নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বদলাতে চাই নিজেকে...

স্বপ্ন ফানুস

বদলাতে চাই....

স্বপ্ন ফানুস › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমজানের স্মৃতিচারণ ২০১৮

০৩ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০

বহুদিন পর আজ অনেক চেস্টার পর লগ ইন করলাম। প্রায় একবছর হবে। যতদূর মনে পড়ে, গত রমজানে শেষ লগইন করেছিলাম । রমজান মাস টি আমাদের জন্য বড় একটি উপলক্ষ। ধর্মীয় আচার পালন ছাড়াও অর্থনৈতিক বিবেচনায় এই মাসটি আমাদের দেশ ও মানুষের জন্য অবশ্যই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তবে, আজ কোন গুরুগম্ভীর আলোচনার জন্যে লিখতে বসিনি। হঠাত করেই এই রমজান মাসকে ঘিরে নানা স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ভেবে দেখলাম গত দশটি বছর রমজানের বেশির ভাগ সময় কোথায় কাটিয়েছি তার একটা তালিকা করলে মন্দ হয় না।
১) রমজান, ২০০৯ সালঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারগ্রাড এর ছাত্র ছিলাম। রমজানের বেশির ভাগ সময় কেটেছে ক্যাম্পাসে। বেশির ভাগ দিনেই সেহরী করা হত না ঘুমের কারণে। ইফতার করতাম বন্ধুরা মিলে টিএসসির খোলা মাঠে!
২) রমজান, ২০১০ সালঃ যতদূর মনে পড়ে বেশিরভাগ দিন ই টিউশনি করতে করতে ইফতারের সময় হয়ে যেত। যেখানে থাকতাম সেখানেই ইফতার করতাম। বাসে বসে ইফতারীর সারার কথাও মনে পড়ে! আরও মনে পড়ে স্পেন ফুটবল ওয়ার্ল্ডকাপ জিতেছিল প্রথম বারের মত।
৩) রমজান, ২০১১ সালঃ মুহসীন হলের সিংগেল সিট পেয়ে গিয়েছি ততদিনে। বিশাল ব্যাপার! রুমে খাবার আনিয়ে রাতে খেতাম। আর সেহরীর সময় রহিম ভাই নামে এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধি ভাই খাবার রান্না করে নিয়ে আসত। আমি আর আমার বন্ধু রেজা একসাথে সেহরী করতাম। রহিম ভাই কথা ভুলতে পারিনি। তাকে যতবার দেখতাম ততবার লজ্জা পেতাম। দৃষ্টিশক্তিহীন একজন মানুষ নিজের কর্মসংস্থান নিজেই যোগাড় করত। কখনই সাহায্য চায়তে দেখিনি তাকে। পরিশ্রম আর সততা দিয়ে আমাদের মন জয় করে নিয়েছিল রহিম ভাই।
৪) রমজান, ২০১২ সালঃ সুদীর্ঘ বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষপ্রান্তে। রমজান শুরু হবার আগেই হলের রুম ছেড়ে দিলাম। রাজাবাজার এ বাসা নিলাম। চাকুরী হয়নি আগেই বাসা নিয়ে বসে থাকলাম। কিছু জমানো টাকার উপর ভিত্তি করে একটা উদ্ভট সিদ্ধান্ত ছিল। চাকুরী পেয়ে গিয়েছিলাম দ্রুত বলে তেমন বেগ পেতে হয়নি। তবুও অল্প সময়েই টাকার মূল্য হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলাম। তিথির কথা মনে পড়ে। বেশিরভাগ দিন আমরা ইফতার করতাম বিভিন্ন রেন্তরাতে। কখনও মিরপুর-১০ এর মোড়ে, কখনও ধানমন্ডি-৭ এর মোড়ে ..কত শত জায়গাতে আমরা ঘুরতাম তার কোন হিসাব নেই। বেশির ভাগ দিনেই তিথি বিল দিয়ে দিত আর বলত টাকা হলে ফেরত দিয়ে দিও কিন্তু! নির্লজ্জের মত তাকিয়ে থাকতাম আমি ওর চোখের দিকে। এখন হাতে অনেক টাকা আছে। কিন্তু তিথি নেই...সোনালী সময় টাকা দিয়ে কেনা যায় না। ভালবাসার হিসাব নিকাশ অর্থনীতির সূত্র দিয়ে নির্ধারণ করা যায় না..কখনই না।
(চলবে)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: "সোনালী সময় টাকা দিয়ে কেনা যায় না।" কথাটি একদম ঠিক।
আর তিথির পরিচয় আরেকটু হলে ভালো হত।

২| ০৩ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: প্রাপ্তি নাকি শাস্তি..
লিখেছেনস্বপ্ন ফানুস,
০৩ রা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩


আপনি কি পোস্ট দিয়েই ডুব মারবেন??

৩| ০৩ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: যদিও চলবে লিখেছেন তারপরও কৌতূহল জাগছে- তিথির কী হল?

৪| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: দিনশেষে সবাই আপনার কাজের ফলাফল দেখতে চায়। আপনি হোচট খেলেন কী না, দিনের মধ্যভাগে আপনার মাথায় বাজ পড়লো কী না, তা কেউ দেখবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.