নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশা ব্যবসা ও চাকরি। জ্ঞানভিত্তিক জীবনদর্শনে বিশ্বাসী। নির্জনে ও নীরবে প্রকৃতির নৈসর্গিক রূপ উপভোগ করতে ভালোবাসি। বই পড়তে, ভ্রমণ করতে, একলা চলতে এবং জটিল চরিত্রের মানুষ থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করি। –এম. জেড. ফারুক

এমজেডএফ

কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী

এমজেডএফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশ-বিদেশের আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব ১ - সান্তা লুসিয়া

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯


সেন্ট লুসি দিবস (), যাকে সেন্ট লুসি-এর উৎসবও বলা হয়—ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের জন্য একটি বিশেষ দিবস। এই উৎসবটি রোমের শাসক ডায়োক্লেস্টিয়ানিকের নির্যাতনের কারণে তৃতীয় শতাব্দীতে শহীদ সেন্ট লুসিকে স্মরণ করে ১৩ ডিসেম্বর পালিত হয়। কিংবদন্তি অনুসারে রোমান শাসনামলে সেন্ট লুসি ক্যাটাকম্বসে (ভূগর্ভস্থ কবরস্থান ও উপাসনার স্থান) মোমবাতি জ্বালানো পুষ্পস্তবক ব্যবহার করে ক্যাটাকম্বসে লুকিয়ে থাকা খ্রিস্টানদের কাছে "খাদ্য এবং সহায়তা নিয়ে এসেছিলেন"। এই উৎসবটি ক্যালেন্ডার সংস্কারের আগে বছরের শীতকালীন সময়ের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত দিন ১৩ ডিসেম্বর (জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে) পালন হয়েছিল। তাই এই দিবসটি পরবর্তীতে খ্রিস্টীয় আলোর উৎসবে পরিণত হয়েছে। সেইসাথে সেন্ট লুসি দিবসকে ক্রিসমাস ডের আগমনের পূর্ববর্তী সংকেত হিসাবেও গ্রহণ করা হয়।

সেন্ট লুসি দিবসটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে উদযাপিত হয়। তবে এটি স্ক্যান্ডিনেভিয়াতে সবচেয়ে বেশি জাঁকজমক সহকারে উদযাপিত হয়। কারণ স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলোতে শীতকালে দীর্ঘ অন্ধকার থাকে। বিশেষ করে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে দিন সবচেয়ে ছোট এবং রাত সবচেয়ে দীর্ঘ হয়। বর্তমান গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে বছরের দীর্ঘতম রাত ২১ ডিসেম্বর হলেও অতীতের জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে এটি ছিল ১৩ ডিসেম্বর। তাই তাদের কাছে হাতে জ্বলন্ত মোমবাতি নিয়ে ধর্মীয় গান গেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঘুরে বেড়ানোর এই উৎসবটি অনেকটা এই বার্তাই বহন করে—'এখন থেকে আস্তে আস্তে অন্ধকার কমে যাবে, আলো বাড়বে'। সেন্ট লুসিকে স্ক্যান্ডিনেভিয়াতে বিশেষ করে নরওয়েজিয়ান, ডেনিশ এবং সুইডিশ ভাষায় সান্তা লুসিয়া বলা হয়। তাঁকে সাদা পোশাকে একজন মহিলা হিসাবে উপস্থাপন করা হয় (খ্রিস্টানের সাদা ব্যাপটিসমাল পোশাকের প্রতীক), কোমড়ে লাল ফিতা (তার রক্তের প্রতীক শাহাদাত) এবং তার মাথায় থাকে পুষ্পের সঙ্গে মোমবাতির মুকুট। নরওয়ে, সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের সুইডিশভাষী অঞ্চলগুলিতে গান গেয়ে সেন্ট লুসির পোশাক পরা মেয়েরা যে শোভাযাত্রা করে তা "বিশ্বব্যাপী অন্ধকার জুড়ে খ্রিস্টধর্মের আলো আনার প্রতীক" হিসাবে দেখা হয়। প্রোটেস্ট্যান্ট এবং ক্যাথলিক উভয় চার্চেই মেয়েদের সাথে ছেলেরাও মিছিলে অংশ নেয় এবং ক্রিসমাসের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন ভূমিকা যেমন সেন্ট স্টিফেনের ভূমিকা পালন করে। বলা হয়ে থাকে যে সেন্ট লুসি দিবসটি পুরোপুরিভাবে উদযাপন করা একজনকে দীর্ঘ আলো দিয়ে শীতের দীর্ঘ রাতগুলিতে বাঁচতে সহায়তা করবে। ইতালির লম্বার্ডি, এমিলিয়া-রোমগনা, ভেনেটো, ফ্রিউলি ভেনিজিয়া গিউলিয়া, ট্রেন্তিনো-অল্টো অ্যাডিজে, দক্ষিণে সিসিলি এবং ক্রোয়েশীয় অঞ্চলে সেন্ট লুসের প্রতি একটি বিশেষ ভক্তি অনুশীলন করা হয়। ডালমাটিয়ার উপকূলীয় অঞ্চল। হাঙ্গেরি এবং ক্রোয়েশিয়ার, সেন্ট লুসি দিবসে একটি জনপ্রিয় ঐতিহ্যের মধ্যে রয়েছে গমের শস্য রোপণ যা ক্রমে ক্রিসমাসে কয়েক সেন্টিমিটার উঁচু হয়ে জন্মের প্রতিনিধিত্ব করে।

