নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\'এম এল গনি\' cut & paste করে Google-এ search করলে আমার সম্পর্কে জানা যাবে। https://www.facebook.com/moh.l.gani

এমএলজি

এমএলজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে আমার নিজস্ব মূল্যায়ন

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫১

বিদেশে বসে বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে আমি যেটুকু বুঝতে পেরেছি তা প্রিয় পাঠকবৃন্দের সাথে শেয়ার করি। আপনারা আমার সাথে দ্বিমত করতেই পারেন, তাতে সমস্যা নেই।

১। কিছু কেন্দ্রে ভোট সুষ্ঠূ হয়েছে বলা চলে। এসব কেন্দ্রে নৌকার যেসব প্রার্থী ছিলেন তাঁরা আওয়ামীলিগের হাইকমান্ডের আস্থা হারিয়েছেন কোন না কোনভাবে, বা এসব প্রার্থীরা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কেউ নন। ফলে, তাঁদের জেতা না জেতায় দলের উচ্চ পর্যায়ের তেমন আগ্রহ ছিল না। বলা বাহুল্য, এ ধরণের কয়েকটি কেন্দ্রে কোন ভোটই পড়েনি।

২। সিংহভাগ কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীকে জেতানোর জন্য যা যা করা দরকার সরকার বা তাদের অনুগত প্রশাসন তাই করেছে। এমনকি অবুঝ শিশুদেরও ভোট প্রয়োগে ব্যবহার করা হয়েছে এসব কেন্দ্রে।

৩। বিরোধীদল সৃষ্টির প্রয়োজনে কিছু আসন স্বতন্ত্র বা ভিন্ন দলকে ছেড়ে দিতে গিয়ে সেখানে তাঁদের জেতাতে যা করা দরকার সরকার বা প্রশাসন তাই করেছে।

মোটকথা, ভোটানুষ্ঠান ছিল পুরোপুরি সাজানো। এখানে ছকের বাইরে কিছু ঘটেনি।

প্রশ্ন হলো, একদলীয় এ নির্বাচনের প্রয়োজন ছিল কি?

উত্তর: সংবিধান রক্ষার প্রয়োজনে নির্বাচন অবশ্যই দরকার ছিল। তবে, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন হলে খুবই ভালো হতো। প্রধান বিরোধী দল, বিএনপি'র নির্বাচন বর্জনের কারন কিন্তু এটি। ১৯৯৬ সালে সব দল মিলে সিদ্ধান্তে এসেছিলো পরবর্তী নির্বাচনগুলো তত্ত্বাবধায়কের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে, যা থেকে আওয়ামীলীগ সরে এসেছে। সমস্যা সেখানেই।

সম্পর্কিত প্রশ্ন: আওয়ামীলীগ কেন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন করলো না?

উত্তর: এর কারণ একাধিক। সবচেয়ে বড়ো কারণটি হলো, এ সময়ে তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামীলীগের পরাজয়ের সম্ভাবনা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। তেমন কিছু হলে নেতানেত্রীদের অনেকে দেশ ছেড়ে পালানোর সুযোগও হয়তো পেতেন না। এ ঝুঁকি তাঁরা নিতে চাননি।

তাহলে দেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ কি?

গণতন্ত্রের খোলসে চলমান একদলীয় শাসন খুব দ্রুতই বিদায় নিচ্ছে না বলা চলে। দেশের প্রধান বিরোধীদল, বিএনপি, ধারাবাহিকভাবে কূটনৈতিক অদক্ষতা বা অনভিজ্ঞতার পরিচয় দেয়ায় একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় জাতিকে আত্মসমর্পণ করতে হলো, এটাই এ সময়ের বাস্তবতা। অন্য ভাষায়, আওয়ামীলীগ কূটনৈতিক দক্ষতায় বিএনপির চেয়ে অনেক এগিয়ে। দলটি নিজেদের প্রয়োজনে যেভাবে কিছু পরীক্ষিত (বিদেশী) বন্ধু তৈরী করতে পেরেছে তা বিএনপি পারেনি।

তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসতে কিছু নির্ভরযোগ্য বিদেশী বন্ধু থাকতেই হয়। ক্ষমতায় গিয়ে কেবল নিজেদের আখের গোছানোর চিন্তায় মগ্ন থাকলেই চলে না, পরবর্তীতে কিভাবে ক্ষমতায় আসতে হবে সে চিন্তাও মাথায় রাখতে হয়।

বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কি দেশের চেহারা বদলে যেত?

