নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে চাই না, তবু লিখে যাই..

মুহাম্মাদ শরিফ হোসাইন

লিখতে চাই না, তবু লিখে যাই..

মুহাম্মাদ শরিফ হোসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেৎনা বৃষ্টি

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০

আমাদের ব্যক্তিগত,সামাজিক কিংবা ধর্মীয় মূল্যবোধ কোন পর্যায়ে আছে,মাঝে মাঝে ভুলেই যাই।

ভাবতে থাকি,হয়তো এটাই যুগের চাহিদা,কিংবা এটাই নিয়ম।

চারপাশের ঘটনা বিশ্লেষণ করলে অনেক কিছুই টের পাওয়া যায়।

আমরা যদি প্রাথমিক শিক্ষাজ্ঞান সম্পন্ন মানুষ হয়ে থাকি

তবে অন্তত পরিবেশের সংজ্ঞাটা আমরা জেনে থাকবো।

অথচ,আজ আমাদের মন,ঘর,কর্মক্ষেত্র কিংবা প্রকৃতি কোথাও পরিবেশ নেই।

আজ আমরা ফেৎনার চাপায় হাঁপিয়ে উঠেছি প্রতিনিয়ত।

আমরা কেহই এমন পরিবেশ আশা করি না

তাও আমরা নিজেরাই এমন পরিবেশ গঠন করছি প্রতি মুহূর্তে,প্রতি নিঃশ্বাসে।

আমরা কেবল ধর্মের সুফল লাভে আগ্রহী থাকি,তবে বাস্তব জীবনে ধর্মে অনুসরনের মতো ঝামেলা না ভোগেই।

আজ থেকে প্রায় ১৪,০০ বৎসর আগে নবী পাক,কেয়ামতের ছোট-বড় ৪৮টি নিদর্শনের কথা উল্লেখ করেছিলেন।

এবং তিনি বলেছিলেনঃ

'আমি তোমাদের ঘরসমূহে ফেৎনা বৃষ্টির ফোঁটার ন্যায় পতিত হতে দেখছি...।'

আজ শুধুমাত্র কেয়ামত পূর্ববর্তি ১৫টি ছোট আলামত সম্পর্কে আলোচনা করবো

(যা এখনকার সময়ে অপকর্মতো নয়ই বরং খুবই উত্তম কর্ম বলে বিবেচিত হয়ে থাকে)

এবং

বিভিন্ন নবীগনের উম্মত ছিলো এমন ৫টি প্রাণী,মানুষ থেকে রুপান্তরের কারন দর্শীয়ে যাবো।



আলামতসমুহঃ

________

১. বাজার কাছে চলে আসবে

(চলেই এসেছে,হাতের মুঠোয় .কম বা ঘরের পিছনেই দোকান।)

২.হত্যা করলেও হত্যাকারী তার কারন জানবেনা

(বেহুদায় অপকর্ম অহরহ হচ্ছে,কেওবা মাদকাসক্ত হয়ে পিতা-মাতা কেও খুন করছে।)

৩.বেশী বেশী মিথ্যা বলা

(আমরাতো বলিই,তবে দেশের রুই-কাতলা'রা একটু বেশীই বলে।)

৪.অযোগ্যকে যোগ্যতার আসন প্রদান

(স্বজনপ্রীতি আর ঘুষের কবলে দেশের সাড়ে সর্বনাশ হয়েই চলছে।)

৫.প্রকাশ্যে ছেলে-মেয়ে আলিঙ্গন

(পার্কে গেলেই এই বিনোদন আপনার চোখে পড়বেই।)

৬.ছেলেদের কাপড় মেয়েরা এবং মেয়েদের কাপড় ছেলেরা পরিধান করবে

(সব ফ্যাশন হাউস এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতনতার :-P পরিচয় দিয়ে আসছেন।)

৬.বিভিন্ন নামে মদের লেভেল বাজারে আসবে

(মদ এখন অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন নামে পরিচিতি পেয়েছে।)

৭.নেক-কাজ মনে করে মানুষ গান-বাজনা করবে

(হ্যাঁ,অনেকেই বলে থাকেন খাজা মাইনুদ্দিন চিশতী (রঃ) গান-বাজনা করতেন।

এতো বড় একজন দ্বীনী লোক সম্পর্কে এত বড় একটা অপবাদ দিতে আমরা একবারও ভাবি না।

ধর্মে দুই কাঠি একসাথে করার নিয়ম নেই,শুধু খালি গলায় আল্লাহ্‌ ও তার বন্ধু স্মরণে

কোরাস গাওয়ার নিয়ম রয়েছে।)

৮.উপার্জনের পথ হালাল না হারাম জানার প্রয়োজন মনে করবে না

(টাকা আসলেই হয়, সুদ নাকি পরের হক,তা জানার কি প্রয়োজন!)

