নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখ-দুঃখ, বেচি-কিনি..

তোমারে যা দিয়েছিনু-সে তোমারি দান,গ্রহণ করেছ যত-ঋণী তত করেছ আমায়

মাহমুদা সোনিয়া

"মানুষ আমি আমার কেন পাখীর মতো মন.." "জীবন একটাই যদি হেরে যাই বাঁচব না; আর যদি বেঁচে থাকি তবে কখনোই হারব না, সৃষ্টি করে যাব কবিতার মত সুন্দর এক জনপদ____ "

মাহমুদা সোনিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপারেশন সার্চলাইট পেরিয়ে এসেছিল যে স্বাধীনতা দিবস!

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

গণহত্যা ও জনযুদ্ধের সূত্রপাতঃ

২৫ শে মার্চ ১৯৭১! এক নরকসম সুদীর্ঘ-দুঃসহ রাত। এ রাতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী শুরু করে অপারেশন সার্চলাইট নামের নৃশংস গণহত্যাযজ্ঞ। এশিয়া টাইমসের, ভাষ্য অনুযায়ী ,



সামরিক বাহিনীর বড় বড় অফিসারদের নিয়ে বৈঠকে ইয়াহিয়া খান ঘোষণা করে "তিরিশ লক্ষ বাঙ্গালিকে হত্যা কর, তখন দেখবে তারা আমাদের হাত চেটে খাবে।" সে পরিকল্পনা মতোই ২৫শে মার্চের রাতে পাকিস্তানী আর্মি অপারেশন সার্চলাইট আরম্ভ করে যার উদ্দেশ্য ছিল বাঙ্গালি প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে দেয়া। এরই অংশ হিসাবে সামরিক বাহিনীর বাঙ্গালি সদস্যদের নিরস্ত্র করে হত্যা করা হয়, ছাত্র ও বুদ্ধিজীবী সমাজ নিধন করা হয় এবং সারা বাংলাদেশে নির্বিচারে সাধারণ মানুষ হত্যা করা হয়।



তৎকালীন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পত্রিকা থেকে অনুমান করা যায়, এই অপারেশনে প্রায় ১ লক্ষ্য হত্যা করা হয়।

"According to New York Times (3/28/71) 10,000 people were killed; New York Times (3/29/71) 5,000-7,000 people were killed in Dhaka; The Sydney Morning Herald (3/29/71) 10,000 – 100,000 were killed; New York Times (4/1/71) 35,000 were killed in Dhaka during Operation Searchlight."



যদিও হত্যাকাণ্ডের খবর যাতে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে না পৌঁছায় সে লক্ষ্যে ২৫ মার্চের আগেই বিদেশী সাংবাদিককে ঢাকা পরিত্যাগে বাধ্য করা হয়। তারপরও সাংবাদিক সাইমন ড্রিং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় অবস্থান ক'রে ওয়াশিংটন পোস্টের মাধ্যমে সারা পৃথিবীকে এই গণহত্যার খবর জানিয়েছিলেন। যদিও এই হত্যাযজ্ঞের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল ঢাকা, বাঙালি হত্যা পুরো দেশজুড়ে চালানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের আবাসিক হলগুলো ছিল তাদের বিশেষ লক্ষ। একমাত্র হিন্দু আবাসিক হল - জগন্নাথ হল পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এতে ৬০০ থেকে ৭০০ আবাসিক ছাত্র নিহত হয়। যদিও পাকিস্তান সেনাবাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ধরনের ঠান্ডা মাথার হত্যাকান্ডের কথা অস্বীকার করেছে তবে হামিদুর রহমান কমিশনের মতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্যাপক শক্তি প্রয়োগ করেছিলো। জগন্নাথ হল এবং অন্যান্য ছাত্র হলগুলোতে পাকিস্তানীদের হত্যাযজ্ঞের চিত্র ভিডিওটেপে ধারণ করেন তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তান ইউনিভার্সিটি অব ইন্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনলজি (বর্তমান বুয়েট) এর প্রফেসর নূরুল উলা। পুরো বাংলাদেশেই হিন্দু এলাকাগুলো বিশেষ ক্ষতির সম্মুখীন হয়। মধ্যরাতের আগেই, ঢাকা পুরোপুরি জ্বলছিল, বিশেষভাবে পূর্ব দিকের হিন্দু প্রধান এলাকাগুলো। ২রা আগস্ট, ১৯৭১ টাইম সাময়িকীর প্রতিবেদন অনুযায়ী, "হিন্দু,যারা মোট রিফিউজিদের তিন-চতুর্থাংশ, পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর ক্রোধ ও আক্রোশ বহন করছিল"।



অপারেশন সার্চলাইট (Operation Searchlight)



পৃথিবীর ইতিহাসে কুখ্যাত এক জেনোসাইডের নাম 'অপারেশন সার্চলাইট! অত্যন্ত সুনিপনভাবে- ঠাণ্ডা মাথায় পাক সামরিক নেতারা এর পরিকল্পনা করেছিল। ২২ ফেব্রুয়ারি সামরিক নেতাদের সাথে এক বৈঠকে মেজর জেনারেল খাদিম হসাইন রাজা এবং মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী মূল পরিকল্পনা তুলে ধরে। বাঙালি নিধনের নীলনকশার পরিকল্পনা শেষ করেই, শেখ মুজিবের সাথে, ভুট্টো আর ইয়াইহা একটি লোকদেখানো বৈঠকও করে।



''The plan was drawn up in March 1971 by Maj.Gen. Khadim Hussain Raza and Maj.Gen. Rao Farman Ali, as a result of a meeting between Pakistani army staff on the 22nd of February. Senior Pakistani officers in East Pakistan who were unwilling to support any military attack on civilians, Lt.Gen. Shahabzada Yakub Khan, GOC East Pakistan, and the governor Vice Adm. Ahsan, were relieved of their duties. As a replacement of these two officials, Lt.Gen. Tikka Khan was made both the Governor and GOC of East Pakistan.



On March 17, Gen. Khadim Hussain Raza was given the go ahead to plan for the crackdown via telephone by Gen. Hamid, COS Pakistan Army. On the morning of March 18, Gen. Raza and Maj.Gen. Rao Farman Ali put the details to paper at the GOC’s office at Dhaka cantonment. The plan was written on a light blue office pad with a lead pencil by Gen. Farman containing sixteen paragraphs spread over five pages.''



Operation Searchlight : The Background of 25th March Genocide



১৯৭১সালে ২৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত পরিকল্পিত গণহত্যা, যার মধ্যমে তারা ১৯৭১ এর মার্চ ও এর পূর্ববর্তী সময়ে সংঘটিত বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে দমন করতে চেয়েছিল।এই গণহত্যা ছিল পশ্চিম পাকিস্তানী শাষকদের আদেশে পরিচালিত,যা ১৯৭০ এর নভেম্বরে সংঘটিত অপারেশন ব্লিটজ্‌ এর পরবর্তি অনুষঙ্গ।





দ্যা মাডারারস!!

অপারেশনটির আসল উদ্দেশ্য ছিল ২৬ মার্চএর মধ্যে সব বড় বড় শহর দখল করে নেয়া এবং রাজনৈতিক ও সামরিক বিরোধীদের এক মাসের ভেতর নিশ্চিহ্ন করে দেয়া। বাঙালিরা তখন পাল্টা প্রতিরোধ সৃষ্টি করে,যা পাকিস্তানী পরিকল্পনাকারীদের ধারণার বাইরে ছিল। মে এর মাঝামাঝি সময়ে সকল বড় বড় শহরের পতন ঘটার মধ্যে দিয়ে অপারেশন সার্চলাইটের প্রধান অংশ শেষ হয়। এই সামরিক আক্রমণ ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে তরান্বিত করে। এই গণহত্যা বাঙালিদের ক্রুদ্ধ করে তোলে যে কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হয় এবং বহু মানুষকে শরণার্থী রূপে ভারতে আশ্রয় নিতে হয়।



এই ভয়াবহ গণহত্যা ১৯৭১ এর ইন্দো-পাকিস্তান যুদ্ধকে ত্বরান্বিত করার পিছনের একটি বড় কারণ,যার ফলে বাঙালি মুক্তিবাহিনী দখলদারী পাকিস্তানী বাহিনীকে বিতারিত করার যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং এর ফলাফল স্বরূপ পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ কমান্ড "মিত্র বাহিনী" এর কাছে বিনাশর্তে আত্মসমর্পণ করে।



পরিকল্পনা পদ্ধতি



২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১ এ পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর এক বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবনার ভিত্তিতে মার্চের শুরুতে ১৪তম ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল খাদিম হুসাইন রাজা এবং মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলি অপারেশনের মূল পরিকল্পনা তৈরি করেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পশ্চিম পাকিস্তানের কোয়েতা হতে ১৬তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন এবং খরিয়ান থেকে ১৯তম ডিভিশনকে ফেব্রুয়ারীর মাঝামাঝি সময়ে পূর্ব পাকিস্তানে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়ার আদেশ দেয়া হয়।



পাকিস্তানের উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা পূর্ব পাকিস্তানের জিওসি লে জেনারেল সাহেবজাদা ইয়াকুব খান এবং পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ভাইস অ্যাডমিরাল এস এম আহসান পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ জনগণের উপর সামরিক হামলার বিরোধী ছিলেন বলে অপারেশনের পূর্বেই তাদেরকে দায়িত্ব হতে অব্যাহতি দেয়া হয়। লে জেনারেল টিক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও জিওসি করে পাঠানো হয়। মার্চের ১৭ তারিখ পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সিওএস জেনারেল হামিদ টেলিফোন করে জেনারেল রাজাকে অপারেশনের পরিকল্পনা করার দায়িত্ব প্রদান করেন। ১৮ মার্চ সকালে ঢাকা সেনানিবাসের জিওসি কার্যালয়ে বসে জেনারেল রাজা এবং মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলি অপারেশনের পরিকল্পনা তৈরি করেন। পরিকল্পনাটি জেনারেল ফরমান নিজ হাতে হালকা নীল রঙের একটি অফিস প্যাডের ৫ পাতা জুড়ে লিড পেন্সিল দিয়ে লিখে নেন।





দ্যা মাডার!



জেনারেল ফরমান অপারেশনের সিদ্ধান্ত, এবং সাফ্যলের শর্ত ইত্যাদির সীমা তৈরি করেন এবং জেনারেল খাদিম সেনাদলের স্থান বিতরন, বিভিন্ন ব্রিগেড ও ইউনিটের উপর সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব বন্টন ইত্যাদি কাজ তদারকি করেন। এটা ধারণা করা হয় যে বাঙালি সেনারা অপারেশনের শুরুর সময় বিদ্রোহ করবে, তাই পরিকল্পনাকারীরা প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সাথে আলাপকালে বাঙালি সৈন্যদের অপারেশনের পূর্বেই নিরস্ত্র করার এবং বাঙালি রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতারের প্রস্তাব দেন। 'অপারেশনের সব কিছুই নির্ধারিত হল।' - হাতে লিখিত পরিকল্পনাটি ২০ মার্চে আবার জেনারেল হামিদ এবং লে জেনারেল টিক্কা পর্যালোচনা করেন। জেনারেল হামিদ তাৎক্ষনিকভাবে বাঙালি সেনা ইউনিটগুলোকে নিরস্ত্র করার সিদ্ধান্ত নিলেও শুধুমাত্র ই পি আর, আর্মড পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনীদের নিরস্ত্র করার অনুমতি দেন। ইয়াহিয়া খান তার সাথে এক বৈঠকের সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেফতারের পরিকল্পনাকে প্রত্যখ্যান করেন। পুণঃনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুমোদন করা হয় এবং বিভিন্ন এলাকার কমান্ডারদের কাছে বিতরন করে দেয়া হয়।



অপারেশন শুরু হয় ঢাকায় ২৫ মার্চ রাতের শেষ প্রহরে এবং অন্যান্য গ্যারিসনকে ফোন কলের মাধ্যমে তাদের জিরো আওয়ারে (অপারেশন শুরুর পূর্বনির্ধারিত সময়) তাদের কার্যক্রম শুরু করার জন্য সতর্ক করে দেয়া হয়। ঢাকার সৈন্যদের কমান্ডে ছিলেন রাও ফরমান আলি এবং অন্যান্য সব স্থানের সৈন্যদের কমান্ডে ছিলেন জেনারেল খাদেম। জেনারেল টিক্কা এবং তার কর্মকর্তারা ৩১তম কমান্ড সেন্টারের সব কিছু তদারক করা এবং ১৪তম ডিভিশনের কর্মকর্তাদের সহযোগীতা করার উদ্দেশ্যে উপস্থিত ছিলেন।



Siddiq Salik এর বিখ্যাত বই “Witness to Surrender” থেকে OPERATION SEARCHLIGHT এর নীলনকশা সম্পর্কে যা আমরা জানতে পারি তা নিন্মরুপ।



গৃহিত সিদ্ধান্তসমূহ



পাকিস্তানী পরিকল্পনাকারিদের গৃহিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অপারেশনের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন অংশ এবং স্বশস্ত্র বাহিনীর যারা সামরিক শাষনকালে আওয়ামী লীগকে সমর্থন জুগিয়েছে তাদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়া। অপারেশনের সর্বোচ্চ সার্থকতার জন্য ধুর্ততা, চমকে দেয়া, প্রবঞ্চনা, এবং দ্রুতগতি ইত্যাদি বিষয়ের উপর জোড় দেয়া হয়। নির্বাধ এবং সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগের ক্ষমতা প্রদান করা হয়। সাধারণ জনবসতি এবং হিন্দু এলাকাগুলোতে অনুসন্ধান এবং আক্রমণের কর্তৃত্বও প্রদান করা হয়।



সাফল্যের নিয়ামকগুলো



১) সারা পূর্বপাকিস্তানে একযোগে অপারেশন শুরু করতে হবে।

২) সর্বোচ্চ সংখ্যক রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতা, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ এবং শিক্ষকদের গ্রেফতার করতে হবে।

৩) ঢাকায় অপারেশন ১০০% সফল হওয়া বাধ্যতামূলক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দখল এবং তল্লাশী করতে হবে।

৪) সেনানিবাসকে সুরক্ষিত রাখার প্রয়োজনে উন্মুক্ত ও সর্বোচ্চ ক্ষমতায় অস্ত্র ব্যবহারের কর্তৃত্ব প্রদান করা হয়।

৫) টেলিফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও টেলিগ্রাফ সহ সকল অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে।

৬) সকল পূর্বপাকিস্তানী (বাঙালি) সৈন্যদলকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেড়ে নিয়ে নিস্ক্রিয় করে দিতে হবে।

৭) আওয়ামী লীগের মনে ভূল ধারণা সৃষ্টি করে তাদের ব্যস্ত রাখার জন্য ইয়াহিয়া খান আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার অভিনয় করবেন। এমনকি ভুট্টো যদি আওয়ামী লীগের প্রস্থাবে রাজি হয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন, তবুও ইয়াহিয়া আলোচনা চালিয়ে যাবেন।




পরিকল্পনায় পূর্ব নির্ধারিত আক্রমণাত্মক অপারেশন পরিচালনার জন্য চিহ্নিত স্থানগুলো ছিল- ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর, রাজশাহী, রংপুর, সৈয়দপুর এবং সিলেট। এসব স্থানে পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্যদের সমাবেশ বেশি ছিল। পূর্বপাকিস্তানের অন্যান্য স্থানে অবস্থিত সৈন্যদল এবং প্যরা মিলিটারি বাহিনীরা তাদের নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে রয়ে যাবে এবং প্রয়োজন হলে অন্যান্য স্থানে প্রাথমিক অপারেশনের সময় শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে যোগ দেবে। ঢাকা সম্পুর্ন নিরাপদ হলে পাকিস্তানের ৯ম এবং ১৬তম ডিভিশনের সৈন্যরা শক্তিবৃদ্ধির জন্য বিমান যোগে ঢাকা চলে আসবে। যেসব শহরে বিমানঘাঁটি আছে(চট্টগ্রাম, সিলেট, যশোর, রংপুর, কুমিল্লা) সেসব শহরে সরাসরি ঢাকা থেকে সি-১৩০ (C-130) বিমান অথবা হেলিকপ্টার ট্রুপস এর মাধ্যমে শক্তি বৃদ্ধি করা হবে।



''The planned and designated centers of offensive operations under that plan were Dhaka, Khulna, Chittagong, Comilla, Jessore, Rajshahi, Rangpur, Saidpur and Sylhet areas, where West Pakistani army units were concentrated.