সেন্ট লুসি

কিভাবে এ উৎসবের শুরু তার বিস্তারিত কোনো বর্ণনা নাই। তবে কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা ও তথ্যের ওপর ভিত্তি করে যতটুকু জানা যায় তাতে মনে করা হয় যে ৩য় শতাব্দীতে রোমান সম্রাটদের অত্যাচারের বলি হয়েছিলেন চির কুমারী সেন্ট লুসি ()। ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন কাহিনী অনুসারে, লুসি ২৮৩ সালের দিকে ইটালির সিসিলির সিরাকুসা শহরে ধনী ও সম্ভ্রান্ত পিতা-মাতার ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা ছিলেন রোমান বংশোদ্ভূত, তবে তিনি লুসির পাঁচ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন। লুসি এবং তার মাকে দেখাশুনা করার মতো কোনো অভিভাবক ছিলেন না। পরবর্তীতে লুসি একজন খ্রিস্টান সন্যাসীনী হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সে সময়ে রোমান সম্রাটরা নব্য খ্রিস্টানদের ওপর নির্যাতন চালাতেন। তাঁরা চাইতেন না মানুষ রোমান পৌরাণিক ধ্যান-ধারণা ত্যাগ করে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করুক। সেন্ট লুসি রোমান সম্রাট ডায়োক্লেটিয়ানের () অধীনে সন্ত্রাসের সময় ক্যাটাকম্বগুলিতে (সুরঙ্গ) লুকিয়ে থাকা খ্রিস্টানদের সাহায্য করার জন্য কাজ করেছিলেন। তাদের জন্য খাদ্য ও পানীয় সরবরাহের জন্য তাকে উভয় হাত মুক্ত রাখতে হবে। আবার একইসাথে অন্ধকারে পথ দেখার জন্য আলোও দরকার। তিনি নিজের মাথায় পুষ্পস্তবক দিয়ে মোমবাতি সংযুক্ত করে এই সমস্যার সমাধান করেছিলেন।