৯.নির্দিষ্ট ব্যক্তি দেখেই শুধু সালাম দিবে

(সালাম প্রত্যেক মুসলমানের প্রতি অপর মুসলমানের জন্য আম বা সবার জন্য সবার সালাম।

আমরা শুধু সুবিধার্থেই সালাম দিয়ে থাকি,তাও আবার ভুল ভাবে।)

১০.পুরুষের জায়গায় মহিলা বসবে

(বসেই আছে,ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই।)

১১.বারে বারে ভুমিকম্প হবে

(বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বেশী-বেশী না হউক,তবে আগের তুলনায় অনেক বেশীই ভুমিকম্প হচ্ছে।)

১২.নারীর সংখ্যা বেশী হবে

(অনেক সুদর্শনা যুবতীগন মনের মানুষ কিংবা ঘরের মানুষের সন্ধান পাচ্ছেন না।)

১৩.শিক্ষায় বিপ্লব ঘটবে কিন্তু দ্বীনি শিক্ষা সম্পর্কে অজ্ঞ থেকে যাবে

( আমরা ভাবছি কবে আমরা ওয়েস্টার্ন হবো,সেমতোই বাচ্চাদের যত্ন নিচ্ছি।

মক্তব,মাদ্রাসা'র শিক্ষায় সন্তানকে শিক্ষিত না করে,আধুনিকতায় ঝুঁকছি।)

১৪.মানুষ তার সন্তানের চেয়ে কুকুর লালন পালনকে বেশি প্রাধান্য দিবে

(কুকুর পালন দোষের কিছু নয়,তবে যদি কুকুর ঘরের মানুষের চেয়ে আপন হয়ে জায়,তবেই সমস্যা।)

১৫.সহজ-সরল ব্যক্তিরা অবহেলিত হবে আর প্রতারকরা চতুর বলে প্রশংসিত হবে

(বাংলাদেশের এমন কোন অঞ্চল নেই,যেখানে এমন হচ্ছে না।)



এবার ৫টি প্রাণী,মানুষ থেকে রুপান্তরের কারন বলিঃ

১. হাতী মানুষ ছিলো,সমকামিতার জন্য বন্য-প্রাণীতে রুপান্তর হলো (পুরুষ না মহিলা জানা নেই)

২. ভাল্লুক নারী ছিলো,অবৈধ কাজে লিপ্ততার কারনে শাস্তি পেলো

৩. গুই সাপ ডাকাতির কারনে আল্লাহ্‌'র লা'নত প্রাপ্ত হলো।

৪. মাকড়সা আপন স্ত্রীকে জাদু করে মেরে ফেলায় এবং

৫. খরগোশ রূপবতী নারী ছিলো, সর্বদা অপবিত্র থাকায় অভিশপ্ত হলো।



আমরা তাহলে কেন কোন জন্তু কিংবা প্রাণীতে রুপান্তর হচ্ছি না?

আমরা এমন এক মহান নবী'র উম্মত যিনি কে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ্‌ পাক কোন সৃষ্টিকেই সৃষ্টি করতেন না।

যিনি সকল নবীগণের নবী,যিনি সর্বশেষ নবী

যিনি বেনজির,বেমিসাল,হাজির-নাজির,গায়েবের খবরদাতা।

যিনি আল্লাহ্‌ পাকের জাতি নুরের জ্যোতি,সমগ্র মানব গোষ্ঠীর যিনি কাণ্ডারি

এমন বন্ধু'র উম্মতকে আল্লাহ্‌ পাক আর যাই করেন

অন্তত তাৎক্ষণিক শাস্তি দিয়ে এই ধরায় কলংকিত করবেন না।

তাই,আমরা আজোও মানুষের বেশেই আছি।

তাই বলি ভাই,সত্য কাজ যদি নাও করেন,তবে অন্তত সত্যকে স্বীকার করুন

পাপ করলেও পাপ স্বীকার করুন,উপরওয়ালা বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।

ইয়ামান থেকে বের হওয়া আগুনের কুণ্ডলী এখনো আসে নাই

এখনো এ সভ্যতার বহু কিছু পাল্টে যেতে পারে।

সময় আসবে,যখন পশ্চিম আকাশে সূর্যের উদয় হবে

তখন কালেমা পড়লেও মুসলমান হওয়ার সময় থাকবে না,এখনই সময়।

সবশেষে পবিত্র আল-কোরআনের বানী দিয়ে শেষ করছি

ভালো থাকবেন সবাই,শুভ সন্ধ্যা। -_-



'আমি যখন কোন বান্দার প্রতি অনুগ্রহ করিতে চাই

তখন তাকে তাহার পাপের পরিমানানুযায়ি রোগ-ব্যাধি দান করি।

তাহার গৃহে নানান প্রকার আপদ-বিপদ নাজিল করি

তাহার রুযী সংকীর্ণ করিয়া দেই

যেন গোনাহের কাফফারা হইয়া যায়।

ইহাতে যদি সে ধৈর্য ধারন করে

তবে সে সদ্যপ্রসূত শিশুর ন্যায় নিষ্পাপ হইয়া

আমার নিকট আগমন করে।

আর

যখন কাওকে মৃত্যুর পর বিপন্ন ও দুর্দশাগ্রস্ত করিতে চাই

তখন সে যে পরিমান নেককাজ করিয়াছে

তদানুযায়ি তাহাকে সুস্থ রাখি।

তাহাকে প্রচুর রিজিক প্রদান করি

তাহার গৃহে শান্তি বজায় রাখি।

ইহার পরও কোন নেক্ কাজ অবশিষ্ট থাকলে

তাহার মৃত্যু যন্ত্রণা লাগব করিয়া দেই।

অনন্তর সে নেকিহীন হইয়া শূন্যহস্তে আমার নিকট আগমন করে।'

_ #আল_কোরআন।



#ফেৎনা_বৃষ্টি

[http://goo.gl/EiDvbn]

[http://goo.gl/GJH2ic]



কৃতজ্ঞতাঃ আল্লামা মুফতী নাজিরুল আমিন রেজভী হানাফী ক্বাদেরী সুবহানী।

[http://razvia.com/huzur-qibla]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.