Although the plan did not specify the time needed to subdue East Pakistan, it was assumed that after the arrest of the political leadership and disarming of the Bengali military and paramilitary units, civilians could be terrorized into submitting to martial law within a week. Lt. Gen. Tikka Khan estimated that no resistance would remain after April 10.''


সূত্রঃ Operation Searchlight (The Dark Night of Bangladesh) - March 25



যদিও পরিকল্পনায় পূর্ব পাকিস্তানকে দমন করার জন্য কোন নির্দিষ্ট সময় বেধে দেয়া হয় নি, এটা ধারণা করা হয় যে রাজণৈতিক নেতাদের গ্রেফতার এবং বাঙালি সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীদের নিরস্ত্র করার পর সাধারণ জনগণদের ভয় দেখিয়ে এক সাপ্তাহের মধ্যে সামরিক শাষনের আওতাভূক্ত করা হবে। লে জেনারেল টিক্কা বলেন যে ১০ এপ্রিলের পর আর কোন বাধা বিপত্তি থাকবে না।



জেনোসাইড বিশেষজ্ঞ ও বিখ্যাত লেখক-গবেষক R. J. Rummel তাঁর বইতেও উল্লেখ করেন, বাঙালি নিধনের পাক বাহিনীর এই অপারেশন সার্চলাইট ছিল- পূর্বপরিকল্পিত নৃশংস গণহত্যা।

In East Pakistan (now Bangladesh) [General Agha Mohammed Yahya Khan and his top generals] also planned to murder its Bengali intellectual, cultural, and political elite. They also planned to indiscriminately murder hundreds of thousands of its Hindus and drive the rest into India. They also planned to destroy its economic base to insure that it would be subordinate to West Pakistan for at least a generation to come. This despicable and cutthroat plan was outright genocide.



পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানী সেনাদের বিন্যাস



১৪তম পদাতিক ডিভিশনই পাকিস্তানী সেনাদের একমাত্র ডিভিশন যাদের পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৭১ এর মার্চে ঘাঁটি ছিল। যেখানে সাধারণ নিয়ম অনুযায়ি তিনটে ব্রিগেড থাকার কথা, সেখানে এই ডিভিশনে চারটি পদাতিক ব্রিগেড ছিল। ৫৭তম পদাতিক বাহিনীকে(পশ্চিম পাকিস্তানী ব্রিগেডিয়ার জাহানবাজ আরবাব এর অধীনে) ঢাকায়, ৫৩তম পদাতিক বাহিনীকে(পশ্চিম পাকিস্তানী ব্রিগেডিয়ার ইকবাল শফির অধীনে) কুমিল্লায়, ২৩তম ব্রিগেডকে(পশ্চিম পাকিস্তানী ব্রিগেডিয়ার আবদুল্লাহ খান মালিকের অধীনে) রংপুরে এবং ১০৭তম ব্রিগেডকে(পশ্চিম পাকিস্তানী ব্রিগেডিয়ার এআর দুররানির অধীনে) যশোরে পাঠানো হয়। ব্রিগেডিয়ার এম আর মজুমদার নামের একজন বাঙালি ব্রিগেডিয়ার ছিলেন চট্টগ্রামের কমান্ডে। সাধারণ ভাবে প্রতি ব্রিগেডে ৩ থেকে ৪টি পদাতিক ব্যটেলিয়ন ও একটি ফিল্ড আর্টিলারী রেজিমেন্ট এবং আরো কিছু সাহায্যকারী অংশ থাকে।



এই চারটি ব্রিগেডে মোট ১২টি পদাতিক ব্যটেলিয়ন ছিল(প্রতি রেজিমেন্টে সাধারণত ৯১৫ জন সৈন্য থাকে) যেগুলোর সব গুলোতে ছিল শুধুমাত্র পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্যরা(প্রধানত পাঞ্জাব, বালুচ, পাঠান এবং সিন্ধিদেরই প্রাধান্য দেয়া হয়)। তাদের ২৫ মার্চের আগেই পূর্ব পাকিস্তানে নিয়ে আসা হয়। এই ডিভিশনের আরো ছিল ৫টি ফিল্ড আর্টিলারী রেজিমেন্ট, একটি হালকা এন্টি এয়ারক্রাফট রেজিমেন্ট, একটি কমান্ডো ব্যটেলিয়ন(৩য়), যেগুলোর সবগুলোতেই ছিল পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্যদের প্রাধান্য। রংপুরে অবস্থানরত ২৯তম অশ্বারোহী রেজিমেন্টই ছিল পুর্ব পাকিস্তানে অবস্থানরত একমাত্র স্বশস্ত্র মিশ্র(যেখানে বাঙালি সৈন্য ছিল) রেজিমেন্ট। ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর) এর প্রায় ২০% সৈন্য ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের, যেখানে বিভিন্ন ইউনিট এবং সেনানিবাসের সাহায্যকারী সৈন্যরা ছিল মিশ্র জাতীয়্তার। বেশিরভাগ ইউনিটের ইউনিট কমান্ডার এবং উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাগণ ছিল পশ্চিম পাকিস্তানী।



ঢাকা বিমান ঘাঁটিতে পাকিস্তানী বিমান বাহিনীর ২০টি এফ-৮৬ সাবের জেট এবং ৩টি টি-৩৩ প্রশিক্ষণ বিমান ছিল। সশস্ত্র বাহিনীর এক স্কোয়াড্রন ৪টি এমআই-৮ এবং ৪টি এলট-III হেলিকপ্টার পূর্ব পাকিস্তানে পাঠানো হয়। সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানকে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে অপারেশনের জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রংপুরের কাছাকাছি লালমনিরহাটে, সিলেটের কাছাকাছি সালুটি করে, যশোরে এবং ঠাকুরগাঁয়ের কাছে বিমানঘাঁটিগুলো স্থাপন করা হয়।



পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তান নৌবাহিনীর চারটি গানবোট (রাজশাহী, যশোর , কুমিল্লা এবং সিলেটে) একটি পেট্রোল বোট (বালাঘাট) এবং একটি পিএনএস জাহাঙ্গির নামে একটি ডেস্ট্রয়ার ছিল। পাকিস্তানী নৌবাহিনীর পিএনএস বাবুর নামের পতাকাবাহী জাহাজ অপারেশন শুরুর পর পূর্ব পাকিস্তানে আসবে। বেশির ভাগ নৌঘাঁটিই ছিল ঢাকা, চট্টগ্রাম ও মংলায়।



বিভিন্ন পদক্ষেপ



অপারেশনে নামার আগেই যাতে সংশ্লিষ্ট সব পাকিস্তানী ইউনিট কমান্ডার তাদের দায়িত্ব বুঝে নিতে পারে সেটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন ছিল অপারেশনর সার্চলাইটের পরিকল্পনাকারীদের। আর এই কাজটি করা দরকার ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় রেখে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের একত্রিত করা, অস্ত্রশস্ত্রের যোগান, পশ্চিম পাকিস্তান থেকে অতিরিক্ত সৈনিক পূর্ব পাকিস্তানে আনা, আঞ্চলিক সেনানায়কদের কার্যবিবরণী প্রদান- এই সব কিছুই করা প্রয়োজন ছিল কোন সন্দেহের উদ্রেক না ঘটিয়ে। ২৪ ও ২৫শে মার্চ পাকিস্তানী জেনারেলদের একটি দল হেলিকপ্টারে করে প্রধান প্রধান গ্যারিসনগুলো পরিদর্শন করেন এবং গ্যারিসন কমান্ডার ও অপারেশনের অন্যান্য সিনিয়র পাকিস্তানী কর্মকর্তাদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। এই দলের সাথে ছিলেন জেনারেল হামিদ, জেনারেল Mittha, কোয়ার্টারমাস্টার জেনারেল এবং প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার কর্নেল সাদউল্লাহ। জেনারেল ফরমানকে যশোরে পাঠানো হয়, জেনারেল খাদিম নিজে কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের গ্যারিসন কমান্ডারদের ব্রিফ করেন এবং ব্রিগেডিয়ার El-Edrus ও কর্নেল সাদউল্লাহ রংপুর সফরে যান।



সকল ক্ষেত্রে পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় ছিল। না জানলেই নয় এমন কিছু ক্ষেত্রে কেবল গুটিকয়েক লেফটেন্যান্ট কর্নেলকে বিস্তারিত জানানো হয়েছিল। কিছু বাঙালি কর্মকর্তা পাকিস্তানীদের ঘনঘন ব্রিফিং দেখে সন্দেহ করেছিলেন কিছু একটার, কিন্তু ব্রিফিং এ কি ঘটেছে সে সম্পর্কে আক্রমণের পূর্বে তাদের কোন ধারণাই ছিল না।



রসদপত্র ব্যবস্থাপনা



মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে মেজর জেনারেল কামার আলি মির্জা এবং ব্রিগেডিয়ার হ্যারিসন পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব আসেন রসদপত্র ব্যবস্থাপনার জন্য, মূল কারণ ছিল তখন অসহযোগিতার কার্যকলাপের কারণে সেনানিবাসগুলোতে খাদ্য সরবরাহ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছিল। অস্ত্রের মূল ভাণ্ডার ছিল ঢাকার অদূরে অবস্থিত রাজেন্দ্রপুরে এবং ৯০০০ টন অস্ত্র ও গোলাবারুদ চট্টগ্রামে এমভি সোয়াত নামের একটি জাহাজে খালাসের অপেক্ষায় ছিল।



সুতরাং জাহাজ থেকে রসদপত্র খুব দ্রুত খালাসের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। ততোদিনে ১৩ এফএফ এবং ২২ বালুচ ঢাকায় পৌঁছে গেছে, পাকিস্তান থেকে পিআইএ ফ্লাইট এ করে বিশেষ যাত্রীরা ঢাকায় আসতে শুরু করেছে। ২৯ পাকিস্তানীদের মূল উদ্দেশ্য ছিল সফলতা নিশ্চিত করতে ২৫ মার্চের আগেই পশ্চিম থেকে পুরো একটি ব্রিগেড পূর্ব পাকিস্তানে পাঠানো। ধীরে ধীরে সৈন্য ও রসদপত্র পাঠানোটা সেই মহাপরিকল্পনারই অংশ ছিল। পূর্বে আসা নতুন সৈনিকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অনেক নতুন নতুন ব্যবস্থা করতে হয়েছিল, সাপ্লাই ইউনিট এর বাঙালি সদস্যরা এটা বুঝতে পেরেছিল আগেই।



সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অদল বদল



সফলতা নিশ্চিত করার জন্য সামরিক বাহিনী বাঙালি কর্মকর্তাদের স্পর্শকাতর স্থানগুলো থেকে বদলী করে দিয়ে সেখানে পাকিস্তানী বাহিনী মোতায়েন করেছিল। পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থানরত দুটি পাকিস্তানী ইউনিট, ২৫তম পাঞ্জাব ও ২০তম বেলুচ, এর প্রত্যাবর্তন পিছিয়ে দেয়া হয়, তার ওপর ২৫ মার্চের আআগেই পশ্চিম থেকে ঢাকায় উড়ে আসে ১৩তম ফ্রন্টিয়ার ফোর্স ও ২২তম বেলুচ রেজিমেন্ট। গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য ২৫ মার্চের আগে পূর্ব পাকিস্তানের অন্য কোন গ্যারিসনে প্রথমেই অতিরিক্ত সৈন্য পাঠানো হয় নি।



ব্রিগেডিয়ার এম আর মজুমদার নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর গুলি বর্ষণে অস্বীকৃতি জানিয়ে এমভি সোয়াত এর মালামাল খালাসের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করলে তাকে ২৪ মার্চ তার পদ থেকে অব্যাহতি দেন জেনারেল খাদিম। তাকে এই বলে অব্যাহতি দেয়া হয়ে যে তার এখন জয়দেবপুরে গিয়ে ২ ইবিআর এর কাছে রিপোর্ট করতে হবে, তার বদলে ব্রিগেডিয়ার এম এইচ আনসারি চট্টগ্রাম এলাকার দায়িত্ব পান। মার্চের ২২ তারিখ ঢাকায় অবস্থানরত ৫৭তম ব্রিগেড এর ব্রিগেড মেজর মেজর খালেদ মোশাররফ কে বদলি করে কুমিল্লায় ৪র্থ ইবিআর এর ২আইসি হিসেবে পাঠানো হয়। ২৩ মার্চ ২য় ইবিআর এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মাসুদুল হাসানকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় এবং ২৫ মার্চ তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন লে. কর্নেল রকিবউদ্দিন।



অবশ্য পাকিস্তানীরা গণহারে বাঙালি কর্মকর্তাদের বদলি করা থেকে বিরত থেকেছিল, কারণ সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বিনষ্ট হতে পারতো। ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সব ছুটির দরখাস্ত বাতিল করে দেয়ার পরও মার্চে পাকিস্তানী কর্তপক্ষ আবার বাঙালি অফিসারদেরকে ছুটি নিতে উদ্বুদ্ধ করে, অন্যদিকে পাকিস্তানী কর্মকর্তাদেরকে কোন ছুটি না নিয়ে সদা সতর্ক থাকতে বলা হয়। পশ্চিম পাকিস্তানী কর্মকর্তা ও সৈন্যদের পরিবারের সদস্যদেরকে পূর্ব পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেয়া হয় এবং তার বদলে সুযোগ সুবিধা মত কিছু পশ্চিম পাকিস্তানী বেসামরিক কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের পূর্ব পাকিস্তানে এনে রাখা হয়।



২৫ মার্চের পূর্বে বাঙালি ইউনিটগুলোর বিস্তার



অপারেশন শুরুর আগেই সমস্ত নিয়মিত বাঙালি ইউনিটকে একসাথে নিরস্ত্র করার অনুমতি দেননি জেনারেল হামিদ, ফলে পাকিস্তানী নেতৃত্ব অন্যান্য উপায় বাঙালি ইউনিটগুলোর সম্ভাব্য হুমকি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করে।