লুসির মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন রকমের গল্পের প্রচলন রয়েছে। তবে তাঁকে যে রোমান সম্রাট ডায়োক্লেটিয়ানের আমলে খ্রিস্টানদের ওপর চালানো অত্যাচারে জীবন দিতে হয়েছে এ ব্যাপারে কোনো মতভেদ নেই। ৩০৩ খ্রিস্টাব্দে বিশেষ করে সম্রাট ডায়োকলেটিয়ানের নির্দেশে খ্রিস্টানদেরকে ধরে এনে রোমান পৌরাণিক দেব-দেবীদের জন্য বলি দেওয়ার উদ্দেশ্যে রোমের কলোসিয়ামে () হিংস্র জীবজন্তুর সামনে ছেড়ে দিতেন। এভাবেই মাত্র ২৫ বৎসর বয়সে ১৩ ডিসেম্বর তারিখে চির কুমারী সেন্ট লুসিয়ার মৃত্যু হয়।

যেভাবে পালন করা হয়
এ উৎসবটি বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে পালন করা হয়। তবে স্ক্যান্ডানেভিয়ান দেশগুলোতে এ উৎসব প্রায় একইরকম। আমি এখানে সুইডেনের উৎসবের একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো।


Lucia শব্দটি ল্যাটিন যার অর্থ আলো। সুইডেনে এই ঊৎসবকে সংক্ষেপে 'লুচিয়া' বা 'লুসিয়া' বলা হয় এবং ১৩ ডিসেম্বর সকাল বেলা পালিত হয়। এই উৎসবের মূল চরিত্রের নাম 'সান্তা লুসিয়া'। সুইডেনে লুসিয়া উৎসবের মধ্য দিয়ে ক্রিসমাস উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়। তারিখটি যেহেতু ১৩ তাই অনেকে এই রাতটিকে বিপজ্জনক রাত হিসাবে মনে করে এবং অতিপ্রাকৃত শক্তির ধ্বংস থেকে নিজেদেরকে বাঁচাবার জন্য এই উৎসবটি পালন করে। মধ্যযুগে এই উৎসবটি শূকর জবাই করে সারা রাত জেগে ধর্মীয় লেবাসে পালন করা হতো। এখন নর্ডিক দেশগুলোতে যেভাবে লুসিয়া উদযাপন করা হয় তার সাথে ধর্মের খুব একটা সম্পর্ক নেই। এটি এখন কোনো সরকারি ছুটির দিন নয়। অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ সবকিছুতে স্বাভাবিক দিনের মতো কাজকর্ম চলে। কাজের পাশাপাশি একটা লম্বা বিরতিতে সবাই একসাথে বড় হলরুমে বসে এবং তখন লুসিয়া সেজে একটি মেয়ে মাথায় আলোর পাগড়ি পরে সঙ্গি-সাথীদের নিয়ে বিশেষ কিছু গান গাইতে গাইতে এখানে প্রবেশ করে। তারা এখানে কিছু পারফরমেন্স করে আবার একইভাবে গান গাইতে গাইতে চলে যায়। এটিই উৎসবটির মূল আকর্ষণ। এরপর সবাই মিলে বিশেষ কিছু খাওয়া-দাওয়া করে। উত্তর ইউরোপের এই দেশগুলোতে শীতের এই দিনে রাত খুবই বড় (প্রায় ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা)। দীর্ঘ অন্ধকারে মানুষ যখন ক্লান্ত তখন লুসিয়া তথা আলোর এই শোভাযাত্রা মানুষের মনে নতুন করে আলোর আশার সঞ্চার করে।


লুসিয়া উপলক্ষে সাফরান সহকারে তৈরি বিশেষ রুটি, একে সুইডিশ ভাষায় বলা হয় 'লুচিয়া কাট'।

