নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে চাই না, তবু লিখে যাই..

মুহাম্মাদ শরিফ হোসাইন

লিখতে চাই না, তবু লিখে যাই..

মুহাম্মাদ শরিফ হোসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার বাক‬,আমাদের গল্প

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২১

** কি বলবো?
'নিকষ আঁধারে দেশলাই জ্বেলে চেয়ে দেখি,আমার তো সবই ঠিক আছে -
ঘরদোর, বন্ধন; সবই আছে,শুধু তুমি নেই।'

বাংলার কবিতার ওয়েবসাইটে আমি কি পরিমান ভিজিট করি বলে বুঝাতে পারবো না,কাউন্টার লাগবে গুনতে। কারো মার্কেটিং করছি না,বাংলার কবিতার কাব্যমেলার এক ভাই-এর কবিতা'র কিছু অংশ উপরের পাঁচ লাইন,যিনি খুব সম্ভবত কাল সকালের আগেই আমাদের ছেড়ে 'শত-কবিতা'র কবিদের
ক্লাবে যোগ দিবেন। এখান থেকে বাঁকিটুকু পড়ে নিতে পারেন- [http://banglarkobita.com/poem/view/9886]
সামনে কখন সুযোগ পাই বলতে পারি কি পারি না কিংবা আরও পরে কেও সেঞ্চুরি করতে পারলে অথবা
কেও এই মাইল-ফলক অর্জনের জন্য আর যাই হউক এখনকার মতো এতোটা অকূলের তরী,দূরাশার কাণ্ডারির মতো সমাদৃত হবেন কি না আমার জানা নেই।এখনও পর্যন্ত 'শত-কবিতা'র ক্লাবে প্রয়োজনের চেয়ে বেশ কম কবিই আছেন।এই ভাইটা সেঞ্চুরি করলে আমাদের বাংলার কবিতার 'শত-কবিতা'ধারী কবি'র সংখ্যা কিংবা তারচেয়েও বেশী কবিতা যিনিদের আছে তাদের সংখ্যাটারও কোয়ার্টার সেঞ্চুরি হয়ে যাবে,প্রথম বারের মতো।

** তখন যেমন ছিলো
'উদ্দ্যেশ্য অচীনপুর,
আমি পৌঁছাব আমার লক্ষ্যে.....'
উপরের দুইলাইন লিখা,আমি যখন প্রথম-প্রথম কবিতা লিখতে শুরু করেছিলাম তখন এতোটা সুন্দর কোন দুইলাইনও আমার ছিলো না। একেবারে শেষ দিকের একজন -এর কথা বলছি,বাকে (বাংলার কবিতাকে আমার বাক ডাকতে ভালো লাগে) যার কবিতার সংখ্যা একটি। তার লেখাও আজ অনেকটাই পরিনত।ব্যাপার না ভাইয়্যা,হয়ে যাবে,লেগে থাকো। এই কবিতার বাঁকি অংশ এখানে- [http://banglarkobita.com/poem/view/10068]

** শুধু ভাবতে থাকি
'একদিনে কেউই আকাশসম হয়নি... হতে পারেনা ,
এক্কা দুক্কায় হয়ে যায় ,প্রয়াস করতে কেউ ছাড়ে না ।'
এই সব ভাই'রা উপরতলার মানুষ,কবিতা নিয়ে এক্কা-দুক্কা খেলতে খেলতে লিস্টে'র উপরেরে দিকেই আছেন।উনাদের সাহচর্যে আমরা কবি।তো আমরাই যদি উনাদের সাহচর্যে কবি হই (আমি না ঠিক,আমার মতো আরও অনেকে)বুঝেন,উনারা তাহলে কি...?