২৫ মার্চে এবং এর আগের সময়গুলোতে বাঙালি ইউনিটগুলোকে ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করে ফেলা হয়, তাদেরকে সেনানিবাসের বাইরে পাঠানো হয় বিভিন্ন কাজ দেখিয়ে, এক অংশ থেকে আরেক অংশকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়, এবং সবগুলো অংশকেই রেডিও এবং তারহীন যোগাযোগের গ্রিড থেকে যত সম্ভব দূরে রাখা হয়। বাঙালি কর্মকর্তাদের হয় ছুটিতে পাঠিয়ে দেয়া হয় নয়তো নেতৃত্বের কেন্দ্র বা সরাসরি অপারেশনে নিয়োজিত ইউনিটগুলো থেকে যথাসম্ভব দূরে রাখা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পশ্চিম পাকিস্তানী কর্মকর্তারা বাঙালি ইউনিট পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে নেয়। বাঙালি সৈনিকদের অনেককে ছুটিতে পাঠানো হয়, অনেককে নিরস্ত্র করা হয়, তবে এমনভাবে কাজগুলো করা যাতে কারও মধ্যে কোন সন্দেহের উদ্রেক না হয়।



সাধারণ সময়ের তুলনায় তখন প্রথম ইবিআর এর শক্তি ছিল অর্ধেক, এই ইবিআর কেই শীতকালীন প্রশিক্ষণের জন্য সীমান্তবর্তী চৌগাছায় পাঠানো হয়, ২৯ মার্চ পর্যন্ত তারা এখানেই ছিল। দ্বিতীয় ইবিআর এর কোম্পানিগুলোকে ঢাকার আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে দেয়া হয় এবং তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অকেজো রাখা হয়। ৩য় ইবিআর এর কোম্পানিগুলোকে ছড়িয়ে দেয়া হয় সৈয়দপুর সেনানিবাসের বাইরে গোড়াঘাট ও পার্বতীপুর এলাকার আশেপাশে। ৪র্থ ইবিআর ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও শমসেরনগর এর মাঝামাঝি এলাকায়। একমাত্র চট্টগ্রামেই নিয়মিত বাঙালি ইউনিটগুলোকে তাদের স্বাভাবিক এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়নি।



পশ্চিম পাকিস্তানের ইপিআর বাহিনীর কোম্পানিগুলোকে শহরগুলোর যেখানেই পারা গেছে সেখানেই মোতায়েন করা হয়েছে। অপরদিকে বাঙালি ইপিআর বাহিনীকে পাঠানো হয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকায়। অধিকাংশ ইপিআর ইউনিট তাদের মূল অ্যাকশন এর অঞ্চল থেকে অনেক দূরে ছিল এবং নিজ অবস্থান থেকে বড় শহরগুলোতে পৌঁছতে তাদের অন্তত ১ দিন লাগতো। ২৪ অথবা ২৫ মার্চ রাতে ইপিআর এর বেতার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়।





অপারেশন সার্চলাইটঃ ২৫/২৬ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল



এটি হচ্ছে ২৫ মার্চ হতে ১০ এপ্রিল সময়ে অর্থাৎ অপারেশন যে সময়ের শেষ হয় সে সময়ে পাকিস্তানী সশস্ত্র বাহিনী কোন কোন স্থানে নিয়োজিত ছিল এবং সামরিক আক্রমণের ফলাফলের পূর্ন বিবরন। যেসব স্থানকে অপারেশন সার্চলাইটে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে এখানে শুধু সেগুলোর বিবরন আছে, সারা পুর্ব পাকিস্তানে বাঙালিদের প্রতিরোধের কথা নেই। কোন কোন স্থানে ২৫ মার্চেই পাকিস্তানী আক্রমণ ও গণহত্যা শুরু হবার সাথে সাথেই বাঙালি বাহিনীর সাথে সাথে পাকিস্তানীদের সংঘর্ষ বেধে যায়।



ঢাকা



মেজর জেনারেল ফরমানের নেতৃত্বে ঢাকায় পাকিস্তানী বাহিনীর নিম্ন লিখিত লক্ষ্য ছিলঃ



** রাত ১১টায় কারফিউ জারি করা এবং টেলিফোন/টেলিগ্রাফ/রেডিও স্টেশন এবং সকল প্রকার পত্রিকা প্রকাশনা বন্ধ করে দেয়া।

** ঢাকা শহরের সড়ক, রেল ও নৌ-পথের দখল নিয়ে সারা শহর বিচ্ছিন্ন করে ফেলা এবং নদীতে টহল জারি করা।

** অপারেশন চলাকালীণ সময়ের মধ্যে শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগের আরো ১৫ জন বড় নেতাদের গ্রেফতার করা।

ধানমন্ডি এলাকায় এবং হিন্দু এলাকাগুলোতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্চ (খোঁজ) করা।

** ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইপিআর সদর দফতর, এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইন ধ্বংস ও পরাভূত করা এবং ২য় ও ১০ম ইবিআর কে নিরস্ত্র করা।

** গাজিপুর অস্ত্র কারখানা এবং রাজেন্দ্রপুরের অস্ত্রগুদাম দখল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।




ঘটনার পরম্পরা : মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলি কর্তৃক প্রণীত ঢাকা আক্রমণের পাকিস্তানী পরিকল্পনা ছিল নিম্নরূপঃ



১। ১৩তম সীমান্তবর্তি সৈন্যদল সেনানিবাসে সংরক্ষিত শক্তি হিসাবে থাকবে এবং নিরাপত্তা প্রদান করবে।

২। ৪৩তম হালকা বিমানবিধ্বংসী বাহিনী তেজগাঁও বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।

৩। ২২তম বালুচ রেজিমেন্ট ইপিআর বাহিনীকে নিরস্ত্র করবে এবং ইপিআর সদর দফতরের ওয়্যারলেস ব্যবস্থা দখলে নেবে।

৪। ৩২তম পাঞ্জাব রেজিমেন্ট রাজারবাগ পুলিশ লাইনকে নিস্ক্রিয় করবে।

৫। ১৮তম পাঞ্জাব রেজিমেন্টের দায়িত্ব ছিল পুরান ঢাকা এবং নবাবপুরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

৬। ৩১তম ফিল্ড রেজিমেন্ট মোহাম্মদপুর এবং মিরপুরের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল।

৭। 3 SSG এর একটি প্লাটুন মুজিবকে ধরার দায়িত্বে ছিল।

৮। ২২তম বালুচ এবং ৩২তম পাঞ্জাব রেজিমেন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্রোহীদের নিস্ক্রিয় করার দায়িত্বে ছিল।

৯। ২২তম বালুচ রেজিমেন্ট এরপর পিলখানার শক্তি বৃদ্ধি করবে।





যখন ২২তম বালুচ রেজিমেন্ট ২৫ মার্চ সকালের সময়ে পিলখানার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে নিল তখন বাঙালি ইপিআর অফিসারদের পাকিস্তানী অফিসাররা পিলখানায় ব্যস্ত রেখেছিল এবং সৈন্যদের প্রায় সবাইকে কাজ বন্ধ রেখে বিশ্রামে পাঠানো হয়। সন্ধ্যার পরপরই সারা শহরে গুজব ছড়িয়ে পরে যে ইয়াহিয়া খান চলে গেছে এবং তখন আওয়ামী লীগ স্বেচ্ছাসেবকরা রাস্তায় রাস্তায় হালকা প্রতিবন্ধক বসানো শুরু করে, কিন্তু এই সব প্রতিবন্ধক পাকিস্তানী সৈন্যদের চলাচলে কোন তাৎপর্যপূর্ন বাধার সৃষ্টি করতে পারে নি। যেসব স্বেচ্ছাসেবকরা রাস্তায় প্রতিবন্ধক স্থাপন করছিল তারাই পাকিস্তানী সৈন্যদের দ্বারা প্রথম আক্রান্ত হয়। যদিও অপারেশন রাত ১১টায় শুরু হবার কথা, পাকিস্তানী সৈন্যরা ১১.৩০এ ঢাকা সেনানিবাস থেকে বের হয় কারণ পাকিস্তানী ফিল্ড কমান্ডার চাইছিলেন যে বাঙালি সৈন্যরা যাতে প্রতিক্রিয়া করার কোন সুযোগ না পায়। সেনা বাহিনীকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য ৬ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল। পাকিস্তানী সৈন্যবাহিনী আক্রমণ শুরু করার আগেই দ্রুততার সাথে ঢাকা শহরের সকল যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেয়।



১০ম বাঙালি রেজিমেন্টকে সেনানিবাসে সহজেই নিরস্ত্র এবং পরে নিশ্চিহ্ন করা হয়। ৩১তম ফিল্ড রেজিমেন্টকে ঢাকার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ন এলাকা এবং শহরের উত্তরাংশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেয়া হয়। মেজর বেলাল এবং লে.কর্নেল জেড এ খানের সাথে নিযুক্ত কমান্ডো বাহিনী অপারেশনের শুরুতেই সহজেই শেখ মুজিবুর রহমানকে ধরতে সক্ষম হয়, কিন্তু আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা কৌশলে গ্রেফতার এড়াতে সক্ষম হন এবং ২৯ মার্চের ভেতর শহর ত্যাগ করেন।

২২তম বালুচ রেজিমেন্ট ইপিআর সদর দফতরে অবস্থিত বেশিরভাগ নিরস্ত্র এবং অসংগঠিত ইপিআর সৈন্যদের আক্রমণ করে সারা রাত যুদ্ধ করার পর পরাজিত ও পরাভূত করতে সক্ষম হয।



ময়মনসিংহ-জয়দেবপুর

২য় ইবিআর দলকে ঢাকার দক্ষিণে জয়দেবপুরের পাঠানো হয়, এবং গাজিপুরের অস্ত্র কারখানা (যেখানে ছোট একটি অস্ত্র গুদাম ছিল) এবং রাজেন্দ্রপুর গোলাবারুদ কারখানা (এখানেও একটি গোলাবারুদের গুদাম ছিল) থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হয়। পাকিস্তানী পরিকল্পনাকারীদের ভয় ছিল যে এই বাঙালি ইউনিট ঢাকা বিমানবন্দর অথবা সেনানিবাস আক্রমণ করতে পারে এবং ২৫/২৬ মার্চের অপারেশন ভন্ডুল করে দিতে পারে। যদিও লে.কর্নেল মাসুদুল হাসান মেজর কে.এম শফিউল্লাহ কে পাকিস্তানী আক্রমণ সম্পর্কে ২৬ মার্চেই টেলিফোনে বলে দিয়েছিলেন, তা সত্বেও উক্ত ইউনিট ২৭ মার্চের পূর্বে আক্রমনে যায়নি। পাকিস্তানী সৈন্যরা ২৬ মার্চেই রাজেন্দ্রপুর কারখানার দখল নিয়ে নেয় এবং গুদাম হতে তাদের গোলাবারুদের সরবরাহ পূর্ন করে।



পাকিস্তানী ইউনিট ইপিআর কোম্পানীকে ২৭ মার্চে আক্রমণ করে কিন্তু পরাস্ত করে ২৮ মার্চে, যে সময়ে ২য় উইঙের অন্যান্য কোম্পানীরা তাদের সাথে অবস্থিত পাকিস্তানী সৈন্যদের নিস্ক্রিয় করতে থাকে (হয় গ্রেফতার করে সীমান্তে পাঠিয়ে দিয়ে, নাহলে হত্যা করে) এবং মার্চের ২৯ তারিখের মধ্যে ময়মনসিংহ শহরে এবং এর উত্তর ও দক্ষিণে ছড়িয়ে যেতে থাকে। কে এম শফিউল্লাহ এর অধীনে ২য় ইবিআর বাহিনী ২৭মার্চ বিদ্রোহ করে, আংশিকভাবে গাজিপুর অস্ত্রাগার লুট করতে সক্ষম হয় এবং ৩০ মার্চ ময়মনসিংহে পুনরায় মিলিত হয়। শফিউল্লাহ ২য় ইবিআর এবং ৭টি ইপিআর কোম্পানীর দায়িত্ব নেন এবং মার্চের ৩০ তারিখের মধ্যে তার সৈন্যদের টাঙ্গাইল, বাহাদুরবাদ, সিরাজগঞ্জ এবং গফরগাঁয়ে ছড়িয়ে দেন। যে সময় ২য় ইবিআর কিশোরগঞ্জ এবং নরসিংদী হয়ে ঢাকা আক্রমণের উদ্দেশ্য যাচ্ছিল, তখন ৩টি ইপিআর কোম্পানীকে গোপনে আক্রমণ চালাতে ঢাকা পাঠানো হয়।



চট্টগ্রামঃ



চট্টগ্রামে পূর্ব পাকিস্তানের একমাত্র তেল শোধনাগার ছিল। যেখানে ছিল একটি বিশাল তেলের গুদাম এবং সব চেয়ে বড় সমুদ্রবন্দর। এই স্মুদ্রবন্দরে ৯০০০টন অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে এম ভি সোয়াত অবস্থান করছিল। পশ্চিম পাকিস্তানী চট্টগ্রাম গ্যরিসনে বাঙ্গালী সৈন্যরা প্রচুর পরিমাণে ছিল, যা পাকিস্তানী পরিকল্পনাকারীদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ই্পি আর এবং ইপি আর এর বাঙালি অফিসাররা পাকিস্তানী বাহিনীর উপর আগে থেকেই একটি আত্মরক্ষামূলক আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা করছিলেন, কিন্তু সিনিয়র বাঙালি অফিসাররা এই বিশ্বাস থেকে ক্যাপ্টেন রফিককে বিদ্রোহ করা থেকে নিরুৎসাহীত করেন যে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী বেসামরিক জনগনের বিরুদ্ধে কোন আক্রমণ চালাবে না, কিন্তু তারা এটা নিশ্চিত করেন যে পাকিস্তানী যে কোন আক্রমণের ঘটনায় তারা অবশ্যই বিদ্রোহ করবেন। এম ভি সোয়াত থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সেনানিবাসে নিয়ে যাবার প্র্চেষ্টা ২০-২৫ মার্চের মধ্যে সাধারণ প্রতিবাদকারীদের বাধার কারণে সাময়িক ভাবে ব্যর্থ হয় এবং সে সকল প্রতিবাদকারীদের অনেকেই সেনাসদস্যদের দ্বারা আক্রান্ত ও গুলিবিদ্ধ হয়।



পাকিস্তানী বাহিনীকে চট্টগ্রামে নিম্নলিখিত লক্ষ্যসমূহ ঠিক করে দেয়া হয়:

১) ই বি আর সি ইউনিট, ৮ম ই বি আর, ই পি আর এবং পুলিশ বাহিনীকে নিরস্ত্র করা।

২) পুলিশের অস্ত্রসস্ত্র, রেডিও স্টেশন এবং টেলিফোন এক্সচেইঞ্জ দখল করে নেয়া।

৩) পাকিস্তানী নৌবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করা।

৪) লে কর্নেল এম আর চৌধুরী এবং আওয়ামি লীগ নেতৃবৃন্দদের গ্রেফতার করা।



সিলেট- যশোরঃ

এ অঞ্চলে অপারেশন সার্চলাইটে পাক বাহিনীর লক্ষ্য সমূহ ছিলঃ

১) সিলেট রেডিও ষ্টেশন, কিং ব্রিজ ও এয়ারপোর্ট দখল।

২) ইপিআর এবং পুলিশ আক্রমন ও আওয়ামী নেতাদের এরেস্ট করা।

৩) যশোর থেকে খুলনা ক্যান্টনমেন্টকে পরিচালিত ও দখল করা।



খুলনা, রাজশাহী, কুমিল্লা, কুষ্টিয়া সহ প্রধান প্রধান শহর গুলোতেও সেই একই কায়দায় প্ল্যান করা হয়।



অপারেশন সার্চলাইট পেরিয়ে যে স্বাধীনতার ঘোষণাঃ



১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্য রাতে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। কথিত আছে, গ্রেপ্তার হবার একটু আগে ২৫শে মার্চ রাত ১২টার পর (অর্থাৎ, ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে) তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন যা চট্টগ্রামে অবস্থিত তত্কালীন ই.পি.আর এর ট্রান্সমিটারে করে প্রচার করার জন্য পাঠানো হয় ঘোষণাটি নিম্নরুপ:



অনুবাদ:

এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উত্খাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।



২৬শে মার্চ বেলাল মোহাম্মদ, আবুল কাসেম সহ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের কয়েক'জন কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ.হান্নান প্রথম শেখ মুজিব এর স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রটি মাইকিং করে প্রচার করেন। পরে ২৭ শে মার্চ আনুমানিক ৭.০০- ৭.৩০ মিনিটে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর হয়ে তিনি আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার মেজর জিয়াউর রহমান। ঘোষণাপত্রটির ভাষ্য নিম্নরুপ:



অনুবাদ:

আমি,মেজর জিয়া, বাংলাদেশ লিবারেশন আর্মির প্রাদেশিক কমাণ্ডার-ইন-চিফ, শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। আমি আরো ঘোষণা করছি যে, আমরা শেখ মুজিবর রহমানের অধীনে একটি সার্বভৌম ও আইনসিদ্ধ সরকার গঠন করেছি যা আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের সরকার জোট-নিরপেক্ষ নীতি মেনে চলতে বদ্ধপরিকর। এ রাষ্ট্র সকল জাতীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে এবং বিশ্বশান্তির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। আমি সকল দেশের সরকারকে তাদের নিজ নিজ দেশে বাংলাদেশের নৃশংস গণহত্যার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। শেখ মুজিবর রহমানের সরকার একটি সার্বভৌম ও আইনসম্মত সরকার এৰং বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাবার দাবিদার।



১৯৭১ সালে ২৭ মার্চের এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা ঘটে যা নয় মাস স্থায়ী হয়। আমরা পাই, একটি স্বাধীন দেশ! টাইমসে ভাষায়, "The Bloody Birth of Bangladesh."

স্বাধীনতার প্রথম প্রহরে, অপারশন সার্চলাইটের নামে ইতিসাহের যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ও গণহত্যা চালায় তা নজিরবিহীন। মার্চের শেষের সেই রাতগুলোতে আমরা যেসব নিরস্র, নিরপরাধী মানুষগুলোকে হারিয়েছি তাদের স্মরণ করবে এই জাতি চিরকাল- বিনম্র শ্রদ্ধায়, কৃতজ্ঞতায় আর ভালবাসায়।



তথ্যসমূহঃ

১) উইকি

২) 1971 fact

৩) Genocide- Bangladesh, 1971



বইঃ

১) মেজর(অবঃ) রফিকুল ইসলাম পি এস সি (১৯৯৫). মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস. কাকলী পাবলিশার্স।

২) মেজর জেনাঃ এন এস এ ভূইয়া (২০০০). মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস. আহমেদ পাবলিসিং হাউস।

৩) Siddiq Saliq (১৯৯৭). Witness to surrender.

৪) Maj. Gen Rao Farman Ali Khan, (1992). How Pakistan Got Divided. Jung Publishers.

৫) Major Rafiqul Islam, (2006). A Tale of Millions. Ananna.



________________________________________

ফেসবুকে সেই গনহত্যার কথা স্মরণ করিয়ে দিতে ২৫শে মার্চ রাত ১১.৫৫ - ১২.০০ গোয়িং ব্লাক আউট: বার্থ থ্রু জেনোসাইড নামে একটি কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। চাইলে অংশগ্রহণ করুন। আসুন যে যার জায়গা থেকে, যে যার মতো করে কৃতজ্ঞচিত্তে স্বাধীনতার দিবস পালন করি।

মন্তব্য ১৩৯ টি রেটিং +৪৬/-০

মন্তব্য (১৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

নীরব দর্শক বলেছেন: ভালো পোস্ট। স্টিকি হতে পারে।

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৩

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
অমর হোক আমাদের স্বাধীনতা দিবস।

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৭

াহো বলেছেন: Thanks
But zia radio in 27 march
From mobile

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০২

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ঠিক করেছি।

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩২

আশফাক সুমন বলেছেন: দারুন পোস্ট।
+++++ এবং ভোট দিলাম।

এই পোস্ট স্টিকি হওয়া দরকার ।

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৯

মামুন হতভাগা বলেছেন: পোস্ট স্টিকি করা উচিত।
পোস্ট প্লাস সহ প্রিয়তে।
অনেক ধন্যবাদ আপু

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: থ্যাংকস ব্রো। অনেক অনেক ভালো থেকো। :)

৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০১

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভালো পোস্ট।
অনেক জানার পোস্ট।।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: থ্যাংকস দুর্জয়। পোষ্টে তোমাদের দেখলে অনেক ভালো লাগে। ভালো থেকো ভাই। :)

৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৭

আরজু পনি বলেছেন:

সোনিয়া!!! অনেকদিন পর!!! আজব, আজই আপনার কথা ভাবছিলাম...আপনি পোস্ট দিতে পারেন, আজ কালের মধ্যে তেমন যেন মনে হচ্ছিল। খুব ভালো লাগলো আপনাকে দেখে। অসাধারণ পোস্টে প্লাস।।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪২

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: হা হা হা :) বেশ ভালো লাগলো আপনার কথা শুনে। অনেক উৎসাহও পেলাম। অনেক অনেক ভালো থাকুন, প্রিয় পনিপু। :)

৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৬

রুদ্র মানব বলেছেন: অনেক ভাল লাগা একটি পোস্ট । প্লাস সহ প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম ।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪২

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। স্টিকি করার মত।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০৮

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: থ্যাংকস হামা :) :)

৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৪

কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: আপা প্রিয়তে নিলাম।

স্টিকি করার দাবী জানাইলাম

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১০

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: ভালো লাগলো জেনে। অ্যান্ড ওয়ান স্পেশাল থ্যাংকস ফর ইউু, ব্রাদার। :)

১০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

চমৎকার তথ্যবহুল পোস্টে অসংখ্য ভাললাগা রইল।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫২

লেখোয়াড় বলেছেন:
আসাধারণ পোস্ট।
অনেকদিন লিখলেন।
প্লাস ও প্রিয়তে।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

১২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বর্বর ইতিহাস জন্ম দিল যারা
তাদের ঘৃণা আর ধিক
স্বাধীনতার চেতনা আন বাঙালি
এস দেশ গড়ি সটীক ।
সুন্দর পোষ্ট
শুভেচ্ছা

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: স্বাধীনতার চেতনা জাগ্রত রাখুক আমাদের। ধন্যবাদ।

১৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

প্রিন্স অফ পার্সিয়া বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম!!! +++

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: থ্যাংকস ব্রাদার :)

১৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৫

বিডি আমিনুর বলেছেন: কষ্টসাধ্য ,তথ্যবহুল পোস্ট +++
প্রিয়তে রাখলাম।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৭

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রইল।

১৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১২

পথ-হারা এক পথিক বলেছেন: অসাধারণ তথ্যবহুল পোস্ট।+++ সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ স্টিকি করার জন্য।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩০

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আর অবশ্যই সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

১৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৬

চলতি নিয়ম বলেছেন: আমরা যেসব নিরস্র, নিরপদ মানুষগুলোকে হারিয়েছি তাদের স্মরণ করবে এই জাতি চিরকাল- বিনম্র শ্রদ্ধায়, কৃতজ্ঞতায় আর ভালবাসায়।


পোস্টে +

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: ভালো থাকুন।

১৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২২

শান্তা273 বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল পোস্ট!
++++++++
ভালোলাগা রইল অনেক।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

১৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

হাসানুর বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট! ধন্যবাদ ।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৬

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

১৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪০

শ।মসীর বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট ++

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৮

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: থ্যাংকস ভাই :)

২০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

বোকামন বলেছেন:







“পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে জ্বলন্ত
ঘোষণার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলে,
নতুন নিশান উড়িয়ে, দামামা বাজিয়ে দিগ্ব্বিদিক
এই বাংলায়
তোমাকে আসতেই হবে, হে স্বাধীনতা”

শ্রদ্ধেয় লেখককে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি পোস্টের জন্য ...

আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে যে রক্তের বিনিময়ে হয়তো সে ঋণ কখনো পূরণ হওয়ার নয় .. তবুও দেশের প্রতি প্রত্যেকের দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে আমাদের অমূল্য স্বাধীনতাকে বাঁচিয়ে রাখি....গড়ে তুলি সোনার বাংলা...





২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৯

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: চমৎকার লাগলো কথাগুলো।

২১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ।
++++++++++ সহ প্রিয়তে ।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১০

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: খাইসে রে! মাননীয় মন্ত্রী!! বেশ সম্মানিত বোধ করলাম। :) :)

২২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

লুকার বলেছেন:
সব তথ্য মনে হয় ঠিক নাই এবং কিছু তথ্য এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৭

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: ঠিক এড়িয়ে যাওয়া হয় নাই। অপারেশন সার্চলাইটের মতো ম্যাসিব একটা জেনসাইডের সবকিছু আসলে কেবল একটি পোষ্টে শেষ করা সম্ভব না। সবাই যাতে বাকগ্রাওন্ড, পরিকল্পনা, কিভাবে ইম্পিমেন্টেশন ইত্যাদি খুব ছোট করে, বলা যায় সামারি আকারে লিখতে চেষ্টা করেছি সবার সুবিধার জন্য। আর তথ্যাদির সব আদ্যোপান্ত দেয়াই আছে। আমিতো যুদ্ধ দেখিনি। সো এইসব রিসোর্সের উপরই লিখতে হল।

আপনার আগ্রহের প্রেক্ষিতে বলছি, লিঙ্কগুল ফলো করে, কিংবা বইগুলো পড়ে আরও ডিটেইলস আপনি নিজেই জানতে পারেন।

ধন্যবাদ।

২৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

tumpa roy বলেছেন: প্লাস সহ প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম ।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৮

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রইল।

২৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

তোমোদাচি বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট!!

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৮

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: অভিনন্দন সোনিয়া, এখন পড়তে পারছি না, পরে পড়ব... :D :D

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৯

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: ওকে বেয়াই সাব। :) :)

২৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

আমিনুর রহমান বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল পোষ্ট। প্রিয়তে।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৯

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

আলতামাশ বলেছেন: আমিনুর রহমান বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল পোষ্ট।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২২

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল পোষ্ট।পদাতিক ডিভিশন, রেজিমেন্ট- এসব টার্ম সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা নেই। আরেকটু ব্যাখ্যা করলে ভাল হত।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৫

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: পোস্টের আকার অনেক বড় হয়ে যাচ্ছিল, তাই টীকা গুলো দিই নি। জিজ্ঞেস করার জন্য ধন্যবাদ।

রেজিমেন্ট একটি মিলিটারি ইউনিট, যা বিবিধ সংখ্যক ব্যাটালিয়ন দ্বারা গঠিত এবং একজন কর্নেল এর অধিনায়ক। রাষ্ট্র, সামরিক বিভাগ, মিশন ও সংগঠনের উপর ভিত্তি করে, একটি আধুনিক রেজিমেন্ট একটি ব্রিগেডের সঙ্গে তুলনীয়, কারণ প্রত্যেকেই কয়েক শত হতে ৫,০০০ সৈন্য (৩ হতে ৫টি পূর্ণ কম্পানি) সমবায়ে গঠিত। সাধারণত রেজিমেন্ট ও ব্রিগেড সমূহ ডিভিশনের আকারে বিন্যস্ত হয়। আধুনিক রেজিমেন্টের আকার দেশে দেশে তার সংখ্যা, সুযোগ এবং প্রশাসনিক ভূমিকার উপর ভিত্তি করে বিবিধ হয়ে থাকে (এবং কিছু সামরিক বাহিনীতে তা নাও থাকতে পারে) এবং কখনও কখনও একই রাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতেও বিবিধ হতে পারে।

২৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

নেক্সাস বলেছেন: দারুন পোষ্ট। আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। বাবার মুখে শুনেছি বার বার যে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। বাবা বলতেন জিয়াউর নামে একজন বাঙ্গালী সেনা অফিসার যখন স্বাধীনতার ঘোষনা দিলেন তখন আমাদের মনে আর কোন সংশয় রইলনা যে যুদ্ধ হবে। ইতপূর্বে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার পর আমরা একটা ডোটানায় পড়ে গিয়েছিলাম যুদ্ধ হবে কি হবেনা। বেতারে জিয়ার ঘোষনা আসার পর আমরা হন কাগজে ( সিমেন্টের বস্তা তৈরির খাকি রংয়ের কাগজ) যুদ্ধ কর - জিয়া , মোর্চা খোদ- জিয়া, এসব লিখে ভিবিন্ন জায়গায় পোষ্টার টানিয়ে দিলাম
আজকে স্বাধীনতার ঘোষনা নিয়ে নানা ইতিহাস। কত ঘোষক দিকে দিকে। রাজনীতির কালো থাবার স্বীকার হলে রনাঙ্গনের সাহসী সৈনিক জিয়া।

জানিনা কোনটা সঠিক আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবার কথা না আজকের ইতিহাস।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫০

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: আপনার বাবার প্রতি অনেক শ্রদ্ধা রইল।

নিঃসন্দেহে মেজর জিয়ার সেই ঘোষণা সেদিন সাহসী একটি পদক্ষেপ ছিল। আর একজন চৌকশ সেক্টর প্রধান হিসেবে ওনার একটা সুনাম ছিল সবার কাছে, গ্রহণযোগ্যতা ছিল। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর এই অবদানকে কেউ খাটো করছে না। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য এই যে পরবর্তীতে মেজর জিয়া যদি একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান না হতেন, হয়ত এই কাদা ছোঁড়াছুড়ি হত না। সেটা আমাদের রাজনৈতিক ফ্ল।

