নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীতে এসেছি একা যেতেও হবে একা তাই আমি মাঝেমাঝে একা একা চলার অভ্যাস করি।

মোজাম্মেল খান রিন

আমি খুবী সাদাসিধে একজন মানুষ অনেকটাই সহজ-সরল।

মোজাম্মেল খান রিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শ্রেষ্ঠ প্রেম

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:১০

এক যে ছিল অভিমানী ছেলে,সে যখন নবম
শ্রেনীতে পরে তখন তার গ্রুপ ছিল বিজ্ঞান
(Science) বিজ্ঞান বই বেশ কঠিন না হলেও কঠিন।
তাই সে এবং তার সহপাঠিদেরকে নিয়ে একজন
বিজ্ঞান টিচারের কাচে
প্রাইভেট পড়া শুরু করে, বিজ্ঞান টিচারটি ও খুব
অবিজ্ঞ ছিল। তারপর অভিমানীর দিন গুলো খুব
ভালোই কাটছিল, পড়া-লেখা ও তার সহপাঠিদের
সাথে খেলাধুলা করে। তখন অভিমানী প্রেম-টেম কিছুই
বিশ্বাস করত না। হঠাত একদিন সে যখন বিজ্ঞান
প্রাইভেটেতে যাই তখন সে একটি মেয়েকে
দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই। মেয়েটি ও ছিল অসম্ভব
সুন্দরী, মেয়েটিও প্রাইভেটে যাচ্ছিল অভিমানীর
বিপরীত দিকে। তখন থেকেই সেই মেয়েটির ছবি
অভিমানীর মনে আকঁতে থাকে। সেই মেয়েটিকে
বেশি করে মন ভরে দেখার জন্যে অভিমানী তার
প্রাইভেটের ২০-৩০ মিনিট আগেই বাড়ি থেকে
বেরিয়ে আসতো, এবং মেয়েটির চোখে চোখ
রেখে অভিমানী থাকিয়ে থাকতো মেয়েটিও,
আর নিজ নিজ গন্তভ্যের দিকে হাটত।
মেয়েটির নাম অভিমানী জানেনা তাই সে তার
মনে ছবি আকাঁর সাথে সাথে মেয়েটির নাম
রেখে নেই''রাজরানী'' কিন্তু হটাত করে সেই
রাজরানীকে আর দেখতে
পাইনা। সে কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। তারপর
অভিমানী সেই অনেক দিন খুজেছিল কোথাও
তাকে পেল না, তারপর অভিমানী প্রায় প্রতিদিনই
সেই রাজরানীকে নিয়ে রচনা শুরু করে, এই
রচনার মধ্যে একটি কাব্য ছিল যে, ''তুমি
যেখানেই থাক, জিবনের কোনো না
কোনো পথে তোমার সাথে আমার দেখা
হবেই, কারন আমি তোমাকে সত্যিই ভালবেসে
পেলেছি আর সত্যের কখনো পরাজয় হয়্না।
তারপর রাজরানীর জন্যে অপেক্ষা করতে
থাকে।
অনেক দিন পর সেই রাজরানীকে অভিমানী
খুজে পাই, তখন অভিমানী দশম শ্রেনিতে পরে
এবং কোনো না কোনো ভাবে সেই
রাজরানীর ''স্যার '' হয়ে যাই অভিমানী একদিন
তাকে ক্লাশ করাচ্ছে আর ক্লাশের ফাকে
রাজরানির খাতায় অভিমানীর প্রপোজ্টি লিখে দিছে
প্রপোস্টি ছিল, '' আমি এখনো পর্যন্ত কাউকে
বলেনি ভালবাসি আজ বলতেছি তোমাকে খুব
ভালবেসে পেলেছি ''
তারপর সেই প্রপোসটি রাজরানী দেকে মনে
মনে গ্রহন করে নেই। এবং দুই তিন লাইন লেখার
পরে সেই রাজরানী লেখে অভিমানীকে,
"আপনি কি এমন আমার চোখের ঘুম কেড়ে
নিলেন"। সেই লেখাটি দেখে অভিমানী
আনন্দিত
হয়ে রাজরানীকে সান্তনা দিয়ে দুই লাইন
লেখে
এবং বলে কল দাও ০১৭৭,,,
তারপর নাম্বার্টি পেয়ে রাজরানী একদিন কল দিছিল
তখন রাত ১টা ১৩ বাজে, অভিমানী সেই সময় এক্টু
ঘুমাচ্ছিলো আর রাজরানীর কলের অপেক্ষাই
করছিল। তখন কলের রিংটা পুরো মতে বাজার
পরেই অভিমানী ঘুম থেকে উঠে গেল, এবং
তৎক্ষনাৎ সে কল ব্যাক
করেই রাজরানীর ডাক নামে বলে তুমি? তখন
অভিমানী জেনে গেছিল রাজরানি মা-বাবা দেয়া নাম
কি ! রাজরানী উওর দিল হুম আমি…
বেশ কিছু কথা বলতে না বলতেই কলটা কেটে
যাই
কারন অভিমানীর ব্ল্যালেন্স শেষ হয়ে গেছিল।
তারপর থেকে অভিমানীর ব্ল্যালেন্সে অনেক
টাকা ঢুকিয়ে রাখে যেন কথা শেষ না হতেই
ব্ল্যালেন্স শেষ না হয়। কিন্তু এখন আর
রাজরানী
কল দেইনা। তারপর রাজরানী যে নাম্বার্টি দ্বারা কল