এ প্রশ্নের উত্তর দেয়া কঠিন। তারাও সম্ভবতঃ তত্ত্বাবধায়কের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানে ফিরে যেত না। কারণ, কোন সরকার অগ্রহণযোগ্য বা খারাপ কাজের নমুনা রেখে গেলে পরের সরকার তা সংশোধন করে নেয় এমন দৃষ্টান্ত বাংলদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে দেখা যায় না। যেমন, বিএনপি কুখ্যাত RAB পয়দা করেছিল, যা আওয়ামীলীগ বিলুপ্ত করেনি নিজেদের প্রয়োজনে।

তাহলে আওয়ামীলীগের পরিবর্তনে দেশের লাভ কি?

লাভ হলো, চেক এন্ড ব্যালেন্স। অর্থাৎ, নিয়মিতভাবে সরকার পরিবর্তন হলে এক দলের ভয়ে অন্য দল ক্ষমতা চর্চায় কিছুটা হলেও সংযমের পরিচয় দেবে; যার সুফল ভোগ করবে সাধারণ মানুষ।

আবারো বলছি, উপরের পর্যবেক্ষণ আমার একান্ত নিজস্ব ভাবনা। এর সাথে আপনাকে একমত হতে হবে কথা নেই।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৩

রানার ব্লগ বলেছেন: বিএনপি বলেন আর লীগ বলেন কেউই বাংলাদেশের জন্য স্বস্তি দায়ক না ।

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আপনি যেহেতু বাংলাদেশে থাকেন না।
থাকেন কানাডাতে।
তাই আপনি কানাডা নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত লিখতে পারেন।
আমরা বাংলাদেশে আছি ।
আমাদের সামনে নির্বাচন হয়ে গেছে ।
সুতরাং কিভাবে হয়েছে সেটা আমরা অনেক সুন্দর জানি।

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪৫

নিচু তলাৱ উকিল বলেছেন: তাঁদের জেতা না জেতায় দলের উচ্চ পর্যায়ের তেমন আগ্রহ ছিল না। বলা বাহুল্য, এ ধরণের কয়েকটি কেন্দ্রে কোন ভোটই পড়েনি।

কথাটা সত্য নয়, কেননা আমি নিজেও প্রায় ২০+ কেন্দ্রে গ্যাছি। এমন অবস্থা দেখি নাই। তাই ফেসবুকের কিংবা নিউজের কিছু তথ্য দেখে এমন বলাটা অযৌক্তিক।

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৬

বাকপ্রবাস বলেছেন: এটার বাস্তবতা। গণতন্ত্র বলছে কিছুই নেই। বর্তমান ব্যবস্থায় পক্ষে বিপক্ষে থাকাটা মূর্খতার পরিচায়ক, আমাদের এখন আলোচনা হতে পারে উত্তরণের উপায় নিয়ে

৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১১

ঢাবিয়ান বলেছেন: রাজনৈতিক দল হিসেবে হিসেবে বিএনপি একেবারেই ব্যার্থ। বিএনপি মনে করেছিল আমেরিকা এসে লীগ সরকারকে হটিয়ে তাদের জন্য জায়গা প্রস্তুতে করে দিবে!! বিএনপি নেতারা তলে তলে হয়ত কে কোথায় মন্ত্রী হবে সেই লিস্ট বানাচ্ছিল!! আর তাই জিয়া পরিবারের মা ও ছেলেকে খূশী রাখাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাড়িয়েছিল। নেত্রীর বিদেশে চিকিৎসার বাইরে তাদের আর কোন দাবীদাওয়া শুনেছি বলে মনে পড়ে না। জনগনকে তারা একেবারেই গ্রাহ্য করেনি। বিএনপির এই স্বেচ্ছাচারী ও চুরান্ত লোভী মনোভাবের কারনেই দেশে একদলীয় শাষন কায়েম হয়েছে।

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: আগামী ৫ বছরে নব্যধনীদের সংখ্যা আরো বাড়বে।

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১০

বিজন রয় বলেছেন: আগামী ৫ বছর বিএনপি কি করবে সে ব্যাপারে আপনার মতামত জানতে চাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.