সুইডেনের প্রতিটি জেলা শহরে প্রতি বছর লুসিয়া নির্বাচনের জন্য পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপণ দেওয়া হয়। আবেদনকারী সুন্দরী ও আকর্ষণীয় মেয়েদের থেকে একজনকে লুসিয়ার জন্য নির্বাচন করা হয়। তার সাথে সঙ্গ দেওয়ার জন্য আরো কয়েকজন মেয়েকেও নির্বাচিত করা হয়। উৎসবের আগে কয়েকদিন এদেরকে বিশেষভাবে নির্মিত পোশাক পড়িয়ে গান ও শোভাযাত্রার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। জেলা পরিষদ নির্বাচিত লুসিয়া দলটি উৎসবের দিন প্রথমে স্থানীয় গির্জায় গিয়ে প্রথম অনুষ্ঠানটি করে। তারপর বড় বড় সরকারি অফিস এবং উল্লেখযোগ্য স্থানগুলোতে তাদের শোভাযাত্রা নিয়ে প্রদক্ষিণ করে। আবার স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, অফিস এবং প্রতিষ্ঠানে নিজেদের মধ্য থেকে লুসিয়া নির্বাচন করেও এই উৎসবটি পালন করা হয়। সুইডেনের এই উৎসবটি দেশ-বিদেশের দৃষ্টি আকর্ষণের অন্যতম কারণ হচ্ছে নোবেল পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানটির আয়োজন হয় ১০ ডিসেম্বর। তাই ১৩ ডিসেম্বর বিভিন্ন দেশের অতিথি এবং নোবেল পুরস্কার বিজয়ীরা সুইডেনে থাকেন। এইসব বিশেষ অতিথিদেরকে হোটেলে গিয়ে লুসিয়া শোভাযাত্রার মাধ্যমে ঘুম থেকে জাগানো হয়। তাই অনেক নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের আত্মজীবনীতে লুসিয়া উৎসবের এই চমক বা বিস্ময়ের কথা উল্লেখ থাকে।



সান্তা লুসিয়া গানের কথা

Santa Lucia
Night walks with a heavy step
Round yard and hearth,
As the sun departs from earth,
Shadows are brooding.
There in our dark house,
Walking with lit candles,
Santa Lucia, Santa Lucia!

Night walks grand, yet silent,
Now hear its gentle wings,
In every room so hushed,
Whispering like wings.
Look, at our threshold stands,
White-clad with light in her hair,
Santa Lucia, Santa Lucia!

Darkness shall take flight soon,
From earth's valleys.
So she speaks
Wonderful words to us:
A new day will rise again
From the rosy sky…
Santa Lucia, Santa Lucia!

Ref: Click This Link

তথ্যসূত্র:
উইকিপিডিয়া, ইন্টারনেট, সুইডিশ টিভি

আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব ২ - ক্র্যাম্পাস ►

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আহা আমার প্রিয় বন লুশিয়া কাট।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৪

এমজেডএফ বলেছেন: সদ্য বানানো টাটকা বন লুশিয়া কাট তুলার মতো তুলতুলে হয়। খেতে অসাধারণ স্বাদ! সাথে জাফরানের নির্যাস মন জুড়িয়ে দেয়। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, সেইসাথে লুশিয়া কাটের মতো নরম শুভেচ্ছা :) রইলো।

২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১১

শের শায়রী বলেছেন: নতুন কিছু জানলাম। ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম ভাই।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৫

এমজেডএফ বলেছেন: ভাই, আপনার ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলাম। ভালো থাকুন।

৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৯

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: ভিন্ন সংস্কৃতি জানার আগ্রহ আমার প্রবল। আপনার লেখা পড়ে মুগ্ধ হলাম।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২১

এমজেডএফ বলেছেন: আমার লেখা পড়ে মুগ্ধ হওয়ায় অভিভূত হলাম! আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভিন্ন সংস্কৃতির ব্যতিক্রমধর্মী পালা-পার্বণ-উৎসব নিয়ে নিজের উৎসাহ থেকেই জানার চেষ্টা করছি। সেই সামান্য জানাটুকুই ব্লগের সবার সাথে শেয়ার করার ইচ্ছা থেকেই এই লেখা। ভালো থাকুন, আবার ব্লগে দেখা হবে।

৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




এমজেডএফ ভাই,
পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই যে দেশে বন রুটি নেই। এক এক দেশে এক এক স্বাদ। আপনি হয়তো জানেন বন রুটি আমার খুবই প্রিয় রুটি। সুইডিশ লুশিয়া আমি খেয়েছি। আপনাকে একটি তথ্য দেই পুরান ঢাকায় শবে বরাতের উপলক্ষ্যে বন রুটি তৈরি করে। তবে এই বন রুটি তৈরিতে সবচেয়ে ভালো রুটিটি তৈরি করে ষ্টার কাবাব এন্ড বেকারি।


১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৯

এমজেডএফ বলেছেন: মাহমুদ ভাই, তথ্যটি দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ষ্টার কাবাব এন্ড বেকারির এই বনরুটি সুযোগ হলে খেয়ে দেখবো, ইনশাল্লাহ।

৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: নতুন কিছু পেলাম না।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৫

এমজেডএফ বলেছেন: এটাতো আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব সিরিজের সবেমাত্র শুরু। এত বেশি খাইবার চান কেল্লাই! একটু অপেক্ষা করেন, এমন সব উৎসব-অনুষ্ঠানের ছবি দেবো দেখলে পিলে চমকে উঠবে :)। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৭

নীল আকাশ বলেছেন: লেখা ভালো লেগেছে।
সিরিজ চলুক। সময়ই পেলেই পড়ে যাবো।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৩

এমজেডএফ বলেছেন: শত ব্যস্ততার মাাঝেও মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সময় বেশি লাগলেও সিরিজ চালিয়ে যাবো।

৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় এমজেডএফ ভাই,

একই পোষ্টে দ্বিতীয়বার মন্তব্য করাটা বেশ বিরক্তিকর। গতকাল একটি যুৎসই কমেন্ট লিখলাম। কিন্তু প্রকাশ করতে গিয়ে দেখলাম লাপাত্তা। একটা চিন্তা-ভাবনা রেজাল্ট যদি শূন্য হয়ে যায় তাহলে মুড অফ হওয়াটা স্বাভাবিক।

ভিন্ন স্বাদের সান্তা লুশিয়া আচার-অনুষ্ঠানের নিয়ম নীতি ও উৎপত্তি রহস্য পড়ে ঋদ্ধ হলাম। ভাবা যায় না! একটা ২৫ বছরের মেয়েকে যেভাবে হিংস্র পশুর খাবারে পরিণত করা হয়েছিল। কলোসিয়াম যে কত মানুষকে এভাবে শেষ করেছে তার ইয়াত্তা নেই।
তবে সান্তা লুশিয়া অনুষ্ঠানের সঙ্গে নোবেল অনুষ্ঠানের সংযুক্তিটা বেশ আকর্ষণীয় লাগলো।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় এমজেডএফ ভাইকে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৯

এমজেডএফ বলেছেন: একই তিক্ত অভিজ্ঞতা আগে আমারও হয়েছিল। ব্লগের এডিট অপশনটি খুবই অস্থির প্রকৃতির! তাই আমি বড় ধরনের লেখা অন্য এডিটরে লিখে কপি-পেস্ট করে ব্লগে প্রকাশ করি।

অনেকদিন আগে থেকে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জাতি, ধর্ম এবং উপজাতির বিচিত্র সব আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসবের তথ্য সংগ্রহের একটা ইচ্ছা ছিল। ভাবলাম ব্লগে বেশি কিছু লেখার সময় হয় না। তাই হালকা বিষয় নিয়ে পোস্ট দিয়ে সময় নষ্ট না করে, আমার এই প্রজেক্টটি চালু করলাম। আমার সংগ্রহও হলো, আবার তা ব্লগেও সবার সাথে শেয়ার করতে পারলাম। এ ব্যাপারে আরো কিছু বই-পুস্তক সংগ্রহ করতে হবে। শুধু ইন্টারনেটের ওপর নির্ভর করে বেশি কিছু লেখা সম্ভব নয়। সময় একটু বেশি লাগলেও এটা চালিয়ে যাবো আশা করি। সংগ্রহ আশানুরুপ হলে ভবিষ্যতে বই আকারেও প্রকাশ করা যাবে।

