![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পর্বঃ ১
সপ্তাহ দুই আগের কথা, শামিম স্যার ক্লাসে এসেই রেড-সিগন্যাল দিলেন-
‘এই তোমাদের মধ্যেই কেও একজন আছো ? উদ্ভট এবং অপরাধমূলক একটা কাজে তোমাদের উপস্থিতির প্রমান পাওয়া গেছে । সুতরাং, সাবধান করে দিলাম। হুঁশে থাকো,আর ভবিষ্যতে এধরনের কর্ম-কাণ্ড থেকে নিজেদের বিরত রাখো। না হয়,ভবিষ্যৎ অন্ধকার।ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছেলে-পেলেরা এতো সময় পায় কোথায়?’
গত-পরশু সন্ধ্যায়,আকস্মিকভাবে পলাশ চ্যাটে আমার সাথে...
: বন্ধু,কেমন আছো?
: এইতো! তুমি?
: হ্যাঁ, ভালো।
কালকে রাতে আবার...
: ওই, গ্রুপে যাও এবং রিপোর্ট করো। তারও কিছুক্ষণ পর...হ্যালো! কি করো?
তৎক্ষণাৎ রিপ্লাই না দিয়ে আমাদের ১৩তম ইনটেকের যাদুময় গ্রুপে প্রবেশ পূর্বক; পলাশ কতৃক প্রদত্ত পোস্ট লিংকের অ্যাকাউন্ট-এ সুচারুরুপে ‘নকল অ্যাকাউন্ট’ বলে,সম্মানিত মার্ক জুকারবার্গ স্যার-এর কাছে রিপোর্ট করলাম।
পরে চ্যাটে ফেরত এসে পলাশকে খোছালাম...
: প্রবলেম কি মামা? বুজলাম নাতো? সারমর্মটা বলতো একটু।
: আরে বেশ প্রবলেম!কাল দেখা হলে বলবো।
: ওকে?
: ওক্কে।
কিছুক্ষণ পর...
: কতোগুলা আইডি থেকে রিপোর্ট করছো বেবী? করছো..?
: আরে কেমনে? আমার রুমে রাসেলরে বলছি,ও করছে । আর বাকী যারা আছে
(বড় ভাই),উনাদেরতো বলা যায় না। তাই, কাকে বলবো?কি বলবো? কে কি মনে করে! দেখি পরে কি করা যায়।
: তবুওতো করছো…।
অতঃপর ঐদিন দুপুরে...
: কেমন আছো, বন্ধু?
: এইতো...তুমি?
: ভালো।
(বিগলিত চিত্তে,
ধূমকেতুর ন্যায় বন্ধুর আগমন এবং একটি কর্ম সম্পাধনা পূর্বক বন্ধু’র প্রস্থান)
- চ্যাট কনভার্সন ইণ্ড।
পর্বঃ ২
ঐদিন সন্ধ্যায় ক্লাস-এ আসার পর গোলাপের সাথে ফাঁকে ফাঁকে কথা বলতে লাগলাম। গোলাপ (পুরাই লাল গোলাপের পাঁপড়ি’র মতো গাঁয়ের রং)
আমায় বললো বন্ধু,শুনছো কিছু?
: কি হইছে?
: এইতো আমগো ক্লাস-এর কে নাকি ...প হইছে!
: কি কস? মজা লস...সস?
: চিন্তে করছু বন্ধু, পলাশের নামে জি.ডি করে? ওর সাহস কতো?