** যে কারনে এতোক্ষণ এতো কথা শুনালাম
নিজের সুযোগ হয়নি এখনো,তাই কোন এক ভাইকে অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাতে ইচ্ছে করলো,খুব সিম্পল।নিজের শুরুর দিকের কবিতাগুলো কবিতা হয়ে উঠেনি এখনো,তাই নতুনদের দেখে আরও প্রানবন্ত হচ্ছি। উপরতলার ভাইদের বই বের হয়,আমাদের নয় তাই তাদের সামনে আসার চেষ্টা করছি,ভেরী সিম্পল। স্বপ্ন দেখা হয় সেটা বাস্তব করার জন্যই,তবে অবশ্যই সেটা একদম সলিড পথে।নিজের অনুভূতিকে ভাষাজ্ঞান দিয়ে বিখ্যাত হতে চাইলে,আমার মতো অনেক প্রথমের সাথেই বাংলার কবিতা,অনেকের হৃদয়ে গেঁথে যাবে।কারো নাম নিয়ে উনাদের ছোট করার পক্ষের লোক আমি নই,বাংলার কবিতা'র অ্যাডমিন ভাই/বোন যারা আছেন,উনারা কি পরিমান শ্রম দিচ্ছেন,আমি সেটা কিছুটা বুঝি।অস্থির লেভেলে তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা ছাড়া আমার কাছে,উনাদেরকে দেয়ার মতো তারচেয়ে বড় কোন উপঢৌকন নেই।এগিয়ে চলুক সকল কবি,এগিয়ে চলুক বাংলার কবিতা।

** যে গল্প হয়নি বলা
'শীতকালীন কাব্য আড্ডা' (কবিতা পাঠ,আবৃতি ও আলোচনা) খুব সম্ভবত এই নামে 'বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে' আমাদের বাকে'র কবি,কলা-কুশলীদের একটি মিলন-মেলা হয়েছিলো চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ১৬ তারিখে।সেখানে যাওয়ার আগে,ছোট একটা গল্পের জন্ম হয়েছিলো-খুব অল্প কথায় বলছি,একটু খেয়াল করবেন।

যেকোন প্রোগ্রামে আসতে গেলে অন্য অনেকের মতো আমারও অন্যান্য কাজের কিছুটা ক্ষতি,ব্যাঘাত কিংবা বিড়ম্ভনা তৈরি করেই আসতে হয়।এমনিতে শুক্রবারে বিকেল তিনটা থেকে রাত ৯ টা অবধি আমার ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস থাকে।তো,আমাদের থিওরি পরীক্ষার আগেই (সেমিস্টার ফাইনাল) ল্যাব পরীক্ষাগুলো নিয়ে নেয়া হয় সবসময়,অন্য সব সেমিস্টারের মতো।সেই শুক্রবারে 'কম্পিউটার গ্রাফিক্স' সাবজেক্টের ল্যাব ছিলো বিকেল তিনটা থেকে,তার পরের পিরিওডে পরীক্ষা না থাকলেও ক্লাস ছিলো (সন্ধ্যা ৬ টা থেকে,ঐ ক্লাসটা নিয়ে মাথা ব্যাথা ছিলো না)।আগে থেকেই জানতাম যে,আর কিছু হউক না হউক অন্তত ঐ শুক্রবারের 'শীতকালীন কবিতা পাঠ,আবৃতি আর আলোচনা'তে আমার আসা হবে না।বাকের কাছের কিছু মানুষকে সেভাবেই জানিয়েও রাখলাম এই বিষয়ে।শুক্রবার আসতেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো,ভাবতে ভাবতে যে,অহু...যেতে পারবো না!
জুম'আ'র নামাজ পড়ে শিয়ালবাড়ি মোড়ের রাস্তা ধরে হাটতে হাটতে একটা কিছু করতে হবে চিন্তা করতে থাকলাম।খুব অবহেলায় সিগারেটে কয়েক টান দিতে দিতে বই-খাতা নিয়ে হাটতে লাগলাম।ভার্সিটির গেটে পৌঁছেই ভাবলাম,স্যারকে কিছু একটা বলে ম্যানেজ করে ফিরে যাবো প্রানের বাকের আড্ডায়।ক্লাসের দরজায় পৌঁছে,দরজাটা বাহির থেকে কয়েক ইঞ্চি ফাঁক করে,স্যারের মনোযোগ আকৃষ্ট করলাম,'স্যার,বেয়াদবি মাফ করবেন,একটু কথা ছিলো-যদি এদিকে একটু আসতেন?'স্যার আমার দিকে এসে গেলে বললামঃ স্যার গত কয়েকদিন ধরে আমার আম্মু ল্যাবাএইডে ভর্তি আছে,আমি দিন-রাত ওখানেই থাকতে হয় ইদানিং।স্যার,আমি জানি আজকে আপনার ল্যাব পরীক্ষা,তাও আপনার কাছে বলতে এসেছি-যদি আপনি আমাকে যাওয়ার অনুমতি দেন! স্যার বরফের মতো গলে ঠাণ্ডা গলায় বললেন-'বোকা এই জন্য কি মা'কে ফেলে আসতে হয় নাকি?'আমি বিনম্র সালাম দিয়ে মন খারাপের ভঙ্গিতে 'জী স্যার' বলতে-বলতে বিদায় নিলাম।পুরো ১৩ তম ইনটেক তাকিয়ে রইলো আমার দিকে।