সুইডেনে নোবেল বিজয়ীদের যে প্রটোকল দেওয়া হয় তার মধ্যে লুসিয়া শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাঁদেরকে ঘুম থেকে জাগানোও অন্তর্ভুক্ত! সকালবেলা লুসিয়া শোভাযাত্রার সময় হোটেলের বড় বড় লাইলগুলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। সুইডেনে শীতকালে সকাল ৭টা পর্যন্ত অন্ধকার থাকে। তখন পরিবেশটা অনেকটা এরকম হয়—আকাশ থেকে অস্পরী পরীরা মর্ত্যে নেমে এসে গানের সুরে সুরে রাজপুত্র-রাজকন্যাদের ঘুম ভাঙাচ্ছে! কলোসিয়াম রোমান সাম্রাজ্যের ভালো ও মন্দ দুটিরই এক ঐতিহাসিক সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে।
প্রথমবার ব্যর্থ হয়ে আবার ২য়বার সময় নিয়ে মন্তব্যের জন্য অযুত-নিযুত ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩০

ইসিয়াক বলেছেন: নতুন কিছু জানলাম । লেখা ভালো লেগেছে।
শুভকামনা।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১১

এমজেডএফ বলেছেন: কবিতা লেখার শত ব্যস্ততার মধ্যেও সময় করে আমার লেখায় মন্তব্য করার জন্য অফুরন্ত শুভেচ্ছা।

৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রাচীণ যে কোনও কিছুতেই আমার আগ্রহ অত্যন্ত প্রবল। সেটা হোক প্রাচীণ কোন স্থাপনা কিংবা রীতি-রেওয়াজ, আচার অনুষ্ঠান। আপনার লেখা থেকে সেরকমই কিছু জানলাম। বৃটেনে এমন কিছু কখনও দেখিনি, কিংবা এখানে পালিত হলেও তেমন কোন আনুষ্ঠানিকতা হয় না, সম্ভবতঃ।
অবশ্য আমাদের মুসলমানদের মতো ওদেরও অনেক রকমের পার্থক্য আছে তা বলাই বাহুল্য!

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫৮

এমজেডএফ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। এটা বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে পালন করে। তবে কোনো দেশেই তেমন একটা জাঁকজমকভাবে পালন করে না। শুধু সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড এ ধরনের আলোর শোভাযাত্রা করে পালন করে। আমার মনে হয়, এই দেশগুলোতে শীতকালে বেশিরভাগ সমময় অন্ধকার থাকে তাই ওদের কাছে আলোর শোভাযাত্রাটা এ সময়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

১০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫২

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। কৌতূহলোদ্দীপক কনটেন্ট,আমার আগ্রহমাফিক। পোস্টটা চোখ এড়িয়ে গেল কি করে বুঝলাম নাহ। সার্চ দিয়ে দেখবো।
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা জানবেন। পরের পর্ব(২) শীঘ্রই আসবে আশা করি।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:১৫

এমজেডএফ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার কৌতূহল ও আগ্রহ জেনে লেখার জন্য উৎসাহ পাচ্ছি। পরের পর্বের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ভালো থাকুন।

১১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
খুব সুন্দর একটি অনুষ্ঠান ও উৎসবের
কথা সচিত্র বিস্তারিতভাবে জানলাম ।
খুবই ভাল লাগল ।

শুভেচ্ছা রইল

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪৫

এমজেডএফ বলেছেন: দেরিতে হলেও পড়েছেন জেনে খুশি হলাম। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.