আমিতো আকাশ থেকে পড়লাম! নিচের ঠোঁটে কামড় দিয়ে চুপ-চাপ কিছুক্ষণ বসে রইলাম।
: দূর, বেটা এইডা কি মানুষের কাম? এগুলো পারস্পারিক বুঝ-পরামর্শেইতো শেষ করা যায়।
তখনও পর্যন্ত আমি নিজেও জানি না যে,কে বা কি কারনে জিডি করা হয়েছে। আস্তে-আস্তে, পরে শুনলাম নীলা (যার ভাবের একটাই কারন,সে কেন ক্লাস-এর প্রথম সারির ছাত্রী!) পলাশ(অনেক সুন্দর ছেলে) সহ আরও কারো নামে যেন জিডি করেছে । জিডি’র কারন হিসেবে ছিলো, ফেসবুকে নীলা’র নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট বানিয়ে ওখানে, কিছু আপত্তিকর ছবি পোস্ট করা। ঠিক তৎক্ষণাৎ, শামিম স্যারের রেড সিগন্যালের অর্থ বুঝতে সক্ষম হলাম(বোধ হয় থানা থেকে ইউনিভার্সিটিতেও লোক পাঠিয়ে ছিলো,তাই ...)।
পর্বঃ ৩
গত কালকেই রুপনগর থানা থেকে ওসি পলাশকে ডেকে নিয়েছিলেন।
ওর মোবাইল-ফোন আর ফেসবুক কিছুক্ষণ ঘেঁটে-ঘুঁটে-
ওসিঃ এই ছেলে!নীলাকে চেনো?
পলাশঃ হ্যাঁ স্যার।আমাদের সহপাঠী।
ওসিঃ মহসিনকে(নীলার এক্স-লাভার)?
পলাশঃ হ্যাঁ,ও আমার ভালো বন্ধু।
ওসিঃ মেয়েদের নামে ফেইক অ্যাকাউন্ট খুলো, নাহ...?
পলাশ পরে তার সঞ্চিত যুক্তি-পরামর্শ উপস্থাপন করলেও,ওকে অনেক্ষন প্রাসঙ্গিক-অপ্রাসঙ্গিক মেলা জিজ্ঞাসাবাদের পরে ছাড়তে ছাড়তে অনেকক্ষণ কেটে গেছে।
সেদিনই সব শুনে, ক্লাসের হাফ-টাইমের ব্রেকে আমাদের ভাই (ক্লাস-এ বড় ভাই নামেই পরিচিত,উন্মুক্ত হৃৎপিণ্ডের মানুষ) –কে বললাম-
: ভাই , আমি যতটুকু বুঝতেচি (এক্ষেত্রে বলে নেয়া ভালো আপন গোত্রের প্রতি অর্থাৎ ভাই-ব্রাদারদের প্রতি সবারই নিশ্চুপ একটা মায়াটান থাকে আমারও ছিলো)
নীলার ভুলগুলো হলো,
১.ও এতোবড় একটা স্টেপ কাওকে না জানিয়ে নিয়ে ফেলা,
২.পলাশের সাথে না বসেই বিষয়টা সল্ভ করতে চাওয়া এবং
৩.জিডি করার আগে আমাদের ১৩তম ইনটেকের সবাইকে না জানানো।
এখন একটু ভেবে দেখোতো আমাদেরকে না হয় না জানালো জিডি করার আগে পলাশকেতো স্পষ্ট ভাসায় (সম্ভব না হলে সাধু ভাষায় চিঠি লিখে) জানাতে পারতো। এখন পলাশের বাপের দলতো রাজনীতি করে,না? ওর এখন কি স্টেপ নেয়া উচিৎ? ইটের বদলে পাটকেল!?
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে তোমাকে বলছি,রাত ৯:০১:০১-এর মধ্যে আমাদের যেকোনো একটা সমাধানে পৌছানো উচিৎ । সমস্যাটা আমার বা তোমারও হতে পারতো । কি ভাই,এইসব? ভবিষ্যৎ-এ আমি তোমার সাথে ফাইযলামি করলাম,আর তুমি আমার নামে মামলা ঠুকবাঁ !!??? এইটাই কিরে, বন্ধুত্বের রীতি?
