![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিদেশের মাটিতে রমজানের কোন গন্ধ পাওয়া যায় না। মানুষের কর্মঘন্টার কোন পরিবর্তন নেই। তবুও মোবাইল এ্যাপ, বাঙলা অনলাইন পত্রিকা আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাদে রমজানের রেশ আমাদের মাঝে চলেই আসে। মনে পড়ে যায় রমজানের হাজারো স্মৃতি। যখন ছাত্র ছিলাম, রমজানের বেশিরভাগ রাতই নির্ঘুম কেটে যেত। সেহরির আগে আসত কড়া ঘুম! সত্য বলতে কি..অনেক দিন সেহরি করেই ঘুমিয়ে পড়তাম। ফজরের নামায টাও বাদ যেত অনেকদিন! আজ বহুদিন পর এসে একটি প্রশ্ন মনে আসে....ধর্মীয় এসব আচার আসলেই আমাদের ভেতরে কোন দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে কী? উত্তর দেয়া শুধু কঠিন নয়, প্রায় অসম্ভব। আপেক্ষিক বিষয়ে একতরফা উত্তর পাওয়া কঠিন। তবে, বিদেশের মাটিতে নানান দেশের মানুষ, ধর্ম, আচার-আচারণ দেখে এ বিষয়ে একটু মন্তব্য করা যেতেই পারে। অতি-উন্নত জীবন মানসম্পন্ন এ দেশে ধর্মটাকে একটি গৌণ আচার বলে মনে করা হয়। অর্থ্যৎ, ব্যক্তি জীবনের বাইরে ধর্মীয় কোন আচার প্রায় অনুপস্থিত। আপনি চাইলে ধর্ম পালন করতে পারেন আবার, নাও করতে পারেন। তবে, আপনার ধর্মীয় আচার যেন কোন ভাবেই অন্যদের কোন সমস্যার সৃষ্টি না করে। আমার নিজের ধর্মপালনের ব্যাপারটি চিন্তা করে লজ্জা পেয়ে যায়। রমজান মাস এলেই আমি বা আমরা যেভাবে সংযমের বাধঁ ভেঙে ভোগ ব্যয় বাড়িয়ে তুলি-তা রীতিমত এদেশে অবিশ্বাস্য। রোজা থেকে একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার সংযম ছাড়া আর সব কিছুতেই আমরা বাধনহারা হয়ে পড়ি। খাবারের সেই সংযমটাও অবশ্য ইফতার আর সেইরী পার্টির তোড়ে উড়ে যায়!
এর পর আছে, ইদের শপিং, শো-অফ, ভ্যাকেশন পার্টি আরো হরেকরকম উপলক্ষ যেখানে সংযম মানেই বালাই ষাট! যাই হোক, রমজানের রোজা আমাদের জন্য একটি দারুণ সংযমের উপলক্ষ হলেও পারতপক্ষে তা খুব কমই আমাদের মনে আচড় কাটতে পারে। তা না হলে, আমাদের দেশেই রমজান মাসে অন্তত দুর্নীতি, ভেজাল এসব কম হত। বাস্তবতা হল রমজান মাসেই এগুলো বেড়ে যায় বহুগুন।
যায়হোক, আজই পেপারে দেখলাম, যশোরে চায়ের দোকানদারের স্ত্রী দুই সন্তান সহ আত্নহত্যা করেছেন। বলা হয়েছে, ইদ উপলক্ষে নতুন কাপড় দেয়াকে কেন্দ্র করেই এই দূর্ঘটনা। এভাবেই, আমাদের সমাজের ধর্মীয় আচারকে অনাচারে পরিণত করেছি আমরা। সুদের কারবারে এসব চায়ের দোকানীরা বড় অসহায়। তাদের ঋণের বোঝা পুন:তফশীল হয়না করা যায় না। করা যায় যারা, উচু শ্রেণির স্বঘোষিত ঋণখেলাপিদেরকে...বাই দ্যা ওয়ে, ওনারাও কিন্তু রোজা রাখেন, ঠিক যেমন টি রেখেছিলেন চায়ের দোকারীর স্ত্রী।
২| ০৩ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:২৬
সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: বিদেশে আপনার রোজা আর ঈদ ভালো কাটুক এই কামনা করি , লেখার শেষ এসে মন খারাপ হয়ে গেলো , আমাদের দেশটা যে কবে একটি মানবিক দেশ হবে কে জানে !!!
৩| ০৩ রা জুন, ২০১৯ রাত ১০:২৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কঠিন সত্য উপলদ্ধি!
সিয়ামের অন্ধ কর্পোরেট পালন ছাড়া আর কি বলা যায়!
এক শ্রেণীর আলেমের রোজার মাসে খাবারের কিসেব নাই জাতীয় উদ্ভট ফতোয়া,
সংযমের বদলে বরং ভোগের প্রবণতা, সঞ্চয়ের মাধ্যমে দরিদ্রদের জন্য সহানুভূতির যে আবেগ তাই সৃষ্টি হয়না খাবারের আধিক্যে!
ফলে ফিতরা হয়ে পড়ে কেবলই আনুষ্ঠানিকতা!
আর শেষর দু:কজনক সংবাদের মতো অসংখ্য অপ্রকাশিত খবর গোপনই রয়ে যায়!!!!
আমাদের চেতনা ফিরে আসুক। রমজান হোক প্রকৃত সংযমের শিক্সায় আলোকিত!
আমার সামান্য এক ভাবনাকেই টেনে দেখেছি- এক বেলা খাবার সাশ্রয়ে নূন্য ৫০ টাকা সেভ হবার কথা।
এ অনুপাতে জন প্রতি মাসে ১৫৫০ টাকা! ১৬ কোটির দেশে যদি সক্ষম পূর্নবয়স্ক মুসলমান ৫ কোটিও ধরি
সঞ্চয়ের পরিমান দাড়ায় সাতশত পঞ্চাশ কোটি টাকা! দারিদ্র বিমোচনে মনে হয় অংকটা কম নয়!
আমাদের আরেম সমাজকে আগে বদলাতে হবে। তবে হয়তো ধর্মের প্রকৃত চর্চা সম্ভব।
৪| ০৪ ঠা জুন, ২০১৯ ভোর ৬:১৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিদেশে রোজা তেমন কঠিন কিছু না।
রাখলেই রাখা যায়।
ইফতারের জন্য চিন্তা করতে হয় না।
প্রতি মসজিদে ফ্রী ইফতার। প্রায় ১০ ডলারের সমমানের ভাল ইফতার। মসজিদ ফান্ডে বড় ডোনেশনের অভাব নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: প্রবাসীরা অন্ততপক্ষে রোজার মাসটা দেশে চলে এলো ভালো হয়। পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ করে তারপর গেলো।