![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধর্মে বিশ্বাসী তবে কুসংস্কারে নয় । আমি সৎ ও সরল পথে চলা মানুষদের শ্রধা করি তবে তাদের নয় যারা অভনিয় করে, সমাজে নিজেদের সৎ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার। আমি তাদের ঘৃনা করি যাদের কারনে একটি র্ধম ও একটি ধর্মের অনুসারীদের ঘৃণা করে অন্য কেউ। বাংলাদেশে এধরনের ঘটনা অনেক ঘটেছে। হয়ত আমি যখন লিখছি তখনও এমন কোন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।
যদিও পাপ যে করে সেই পাপী, তবুও যখন আমি একটি ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করার চেষ্টা করি তখন আমার মধ্যে এই চেতনা সর্বদা সজাগ থাকা প্রয়োজন যে, আমি সমাজের মানুষের কাছে সম্মানের পাত্র এবং অনেক ক্ষেত্রে আমি সমাজের অন্য মানুষগুলোর চেয়ে উত্তম হিসেবে বিবেচিত। এছাড়াও সমাজে তাকে বিশ্বাস করা হয় অন্ধভাবে। কখনও এই বিশ্বস্ত মানুষগুলোর কাছে সমাজের অনেকে তাদের সন্তানদের পাঠান শিক্ষা গ্রহনের উদ্দেশ্যে, তারা তাদের সন্তানদের এই গুনি মানুষ গুলোর কাছে কিছু গুন অর্জনের উদ্দেশ্যে কাজটি করে থাকেন। তবে যখন তাদের সন্তান সেখানে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তা তার শৈশবে সংঘটিত হয়ে আজীবন দুসপ্ন হয়ে রয়ে যায় তখন সেই মহান ব্যক্তিই শুধু ঘৃণিত হয়না। তার সাথে ঘৃণিত হয় তার আদর্শ ও তার ধর্ম।তখন গালি দেয়া হয় সেই ব্যক্তির সাথে সাথে তার আদর্শকেও।
আমেরিকার নিউইয়র্কে একটি শহরে এই ঘটনা ঘটে কয়েক সপ্তাহ আগে।একজন বাঙ্গালী যিনি একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন এবং ঈমামের অবর্তমানে ঈমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, পবিত্র কুরআন শিক্ষা দেয়ার সময় তিনি তার নয় বছরের ছাত্রিকে খারাপ কোন উপায়ে স্পর্শ করে। ঐ সময় শিশুটির বিষয়টি বোধগম্য হয়নি।পরে সে টিভিতে একটি অনুষ্ঠান দেখে “গুড টাচ্,ব্যাড টাচ্” এবং বুঝতে পারে তাকে যে স্পর্শ করা হয়েছে তা খারাপ ছিল। সে বিষয়টি প্রকাশ করার সাথে সাথে গেপ্তার হয় সে ব্যক্তি। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ যে সেই শিশুটির সাথে এর বেশী কিছু ঘটে যাওয়ার আগেই সে পথ বন্ধ হয়েছে।
বাংলাদেশে এই নোংরা সংস্কৃতির সূচনা হয়েছে অনেক বছর আগে। অনেক শিশু ধর্ষনের শিকার হয়েছে তবু এই অপরাধ আজও সমাজে বর্তমান নজির বিহীন বিচারের অভাবে । এই জঘন্য মানুষ গুলোর শিকার হয়েছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিশুরা কারণ তারা মনে করে, শিশুরা অবুঝ এবং তারা এই বিষয়টি নিঃশব্দে সহ্য করবে। তারা একদিকে নিজেদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে নিস্পাপ ব্যক্তিত্ব হিসেবে অন্যদিকে সমাজের জঘন্যতম পাপগুলোর একটি তারা সম্পাদন করে। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা এমন ক্ষেত্রে তাদের সমাজের নিকৃষ্টতম শাস্তি দিয়ে তার পরবর্তি পাপের শিকারকে রক্ষা করুন। এতে মোটেও কোন পাপ নেই।
অথবা আপনি আপনার সন্তানের আজীবন নিঃশব্দে কেঁদে যাওয়ার পথ নিশ্চিত করুন।
©somewhere in net ltd.