নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে চাই না, তবু লিখে যাই..

মুহাম্মাদ শরিফ হোসাইন

লিখতে চাই না, তবু লিখে যাই..

মুহাম্মাদ শরিফ হোসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভোগে নয়,ত্যাগেই প্রকৃত সুখ

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:২৯


শর্টফিল্ম 'বোধ'-এ দেখলাম একটা ছেঁড়া পোষ্টারে লেখা-
'খোশ আমদেদ মাহে রমজান...
ত্যাগের মাস,সংযমের মাস।' (দেখলেই বুঝবেন)


কতো সংযমের মাস গেলো,নিজেদেরকে আর সংযমিত করতে পারলাম না আমরা।
যদিও ছোট বেলা থেকেই বাংলাদেশী হিসেবে সকল স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিশু-কিশোরদের ঠোটস্থ করিয়ে,না হয় গুলিয়ে খাইয়্যে দেয়া হয় 'ভোগে নয়,ত্যাগেই প্রকৃত সুখ'-এই মহান ব্যাকের সম্প্রসারিত ভাবটুকু।আমরাও এই পরিধির বাহিরের বিন্দুস্থ কেও নই।যারা বুঝ-জ্ঞান রেখে এটুকুন ভাব সম্প্রসারন করতে পেরেছে,তারাতো অন্তত ত্যাগে বিশ্বাসী হওয়ার কথা।তাহলে আমাদের বুঝ-জ্ঞান সম্পন্ন বা শিক্ষাগ্রহনের পরে বুঝ-জ্ঞান প্রাপ্ত শিক্ষিত সমাজ এ বাক্য অস্বীকারের কোন ব্যবস্থা নেই।এখনকার মতো ধরে নিলাম যারা এ বাক্য শুনেননি বা শুনলেও বুঝেননি তারা আমার আলোচনার বাহিরের লোক।



আচ্ছা,ছোট বেলায় একদিনের জন্যও মক্তবে যায়নি যেকোন বয়সের এমন কাওকে কি বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া যাবে?আমার ডাটাবেস বলছে,না।মক্তবের শিক্ষাদান প্রক্রিয়া অন্তত স্কুল-কলেজের চেয়ে ডের ভালো।ওখানে কেও না বুঝে বা বিরক্ত হয়ে পড়তে যায় না।বাবা-মায়ের ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য রক্ষার্থে কিংবা নিজস্ব চলন-বলনে ধর্মীয় অনুশাসন ও নিয়ম-নীতি রপ্ত করতে শৈশবে মোটামুটি সবাই এই শিক্ষার প্রতি অনেক আগ্রহী থাকে।

কে কার আগে কোরআন খতম দিবে?হুজুরকে কে কতো মধুর আর সহিহ ভাবে তেলাওয়াত করে শুনাতে পারে?প্রতিদিন কে কতো ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে পারে?এমন হাজারো ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগীতা আমদের মধ্যে একসময় ছিলো।অন্যদিকে আমাদের চেয়ে যারা আরোও আধুনিক ছিলো,তাদের হয়তো মক্তবটা,বাসায় ছিলো।কষ্ট করে দূরে যেতে হতো না।

আমি এইবারের ঈদে নতুন জামাতো পাচ্ছি।মা আমার খেলার সাথীকে আমার পুরনো কিছু জামা দিয়ে দিলে ভালো হয় না? ওরাতো অনেক গরীব।নিজের বাড়তি কাগজ-কলম থেকে বন্ধুকে কিছু দিয়ে দেয়া,নিজের ফুটবলটা নিয়ে পাড়ার সব বঞ্চিত ছেলেদের সাথে বৃষ্টিবিলাস করা।আবার অকথ্য,অশ্রাব্য শব্দ উচ্ছারনে ক্ষেপে গিয়ে প্রিয় সে সাথীকে নিদারুন চপটাঘাত করা।

কি ছিলনা আমাদের শৈশবের?আজ আমরা আছি?আমাদের কিছুই নেই।শ্যামল বাংলার যেকোন গাঁয়ের যেকোন কিশোর-কিশোরী'র বেঁড়ে উঠার গল্প এটি।