আড্ডায় এসে এক ভাইকে বললাম,'ভাই আজতো মা'কে বিক্রি করে দিলাম!' ভাইকে পরে খুলে বললাম,উনি বললেন-মা'কে বলে দিয়েন,ক্ষমা চেয়ে নিবেন।
খুব খারাপ লাগছে।আমি বলেছি,আমার মা অসুস্থ!মনকে বুঝালাম,যাকে ভালোবাসি তাকে প্রান উজার করেই বাসি।যাকে ভালবাসি সবচেয়ে বেশি,সে মা ছাড়া আর কেও না,তাকেই- ছি..ছি!!!কি করলাম,কেন মিথ্যা বললাম।পরক্ষণেই মাথায় আসলো,না যাই করেছি খুব খারাপ কিছু করি নাই।মানুষের মা একজন হতে পারে,অথবা কয়েকজন হতে পারে।মানুষের মা,শুধু রক্ত-মাংসের মা।সো,যাই হউক আমার মা তো রক্ত-মাংস ছাড়া বর্ণ,শব্দ,বাক্য কিংবা কথা অনুভুতিতে গড়া মাও হতে পারে।আমার কয়েকটা মায়ের একটা মা না হয় এমনই হউক।তার জীর্ণতায় আমি জীর্ণ,তার শুদ্ধতায় আমি শুদ্ধ আবার তার অবধানেই আমি বিখ্যাত হবো।

আমার বাক,অফুরন্ত ভালবাসা।
বাক,আমার ইচ্ছের স্বাধীনতা
আমার অনুভূতির ষোলআনা ব্যাখ্যা।

** যা করবো অর আপনিও যা করতে পারেন

ফেব্রুয়ারি'র ১৩ তারিখ শুক্রবারে অথবা তার আগে-পরে অনেক বার,অনেক সময় ব্যায় করবো 'পূরোয়িতা'র সামনে-পিছে।উল্টে-পাল্টে দেখে আসবো আমাদের কাব্য-গ্রন্থ।বড় মিস করছি 'পূরোয়িতা' তোমাকে।আমি আসছি,অনেক দেরি করে।
যারা আমার মতো দেরি করে ফেলেছেন কিংবা কর্ম ব্যাস্ততায় এখনো আসতে পারেন নি,তাদের সাথে ধোঁয়া-উঠা এক-কাপ চা খাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছি আগামী শুক্রবার থেকে অনেক সময় ধরে।কি আসবেন?নিজেরাই বিক্রি করে-করে ছাড়িয়ে আসবো বইমেলার অন্যসব বই বিক্রির রেকর্ড,কি সাহস আছে তো,আসেন- অবশ্যই আসবেন,দেখা হবে।অন্নেক...অনেক ভালোবাসা-ভালোবাসা,সবাইকে।শুভ রাত্রি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.