![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আচ্ছা,টোকেন মানেতো অনেক কিছুই বুজায়।
যেমনঃ চিরকুট,খণ্ডপত্র আরও কতো কি।
তবে,কম্পিউটার সায়েন্স-এর পরিভাষায় কি
টোকেন মানে ডাটা ট্রান্সমিশনের একটি পদ্ধতি বলা চলে না?
হতে পারে,এটাই টোকেনের শ্রেষ্ঠ সংজ্ঞা নয়,
তবে এটাও টোকেনের একধরনের সিম্পল ডেফিনেশান।
তবে কেও কি বলবে,ও...কি মাথা খারাপ নাকি?হা,হা...হা!
টোকেন অনেক কিছুই আবার কিছুই না।
পুরো বিষয়টাই হচ্ছে বুঝার বিষয়।
অনেকেই দেখবেন,বিপদে পড়ে ফেসবুকে কোরআন'-এর আয়াত
বা হাদিস স্ট্যাটাসে পোস্ট করছে।
শাশ্বত বানী ফেসবুকে দেয়া আমি ভিন্নভাবে দেখছি না।
তবে,শুধুই বিপদের কারনেই কেন?
হাজার হাজার পিকাসা মার্কা সেলফি আর রুপ-লাবণ্যর বাহিরে
শুধু ফেসবুকেই ফর্সা আর নীতিবান হওয়ার জোয়ার।
খোঁজ নিয়ে দেখবেন,ফেসবুক সুন্দর/সুন্দরীরা অনেকেই সকালে উঠে
মেসওয়াকতো (নামটাও শুনে নাই) দূরের কথা ,ব্রাশও করতে খেয়াল থাকেনা।
ফেসবুক ইনকর্পোরেশান থেকে এজাতীয় রোগীদের জন্য নিরাময় কেন্দ্র খোলা
হউক।যেখানে,অন্তত দৈনিক দু'বেলা ব্রাশ,জীবন-যাপনের ম্যানার সাথে রাত জেগে
ফেসবুকিং করার যথার্থ এবং কার্যকরী পথনির্দেশনা দেয়া হবে।
আমি ফেসবুকের বিপক্ষে না,তবে ফেসবুক ব্যাবহারের কিছু নীতিমালা এবং কার্যকরী উপায় আছে। আমার জানামতে,সবাইতো আর আসক্ত না,বা আসক্ত হলেও অন্য
সবার মতো একি উদ্দেশ্যে আসক্ত নয়।কিছু কিছু ফেসবুক পেজ,অ্যাকাউন্ট আর গ্রুপ দেখলে মনে হয়,আহ বাংলার সন্তান কতো যত্নবান।ওরা কিন্তু ভিনগ্রহের কোন অ্যাকাউন্ট হোলডার বা অ্যাডমিন না। এতো কার্যকর,পরিপাটি এবং অনুসরনযোগ্য
উপায়ে ফেসবুকিং করে যে ওদের ফেসবুক কার্যক্রম দেখলে আমার হিংসে হয়-
(শুধু নিজেকে নিয়েই নয় পুরো বাংলাদেশকে বুকে নিয়ে ফেসবুকিং করে)।
বাংলাদেশী গুণীজনদের, প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনায় লিপ্ত ভাইদের অথবা
গ্রামের স্কুলশিক্ষকের সর্বশেষ আপডেট সমূহ পোস্ট হওয়ার টাইম ইন্টারভাল
ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও বুঝা যায়।আর,রোগীদের পোস্ট দেখলেই আলাদা বুঝা যায়,তবে ঐ
যে ইন্টারভাল গননা জেগে থেকেও অসম্ভব।গুণীজনদের পোস্ট আসে অর্জন থেকে
আর,রোগীদের পোস্ট আসে ফাইযলামি থেকে।ফেসবুক প্রতিষ্ঠাকালীন উদ্দেশ্যের
কাছে ধারে আজ এসময়ের যুবারা নেই।কিন্তু দেখো, কি সুন্দর সুস্থির মস্তিষ্কে,সোয়া কেজি ওজনের ব্রেনের শক্তির কথা কোন গুণীজন বলছে আবার কেও তার সহপাঠীদের সুবিধার্থে ফাইল আপলোড দিয়েই যাচ্ছে।গ্রামের মানুষগুলোর এতো ভনিতা করার সময় নেই।পয়সা বাঁচিয়ে শুধু দূরের ভাই-বন্ধুদের খোঁজটা একটু নিতে পারলেই তাদের ফেসবুকিং সার্থক।
পর্দার সামনের গল্প বোধহয় কাওকে না বললেও হয়,তাও এক লাইন বলি ভাই
বোন তোরা সব অস্থির মস্তিকের লোক।বাস্তব সুন্দর হওয়ার দরকার এখন। বলি তোমরা কোন বস্তার মাল,আমি গম্ভীর মুখে এক চিলতে হাঁসি ফুটিয়েই বলে দিতে পারি। শুভ রজনী।
©somewhere in net ltd.