এখনকার মতো ধরে নিতে হয় যারা এ বাক্য শুনেননি বা শুনলেও বুঝেননি তারাও আমার আলোচনার লোক।যারা 'ভোগে নয়,ত্যাগেই প্রকৃত সুখ'এই মহান ব্যাকের সংক্ষেপিত বা সম্প্রসারিত কোন ভাবটাই বুঝেন না।
যারা শৈশবে অনেক বড় বড় বিসর্জনের শিক্ষা পেয়েছে তারা ভোগ বা ত্যাগের সম্প্রসারন করতে না পারলেওঅসুবিধে নেই।কিন্ত প্রশ্ন হচ্ছে,প্রকৃতি আর ধর্ম যাকে এতো শিখালো সে কিভাবে ভুলে যাবে,'ভোগ নয়,ত্যাগেই প্রকৃত সুখ'-এই ব্যাকের বাস্তবতার বাস্তব অর্থ?এতো এতো শিক্ষার সুযোগ বা পরিবেশ বিশ্বের আর কোন দেশের শিশু-কিশোর পায় কিনা আমার সন্দেহ হয়।আমরা শিক্ষা আঁকড়িয়ে ধরে রাখতে পারি না শুধু। স্বয়ং প্রকৃতির কতোটা কাছে আমরা আছি ,তা নিজেরাও জানি না।আজ আমরা ছোট সে শৈশবের কাছেও পরাজিত।চাইলেও এতোটা ভালো হতে পারিনা,যতোটা ভালো আমরা শৈশবে ছিলাম।সমাজ আমাদের বালা পরিয়ে রেখেছে।আমরা মানবতা থেকে আজ বহুদূরে,এতোদূরে যে চাইলেও শূন্যর কোঠায় আসতে পারবো না।আমরা শূন্যর চেয়েও ছোট আজ।

মানুষ নেই,
মানবতা সেতো শুধুই গল্প।
বোধ করি,সব কুলাঙ্গারের জাত;
যত সব করছে আজ এসমাজটাকে মাত।

মানবতা ধ্বংসকারী আমরা একেকজন কুলাঙ্গার,এইসব শিশু-কিশোরদের মধ্যে থেকেই গজিয়ে উঠি একেকসময়।আজকাল নাম মাত্র যাকাত-ফেৎরা দেয়া হয়,যা অনেকটাই সমাজও মুখ রক্ষার কাজেই লাগে শুধু।মুজ-মাস্তি আর ঘটাও করে পশু জবাই দেয়া হয় শুধু ফ্রিজবন্দী করার জন্য।অসহায়দের সাহায্য করা হয় শুধু সংবাদ শিরোনাম হওয়ার জন্য।আজকাল শিশুদেরকেও মক্তবে দেয়া হয়না, হয়তো ওদের স্কুলের বই'য়ে ভোগ,ত্যাগ কিছুই নেই।আছে শুধুই স্বকীয়তার বিসর্জনে অপরের অনুকরন।

গৌতম বুদ্ধ বলেছেন-
'শান্তি ত্যাগ থেকে আসে,একে ভোগে খুঁজো না।'

যিশু খ্রিস্ট বলেছিলেন-
'যদি তুমি যদি স্বর্গে যেতে চাও তবে
স্ব (নিজকে) কে আগে গরীবের কাছে বিক্রয় করো।'

ভারতের বিখ্যাত কবি,সুর ও সংগীত স্রষ্টা গৌরিপ্রসন্ন মজুমদার বলেছিলেন-
'কতোনা নদীর জন্ম হয় আর একটা কেন গঙ্গা হয় না
কতো না মানুষ জন্ম লয়,ওরা একটা কেন জাত হয় না।'

আজ বিধিবহির্ভূত সব কর্মই সচল, অচল যা আছে শুধু সব ধর্মের কথা।বোধ করি,
মানুষ সাধারন তবে তার জাতটা অসাধারণ।যার মূল্যায়ন সে করতে পারে আবার পারেও না। মানবতা আজ বড়ই ঋণী এহেন সভ্যতার কাছে।পৃথিবী হয়তো ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত,আর সে ঘুরে ঘুরে রাতের পর দিন এনে দিতে চায় না।ও হয়তো সামনে বসে থেকে শুধু রাতের পর রাত এনে দিবে।দিন তখন বহুদূরে,হয়তো অকল্পনীয় দূরে।

ধন্যবাদ ভাই, #Sadat_Hossain এই সময়ে নির্বাক অথচ বুকে বিধে যায় এমন একটা শর্টফিল্ম 'জেগেও ঘুমন্ত জাতি'কে উপহার দেয়ার জন্য।
আপনি ঠনঠনা হলে,এই একটা ভিডিও দেখে কয়েক মিনিট খারাপই লাগবে হয়তো।

'ডুবারোঁ যেজন পায় সে রতন,তোর কপালে ঠনঠনা।'_#সাঁইঝি।

আগামী কোরবানীতে সবাই ত্যাগের মহিমায় আশ-পাশের সকল দুঃখিদের ঠোঁটে হাসির রেখা ফুটিয়ে, ডুবারোঁ হয়ে রতন আনার আশা নয় বিশ্বাস রেখে যাচ্ছি।
অগ্রিম শুভ কোরবানী ও ঈদ-উল-আযহার মোবারকবাদ।

[https://www.youtube.com/watch?v=cXNyYwFlIuA]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২০

দুখাই রাজ বলেছেন: একমত ।
ঈদ-উল-আযহার মোবারকবাদ।
শুভ সকাল ।

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১১

মুহাম্মাদ শরিফ হোসাইন বলেছেন: বলেছেন: জী ভাইয়্যা, #দুখাই_রাজ..
সহমত প্রকাশের জন্য কৃতার্থ রইলাম।
ভালো থাকবেন,শুভ সকাল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.