আসলে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জন্য একটা ম্যাজিক ছিল। যখন যেটা দরকার ছিল আমরা ঠিক সেটাই পেয়েছিলাম। আমরা পেয়েছি বঙ্গবন্ধুর মতো মহান নেতা। একথা অস্বীকার করার কোন উপায়ই নেই যে, তিনি ছাড়া, তাঁর নেতৃত্ব ছাড়া, স্বাধীনতা অসম্পূর্ণ। সবার নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু। সবাই তাঁর অনুপ্রেরণাই স্বাধীন এক রাষ্ট্রের জন্য যুদ্ধ করেছেন।
যার যে প্রাপ্য সম্মান তাঁকে সেটা দেয়া সবারই উচিত। একটা দেশ, স্বাধীনতা কেবল কারও একার নয়, কোন শ্রেণীর নয়। একটা সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছিল বলেই দেশটি স্বাধীন হয়েছিল। সেদিন কেও ভবিষ্যতে কে কেমন সুবিধা পাবে, সেটা চিন্তা করে যুদ্ধ করেননি।

৩০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১২

নেক্সাস বলেছেন: ২৫ মার্চ রাত ১১টায় অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জানজুয়া (পাকিস্তানি) জিয়াউর রহমানকে নির্দেশ দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বন্দরে যাওয়ার জন্য। আকস্মিক ও রহস্যজনক এই নির্দেশের অর্থ তাঁর বোধগম্য হয়নি। রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানজুয়া নিজে এসে তাঁকে নৌবাহিনীর একটি ট্রাকে তুলে ষোলশহর থেকে বন্দরে দিকে রওনা দেন।
জিয়াউর রহমানকে রাস্তার ব্যারিকেড সরিয়ে সরিয়ে যেতে হয়। আগ্রাবাদে একটি বড় ব্যারিকেডের কারণে আবার তাঁর ট্রাক দাঁড়িয়ে পড়ে। এ সময় পেছন থেকে ছুটে আসে একটি ডজ গাড়ি। ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামান চৌধুরী ওই গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে যান জিয়াউর রহমানের কাছে। হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে যান রাস্তার ধারে।
খালেকুজ্জামান জিয়াকে বলেন, পশ্চিমারা গোলাগুলি শুরু করেছে। শহরের বহু লোক হতাহত। তাঁর উত্তেজিত কণ্ঠস্বর থেকে আরেকটি কথা ঝরে পড়ে। ‘কী করবেন জিয়া ভাই এখন?’ খালেকুজ্জামানের কথা শুনে গভীর চিন্তায় তলিয়ে যান জিয়া। তারপর বজ্রনির্ঘোষে বলে ওঠেন: ‘উই রিভোল্ট।’
জিয়াউর রহমান সঙ্গে সঙ্গে খালেকুজ্জামানকে ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার্সে ফিরে যেতে বলেন। তিনি তাঁর মাধ্যমে অলি আহমদকে নির্দেশ পাঠান ব্যাটালিয়নের সব বাঙালি সেনাকে প্রস্তত করতে। একই সঙ্গে আরও নির্দেশ পাঠান ব্যাটালিয়নের সব পাকিস্তানি সেনাকর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের।
খালেকুজ্জামান যাওয়ার পর জিয়াউর রহমান ফিরে যান ট্রাকে। ট্রাকে তাঁর সঙ্গে ছিল একজন পাকিস্তানি সেনাকর্মকর্তা। তাকে তিনি বলেন, হুকুম বদলে গেছে। বন্দরে যেতে হবে না। আর বাঙালি সেনা যাঁরা তাঁর সঙ্গে যাচ্ছিলেন, তাঁদের ইশারায় বলেন অস্ত্র লোড রাখতে। প্রয়োজন হতে পারে।
তাঁরা ফিরে যান ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার্সে। সেখানে পৌঁছেই সঙ্গে থাকা পাকিস্তানি সেনাকর্মকর্তা ও নৌসেনাদের জিয়াউর রহমান আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। হকচকিত পাকিস্তানি সবাই আত্মসমর্পণ করে। এরপর তিনি একাই একটি গাড়ি নিয়ে ছুটে যান কমান্ডিং অফিসার জানজুয়ার বাড়িতে।
কলবেল টিপতেই ঘুম ভেঙে উঠে আসে জানজুয়া। তাঁকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে ওঠে। কেননা তার ধারণা ছিল, পরিকল্পনা অনুযায়ী জিয়া বন্দরে বন্দী হয়েছেন। জানজুয়াকে আটক করে জিয়া তাকে ষোলশহরে নিয়ে যান।
এরপর জিয়া টেলিফোনে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তাঁদের কাউকে না পেয়ে তিনি টেলিফোন এক্সচেঞ্জে ফোন করেন। অপারেটরকে বলেন সবাইকে ফোন করে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গলের বিদ্রোহ ঘোষণার কথা জানাতে। অপারেটর সানন্দে তাঁর নির্দেশ পালনে রাজি হন। এভাবে শুরু হয়ে যায় তাঁর মুক্তিযুদ্ধ।
জিয়াউর রহমান এর পর আর পেছন ফিরে তাকাননি। চট্টগ্রাম এলাকায় প্রতিরোধ যুদ্ধকালে তাঁর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পরিচালনায় মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধে অংশ নেন।


সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো

আপনার চট্টগ্রাম অংশে এই বিষয়টা আসলে লিখাটা অনেক বেশী সুন্দর ও বস্তুনিষ্ঠ হত। ধন্যবাদ আপনাকে

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০২

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: তথ্য দেবার জন্য ধন্যবাদ।
আমার পোস্টটি মূলত অপারেশন সার্চলাইট- পরিকল্পনা-নিয়ামক ইত্যাদি নিয়ে। সেটি কিভাবে ২৬ মার্চ এ এসে মিলেছিল সেটিতে শেষ করতে চেয়েছি। স্বাধীনতার ঘোষণার দিনটি নিয়ে বিস্তারিত লিখতে গেলে সেটি অনেক বড় হয়ে যেত। কিন্তু ইচ্ছে আছে লেখার- ভবিষ্যতে।
স্টাডি করে যতদূর জানলাম ২৬ শে মার্চ বেলাল মোহাম্মদ, আবুল কাসেম সহ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের কয়েক'জন কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ.হান্নান প্রথম শেখ মুজিব এর স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রটি মাইকিং করে প্রচার করেন। এবং ২৭ মার্চ মেজর জিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুর হয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
আসলে স্বাধীনতা দিবস খালি ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ রাখা মনে হয় ঠিক নয়। তাঁর মহত্ত্ব আরও বিস্তৃত হওয়া উচিত।

৩১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২২

রেজোওয়ানা বলেছেন: খুবই চমৎকার পোস্ট সোনিয়া!

অভিনন্দন....

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৩

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: থ্যাংকস এ লট, আপু :) :) :)

৩২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

রাসেল ভাই বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল পোষ্ট । +++++++++++++++



স্বাধিনতা ঘোষনা হয়, স্বাধিনতা পাঠ হয় না । মুজিবর রহমানের কথিক স্বাধিনতা ঘোষনা পত্র আর জিয়াউর রহমানের স্বাধিনতা ঘোষনা সম্পুর্ন আলাদা । জিয়াউর রহমানের স্বাধিনতা ঘোষনায় রয়েছে নিজস্বতা, তেজ, উদ্দিপনা, দিক নির্দেশনা । তবে অবশ্যই শেখ মুজিবের পক্ষে কারন তখন বাংলাদেশের মাটি, আকাশ, বাতাস শুধু শেখ মুজিবকেই চিনত ।


পরে ২৭ শে মার্চ আনুমানিক ৭.০০- ৭.৩০ মিনিটে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর হয়ে তিনি আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার মেজর জিয়াউর রহমান। ঘোষণাপত্রটির ভাষ্য নিম্নরুপ:



আশা করি পোষ্টের গ্রহন যোগ্যতা বাড়াতে এই শব্দ দুটো বাদ দিবেন ।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৭

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: আমরা কেউই সেই সময়টাতে ছিলাম না। যারা সেই সময়টাতে ছিলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য তাঁরা আজ সবাই দু ভাগে বিভক্ত হয়ে কথা বলে। তাই পুরনো জার্নাল, সাইট, আর কিছু বইই ভরসা। সেটাতেও মানুষ বলে, সব বায়াসড লেখা!! কই যে যাই!!
যাই হোক, আমি আমার স্টাডিতে যতদূর জেনেছি, মেজর জিয়া বঙ্গবন্ধুর দেয়া ঘোষণাটিই পাঠ করছিলেন তাঁর হয়ে। তাই সেটা একপ্রকার ঘোষণা পত্র পাঠ বলাই যায়। সেটাও তো আমাদের স্বাধীনতার জন্য একটি মাইলফলক। তাঁর সাহসী ঘোষণা যেমন মিথ্যে নয়, তেমনি মিথ্যে নয় অন বি হাফ অফ শেখ মুজিবর রহমান বলাটি।

৩৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩

শের শায়রী বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট ম্যাডাম।

অভিনন্দন

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৮

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৩৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: রাসেল ভাই বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল পোষ্ট । +++++++++++++++



স্বাধিনতা ঘোষনা হয়, স্বাধিনতা পাঠ হয় না । মুজিবর রহমানের কথিক স্বাধিনতা ঘোষনা পত্র আর জিয়াউর রহমানের স্বাধিনতা ঘোষনা সম্পুর্ন আলাদা । জিয়াউর রহমানের স্বাধিনতা ঘোষনায় রয়েছে নিজস্বতা, তেজ, উদ্দিপনা, দিক নির্দেশনা । তবে অবশ্যই শেখ মুজিবের পক্ষে কারন তখন বাংলাদেশের মাটি, আকাশ, বাতাস শুধু শেখ মুজিবকেই চিনত ।


পরে ২৭ শে মার্চ আনুমানিক ৭.০০- ৭.৩০ মিনিটে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর হয়ে তিনি আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার মেজর জিয়াউর রহমান। ঘোষণাপত্রটির ভাষ্য নিম্নরুপ:



আশা করি পোষ্টের গ্রহন যোগ্যতা বাড়াতে এই শব্দ দুটো বাদ দিবেন ।


শব্দদুটি যে ঠিক আছে, এবং মুজিব নয়, জিয়াকে কথিত ঘোষণাকারী যে কিছু অতি উৎসাহী ফ্যান বানিয়েছে, সে সংক্রান্ত যে কোন প্রমান এই লিংকে রয়েছে, চাইলে মতামত দিতে পারেন।
Click This Link

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৯

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: অনেক কষ্ট করেছেন আপু
++

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২০

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: কিছু খানা পিনা দাও তাইলে। :) :)
আনিওয়ে, থ্যাংকস।

৩৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০

তথই বলেছেন: নতুন অনেক কিছু জানলাম ..... ধন্যবাদ

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২১

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: ভালো লাগলো জানাতে পেরে। :)

৩৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

নস্টালজিক বলেছেন: অপারেশন সার্চলাইট পর্যন্ত পড়লাম। মনোযোগ ধরে রেখে বাকিটা পড়বো আশা রাখছি।


ভালো থাকুন, সৃজনে থাকুন।

ব্লগ জগতে এই পোস্ট অসাধারণ এক দলিল হিসেবে থাকবে!

আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে, সোনিয়া!


২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৮

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। :) :)

৩৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

কাঠুরে বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। +++++

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৮

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪০

অ্যানোনিমাস বলেছেন: প্লাসসহ অভিনন্দন আপি :)

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩০

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: থ্যাংকস ব্রো! :) :)

৪০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫১

মরমি বলেছেন: খুব তথ্যমূলক পোষ্ট। এবং খুব পরিশ্রম ও কষ্টের ----। আমাদের নিরন্তর বেদন শুধু বাঙলা ভাষা-সংস্কৃতিকে ধারন করার জন্য শুধু বাঙলাদেশে জন্ম গ্রহন করার অপরাধে লক্ষ নিরশ্র মানুষকে হত্যা করা হয়েছিলো সে সময়। লেখাটি থত্য নির্ভর ও বস্তুনিষ্ঠ। কেউ কেউ এর মধ্যে দলীয় রাজনীতিকে জড়াতে চাচ্ছেন। দয়া করে এ কাজটি কেউ করবেন না। আসুন আমরা আমাদের বেদনাকে ভাগ করে নেই,আর আমাদের শক্তিকে সংহত করি।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩১

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ।

৪১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। খুব ভাল লাগল্ । পোষ্টে ++++++++++++++

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩১

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: :) :) :) :) :)

৪২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০২

রেজা ঘটক বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ লেখা। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩২

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৪৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২১

ক্যাপটেন বলেছেন: সময় নিয়ে পড়তে হবে। আমি প্রতি সপ্তাহে একদিন সময় রাখি বাংলাদেশের ইতিহাস পড়ার জন্য। এই লেখার জন্যও একদিন বরাদ্দ করলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য। লিটারেচার স্টাডি কেমন চলে?

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: শিওর। ইতিহাস সময় নিয়ে পড়াই ভাল। আশা করি পড়ে আপনি আরও কিছু সংযোগ করবেন।
আর লিটারেচার চর্চা তো প্রতিদিন ই চলে। বিছানায় যাই বই নিয়ে। :) :)

ভালো থাকুন।

৪৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

তাহিতি তাবাসুম বলেছেন: প্লাস এবং প্রিয়তে।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রইল। :)

৪৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৭

াহো বলেছেন:

ব্লগার নেক্সাস তিনি একজন মিথ্যাবাদী

Comment No 30
৩০. ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১২
নেক্সাস বলেছেন: ২৫ মার্চ রাত ১১টায় অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জানজুয়া (পাকিস্তানি) জিয়াউর রহমানকে নির্দেশ দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বন্দরে যাওয়ার জন্য। আকস্মিক ও রহস্যজনক এই নির্দেশের অর্থ তাঁর বোধগম্য হয়নি। রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানজুয়া নিজে এসে তাঁকে নৌবাহিনীর একটি ট্রাকে তুলে ষোলশহর থেকে বন্দরে দিকে রওনা দেন।
জিয়াউর রহমানকে রাস্তার ব্যারিকেড সরিয়ে সরিয়ে যেতে হয়। আগ্রাবাদে একটি বড় ব্যারিকেডের কারণে আবার তাঁর ট্রাক দাঁড়িয়ে পড়ে। এ সময় পেছন থেকে ছুটে আসে একটি ডজ গাড়ি। ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামান চৌধুরী ওই গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে যান জিয়াউর রহমানের কাছে। হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে যান রাস্তার ধারে।
খালেকুজ্জামান জিয়াকে বলেন, পশ্চিমারা গোলাগুলি শুরু করেছে। শহরের বহু লোক হতাহত। তাঁর উত্তেজিত কণ্ঠস্বর থেকে আরেকটি কথা ঝরে পড়ে। ‘কী করবেন জিয়া ভাই এখন?’ খালেকুজ্জামানের কথা শুনে গভীর চিন্তায় তলিয়ে যান জিয়া। তারপর বজ্রনির্ঘোষে বলে ওঠেন: ‘উই রিভোল্ট।’
জিয়াউর রহমান সঙ্গে সঙ্গে খালেকুজ্জামানকে ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার্সে ফিরে যেতে বলেন। তিনি তাঁর মাধ্যমে অলি আহমদকে নির্দেশ পাঠান ব্যাটালিয়নের সব বাঙালি সেনাকে প্রস্তত করতে। একই সঙ্গে আরও নির্দেশ পাঠান ব্যাটালিয়নের সব পাকিস্তানি সেনাকর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের।
খালেকুজ্জামান যাওয়ার পর জিয়াউর রহমান ফিরে যান ট্রাকে। ট্রাকে তাঁর সঙ্গে ছিল একজন পাকিস্তানি সেনাকর্মকর্তা। তাকে তিনি বলেন, হুকুম বদলে গেছে। বন্দরে যেতে হবে না। আর বাঙালি সেনা যাঁরা তাঁর সঙ্গে যাচ্ছিলেন, তাঁদের ইশারায় বলেন অস্ত্র লোড রাখতে। প্রয়োজন হতে পারে।
তাঁরা ফিরে যান ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার্সে। সেখানে পৌঁছেই সঙ্গে থাকা পাকিস্তানি সেনাকর্মকর্তা ও নৌসেনাদের জিয়াউর রহমান আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। হকচকিত পাকিস্তানি সবাই আত্মসমর্পণ করে। এরপর তিনি একাই একটি গাড়ি নিয়ে ছুটে যান কমান্ডিং অফিসার জানজুয়ার বাড়িতে।
কলবেল টিপতেই ঘুম ভেঙে উঠে আসে জানজুয়া। তাঁকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে ওঠে। কেননা তার ধারণা ছিল, পরিকল্পনা অনুযায়ী জিয়া বন্দরে বন্দী হয়েছেন। জানজুয়াকে আটক করে জিয়া তাকে ষোলশহরে নিয়ে যান।
এরপর জিয়া টেলিফোনে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তাঁদের কাউকে না পেয়ে তিনি টেলিফোন এক্সচেঞ্জে ফোন করেন। অপারেটরকে বলেন সবাইকে ফোন করে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গলের বিদ্রোহ ঘোষণার কথা জানাতে। অপারেটর সানন্দে তাঁর নির্দেশ পালনে রাজি হন। এভাবে শুরু হয়ে যায় তাঁর মুক্তিযুদ্ধ।
জিয়াউর রহমান এর পর আর পেছন ফিরে তাকাননি। চট্টগ্রাম এলাকায় প্রতিরোধ যুদ্ধকালে তাঁর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পরিচালনায় মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধে অংশ নেন।

সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো
Click This Link
আপনার চট্টগ্রাম অংশে এই বিষয়টা আসলে লিখাটা অনেক বেশী সুন্দর ও বস্তুনিষ্ঠ হত। ধন্যবাদ আপনাকে
Click This Link




-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
--------------------------------------------
মূল প্রথম আলো

Click This Link
News Details - Full Banner_Above
বীর মুক্তিযোদ্ধা
তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না

| তারিখ: ২৯-১২-২০১২

৫ মন্তব্য
প্রিন্ট
ShareThis
Share on Facebook

prothom-alojobs news details small ad
« আগের সংবাদ পরের সংবাদ»
জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম

জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম

৬১১
স্বাধীনতার চার দশক উপলক্ষে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ধারাবাহিক এই আয়োজন।
জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম
মুক্তিযুদ্ধে তাঁর ভূমিকা অসামান্য
জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড -ইন-কমান্ড ছিলেন। এর অবস্থান ছিল চট্টগ্রামের ষোলশহরে। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে ওই রাতেই তিনি বিদ্রোহ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।
২৭ ও ২৮ মার্চ তিনি চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। এ ঘোষণায় বাংলাদেশের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন মুক্তিযোদ্ধাসহ সবার মনে দারুণ আলোড়ন সৃষ্টি করে।
জিয়াউর রহমান প্রতিরোধযুদ্ধ শেষে প্রথমে ১ নম্বর সেক্টর, পরে ১১ নং সেক্টর এলাকার অধিনায়ক এবং পরবর্তীকালে ‘জেড’ ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর সার্বিক নেতৃত্ব ও পরিচালনায় বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি বড় বড় যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এর মধ্যে কামালপুর, ছাতক, ধলই বিওপি ও রাধানগরের যুদ্ধ অন্যতম। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে তিনি সিলেট এলাকায় ছিলেন।
২৫ মার্চ রাত ১১টায় অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জানজুয়া (পাকিস্তানি) জিয়াউর রহমানকে নির্দেশ দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বন্দরে যাওয়ার জন্য। আকস্মিক ও রহস্যজনক এই নির্দেশের অর্থ তাঁর বোধগম্য হয়নি। রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানজুয়া নিজে এসে তাঁকে নৌবাহিনীর একটি ট্রাকে তুলে ষোলশহর থেকে বন্দরে দিকে রওনা দেন।
জিয়াউর রহমানকে রাস্তার ব্যারিকেড সরিয়ে সরিয়ে যেতে হয়। আগ্রাবাদে একটি বড় ব্যারিকেডের কারণে আবার তাঁর ট্রাক দাঁড়িয়ে পড়ে। এ সময় পেছন থেকে ছুটে আসে একটি ডজ গাড়ি। ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামান চৌধুরী ওই গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে যান জিয়াউর রহমানের কাছে। হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে যান রাস্তার ধারে।
খালেকুজ্জামান জিয়াকে বলেন, পশ্চিমারা গোলাগুলি শুরু করেছে। শহরের বহু লোক হতাহত। তাঁর উত্তেজিত কণ্ঠস্বর থেকে আরেকটি কথা ঝরে পড়ে। ‘কী করবেন জিয়া ভাই এখন?’ খালেকুজ্জামানের কথা শুনে গভীর চিন্তায় তলিয়ে যান জিয়া। তারপর বজ্রনির্ঘোষে বলে ওঠেন: ‘উই রিভোল্ট।’
জিয়াউর রহমান সঙ্গে সঙ্গে খালেকুজ্জামানকে ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার্সে ফিরে যেতে বলেন। তিনি তাঁর মাধ্যমে অলি আহমদকে নির্দেশ পাঠান ব্যাটালিয়নের সব বাঙালি সেনাকে প্রস্তত করতে। একই সঙ্গে আরও নির্দেশ পাঠান ব্যাটালিয়নের সব পাকিস্তানি সেনাকর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের।
খালেকুজ্জামান যাওয়ার পর জিয়াউর রহমান ফিরে যান ট্রাকে। ট্রাকে তাঁর সঙ্গে ছিল একজন পাকিস্তানি সেনাকর্মকর্তা। তাকে তিনি বলেন, হুকুম বদলে গেছে। বন্দরে যেতে হবে না। আর বাঙালি সেনা যাঁরা তাঁর সঙ্গে যাচ্ছিলেন, তাঁদের ইশারায় বলেন অস্ত্র লোড রাখতে। প্রয়োজন হতে পারে।
তাঁরা ফিরে যান ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার্সে। সেখানে পৌঁছেই সঙ্গে থাকা পাকিস্তানি সেনাকর্মকর্তা ও নৌসেনাদের জিয়াউর রহমান আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। হকচকিত পাকিস্তানি সবাই আত্মসমর্পণ করে। এরপর তিনি একাই একটি গাড়ি নিয়ে ছুটে যান কমান্ডিং অফিসার জানজুয়ার বাড়িতে।
কলবেল টিপতেই ঘুম ভেঙে উঠে আসে জানজুয়া। তাঁকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে ওঠে। কেননা তার ধারণা ছিল, পরিকল্পনা অনুযায়ী জিয়া বন্দরে বন্দী হয়েছেন। জানজুয়াকে আটক করে জিয়া তাকে ষোলশহরে নিয়ে যান।
এরপর জিয়া টেলিফোনে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তাঁদের কাউকে না পেয়ে তিনি টেলিফোন এক্সচেঞ্জে ফোন করেন। অপারেটরকে বলেন সবাইকে ফোন করে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গলের বিদ্রোহ ঘোষণার কথা জানাতে। অপারেটর সানন্দে তাঁর নির্দেশ পালনে রাজি হন। এভাবে শুরু হয়ে যায় তাঁর মুক্তিযুদ্ধ।
জিয়াউর রহমান এর পর আর পেছন ফিরে তাকাননি। চট্টগ্রাম এলাকায় প্রতিরোধ যুদ্ধকালে তাঁর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পরিচালনায় মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধে অংশ নেন।
মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখায় জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়। ১৯৭৩ সালের গেজেট অনুযায়ী তাঁর বীরত্বভূষণ নম্বর ০৩।
জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার পর পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে উন্নীত হন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত সেনাপ্রধান ছিলেন। ১৯৭৫ সালে সামরিক আইন জারির পর প্রথমে উপপ্রধান ও পরে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হন। সেনাপ্রধান ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন। ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতি থাকাবস্থায় ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে সেনা বিদ্রোহের ঘটনায় তিনি নিহত হন। তাঁর জন্ম বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ি গ্রামে। তাঁর বাবার নাম এম মনসুর রহমান, মা জাহানারা খাতুন। স্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁদের দুই ছেলে।
সূত্র: মেজর (অব.) ওয়াকার হাসান বীর প্রতীক এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ দলিলপত্র, নবম খণ্ড।
গ্রন্থনা: রাশেদুর রহমান
ৎashedtৎ@pৎothom-alo.info




২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪০

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: াহো ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ- সত্যটি জানানোর জন্য। কৃতজ্ঞতা রইল।

৪৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৪

াহো বলেছেন:
ব্লগার নেক্সাস তিনি একজন মিথ্যাবাদী

৩০. ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১২
অপারেশন সার্চলাইট পেরিয়ে এসেছিল যে স্বাধীনতা দিবস!
Comment No 30
Click This Link


------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

বীর মুক্তিযোদ্ধা
তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না

| তারিখ: ২৯-১২-২০১২



prothom-alo


জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম

৬১১
স্বাধীনতার চার দশক উপলক্ষে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ধারাবাহিক এই আয়োজন।
জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম
Click This Link


২৭ ও ২৮ মার্চ তিনি চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। এ ঘোষণায় বাংলাদেশের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন মুক্তিযোদ্ধাসহ সবার মনে দারুণ আলোড়ন সৃষ্টি করে।

৪৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৩

াহো বলেছেন: ১)রাষ্ট্রপতি জিয়া কোনোদিন নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলেননি। ২৬ তারিখও বলেননি, উনি সবসময় ২৭ তারিখই বলেছেন। এবং ৭ই মার্চের বক্তব্যকে তিনি একটা প্রবন্ধে একটা পত্রিকায়, সম্ভবত বিচিত্রায়, জাতির জনকের গ্রিন সিগন্যাল বলেছেন। পরবর্তী সময় যে ঘোষক-টোষক বলা হয়েছে এগুলো তৈরি করা। রাষ্ট্রপতি জিয়া এগুলো ক্লেইম করেননি।

স্বাধীনতার ঘোষণা: বেলাল মোহাম্মদের সাক্ষাৎকার
http://arts.bdnews24.com/?p=2769

২)
প্রথম আলো
জিয়া ২৭ তারিখই

কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা
তারিখ: ২৬-০৩-২০১২
প্রথম আলো
http://www.prothom-alo.com/detail/news/235578


৩)
প্রথম আলো
স্বাধীনতার চার দশক উপলক্ষে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ধারাবাহিক এই আয়োজন।
জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম
Click This Link

২৭ ও ২৮ মার্চ তিনি চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। এ ঘোষণায় বাংলাদেশের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন মুক্তিযোদ্ধাসহ সবার মনে দারুণ আলোড়ন সৃষ্টি করে।


২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: দারুণ সব লিঙ্ক! অনেক কিছুই নতুন করে জানলাম। আমার পোস্টকে তথ্য দিয়ে সমৃদ্ধ করার জন্য কৃতজ্ঞ াহো ভাই।

অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৪৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

াহো বলেছেন: দৈনিক প্রথম আলো, ডেইলি স্টারে প্রকাশিত---স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রএবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা



১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের শুরুতেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকা বেতার কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। পাকিস্তানিরা রেডিও স্টেশনটির নতুন নাম দেয় ‘রেডিও পাকিস্তান ঢাকা’। এ কেন্দ্র থেকেই তারা সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেয়। বাঙালিদের কণ্ঠ রোধ করতে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে বাঙালিরা ঠিকই প্রতিরোধ গড়েছিল এবং লড়াইয়ে ফিরে এসেছিল। শুরু হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ।

বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর রক্তক্ষয়ী তীব্র আক্রমণ অবজ্ঞা করে ওই দিনই সন্ধ্যায় একটি ছোট রেডিও স্টেশন সম্প্রচার শুরু করেছিল। চট্টগ্রামের উত্তরে কালুরঘাট নামক স্থান থেকে গোপন ওই রেডিও স্টেশনটি বিশ্ববাসীর কাছে ঘোষণা করেঃ ‘শেখ পূর্ব পাকিস্তানের সাড়ে সাত কোটি নাগরিককে সার্বভৌম স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।’ রেডিও স্টেশনটি নিজের নামকরণ করে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র।

পরবর্তী চার দিন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে রেডিও স্টেশনটির প্রচারণা যুদ্ধ চলে। যখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দাবি করে বাংলাদেশে সব কিছুই শান্ত, তখন গোপন রেডিও স্টেশনটি ঘোষণা করে, মুক্তি বাহিনীরা রাজধানীর দিকে এগিয়ে আসছে এবং পাকিস্তানি সেনারা আত্মসমর্পণ করছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দাবি করে, তারা বাঙালিদের ইচ্ছাকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আর গোপন রেডিও স্টেশনটি ঘোষণা করে, পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর গভর্নর জেনারেল টিক্কা খান গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দাবি করে, বাঙালিরা পরাজিত হয়েছে, অন্যদিকে গোপন রেডিও দাবি করে, বাংলাদেশের একটি প্রাদেশিক সরকার গঠন করা হয়েছে।
গণহত্যার শুরুর দিনগুলোতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বিশ্বের কাছে ঘোষণা দেয়, বাঙালিরা ছাড় দেবে না, বাঙালিরা যুদ্ধ করবে এবং তাদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। বিশ্ব গোপন ওই রেডিওর ঘোষণা শুনেছিল। মার্চের সংকটময় ওই পাঁচ দিন কালুরঘাটের ছোট রেডিও স্টেশনটি কখনো নীরব হয়নি। রেডিও স্টেশনটি বাঙালিদের মনোবলকে পুনরুদ্ধার করেছিল এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে হতাশায় ডুবিয়েছিল।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নারী ও পুরুষেরা এবং ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যরা রেডিও স্টেশনটিকে আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করেছিল। পাশাপাশি বিশ্বের কাছে ঘোষণা করেছিল, সংগঠিত বাঙালি প্রতিরোধ নতুন উদ্যমে লড়াইয়ে ফিরে এসেছে। পাকিস্তানি ট্যাংক ও যুদ্ধবিমান বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের কণ্ঠকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না, বিষয়টি তারা নিশ্চিত করেছিল।

