![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২৪ বছর
সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর,
স্বাধীকারের সংগ্রাম ক্রমে হয়ে উঠে
মুক্তির সংগ্রাম।
স্বাধীন হলো দেশ
তবু মুক্তি এলো না মানুষের!
জীবন বাজি রেখে অস্ত্র হাতে নেওয়া
একজন কেরামত আলী এখন রিক্সা চালক।
সাতক্ষীরা ছেড়ে যশোরের পিচ ঢালা অলিগলি
এখন তাঁর ঠিকানা।
তাঁর কাছে স্বাধীনতার মানে দারিদ্র
মুক্তির অর্থ যন্ত্রণা।
তবুও তিনি ভালোবাসেন দেশকে,
কারণ নবকুমারেরা বারবারই
পরের জন্য কাঠ কাটতে যায়।
কেরামত আলীর কাছে দেশপ্রেম মানে সংগ্রাম
অস্ত্র ধরা হাতে আজ তার
রিক্সার হ্যান্ডেল।
দিন শেষে চাল কিনে বাড়ি ফিরলে
খাবার উঠে পরিবারের সবার মুখে।
তবুও হাত পাতেননি তিনি,
কারণ বীরের কখনো হাত পাতে না।
তার স্ত্রী অসুস্থ
চিকিৎসার অভাবে ধুকছে
চিকিৎসা হবে কি না জানা নেই।
তবুও পড়েননি ভেঙ্গে
কারণ বীরেরা কখনো ভেঙে পড়ে না।
বয়স কিংবা শারীরিক প্রতিবন্ধীতা
দমাতে পারে না তাকে,
পুলিশ তাড়া করে ফেরে
ব্যাটারি রিক্সার বৈধতা চ্যালেঞ্জে করে
তাতে কি, ঘুষ তো আর খায় না সে।
এখনো মার্চ এলেই তিনি শুনতে পান
বঙ্গবন্ধুর ডাক,
‘আর যদি একটা গুলি চলে….।’
ডিসেম্বর এলেই তাঁর মন
বিজয়ের আনন্দ অনুভব করে।
মনে হয়, এইতো সেদিন
সবুজ ঘাসের জমিনে
রক্তে লাল রবির ভেতর সোনালী মানচিত্র,
তার হাতে এলএমজি, সামনে পাকি শত্রু
খতম করতে হবে ওদের।
মুহুর্মুহ গুলি আর বোমা
মরছে খান সেনা,
তারা এগুচ্ছে সামনে, অপ্রতিরোধ্য দুর্বার গতিতে
ধ্বংস হচ্ছে হানাদার, সূচিত হলো বিজয়।
তারপর আবার মূহুর্তেই মিলিয়ে যায় সব
রিক্সা নিয়ে বেরুতে হবে,
কারণ ক্ষুধা আর দারিদ্রই তার নিত্যসঙ্গী
তবুও হার মানে না সে।
সংগ্রাম সেদিনও করেছেন
আজও করছেন।
তবু
পৃথিবীর কোন অন্যায় ছুঁতে পারে না তাঁকে,
কারণ তিনি একজন বীর
একজন মুক্তিযোদ্ধা
একজন কেরামত আলী।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮
কবীর মামুন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ.....
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধন্যবাদ, একজন মুক্তিযোদ্ধার জীবনে চিত্রায়িত করেছেন।