: যাই হউক,কার পাপ কতটুকু চিন্তা না করে,সবাই মিলে কিভাবে বিষয়টাকে সুন্দর একটা অবস্থানে নিয়ে যাওয়া যায়, এটাই ভেবে দেখবার বিষয়।
পর্বঃ ৪
আমরা কয়েকজন যখন উদ্দীপনামূলক ঘটনার ব্যত্যাস ব্যবচ্ছেদ করতে শুরু করলাম, তখন ধীরে ধীরে জানলাম, (ক্লাস শেষের মিটিং-এ)-
নীলার কথাঃ ‘পলাশের কাছেই শুধু সুসংরক্ষিত আছে, এমন একটা ছবি সেটা যদি অন্য কারো মাধ্যামেও পোস্ট হয়ে থাকে,তাহলেও পলাশই ওই ছবিটা পোস্ট-এর জন্য দায়ী।হয় পলাশ এই ছবি আপলোড করেছে না হয়, ও...ই অন্য কাওকে এই ছবি সহ আরও অন্যান্য ছবি আপলোডে সহায়তা করেছে । এছাড়া,ভবিষ্যতে এই ধরনের ঝামেলায় পরলে, তার কি হবে ? আমি জানতে চাই?’
পলাশের কথাঃ ‘তোমার সাথে কথা হয়েছিলো, ওই ফেইক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলে, আমার নামে জিডি তুলে নিবা? আমি যেমন বহু ত্যাগের পরও রিপোর্ট করে-করে তোমার ফেইক অ্যাকাউন্ট (যার জন্ম,বেঁড়ে উঠা কিছুই আমি জানি না) ডিঅ্যাক্টিভেট করেছি; এক্ষেত্রে আমি যেমন সময় নেইনি,তুমিও সময় নিতে পারবে না।তাছাড়া আমিতো দায়বদ্ধ নই যে,তোমার সারাজীবনের দায়িত্ব নিবো!’
সব মিলিয়ে ক্লাস শেষের মিটিং-এর ফলাফল স্বরূপ আমদের ফ্লোর অনেকটাই কাওরান বাজারের ফ্লেভার নেয়া শুরু করলো । এদিকে, গোলাপ আর পলাশের বেহুদাই পাওয়ার শো-অফ এর কারনে কোন প্রকারের সমাধান ছাড়াই নীলা ক্লাস থেকে উঠে চলে গেলো। ওর কাছের বান্ধবীর কাছ থেকে গোপন সূত্রে জানতে পারলাম , কিছুটা নোনা চোখের জলও বিসর্জন হয়েছে।এই একটা জিনিস,আমরা না পারলেও ওরা(মেয়েরা) খুব পারে। এক্ষেত্রে অবশ্য নীলার পেরে উঠার কারনটা যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত।
ধর্মীয়গ্রন্থ আল-কোরআনে পুরুষ শব্দটি যত বার উচ্ছারিত হয়েছে,ঠিক ততোবার নারী শব্দটিও। তবুও কেন ছেলেদের নিয়ে নয় ,মেয়েদের নিয়েই প্রযুক্তির মাতাল খেলা সময়ের পর সময় ধরে চলতে থাকবে?এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো আমাদের মতো যুবাদের কাছেই আছে। শ্রেণী বৈষম্য ছাড়িয়ে আইনের মতো সম্মানও সবার জন্য সমান।
পর্বঃ ৫
কিছুক্ষণ পর, আমরা সবাই মিলে কোন প্রকারের সুরাহা ছাড়াই ক্লাস ছেঁড়ে একপ্রকারের উত্তেজনাপূর্বক সবাই মিলে থানায় যাবো চিন্তা করে মূল ফটকের সামনে জড়ো হতে লাগলাম । গাজী(মাটির মানুষ) আর হাফিয (আমাদের ক্লাস মুখপাত্র), শীতল দু’টা আদমি গেলো, নীলার সাথে কথা বলে জিডি’র একটা এপার-ওপার করতে। সাথে রিম্পা (নীলা’র ক্লোজ দোস্ত)ও ছিলো।
এদিকে আমি,সুজা(ভাব ছাড়া বিইউবিটির প্রথম বালক) আর গোলাপের সাথে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে-
গোলাপঃ ফেসবুক শিখাইতে আইচে,আমগোরে।
আরে বাবা,ওর নামেতো একটা ফেইক অ্যাকাউন্ট না,অনেকগুলা।
তো,ওই অ্যাকাউন্ট এর ওই ছবিটা ভাবলাম পলাশ দিছে, বাঁকি যে পিকগুলা আছে,ওগুলা কে দিছে?