পরিবর্তিত ঐতিহাসিক দলিল
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কীভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল, তার ইতিহাস সঠিকভাবে প্রতিফলনের লক্ষ্যে সম্প্রতি সরকার দেশের পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। গত তিন দশক ধরে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রশি টানাটানির মধ্যে বাংলাদেশের ইতিহাস একাধিকবার নতুন করে লেখা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণায় শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানের ভূমিকার প্রতিফলন ঘটাতে গিয়ে বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকসমূহ একাধিকবার পুনর্লিখিত হয়েছে।

ইতিহাস বই সংশোধনের ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার নির্ভর করেছে স্বাধীনতাযুদ্ধের ব্যাপারে সরকারের আনুষ্ঠানিক ইতিহাসের ওপর, যা বাংলাদেশ সরকার কতৃêক ১৯৮২ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
আনুষ্ঠানিক ইতিহাস থেকে নিচের কালক্রমটি পাওয়া যায়ঃ

* ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতের পর থেকে ২৬ মার্চ ভোরের কোনো এক সময়ের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার একটি ঘোষণাপত্র লিখেছিলেন।
* ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষণাপত্রটি সম্প্রচার করা হয়। তবে খুব কম মানুষই সম্প্রচারিত ঘোষণাটি শুনতে পেয়েছিল।
* ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ কালুরঘাট থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে একটি ঘোষণা পাঠ করেন। ওই ঘোষণা বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলো শুনতে পেয়েছিল এবং বিশ্ব বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার ব্যাপারে জানতে পারে।

উপরোক্ত কালক্রম অনুযায়ী, ২৭ মার্চ মেজর জিয়াউর রহমানের ঘোষণা পাঠের আগ পর্যন্ত বহির্বিশ্ব বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা শুনতে পায়নি।
স্বাধীনতার ঘোষণার এই বিবরণটি ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়েছে এবং প্রথাগত বিচক্ষণতায় প্রতিফলন ঘটিয়েছে। এটা গত তিন দশক ধরে তৈরি হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে, জনপ্রিয় ইন্টারনেট বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ায় কালুরঘাট রেডিও ট্রান্সমিটার-বিষয়ক নিবন্ধে বলা হয়েছেঃ ‘১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ এম এ হান্নান স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণার একটি ইংরেজি অনুবাদ পাঠ করেছিলেন······ধারণা করা হয়, স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণা বিশ্ব গণমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ব্যাপকভাবে পৌঁছায়নি।’
মেজর জিয়াউর রহমানের শুরুর কথাগুলো ছিল বাংলায় ‘আমি মেজর জিয়া বলছি’। এরপর তিনি সার্বভৌম-স্বাধীন বাংলাদেশের ঘোষণা পাঠ করেন, যা বার্তা সংস্থাগুলো শুনতে পেয়েছিল এবং তারা তা সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে প্রচার করে।

জিয়াউর রহমানের ঘোষণা প্রথম শুনতে পায় চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করা একটি জাপানি জাহাজ। তারা তাৎক্ষণিকভাবে তা সারা বিশ্বের কাছে প্রচার করে। জিয়ার ঘোষণার সংবাদ প্রথম সম্প্রচার করে রেডিও অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্ব বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কথা বিস্তারিত জানতে পারে।

তবে বাস্তবতা আর প্রামাণিক দলিলপত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র ফুটে ওঠে।

মার্চ ২৬, ১৯৭১- কালুরঘাট থেকে ঘোষণা
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে সারা বিশ্বের ইংরেজি ভাষার শীর্ষস্থানীয় দৈনিকগুলোতে খবর প্রকাশিত হয়। এসব দৈনিকের ওপর একটি জরিপ চালানো হয়েছে। এতে দেখা যায়, ২৬ মার্চ সকালে কলকাতায় পৌঁছা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রকৃত বার্তা থেকে এবং ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সম্প্রচার থেকে সারা বিশ্ব বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা জানতে পারে।

১৯৭১ সালের মার্চে বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে কীভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার খবর প্রকাশিত হয়েছিল, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নি্নলিখিত ইংরেজি দৈনিকগুলোতে জরিপ চালানো হয়েছিলঃ ভারতের দ্য স্টেটসম্যান এবং দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া; আর্জেন্টিনার বুয়েন্স এয়ার্স হেরাল্ড; অস্ট্রেলিয়ার দ্য এজ এবং দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড; মিয়ানমারের দ্য গার্ডিয়ান; কানাডার দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল; হংকংয়ের দ্য হংকং স্ট্যান্ডার্ড; ইন্দোনেশিয়ার দ্য জাকার্তা টাইমস; জাপানের আসাহি ইভিনিং নিউজ; নেপালের দ্য রাইজিং নেপাল; ফিলিপাইনের ম্যানিলা টাইমস; সিঙ্গাপুরের দ্য স্ট্রেইটস টাইমস; দক্ষিণ আফ্রিকার দ্য প্রিটোরিয়া নিউজ; থাইল্যান্ডের দ্য ব্যাংকক পোস্ট; যুক্তরাজ্যের দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ, দ্য গার্ডিয়ান, দ্য টাইমস অব লন্ডন; যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর সান, দ্য বোস্টন গ্লোব, শিকাগো টাইমস, ক্রিস্টিয়ান সায়েন্স মনিটর, লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, দ্য ফিলাডেলফিয়া ইনকুরিয়ার, সানফ্রান্সিসকো ক্রোনিকেল এবং দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।

১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ নয়াদিল্লি থেকে প্রকাশিত দ্য স্টেটসম্যানে ২৬ মার্চ পাওয়া দুটি বার্তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়ঃ

পাকিস্তানি বাহিনী আন্দোলনকে চাপা দিতে অগ্রসর হওয়ার পর শুক্রবার শেখ মুজিবুর রহমান দুটি বার্তা সম্প্রচার করেছেন। ইউএনআই এ কথা জানায়।
একটি অজ্ঞাত রেডিও স্টেশন থেকে বিশ্বের কাছে পাঠানো এক বার্তায় আওয়ামী লীগ নেতা (শেখ মুজিব) ঘোষণা দিয়েছেন যে ‘শত্রু’ আঘাত হেনেছে এবং জনগণ বীরের মতো লড়াই করছে। বার্তাটি কলকাতা থেকে শোনা হয়েছে।

রেডিও স্টেশনটি নিজেকে ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। শিলং থেকে শোনা স্টেশনটির পরবর্তী সম্প্রচারে তিনি বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করেছেন।

২৭ মার্চ কলকাতা থেকে প্রকাশিত দ্য স্টেটসম্যান-এ আগের দিনের দুটি বার্তা তুলে ধরা হয় এভাবেঃ

একটি অজ্ঞাত রেডিও স্টেশনের মাধ্যমে আজ সকালে বিশ্বের কাছে পাঠানো এক বার্তায় জনাব রহমান (শেখ মুজিব) ঘোষণা দিয়েছেন যে শত্রু আঘাত হেনেছে এবং জনগণ বীরের মতো লড়াই করছে। বার্তাটি কলকাতা থেকে শোনা হয়েছে।

রেডিও স্টেশনটি নিজেকে ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। শিলং থেকে শোনা স্টেশনটির পরবর্তী সম্প্রচারে তিনি বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করেছেন।

২৭ মার্চ মুম্বাই থেকে প্রকাশিত দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া সকালের প্রথম সম্প্রচার থেকে পাওয়া বার্তার বিষয়বস্তু প্রকাশ করেঃ

আজ বিশ্বের কাছে পাঠানো এক বার্তায় শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের স্বাধীনতার জন্য বীরের মতো লড়াই করছে।
একটি অজ্ঞাত রেডিও স্টেশনের মাধ্যমে সম্প্রচারিত ওই বার্তা মুম্বাই থেকে শোনা গেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, রেডিও স্টেশনটি পূর্ব পাকিস্তানের চট্টগ্রাম অথবা চালনায় অবস্থিত।

বার্তায় জনাব রহমান বলেনঃ ‘আজ রাত ১২টার দিকে পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী হঠাৎ করে পিলখানা ও রাজারবাগে পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস ঘাঁটিতে হামলা চালায়। হামলায় অসংখ্য (নিরস্ত্র) মানুষ নিহত হয়।

‘ঢাকায় ইপিআর ও পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে কঠিন লড়াই চলছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জনগণ অকুতোভয়ে শত্রুর সঙ্গে লড়াই করছে।

‘বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ অবশ্যই যেকোনো মূল্যে দেশের প্রতিটি কোণে শত্রু বাহিনীকে প্রতিরোধ করবে।

‘আল্লাহ আপনাদের সহায় হোন এবং শত্রুর কাছ থেকে স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ে তিনি আপনাদের সাহায্য করবেন। জয় বাংলা।’

২৭ মার্চ নয়াদিল্লি থেকে প্রকাশিত দ্য স্টেটসম্যানও প্রথম বার্তার বিষয়বস্তু প্রকাশ করেঃ

জনাব রহমান (শেখ মুজিব) বলেছেন, ‘২৬ মার্চ রাত ১২টার দিকে পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী হঠাৎ করে পিলখানায় ও রাজারবাগে পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এতে অসংখ্য নিরস্ত্র মানুষ নিহত হয়। ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের সঙ্গে সশস্ত্র সংগ্রাম চলছে।

‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জনগণ বীরের মতো শত্রুর সঙ্গে লড়াই করছে। যেকোনো মূল্যে দেশের প্রতিটি কোনায় শত্রু বাহিনীকে প্রতিরোধের জন্য বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। আল্লাহ আপনাদের সহায় হোন এবং শত্রুর কাছ থেকে স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ে তিনি আপনাদের সাহায্য করবেন। জয় বাংলা।’

২৬ মার্চ সন্ধ্যায় কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রথম জীবন্ত হয়ে ওঠে এবং বেশ কিছু বার্তা সম্প্রচার করে। সম্প্রচারিত বার্তাগুলোর সবই ধারণ করা হয় এবং এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হলো, ওই দিন সন্ধ্যায় কালুরঘাটের একটি রিপোর্ট ভারতে ধারণ করা হয়। এতে বলা হয়, ‘শেখ পূর্ব পাকিস্তানের সাড়ে সাত কোটি নাগরিককে সার্বভৌম-স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করেছেন।’

এই ঘোষণা এবং এর আগের বার্তা ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় সারা বিশ্বে প্রচার করা হয়। এভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা বিশ্বের প্রায় সব সংবাদপত্রেই প্রথম পাতায় ছাপা হয়। বিশ্বের অনেক শীর্ষ সংবাদপত্র পরের দিন অর্থাৎ ২৭ মার্চ এ খবর প্রকাশ করে। উদাহরণ হিসেবে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস ২৭ মার্চ এ ব্যাপারে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়ঃ

শেখ মুজিবুর রহমান শুক্রবার পূর্ব পাকিস্তানের জন্য স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। ইসলামী জাতিটির (পাকিস্তান) দুই অংশের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা অসন্তোষ গৃহযুদ্ধে রূপ নেওয়ায় তিনি এ ঘোষণা দেন।

‘দ্য ভয়েস অব ইনডিপেনডেন্ট বাংলা দেশ’ নামে একটি গোপন রেডিও থেকে সম্প্রচারিত বার্তায় বলা হয়েছে, ‘শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানের সাড়ে সাত কোটি নাগরিককে সার্বভৌম-স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করেছেন।’

দালিলিক প্রমাণ নিশ্চিত করে, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সম্প্রচারিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা শোনা গিয়েছিল এবং পরের দিন সকালে এ নিয়ে বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল।

১৯৭২ সালের ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ অবজারভার-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধ অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম ইংরেজিতে পাঠ করেন ওয়াপদার প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম। আর প্রথম বাংলায় পাঠ করেন আবুশ কাশেম সন্দ্বীপ। সন্ধ্যায় এম এ হান্নানও একটি বক্তৃতায় ঘোষণাটি পাঠ করেন।

মার্চ ২৭, ১৯৭১- মেজর জিয়ার ঘোষণা
২৬ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র কালুরঘাট থেকে অব্যাহতভাবে সম্প্রচার চালিয়ে যায়। ৩০ মার্চ পাকিস্তানি বিমান হামলা করে বেতার কেন্দ্রটি গুঁড়িয়ে দেয়।

২৮ মার্চ ভারতীয় সংবাদপত্রগুলো খবর প্রকাশ করে, ‘জিয়া খান’ নামে এক মেজর ২৭ মার্চ একটি ঘোষণা পাঠ করেন। ঘোষক জিয়া খানকে ‘বাংলাদেশ মুক্তি সেনার প্রধান’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন।
২৮ মার্চ নয়াদিল্লি থেকে প্রকাশিত দ্য স্টেটসম্যান জানায়ঃ আরেকটি ঘোষণায় রেডিওটি দাবি করেছে, বাংলাদেশের পর পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ বেলুচিস্তানের স্বাধীনতাকামী জনগণ এবং পাখতুনিস্তান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে।

রেডিওতে কথা বলা ওই ব্যক্তিটি হলেন ‘বাংলাদেশ মুক্তি সেনার প্রধান মেজর জিয়া’।

২৮ মার্চ মুম্বাই থেকে প্রকাশিত দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়ঃ
বাংলাদেশ মুক্তি সেনার প্রধান মেজর জিয়া খান আজ রাতে স্বাধীন বাংলা রেডিওতে ঘোষণা দেন, দু-তিন দিনের মধ্যেই পাকিস্তানি সামরিক প্রশাসন থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হবে।

তিনি বলেন, আত্মসমর্পণ না করলে পশ্চিম পাঞ্জাবি সৈনিকেরা ‘নিশ্চিহ্ন হবে’।

ওই প্রতিবেদনে মেজর জিয়াউর রহমানকে ‘জিয়া খান’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে মেজর জিয়া কতৃêক ২৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার কোনো উল্লেখ করা হয়নি।

২৮ মার্চ ভারতীয় পত্রপত্রিকার এ দুটি প্রতিবেদন বিশ্ব সংবাদমাধ্যম প্রচার করেনি। ভারতীয় পত্রপত্রিকা ছাড়াও ২৮ মার্চ প্রকাশিত সারা বিশ্বের প্রধান ইংরেজি সংবাদপত্রগুলোর ওপর পরিচালিত জরিপেও ২৭ মার্চ মেজর জিয়ার সম্প্রচারের ব্যাপারে কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।

মার্চ ২৮, ১৯৭১ঃ মেজর জিয়া এবং বাংলাদেশের ‘প্রাদেশিক সরকার’
২৮ মার্চ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় বাংলাদেশের একটি প্রাদেশিক সরকার গঠন করা হয়েছে এবং মেজর জিয়াকে প্রাদেশিক সরকারের অস্থায়ী প্রধান ঘোষণা করা হয়েছে। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র ঘোষণা করে, প্রাদেশিক সরকারের দিকনির্দেশনা দেবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঘোষণাটি ভারতে শোনা যায় এবং এবারও ভারত মেজর জিয়াউর রহমানকে শুধু মেজর জিয়া খান হিসেবে উল্লেখ করে।

নিজেকে প্রাদেশিক প্রধান হিসেবে ঘোষণা দেওয়া মেজর জিয়ার একটি বক্তৃতা ২৯ মার্চ নয়াদিল্লি থেকে প্রকাশিত দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়ঃ

