নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\'এম এল গনি\' cut & paste করে Google-এ search করলে আমার সম্পর্কে জানা যাবে। https://www.facebook.com/moh.l.gani

এমএলজি

এমএলজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহা-অতৃপ্তির এক জীবনের গল্প

২০ শে মে, ২০২২ রাত ৮:৪৮

মহা-অতৃপ্তির এক জীবনের গল্প =

অন্যের সহায়তা নিয়ে আমাদের পাশের গ্রামের একজন আজ আমাকে ফোন দিলেন। এই লোকটি বয়সে আমার বছর দশেকের বড়ো হবেন। আমরা মামা বলে ডাকতাম। তিনি ক্লাস টেন পর্যন্ত পড়েছেন। প্রায় পঁচিশ বছর আগে যখন শেষ দেখেছি তখন তাঁকে ভালো কাপড় চোপড় পরে মোটরসাইকেলে চড়তে দেখতাম। পড়ালেখা জানা মানুষ; দেখতেও সুদর্শন।

স্ত্রী বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন বছর পাঁচেক আগে। হাঁড়ের সমস্যার কারণে তিনি এখন লাঠিতে বড় করে হাঁটেন। তিন মেয়ের দুজনকে পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে বিয়ে দিয়েছেন। তৃতীয়জনকে নিয়ে ছোট্ট একটি বেড়ার ঘরে দিনাতিপাত করছেন। মেয়েটা দোকানের মরিচ হলুদ পিষে কিছু আয় করে, আর, উনি একটা গরু (গাভী) পালেন। গাভীর দুধ আর মেয়ের সামান্য আয় দিয়ে চলছে সংসার। মেয়ের বিয়েতে সাহায্য দরকার। সেকারণেই যোগাযোগ।

এই মামার কথা শুনে চোখ ভিজে গেলো। তাঁকে ঘিরে খুব ছোটবেলার কিছু স্মৃতি জড়িয়ে আছে যা একদমই ভুলতে পারিনা। তাঁর সাথে কথা বলতে বলতে 'পি কে হালদার'এর কথাও মনে উঁকি দিয়ে গেলো। ভাবতে অবাক লাগে কি এক অদ্ভুত দেশে আমার জন্ম এবং বেড়ে উঠা। যে দেশে পি কে হালদারের মতো হাজারো দুর্বৃত্ত কোটি কোটি টাকা লোপাট করে মহাতৃপ্তির জীবন উপভোগ করে সেই একই দেশে আমার এই প্রতিবেশী মামার মতো হতদরিদ্র মানুষগুলোও খেয়ে না খেয়ে এক মহা অতৃপ্তির দুঃসহ জীবন কাটাতে বাধ্য হন।

এ ধরণের হতদরিদ্র ও দুঃসহ জীবনযাপনকারীদের খুঁজে বের করে কিছু মাসিক ভাতা দেবার ব্যবস্থা করা যায় কি?

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মে, ২০২২ রাত ৯:১০

সোনাগাজী বলেছেন:



এই ধরণের লোকদের ভাতা দিতে হলে, ফান্ড গঠন করার দরকার।

২| ২০ শে মে, ২০২২ রাত ১১:১৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে ট্যাক্স এর আওতায় আনতে পারলে অনেক উপকার পাওয়া যেত।

আমি বলছি না যে গরীবের উপরে আয়কর চাপিয়ে দিতে।
ট্যাক্স রিটার্ন সবার জন্য বাধ্যতামূলক করা হলে প্রত্যেকটি দারিদ্র পারিবারিক অবস্থা জমিজমা জমা অর্থ-সম্পদ একটা নিবন্ধন এর ভিতরে আসবে।
তখন কে প্রকৃত দরিদ্র সেটা তখনই বোঝা যাবে।
সরকার এসব খাতে যথেষ্ট দিচ্ছে।

১৯৯৭ থেকে ১০০ টাকা বয়স্ক ভাতা দিয়ে শুরু করে বাংলাদেশ।
এরপর প্রতিবন্ধী ভাতা বিধবা ভাতা স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা ইত্যাদি দেড় শতাধিক সামাজিক সুরক্ষা ভাতা দিচ্ছে সরকার।
এসব খাতে মোট সরকারি বরাদ্দ এক লাখ কোটি টাকার উপরে। সম্প্রতি তৃতীয় লিঙ্গ ভাতাও চালু হয়েছে।

দুর্নীতি এড়াতে সরকার পারসন টু পার্সন ডাইরেক্ট ডিপোজিট করছে মোবাইল একাউন্টে। কিন্তু
সঠিক দারিদ্র নিবন্ধন না থাকায় এই টাকার একটা বড় অংশ এলাকার নেতাদের হাতে ভুয়া নামে আত্মসাৎ হয়ে যাচ্ছে।

৩| ২১ শে মে, ২০২২ রাত ১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক।

৪| ২১ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্তের জন্য সরকার ভাবে না। এদেরকেও সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনতে হবে।

৫| ২২ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:৫৭

মুজাহিদুর রহমান বলেছেন: আপনার এই মামার বয়স কত হবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.