মামা, ক...তো পলাশ,আহ...মাশআল্লাহ, কি পুলা! ওর কি মাইয়্যার অভাব? ওই মাইয়্যারতো রুপ বাইয়্যা পরে ! আর ...(বলা যাবে না), পলাশ ক্যান ওর পিছে লাগবো ?
শেষ ! এ মেয়ে আর এই ফেইচ নিয়া আর যাই হউক,অন্তত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট করতে পারবো না। যে অ্যাকাউন্ট রিপোর্টেড হয় সেটা ফেচ ডিটেকশানের মাধ্যমে, আজীবন নিষিদ্ধ থাকবে জুকারবার্গ স্যার-এর দরবারে (মনে হয়)। ও শুধুই জুকারবার্গ-এর কাছেই না, আমাদের কাছেও আজীবন নিষিদ্ধ।
আমিঃ মামা,এই মাইয়্যা যে এই কাম করলো এইডার ভিত্তি কি ক তো?
ভিত্তি হইলো, সন্দেহ, আমি সন্দেহ করলাম আর ঠুকে দিলাম ! আমরাতো দূরের কথা, পারস্পারিক কথাও বলার প্রয়োজন বোধ করে নাই,জালিয়াত! বাংলাদেশের যে প্রযুক্তি, তোর কি মনে হয়,কয়েক বৎসরেও প্রমান করতে পারবে, পলাশ দোষী? ওদের দুর্বল ট্র্যাকিং সিস্টেম অবশ্য আছে, কিন্ত যত্র-তত্রতো এতো মহামূল্যবান সিস্টেম ওরা ব্যাবহার করবে না, অন্তত এই কেইসের ক্ষেত্রেতো নাই।
আর জিডি করছে তো কি হইছে,জিডিতো বিষয় না।বিষয় হচ্ছে,সম্মান। এই প্যারার বিষয় কারো,পরিবার জানলেইতো বেহাল দশা। আর, জিডি থাকা অবস্থায়, নীলার
কিছু হলে,ভেবে দেখতো,সব প্যারা কার কাঁধে উঠবে??
পর্বঃ ৬
রাত তখন প্রায় ১০ টার মতো,আমরা অতি আবেগী যারা ছিলাম,হাতে গোণা ১৩ জন সবাই মিলে উদর পূর্তির জন্য পুস্পিতা হোটেলে ডুকলাম। পুরনো মডেলের স্প্রিকারে বাজতে থাকলো-
‘আমি তোমার পরাণ পাখী,তুমি আমার জান।
একদিন তোমায় না দেখিলে থাকেনা জ্ঞান।
বন্ধু আসো না ক্যান ??’
এর মধ্যে,গাজী,হাফিয আর রিম্পা এসে হাজির।
গাজী বললো, হ্যাঁ মামা কথা বলে আসছি।জিডি উঠাবে, কোন প্রবলেম নেই আর।
অপ্রকাশিত হলেও সত্য সংবাদটা যতটুকু আমাদের পুলকিত করেছে তারচেয়ে বেশি শান্তি অনুভব করেছি, বন্ধুত্বের ব্যত্যাস (বিক্ষিপ্ত) ব্যবচ্ছেদ(টুকরো টুকরো করে পরীক্ষা করা)’এর পরেও যে একটা সফল সমাধানে আসতে পেরেছি।
পর্বঃ ৭
ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ,ভুল বোঝা-বুঝি ছিল থাকবেই। নিজের সুবিধার কথা চিন্তা করে বন্ধু’র বিপদ ডেকে আনা।ভুঁড়িতে ধরে আদর করা,জান বলে ডাক ছাড়া,২কাপ চা’এর ৪কাপ রুপ, নিকোটিনে ফুশফুশ ভর্তির প্ররোচনা, জোর করে পড়া-শুনা করাতে চাওয়া, বলে বসা ‘বন্ধু আমার জন্য নোট করিস’ । এসবের জন্যই এতো ভালোবাসি তোদের।
কারন-অকারন ঘুরে-ফিরা, হলুদ ফুলে বন্ধুকে বান্ধুবি বানানোর অপচেষ্টা, বাঁশ বাগানে থিতু হয়ে দাঁড়িয়ে বন্ধু,‘আরেকটা ছবি’। অভিমানে একলা বসে বেসুরা গান গাইতে থাকা। শুধুই যে,মেতে থাকতে ইচ্ছে হয়,ধরে রাখতে চাই চির-শৈশব। অবুজ মনকে গাণিতিক সমীকরণে বেঁধে ফেলতে চাই না এতো সহজে।
‘কি করছিস কি বন্ধু ? পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে, আর তুই এখনো এতো অলস?
