নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার বর্তমান পরিচয় কানাডীয় অভিবাসন পরামর্শক বা, ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট। একইসাথে, আমি কানাডায় একজন প্রফেশনাল ইঞ্জিনিয়ারও [P.Eng.] বাইশ বছর ধরে কানাডায় আমার বসবাস। তার আগে বাংলাদেশে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ও সরকারি চাকুরী করেছিলাম। লেখালেখি আমার শখ।

এমএলজি

এমএলজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বলতর হউক করোনার এ ক্রান্তিকাল!

২১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০৪

ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বলতর হউক করোনার এ ক্রান্তিকাল! =

খুব ছোটবেলায় (বয়স দশের নিচে হবে হয়তো) আমরা গ্রামের বাড়িতে আরেক পরিবারের সাথে ভাগে কোরবানি দিতাম। গরু জবাই আর ভাগটা হতো আমাদের বাড়ির উঠোনে। জবাই, চামড়া ছাড়ানো, মাংস কাটাকাটি, ইত্যাদি মজা করে দেখতাম।

মনে আছে, গরুর চামড়া শুকিয়ে ঢোল বানাতাম আমরা ছোটরা মিলে। আমাদের পরিবার ভুঁড়ি খায় না। ভুঁড়িটা যে পরিবারের বাচ্চারা ফ্রি নেবার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতো তারা এখন দোতলা ভবনের মালিক। আলহামদুলিল্লাহ!

অন্যদের সাথে আমি আর আমার ঠিক বড়ো ভাইটা সারাক্ষন গরুর আশেপাশে থাকতাম। ভাগের আগেই মাঝে মাঝে মাংসের দুচারটে ভালো টুকরা আমার সে ভাই লুঙ্গিতে লুকিয়ে ফেলতো। ছোটবেলার দুষ্টামি আর কি! সে দৃশ্য আজও আমার চোখে লেগে আছে।

ভগবানের কৃপায় আমার সে ভাই এখন ঢাকা শহরে ষোলোতলা ভবনের মালিক। আর, আমি তো চড়ি আড়াইকোটি (আমার বন্ধু লেখক আনিসুল হকের হিসাবমতে) টাকার গাড়িতে। বন্ধু কানাডায় আমার বাসায় বেড়াতে এলে গাড়িতে চড়ে এমন মন্তব্যই করেছিল। কি জানি, আমাকে খুশি করতে কিনা! ওর তো আবার মানুষের মন জুগিয়ে চলতে হয়।

অথচ, এই আমরাই এককালে ভাগে কুরবানী দেয়া জনতা! প্রতিবছর কুরবানী এলে এমন এলোমেলো অনেক স্মৃতি মনে পড়ে।

একটু ব্যস্ত ছিলাম। খানিক দেরিতে হলেও ঈদ-উল আজহার শুভেচ্ছা সবাইকে। এই করোনাকালে যে যেখানে আছেন ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বলতর হউক করোনার এ ক্রান্তিকাল! কেবল গরু জবাই দিয়েই যেন আমরা ত্যাগ শেষ হয়েছে মনে না করি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:০৪

বিজন রয় বলেছেন: ঈদ মোবারক।

কিন্তু ত্যাগের মহিমা প্রমাণের জন্য ত্যাগ করবে কে?
এদেশে কি কেউ আছে তেমন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.