নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\'এম এল গনি\' cut & paste করে Google-এ search করলে আমার সম্পর্কে জানা যাবে। https://www.facebook.com/moh.l.gani

এমএলজি

এমএলজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাত্র দুটি কক্ষেই এভাবে ডলারের ছড়াছড়ি দেখে আমি বিস্মিত হই ...

০২ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৪২

কন্যার বয়স তখন সাত।

কানাডায় আমরা নতুন। তার মানে, নতুন অভিবাসীর সংগ্রামী দিনগুলো পার করছিলাম।

বাসার কোথাও একটা ডলার খুঁজে পেয়ে দৌঁড়ে এসে কন্যা আমাকে ডলারটা হাতে দিলো। আমি তা যত্নে রেখে দিলাম।

যেখানেই যেতাম সেও আমার হাত ধরে সাথে যেত। ব্যাংকে গেলেও সাথে নিতাম। ব্যাংকে টাকা পয়সা লেনদেনের বিষয়টা আগ্রহভরে দেখতো সে। ও বুঝেছে, ব্যাংকে টাকা দিলে ব্যাংকও বিনিময়ে টাকা দেয়, যা থেকে আমরা দৈনন্দিন খরচ চালাই।

কয়েকমাস পর কন্যা নিজেই একটা ব্যাংক একাউন্ট খোলার আগ্রহ প্রকাশ করলে আমি বলি, আরেকটু বড়ো হও, তারপর।
তার প্রশ্ন, আমি তাহলে টাকাপয়সা জমাবো কিভাবে?

বললাম, আপাততঃ তুমি আমাকে দিও, পরে তোমার নামে ব্যাংক একাউন্ট খুলে জমা দেব।

দু-তিনদিন পর আরেকটা ডলার আমার হাতে দিয়ে ওটা জমাতে বললো। সপ্তাহখানেক পর আরো একটি ডলার। চলছেই ...

বাসায় কক্ষ ছিল মাত্র দুটো। একটি বেডরুম, আরেকটি রান্নাঘর। মাত্র দুটি কক্ষেই এভাবে ডলারের ছড়াছড়ি দেখে আমি বিস্মিত হই; কেননা, সে সময়ে আমাদের আয় বলতে তেমন কিছুই ছিল না। তারপর, একটা কাগজে ডলার খুঁজে পাবার তারিখ, ডলার এর পরিমান, এবং সেই ডলার কোথা থেকে কিভাবে পাওয়া গেলো তার বর্ণনা লিখে দিতে তাকে পরামর্শ দিলাম। এও বললাম, ব্যাংকে ডলার জমালে তারাও এ তথ্য চাইবে। তাই, এখন থেকে তালিকাটা তার বানানো দরকার।

সেই তালিকা হাতে দেবার পর সে আর কোনোদিন কোথাও কোন ডলার খুঁজে পায়নি।

[পুনশ্চ: সেই কন্যা এখন কানাডায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।]



মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট।

২| ০২ রা জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৭

কামাল৮০ বলেছেন: পরের প্রজন্মকে নিজের থেকে একটু বড় করাই জীবনের সফলতা।

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:২৯

জুন বলেছেন: প্রশ্নর উত্তর টি জরুরি। আমার এক আত্মীয়া স্টুডেন্ট ভিসা সহ তিন বছরের ওয়ার্ক ভিসায় কানাডা গিয়েছে ৬ মাস। সামনে দুই মাস পর সে এক মাসের জন্য আসতে চায়। তার মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা আছে। স্টুডেন্ট অবস্থায় আসলে কি সমস্যা হবে ফিরে যেতে?

৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৪৭

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: @জুন, এক মাস ছুটিতে স্টুডেনটদেরই কোনো সমস্যা নেই, বরং জরুরি প্রয়োজনে তারা ৫ মাসের ছুটি নিতে পারেন, আর আপনার আত্মীুয়ের যেহেতু ওয়ার্ক ভিসা, এতে তো কোনো সমস্যাই থাকার কথা নয়। তারপরও মনে খচখচ লাগলে, ইমিগ্রেশন অফিসে একটা ইমেইল বা ফোন করে উত্তর নিয়ে রাখলেই হলো।

৫| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৪৫

জুন বলেছেন: @ এস এম মামুনুর রশীদ তার স্ট্যাটাস এখন স্টুডেন্ট ভিসা। মাত্র এক সেমিস্টার শেষ হয়েছে আরও তিন সেমিস্টার পরে ওয়ার্ক ভিসা শুরু হবে। এই অবস্থায় আসলে কি সমস্যা হবে?

৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০০

নতুন বলেছেন: অনেক পুরানো কথা মনে পরে গেলো। স্কুলের সময়ের কথা ( ১৯৯০ -১৯৯৫) এর কোন এক সময়ে।

একবার ঈদের দিন ঈদগাহের পাশে বসা দোকান থেকে অনেক বড় একটা মাটির ব্যাংক কিনে দিয়েছিলো বাবা অথবা অন্য কেউ।

সেই ব্যাংকে প্রায় ৫ হাজার টাকা জমে ছিলো। সেই টাকা পোস্ট অফিসে একাউন্ট করে জমা করেছিলাম... পরে পোস্টঅফিসের টাকা দিয়ে কি করেছিলাম মনে নেই।

তার বেশির ভাগই বাবার পকেট থেকে ১০-২০ নেওয়া টাকার নোট B-))

৭| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৩৯

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: @জুন, এক মাসে আমি এমনিতেই কোনো সমস্যাই দেখি না, তার উপর এক সেমেস্টার শেষ। আর এখন তো সামার ভেকেশান; এসময় ছুটি নেয়াই স্বাভাবিক। ছুটিতে স্টুডেন্ট কোথায় যাবে, এটি তার নিজের ব্যাপার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.