কিছুতো করতে পারিস!’-বলে রোজ শাসানো। আমি যে একলা নই,ভাবতেই বুকটা ভরে যায়রে।
স্ট্যাটাস দেখেও লাইক না দেয়া,লাইক দিলেও ঐ পোস্ট-এর বিরুদ্ধে যাওয়া, ক্লাসে অনেকের পরে যেয়েও কিছু জায়গা বরাদ্ধ পাওয়া কিংবা জোর করে বরাদ্ধ জায়গা কেঁড়ে নেয়া।আবার,গায়ে পড়ে দাওয়াত নেয়া,কি আছে বন্ধু তোর টিফিনে ? শুধু জানতে চাওয়া।আহ...এ ধারা অমিয়,এ শুধা অফুরন্ত।কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত (যথাযোগ্য নিয়ম-নীতির কিছুটা ব্যতিক্রম) হলেও আমরা বন্ধু। আমাদের হৃদয়ের মণিকোঠায় ধ্বনিত হউক,‘বন্ধু-তুমি আমার সাত রাজার ধন’।বন্ধু আছে বলেই,শিক্ষা এতো সুন্দর, এত সজীব।
পর্বঃ ৮
রবি ঠাকুর যথার্থই বলেছিলেন, ‘বিধাতার রাজ্যে ভালো জিনিস অল্প হয় বলেই তা ভালো, নইলে সে নিজেই ভিড়ের ঠেলায় হয়ে যেত মাঝারি।’ আমরাও কোন মাঝারি মানের বন্ধুত্বের দাবীদার না। আমরা বিশ্বের সেরা প্লাটফর্মের কর্মজীবী । অল্পদিনের পথচলায়, আজীবন মনে রাখার মতো কিছু জ্বালাময়ি সৃতি চাই। যেন শেষ বেলায়,নবীনদের বলে যেতে পারি,জানিস দাঁদা ভাই!আমরা অনেক কিছুর পরও ভালো ছিলাম, এখনো আছি। আমাদের সবগুলো বোন-ভাই হবে ওদের পরিচিত, একেকটা মহান বা মহীয়সী দাঁদা-দাঁদু ভাই । ওদের কাছে আমরা ডিনামাইট হয়ে বিস্ফোরিত হতে চাই।
এই অন্তঃপুরে সবাই স্বাধীন,সবাই একই গ্রহের বাসিন্ধা। কেও পর নয়।সবাই তার আপন আলোয় চারপাশ উদ্ভাসিত করার নিমিত্তেই যাত্রা শুরু করেছি বলেই,আপন কে শুধরিয়ে পুনরায় হেঁটে যেতে হবে দূর-বহুদূরের পথ।
এ পথ বন্ধুর হউক, এ যাত্রা শুভ হউক।
-মুহাম্মাদ শরিফ হোসাইন।
২৪ ভাদ্র ১৪২১,সোমবার।
উৎসর্গঃ
১৩ তম ইনটেক
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি।
©somewhere in net ltd.