![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গল্পটা সিফাত মুনতাহা সনির।
প্রবল বেগে ধাবমান ক্যানসারের ভয়াবহ বিস্তারের কথা বিশেষ করে আর বলার কিছু নেই, রাজা থেকে প্রান্তিক সকলের ক্ষেত্রেই ব্যাধিটা একদম মামুলি হয়ে গেছে আজকাল। আজ এর, তো কালকে ওর; হচ্ছে হবে ক্রমাগত এভাবেই। কিন্তু সারসত্যটা হচ্ছে এই যে, গুটিকয়েক বাদ দিলে বাকিদের কারোরই নেই এই ব্যয়বহুল ক্যানসারের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই করার আর্থিক সামর্থ্য। কিন্তু তাই বলে কি ক্যানসার-আক্রান্তরা ডাক্তার বা হাসপাতালের দ্বারস্থ হবে না, বাঁচার স্বপ্ন দেখবে না আর? আক্রান্ত হলেই কি ঘরের কোণে বসে দিন গুনতে হবে তার দুর্ভাগা মৃত্যুর? আমরা শুভাকাঙ্খীরা কি কেবল ফেসবুকে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার কিংবা একটা মঙ্গলকামী স্ট্যাটাস লিখে অলংকর্তা-সহমর্মী সেজে দায় ঘুচাবো আমাদের?
এ হতে পারে না নিশ্চয়ই! আমাদের আজ অাত্মপ্রত্যয়ে দ্বিধা নেই কোনো, আত্মপ্রসাদের হাঁড়িও টইটম্বুর আমাদের এযাবৎকালের প্রাপ্তিযোগে। আমরা আমাদের পরিমন্ডলে এই রকম আক্রান্তের জন্য সর্বস্ব নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছি বেশ কয়েকবার। সকলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশগ্রহণে আর্থিক জায়গাটায় উতরে গেছি আমরা প্রতিবারই। উতরাতে হবে আমাদের আরেকবার, প্রয়োজনে বারবার।
এবারের গল্পটা সিফাত মুনতাহা সনির। মাতাপিতা গত হয়েছেন বহু আগেই তার। যশোরের মেয়ে সনি কুষ্টিয়া ইসলামিক ইউনিভার্সিটির পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে। সে সুবাদে পরিচয় ও প্রণয়; পরে ২০১৫ সনে পরিণয়ে আবদ্ধ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ৩২তম ব্যাচের ছাত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছেলে অ্যাডভোকেট শাকিল আহাম্মদের সঙ্গে। বিবাহের বয়স মাত্র দুই বছর। এর মধ্যে গত অক্টোবরে সনির কোলজুড়ে এসেছে পুত্রসন্তান 'আবরার শানিল'। সন্তান-ভাগ্যের সাথে আবার এসেছে দশম জুডিসিয়াল সার্ভিস নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল, সহকারী জজ হিসেবে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ শাকিল। আবার ইতিমধ্যে পেয়ে গেছে শাকিল হাই কোর্ট বিভাগে ওকালতির সনদও।
চলছিল এভাবেই সনি-শাকিল দম্পতির সবকিছু, একেবারে স্বপ্নের মতো। এর মধ্যেই দুঃস্বপ্নের মতো আসে নিদারুণ খবরটা। সন্তান জন্মের দিন দশেকের মাথায় ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ ধরা পড়ে সনির শরীরে। শুরু হয় এই পরীক্ষা সেই পরীক্ষা, সকলের অগোচরেই। শেষমেশ নির্ণয় হয় অপয়া ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত সনি। তড়িঘড়ি করেই নিজেদের সীমিত সামর্থ্যে সিংগাপুরে গিয়ে চলে কেমোথেরাপি (ক্যানসারাক্রান্ত কোষকে ধ্বংস করতে অ্যান্টি-ক্যানসার ওষুধের প্রয়োগ) । কিন্তু ব্যর্থ হয় সে থেরাপি। ডাক্তাররা বললেন সনিকে বাঁচাতে হলে শীঘ্রই সনির Bone Marrow Transplant (ক্যানসারাক্রান্ত কোষের স্থলে সুস্থ কোষ প্রতিস্থাপন) করতে হবে, যার জন্য প্রয়োজন পড়বে দেড় থেকে দুই লাখ সিংগাপুরি ডলারের, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় নব্বই লাখ থেকে সোয়া কোটি টাকা!
