নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\'এম এল গনি\' cut & paste করে Google-এ search করলে আমার সম্পর্কে জানা যাবে। https://www.facebook.com/moh.l.gani

এমএলজি

এমএলজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজের জীবন দিয়ে মেজর সিনহা শত মানুষকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৪৮

নিজের জীবন দিয়ে মেজর সিনহা শত মানুষকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন =

ধারাবাহিক অপকর্মের জন্য ওসি প্রদীপকে কখনো মূল্য দিতে হয়নি। বরং, দু'বছর আগেও তাকে দেয়া হয়েছে পুলিশের সর্বোচ্চ পুরস্কার। তার কর্মকান্ডগুলো হয়তোবা মহলবিশেষের অপছন্দের ছিলো না। নইলে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ইউনিফর্ম পরা একজন দুর্ধর্ষ অপরাধী সাজা না পেয়ে পুরস্কৃত হয় কিভাবে? তারমানে, মূল পচন প্রদীপে নয়, অন্য কোথাও। সেই জায়গাটির সন্ধান আমরা হয়তো কোনদিনও পাব না।

মেজর সিনহা নিজে মরে শত মানুষের জীবন বাঁচিয়ে দিয়েছেন। কারণ, তাঁকে হত্যার মাত্র কয়েকমাস আগেও এই প্রদীপ প্রায় দুশো নিরীহ মানুষকে নানা অজুহাতে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, নারীদের করেছে ধর্ষণ। তারপরও তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় সেনা কর্মকর্তা সিনহাকে হত্যা করে প্রদীপ পার পেয়ে যাবে ভেবেছিল, যা সম্ভব হয়নি। সিনহা যদি সেদিন জীবন না দিতেন তবে তাঁর মৃত্যুর পর হতে আজতক হয়তো আরো শদুয়েক তরতাজা প্রাণ প্রদীপের হাতে নিভে যেত।

প্রদীপদের যাঁরা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে অপরাধের শীর্ষে নিয়ে যায় তাঁদেরও কিভাবে আইনের আওতায় আনা যায় তা নিয়ে ভাবুন। নইলে, এক প্রদীপের রক্ত থেকে লক্ষ প্রদীপ জন্ম নেবে। তখন, কয়জন প্রদীপকে আপনারা ফাঁসিতে ঝুলাবেন?

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:১৭

সাসুম বলেছেন: নিজের জীবন দিয়ে মেজর সিনহা অসংখ্য এক্স আর্মির জীবন বাচাইছে। হালকা কারেকশান হবে।

আমি আপনি আম আদ্মি আরো হাজার লাখ বিনা বিচারে মরলেও কারো কিছু যায় আসবেনা বরং গোয়েবলস রা এসে সাফাই গাইবে। মেজর সিনহা আর ওসি প্রদীপ ইন্সিডেন্ট এ এন্সিউর হল আর্মি বাহিনীর লোকজন সেফ থাকবে ইন ফিউচারে রিটায়ারমেন্ট এর পরেও। সাধারণ লোকেরা পুলিশ র‍্যাবের হাতে বিনা বিচারেই মরবে

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৫

নীল আকাশ বলেছেন: প্রতীপ একদিনে এতবড় প্রভাবশালী প্রদীপ হয়নি। লুটপাটের টাকা একা মেরে খায়নি।
একটা ডাল কেটে কী লাভ যখন মোটা মোটা শিকড়ই ধরা ছোয়া বাইরেই থেকে যায়?
প্রদীপের বৌ কোথায় ইন্টারনেটে খোজ নিয়ে দেখুন?

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৯

জুল ভার্ন বলেছেন: হয়তো একজন প্রদীপ থেকে কিছু মানুষ রক্ষা পেয়েছে, কিন্তু অমন প্রদীপ হাজার হাজার এক্টিভ- আপাতত ঘাপ্টি মেরে থাকলেও সময় সুযোগ পেলেই আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আচ্ছা উল্টাটা কল্পনা করুন।
মনে করুন লিয়াকত একজন এক্স পুলিশ অফিসার বা বহিস্কৃত পুলিশ অফিসার।
সে ঢাকা থেকে টেকনাফ সীমান্ত পাহাড়ী এলাকায় দলবল নিয়ে তিন মাস অবস্থান করতেছে, কথিত ইউটিউব ভিডিও তৈরি করতে, ৩ মাসেও ইউটিউবে তার একটিও কন্টেন্ট নেই। করোনার প্রথমদিকের কঠিন লকডাউন সময় তিন মাস নির্জন পাহাড়ে কি কারনে অবস্থান কেউ জানে না কম্ব্যাট গিয়ার বুট পরিধান করে অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ায় বা সে কি গেরিলাদের ট্রেনিং দেয়, না অস্ত্র সরবারহ নিয়ে দর কষাকষি করে কেউ জানে না। গ্রামবাসীরাও সন্দেহের চোখে দেখে, হঠাৎ একদিন গ্রামবাসীরা দেখে ওখানে সেই লোকরা সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করতেছে, জংগলে টর্চ মেরে অস্ত্রহাতে হাটাহাটি করতেছে এখন ওরা পাহাড় থেকে অস্ত্র সহ নামতেছে।
গ্রামবাসিরা দ্রুত স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে খবর দেয়, এরপর সেনা তল্লাশি চৌকিতেও জানিয়ে রাখে।

এরপর সেনার তল্লাশি চৌকিতে কর্তব্যরত মেজর সিনহা, অস্ত্র উচিয়ে গাড়িটিকে থামতে বললো।
লেয়াকত থামতে চাইলো না, একটা ধমকের মত দিয়ে না থেমেই গাড়ি টান দিল, তখন সামনে অবস্থানরত এপিবিএন সদস্যরা রাস্তায় ড্রাম ফেলে লেয়াকতের গাড়ীকে থামালো। এরপর ক্ষিপ্ত লেয়াকত হ্যান্ডসআপ করে গাড়ীথেকে নামছে, ইতিমধেই সেখানে গ্রামবাসির ভিড় জমে গেছে, হাত উচু লেয়াকত হঠাৎ একহাত কোমরের দিকে দেখা মাত্র কর্তব্যরত মেজর সিনহা গুলি করলো।
এরপর ক্যাম্প কমান্ডার কর্নেল সাহেব ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হলো।

এরপর বিচারে মেজর সিনহা ও কর্নেল সাহেবের ফাঁসির রায় হল, ড্রাম ফেলে রাস্তা অবরোধ করা এপিবিএন সদস্যদেরও জাবৎজীবন জেল, ৩ গ্রামবাসি যারা ক্যাম্পে খবর দেয় তাদেরও জেল।

৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৮

নীল আকাশ বলেছেন: @ হাসান কালবৈশাখীঃ আপনি বাংলা সিঞ্জেমার স্ক্রীপ্ট লেখা শুরু করুন। আপনার ভবিষ্যত উজ্জ্বল দেখতে পাচ্ছি স্ক্রীপ্ট লেখায়।

৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২১

রাজীব নুর বলেছেন: প্রদীপ ধরা না পড়লে এদেশের মন্ত্রী হতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.