি তো আগে এরকম
বলতেন না,আপনার কি হয়েছে জান?...(নদী)
~ কিছু হয়নি জান,তবে....(নীল)
~ তবে কি প্লিজ বলুন....(নদী)
~ না,আসলে আর মাত্র কিছুদিন পরেই তো
আমার,তাই আম্মু বলছে আমার মোবাইলটি
যেন আম্মুর কাছে রেখে দিই N মাস্ট বি
রাখতেই হবে কারন আম্মুর অবাধ্য কখনো
হয়নি এবং পারবও না,তাই খুব কষ্ট হচ্ছে
তোমার সাথে কিভাবে কথা বলবো?....(নীল)
~ জানি খুব কষ্ট হবে তবুও কিছু করার নাই....
(নদী)
~ আচ্ছা জান,অপেক্ষা জিনিসটি খুব কষ্টের
এত বড় কষ্ট তূমাকে দিতে চাইনি,তবুও দিতে
হচ্ছে,জাস্ট দু'টি মাস তুমি অপেক্ষা কর।এখন
আম্মুর কথাতো আর ফেলতে পারিনা...(নীল)
~ জান খুব কষ্ট হচ্ছে এখনি....(নদী)
~ আমারও....(নীল)
~ দুইটি মাস কিভাবে যে থাকবো
জানিনা,তবে কিছু পেতে হলে কিছু দিতে
হয়,সেটা ভেবেই থাখব।...(নদী)
~ থাখবে তো?....(নীল)
~ হ্যা অবশ্যই থাকব,শুধু দু'টি মাস
কেনো,আপনার জন্য দ'টি জনমও অপেক্ষা
করে থাখতে পারব....(নদী)
.
তারপর দুজনার অনেক কান্না-কাটির
পরে,ওদের ফোনের সমাপ্তি ঘটে।এখন দুজনই
অপেক্ষায় বিভোর। তারপর ওদের অপেক্ষার
মধ্য দিয়েই চলে আসলো ১৪ ই ফেব্রুয়ারী
"ভালবাসা দিবস" কিন্ত এই দিনে নীলের
পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা(s.s.c)থাকাই এই
বিশেষ দিনটিতেও নদীর সাতে কোন
যোগাযোগ করতে পারেনি।তারপর নীলের
পরীক্ষার একেবারে শেষ প্রান্তে একটি
বিশেষ দিন আসলো ২৯শে ফেব্রুয়ারি,তাই
নীল ভাবতেছে যেহেতু পরীক্ষা আর মাত্র
দুটি আছে এবং বিশেষ পরীক্ষাগুলো তো
শেষই আর এই দিনটিতে নীলের কোন
পরীক্ষা না থাকায়,ভাবতেছে ১৪ই
ফেব্রুয়ারির মতো এই দিনটিকেও অবহেলা
করলে চলবেনা এই বিশেষ দিনটিতে আমাকে
একটি বিশেষ কাজ করতেই হবে।
.
তাই নীল ওর আম্মুর কাছে বলতেছে
আম্মু,আরতো মাত্র দুটি পরীক্ষা
আছে,মোবাইলটি দিয়ে দাওনা
মোবাইলটিকে কতদিন দেখেনি,নীলের সেই
মায়াবী অনুরোধে এবং পরীক্ষা মাত্র দুটি
থাকায় মোবাইলটি দিয়ে দিল।মোবাইলটি
পেয়ে খুশীতে আত্তহারা হয়ে ওর রোমে
গিয়ে বেডে শুয়েই নদীর নাম্বারটিতে কল
দিল কিন্ত নদীর ফোন সুইচ-অপ।
.
তাই নীলের একটি ফ্রেন্ডকে নীল
২৯তারিখের দুই আগেই বলে রাখছে যে, 29
তারিখে একটি ডিল আছে সেটা ফাইনাল
করতে হবে তোকে আমার সাথে থাকতে হবে
নীলের ফ্রেন্ড তাতে অমত প্রকাশ করল না।
দুদিন পরেই চলে আসলো 29 শে ফেব্রূয়ারি
লীল ও নীলের ফ্রেন্ড তৌফিক কে নিয়ে
রাত ৮:৩০ এ চলে গেল নদীর বাসার পাশে
তারপর তৌফিক বলল ডিলটি কি বলবিতো
কখন থেকেই রলতেছিস সারপ্রাইজড তাও
মানলাম তবে সারপ্রাইজটি কখন পাবো আর
তুই আজ হঠাত নদীর বাসার কাছে আসলে
কোনো? দেখা করবি নাকি? নারে,,, আর
দেখা করলে কি তোকে সাথে আনতাম নাকি
এমনিতে ই তো আমরা দুজন হয়ে যেতাম। তো
কোনো এসেছিস বল? বললাম না স্পেশাল
ডে,তাই স্পেশাল একটি কাজ করতে এসেছি।
তো স্পেশাল কাজটি কি বল? বলছি শুন,আমি
আম্মুর কাছ থেকে শনিবার(২৭তারিখে
)আমার মোবাইলটি অনেক খোশামোদ করে
নিয়েছি।নিয়েই নদীকে কল দিয়েছি নদীর
ফোন সুইচ-অপ।তাই ২৯শে ফেব্রুয়ারি স্পেশাল
ডে টি ওর সাথে স্পেশাল ভাবে কাটাতে
পারবনা বলে ভাবলাম নদীর স্মৃতির সাথে
স্পেশাল ডেতে স্পেশাল একটি কাজ জরিয়ে
রাখি।তৌফিক বলল স্পেশাল কাজটি কি বল?
সেটা জানতে পারবি ৯টার পরেই। নীল ওর
ব্যাগটি থেকে দুটি পাথরের টুকরো বের করে
একটি তৌফিকের কাছে দিলো আর বলল
আমার দেখা-দেখি তুইও দিল মেরে দিস্না।
আচ্ছা, যখন ঠিক নয়টা ২ বাজলো তখনি
নীলের হাতের ডীল্টা নদীর বাসার উপরে
টিনের ছাঊনিতে নদীর বেডরুম এর বরাবর
ছুড়ে মারল।এবং অতি দ্রুত এখান থেকে নীল
ও তৌফিক প্রস্তান করল। একটু নিরজনে এসে
গল্প করতেছে, তারপর তৌফিক বলতেছে
দুস্ত,আরেকটি ডিলতো রয়ে গেলো এটি আমি
মেরে দিই। নীল বলল নেভার,বিকজ,,,, দিস
হাইজ অনলি মাই ফাদার ইন লওস, তোর না
এখানে ডিল মারার অধিকার শুধু আমারই অন্য
কারো না।আর বাকি ডিল্টি আমিই
মারব,তবে নয়টা ১৬ মিনিটে।।
.
নীল,নদীর বেড-রুমের উপরে ডিল মারাই ছিল
নীলের স্পেশাল কাজ।গল্পের ২টি
ডিল,২মিনিট৯টা এবং নয়টা১৬ মিলে
হলো,২৯শে ফেব্রুয়ারি।।।
©somewhere in net ltd.