কিন্তু এর মধ্যেই যে সর্বস্বান্ত সনি-শাকিল দম্পতি! আমাদের অধিকাংশের মতোই সামর্থ্যের থলি ছোট বলে সেখানে নিতান্ত যা ছিল তা ফুরিয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। কোটি টাকা তো দুঃস্বপ্নের মতোই তাদের কাছে! এমনকি এই টাকা অধরা আমাদের কাছেও, ব্যক্তিগতভাবে। কিন্তু আমাদের পরিমণ্ডলে থাকা কয়েক শ বা হাজার ব্যক্তি একাট্টা হলে সমষ্টিগতভাবে এই কোটি টাকা অধরা নয় মোটেও!
অস্বীকার করার জো নেই যে, আমরা হাত পেতেছি বারংবার। তবে আমরা এও জানি যে, দুরারোগ্য এই ক্যানসারে আক্রান্ত হলে পাততে হবে হাত আমার-আপনার প্রায় সকলেরই, যেমন করে আজ হাত পেতেছে শাকিল তার প্রিয়তমা স্ত্রী সনির জন্য; কালকে হয়তো সনির স্থলে হতে পারি আমি-আপনি যে-কেউ। এগিয়েও আসতে হবে আমাকে-আপনাকে-সকলকে ঠিক এই কারণেই। আর এভাবেই জয়ী হতে পারি আমরা সম্মিলিতভাবে এই মরণব্যাধি ক্যানসারের বিরুদ্ধে।
এটা মানছি যে, রোগ-বালাইয়ের যে-কোনো ফেসবুক-স্ট্যাটাসে লাইক বা কমেন্টের মাধ্যমে সহমর্মিতা প্রদর্শন করা যেতে পারে নিশ্চয়ই। এই স্ট্যাটাসের ক্ষেত্রেও হতে পারে তা হয়তো। তবে আজকে শুধু সহমর্মী হয়ে থাকার অবকাশ নেই, খরচটা যে বিশাল একটা অংকের! সে তুলনায় সময়টা নিতান্তই কম, হাতে আছে মাত্র একমাস। সুতরাং জরুরি ভিত্তিতে চাই সামর্থ্য অনুসারে প্রত্যেকের আর্থিক অংশগ্রহণ। আর তাহলেই কেবল লড়াইটা চালিয়ে যেতে পারে সনি-শাকিল দম্পতি, আর প্রবহমান থাকতে পারে ছয়মাস বয়সি শিশু শানিলের মাতৃস্নেহের ফল্গুধারা।
দেশবিদেশে আমাদের অনেক সচ্ছল বন্ধু আছেন; ফেসবুকে যুক্ত আছেন অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, অ্যাডভোকেট ও চাকরিজীবীসহ নানা শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিবর্গ; সকলের কাছে এই উদাত্ত আহ্বান- আসুন হাত বাড়াই আরেকবার ভাতৃত্ববোধে এবং এভাবেই সুদৃঢ় হোক আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধনের।
Bank Account: A/C Name- Md. Sakil Ahammad & Most. Sifat Muntaha Soni, A/C No- 110.151.0075448, Dutch Bangla Bank Ltd., Dhanmondi Branch, Dhaka. SWIFT Code- DBBLBDDH110.
বিকাশ নম্বর: ০১৭১৫ ৬৯৫২২২ (মো. শাকিল আহাম্মেদ, ব্যক্তিগত)।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩
স্বপ্ন ফানুস বলেছেন: সহমত।
এ্যডমিনদের দৃষ্টি আকর্ষণঃ এই পোস্ট টাকে পিনপোস্ট/ নোটিশবোর্ড দেওয়া হলে কৃতজ্ঞ হব ।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
খাদ্যে কেমিক্যাল, পরিবেশ নস্ট করায়, বাংলাদেশ হয়ে গেছে ক্যানসারের রাজধানী; এই রোগের চিকিৎসার জন্য বিদেশী ডাক্তার সমন্ময়ে ঢাকা ও অন্য শহরগুলোতে দরকারী হাসপাতাল করার দরকার দেশের প্রেসিডেন্টের তত্বাবধানে।