দিছিল সেই নাম্বারে সর্বদা কল দেই নাম্বার বন্ধ
বলে।তাই ক্লাশে গিয়ে রাজরানীর খাতায় অনেক
গুলো কষ্ট শেয়ার করে অভিমানী, তারপর ও
কেনো জানি কল দেয়্না তবুও অভিমানী সারাক্ষন
রাজরানীর কলের অপেক্ষাই থাকে। Ovimanii is
having a very hard time..........
অভিমানীর দিন গুলো খুব কষ্টে কাট্ছে তাই
সে
ফেসবোকে একটা পোস্ট করছিল, '' মন মাঝি
তোর বৈটা নেরে আমি আর বাইতে পারলাম না ''
আর
রাজনির খাতায় লেখছিল - * নিঝুম রাতে খুব মিস করি
তোমাকে কেন জানি ঘুমাতে ইচ্ছে করে না বার
বার মোবাইলে চোখ চলে যায়, যদি বেজে
উটে তোমার নাম্বারটা, একপলক দেখতে পাই।
যদি তোমার মনে ও আমার মত জেগে থাকে
লুকিয়ে রাখা ভালবাসা.…!
.
দ্বিতীয় পর্ব
==============
* সেদিন ছিল পূর্নিমা। জ্যোছনা ভরা রাত। তখন রাত
১২ টা বাজে, ইতিমধ্যেই বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে
পড়ছে। সুতরাং বাড়িটিকে এক রকম নির্জন বললেই
চলে। বাড়ির পাশে পকুরের পাড়ের একটি পাথর
খন্ডে একা একা বসে আছে অভিমানী।
জ্যোছনার আলো পুকুরের পানিতে এক
আপূর্ব ছন্দের সৃষ্টি করে চলেছে। অভিমানী
এখনো ও সেই রাজরানীর কলের অপেক্ষাই
আছে এবং আপন মনে আল্লাহর কাছে দোয়া
করতেছে। 'হে আল্লাহ আমি তাকে আমার
জীবনের চেয়েও বেশি ভালবাসি, হে আল্লাহ
তুমিতো সব পার, আল্লাহ তুমি তাকে আমার করে
দাও, আমি জানি সে পরহেজগার খুব ভালো একটি
মেয়ে, তার সাথে আমার সম্পর্কটা হয়ে গেলে
আমি ও তার মতো ভালো হয়ে যাব। প্লিজ আল্লাহ
তাকে আমার বানিয়ে দাও। এই প্রার্থনায় করতে
থাকে অভিমানী আল্লাহর কাছে। অভিমানী
আল্লাহকে খুব বিশ্বাস করে। তাই সে শুধু
আল্লাহর কাছেই প্রার্থনা করে বুকের কষ্ট
গুলো অপ্রকাশিত রাখে। রাত তখন প্রায় একটা, তাই
অভিমানীর চোখের যন্ত্রনা সইতে না পেরে
রুমে গিয়ে সুয়ে রইল,
কিন্তু এখন আর ঘুম নেই। তাই অভিমানি রুমের
জানালাটা খুলে দিল আর বাহির থেকে চাঁদের এক
ফশলা জ্যোছনা এসে অভিমানীর মুখ বেয়ে সারা
শরীলে পড়ছে। তারপর প্রতিদিনের মতো
আজ ও তার মোবাইলটা নিয়ে, রাজরানী যে
নাম্বার থেকে কল দিছিল, সেই নাম্বারে কল দিল।
রাজরানী যে কল দিছিলো
আজ এক মাসের উপরে হয়ে গেছে এই
একমাসের মধ্যে একদিন ও নাম্বারটি খুলা পায়নি
অভিমানী। কিন্তু আজ কল দিতেই নাম্বারটিতে
ঢুকল। ঢুকার সাথে সাথেই কেটে দিয়ে ভাবছে
যে সে
অবশ্যই আমাকে কল দেওয়ার জন্য খুলছে,
আসলে তাই হয়েছে। হাদিসে কুদ্সীতে
আছে আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, বান্দা আমার সাথে
যেমন ধারনা রাখে আমি তার সাথে তেমন ব্যবহার
করি।
অভিমানীর প্রার্থনা আল্লাহ গ্রহন করেছেন, তাই
সে কল দিছে তখন রাত ২টা ১৮বাজে, তখন কিছুটা
ঘুমিয়ে গেছিল অভিমানী, তাই কল ব্যাক করার
মতো মানসিকতা হারিয়ে ফেলেছে বলে
কলটা রিসিভ করল!
-- আস্সালামুআলাইকুম (রাজরানী)
-- ওয়ালাইকুম.… (অভিমানী)
-- কেমন আছেন? (খুব মিস্টি সুরে, রাজরানী)
-- ভালো ছিলাম না এখন ভালো আছি (অভিমান
সুরে,
অভিমানী)
-- খানা খাইছেন?
-- খাইছি, বলাই হলনা তুমি কেমন আছ?
-- আপনার মতই
-- এতদিন কত কষ্টে ছিলাম জানো?
-- আমার বুঝি কষ্ট হয়্নাই
-- তাহলে কেন কল দিছিলা না?
-- আসলে, আমি কোন কাজ করতে গেলে
খুব ভয় পাই,কিন্তু আর কষ্ট সহ্য করতে পারছিনা
বলে কল দিলাম!
-- অকে, এখন প্রত্যেক্দিন ফোন দিবা তো?
-- হ্যা..…
Then Something Something.......!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.