স্বাধীন বাংলা বেতারের এক সম্প্রচারে ‘মুক্তি সেনা’র কমান্ডার ইন চিফ মেজর জিয়া খান বলেছেন, ‘আমি এতদ্‌দ্বারা স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তি বাহনীর প্রাদেশিক প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করছি।

প্রাদেশিক প্রধান হিসেবে আমি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আদেশ দিচ্ছি। জয় বাংলা।’
তিনি বলেন, ‘শত্রুরা আকাশ ও সমুদ্রপথে অতিরিক্ত সৈন্য নিয়ে এসেছে।’ বাংলাদেশের যুদ্ধরত গণতন্ত্রমনা জনগণের সাহায্যে এগিয়ে আসতে তিনি বিশ্বের সব শান্তিকামী জনগণের প্রতি আবেদন জানান।
মেজর জিয়া দাবি করেন, ‘মুক্তি সেনারা’ কুমিল্লায় পাঞ্জাব রেজিমেন্টের ৩০০ জনকে হত্যা করেছে। যুদ্ধের শেষে রেজিমেন্টের অন্যরা পালিয়ে গেছে।
মেজর জিয়া খানকে অস্থায়ী প্রধান করে প্রাদেশিক সরকার গঠনের খবর ২৯ মার্চ বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পায়। উদাহরণ হিসেবে, ২৯ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার দ্য এজ জানায়ঃ

পূর্ব পাকিস্তানের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সমর্থকেরা মেজর জিয়া খানের অস্থায়ী নেতৃত্বের অধীনে আজ একটি প্রাদেশিক সরকার গঠন করেছে।
একটি বিদ্রোহী রেডিও নতুন সরকার গঠনের ঘোষণা দেয়। রেডিওটি মেজর জিয়াকে শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগের মুক্তি সেনার প্রধান হিসেবে পরিচয় দেয়। তবে শেখ মুজিবকে কেন সরকারের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি, সে ব্যাপারে রেডিওটি কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।

২৯ মার্চও বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে কোথাও মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার কথা বলা হয়নি।

মার্চ ৩০, ১৯৭১- দলিলপত্র এবং সংবাদ প্রতিবেদন
১৯৮২ সালে ১৫ খণ্ডে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক দলিলকে বলা হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধঃ দলিলপত্র। পাঠ্যপুস্তক সংশোধনে বর্তমান সরকার এটি ব্যবহার করছে। এর তৃতীয় খণ্ডে মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার বিষয়বস্তু সন্নিবেশিত আছে। সেটা এ রকমঃ

বাংলাদেশ মুক্তি সেনার প্রাদেশিক কমান্ডার ইন চিফ মেজর জিয়া এতদ্‌দ্বারা শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করছি।
আমি আরও ঘোষণা করছি, আমরা ইতিমধ্যেই শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে একটি সার্বভৌম, বৈধ সরকার গঠন করেছি, যা আইন ও সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নতুন গণতান্ত্রিক সরকার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নন-অ্যালাইনমেন্ট নীতির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশ সব জাতির সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে আগ্রহী হবে এবং আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করবে। বাংলাদেশে বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টির জন্য আমি সব সরকারের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি।
শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে এই সরকার বাংলাদেশের সার্বভৌম বৈধ সরকার এবং বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক জাতির কাছ থেকে এ সরকারের স্বীকৃতি পাওয়ার অধিকার আছে।’

দলিলপত্র অনুযায়ী জিয়াউর রহমান এই বক্তৃতা দিয়েছিলেন ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ। দলিলপত্রে এর সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে একই দিন নয়াদিল্লি থেকে প্রকাশিত দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকার। তবে স্টেটসম্যান পত্রিকায় ২৭ মার্চ সংখ্যায় এই বক্তৃতা ধারণ করা নেই।

দলিলপত্রে উল্লেখিত মেজর জিয়ার বক্তৃতার প্রথম রিপোর্ট ভারতীয় পত্রপত্রিকায় পাওয়া যায় ১৯৭১ সালের ৩১ মার্চ। ভারতীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই বক্তৃতা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ৩০ মার্চ সকালে সম্প্রচারিত হয়েছিল।

৩১ মার্চ নয়াদিল্লি থেকে প্রকাশিত স্টেটসম্যান পত্রিকার ৯ নম্বর পৃষ্ঠায় একটি প্রতিবেদন আছে এ রকমঃ

কলকাতা, মার্চ ৩০- শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে গঠিত সরকার বাংলাদেশের সার্বভৌম বৈধ সরকার এবং বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশের কাছ থেকে এর স্বীকৃতি পাওয়ার অধিকার আছে। মুক্তি সেনার প্রাদেশিক কমান্ডার ইন চিফ মেজর জিয়া খান আজ সকালে এ ঘোষণা দেন। ইউএনআই এ কথা জানিয়েছে।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সম্প্রচারিত বার্তায় শেখের পক্ষে মেজর জিয়া খান বলেন, ‘নতুন গণতান্ত্রিক সরকার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নন-অ্যালাইনমেন্ট নীতির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশ সব জাতির সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে আগ্রহী হবে এবং আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করবে।
‘আমরা ইতিমধ্যেই শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে একটি সার্বভৌম, বৈধ সরকার গঠন করেছি, যা আইন ও সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

‘বাংলাদেশের বৈধ গণতান্ত্রিক সরকারকে দ্রুত স্বীকৃতি দিতে আমরা বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক ও শান্তিকামী দেশের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।’ বাংলাদেশে ‘বর্বর গণহত্যা’র বিরুদ্ধে নিজ নিজ দেশে জনমত সৃষ্টির জন্য তিনি সব সরকারের প্রতি আবেদন জানান।

‘মেজর জিয়া খান বলেন, পাকিস্তান সরকার পরস্পরবিরোধী বিবৃতির মাধ্যমে বিশ্বের জনগণকে বিভ্রান্ত ও ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
‘তবে ইয়াহিয়া খান ও তাঁর সহযোগীদের দ্বারা কেউ বিভ্রান্ত হবে না।
৩১ মার্চ মুম্বাই থেকে প্রকাশিত টাইমস অব ইন্ডিয়া ১৫ নম্বর পৃষ্ঠার একটি খবরে বলা হয়েছেঃ

কলকাতা, মার্চ ৩০ঃ শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে গঠিত সরকার বাংলাদেশের সার্বভৌম বৈধ সরকার এবং ‘বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশের কাছ থেকে এর স্বীকৃতি’ পাওয়ার অধিকার আছে। মুক্তি সেনার প্রাদেশিক কমান্ডার ইন চিফ মেজর জিয়া খান আজ সকালে এ ঘোষণা দেন।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সম্প্রচারিত বার্তায় শেখের পক্ষে মেজর জিয়া খান বলেন, ‘নতুন গণতান্ত্রিক সরকার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নন-অ্যালাইনমেন্ট নীতির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশ সব জাতির সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে আগ্রহী হবে এবং আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করবে।’

মেজর জিয়া সম্প্রচার শুরু করেন এ কথাগুলো দিয়েঃ ‘আমি, মেজর জিয়া, বাংলা মুক্তিবাহিনীর প্রাদেশিক কমান্ডার ইন চিফ এতদ্‌দ্বারা শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি।
‘আমি আরও ঘোষণা করছি,’ তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে একটি সার্বভৌম, বৈধ সরকার গঠন করেছি। যা আইন ও সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

৩০ মার্চ মেজর জিয়ার দেওয়া বক্তৃতার ব্যাপারে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল ৩১ মার্চ, যা বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার পায়নি। জরিপ অনুযায়ী ৩০ মার্চ সকালে মেজর জিয়ার দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণা ভারতের বাইরে বিশ্বের ইংরেজি ভাষার কোনো পত্রিকাতেই প্রকাশিত হয়নি।

উপসংহার
৩০ মার্চ বিকেলে কালুরঘাট থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সম্প্রচার বন্ধ হওয়ার পর মেজর জিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া যান এবং ৩ এপ্রিল তিনি মেজর খালেদ মোশাররফ ও মেজর সফিউল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর তিনি মুক্তি বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ কর্নেল এম এ জি ওসমানীর অধীনে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ শুরু করেন।

গত তিন দশক ধরে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক ইতিহাস একাধিকবার নতুন করে লেখার কারণে প্রথাগত বিচক্ষণতার সঙ্গে দ্বন্দ্বের সৃষ্ট হয়েছিল। ১৯৭১ সালের শেষ দিকে বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনসমূহ বিষয়টি স্পষ্ট করেছে যে ২৬ মার্চ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সম্প্রচারিত ঘোষণার ভিত্তিতেই সারা বিশ্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা ব্যাপক প্রচার পেয়েছিল। এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই যে মধ্যরাতে ঢাকায় ইপিআর ও পুলিশ ব্যারাকের ওপর হামলার ব্যাপারে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রকৃত বার্তা বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পেয়েছিল। যদিও প্রাদেশিক সরকার গঠনের ব্যাপারে ২৮ মার্চ কালুরঘাট থেকে মেজর জিয়ার ঘোষণাও বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে প্রচার পেয়েছিল। তবে স্বাধীনতার ঘোষণার জন্য বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে মেজর জিয়াকে কোনো কৃতিত্ব দেওয়া হয়নি।

**************************
মাশুকুর রহমানঃ ফ্রিল্যান্স লেখক
মাহবুবুর রহমান জালালঃ ‘বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার ডকুমেন্টস’-এর কর্মী
ডেইলি স্টারে প্রকাশিত
অনুবাদঃ মোহাম্মদ রকিবুল ইসলাম
দৈনিক প্রথম আলো, ২৬ মার্চ ২০০৮



Swadhin Bangla Betar Kendro and Bangladesh's Declaration of Independence

Click This Link

Mashuqur Rahman and Mahbubur Rahman Jalal present new research

Soon after the Pakistan army took over Dacca Betar Kendro in the early hours of March 26, 1971. The Pakistanis renamed the radio station "Radio Pakistan Dacca" and used it to announce martial law orders. The Pakistan army's attempt at silencing the voice of the Bengalis had begun. Bengalis, however, fought back. The war of Bangladesh's Liberation had begun.

On the evening of that same day a small radio station started broadcasting defiantly in the face of the Pakistan military's bloody onslaught on the Bengalis. The clandestine radio station, located in Kalurghat, north of the city of Chittagong, declared to the world: "The Sheikh has declared the 75 million people of East Pakistan as citizens of the sovereign independent Bangla Desh." The station called itself Swadhin Bangla Betar Kendro.

For the next four days the radio station engaged in a propaganda battle with the Pakistan army. While the Pakistan army claimed all was calm in Bangladesh, the clandestine radio station declared liberation forces were marching on the capital and Pakistani soldiers were surrendering. While the Pakistan army claimed it had crushed the will of the Bengalis, the clandestine radio station declared that the Pakistani military governor General Tikka Khan had been assassinated. While the Pakistan army claimed the Bengalis had been defeated, the clandestine radio station claimed that a provisional government of Bangladesh had been formed.

In those early days of the genocide, Swadhin Bangla Betar Kendro declared to the world that Bengalis would not give up, that Bengalis would fight, and that the sacrifice would not go in vain. And the world listened. The small radio station in Kalurghat during those five crucial days in March refused to be silenced. It rallied the morale of the Bengalis and it frustrated the Pakistani army.
The last message from Dacca Betar Kendro was delivered by announcer Nazma Akhtar: "The 75 million people of Bangla Desh, freedom-loving as they are, have been subjected to brutal genocide by the army. The people of Bangla Desh will shed more blood rather than forget the injury. We will never allow the sacrifice to go in vain."

The men and women of Swadhin Bangla Betar Kendro and the men of the East Bengal Regiment who defended the station from attack, and announced to the world that an organised Bengali resistance was fighting back, ensured that Pakistani tanks and airplanes could not silence the voice of the 75 million people of Bangladesh.

The changing historical record
Recently, the Bangladesh government undertook an effort to revise the history textbooks in Bangladesh to more accurately reflect the history of how the independence of Bangladesh was declared on March 26, 1971. In the tug of war between the Awami League and the Bangladesh Nationalist Party, the history of Bangladesh has been rewritten several times over the past three decades. School textbooks have been written and rewritten to reflect varying narratives of the role of Sheikh Mujibur Rahman and Ziaur Rahman in the declaration of Bangladesh's independence.

In revising the history books, the current government relied on the government's official history of the war of independence published in 1982 by the Bangladesh government.

The official history has given rise to the following timeline:
-Sheikh Mujibur Rahman wrote down an independence declaration sometime after midnight on the morning of March 26,1971
-Sheikh Mujibur Rahman's declaration was broadcast on the day of March 26, 1971 from Kalurghat in Chittagong. However, very few people heard that broadcast.
-Ziaur Rahman, then a major in the East Bengal Regiment, broadcast a declaration from Kalurghat on behalf of Sheikh Mujibur Rahman on March 27, 1971, that was picked up by the foreign press, and the world came to know about Bangladesh's declaration of independence.

The above timeline suggests that until Major Ziaur Rahman broadcast his speech on March 27, the outside world did not hear about Bangladesh's independence.

This version of events is widely accepted and reflects the conventional wisdom that has developed over the last three decades. For example, the article on the Kalurghat radio transmitter on Wikipedia, the popular Internet encyclopedia, states:

"An English translation of the first declaration of independence by M A Hannan on 26th March 1971 ... It is believed that the first declaration of independence was not widely noticed by international media and the international community."

Major Ziaur Rahman's opening words in Bangla, "Ami Major Zia Bolchi," that is, "I am Major Zia speaking," were picked up by news agencies and given wide publicity across the globe. "Ami Major Zia Bolchi" was followed by a declaration of a sovereign and independent Bangladesh.

These words were first picked up by a Japanese ship anchored in Chittagong harbour, and flashed to the world. News of Zia's declaration was first broadcast by Radio Australia, and the world at large came to know of birth of Bangladesh.

The facts and the available documentary evidence however paint a starkly different picture.

March 26, 1971: The Declaration from Kalurghat
A survey of leading English lan-guage newspapers from around the flashed around the world on news wires on the evening of March 26, 1971. world shows that the world came to know about the independence of Bangladesh from Sheikh Mujibur Rahman's original message received in Calcutta on the morning of March 26 and from broadcasts from Swadhin Bangla Betar Kendro on the evening of March 26.

The following English newspapers were surveyed to examine how Bangladesh's declaration of independence was reported in the world press in March, 1971: The Statesman and The Times of India from India; Buenos Aires Herald from Argentina; The Age, The Sydney Morning Herald from Australia; The Guardian from Burma; The Globe and Mail from Canada; Hong Kong Standard from Hong Kong; The Jakarta Times from Indonesia; Asahi Evening News from Japan; The Rising Nepal from Nepal; The Manila Times from the Philippines; The Straits Times from Singapore; The Pretoria News from South Africa; The Bangkok Post from Thailand; The Daily Telegraph, The Guardian, The Times of London from the United Kingdom; and, Baltimore Sun, The Boston Globe, Chicago Tribune, Christian Science Monitor, Los Angeles Times, The New York Times, The Philadelphia Inquirer, San Francisco Chronicle and The Washington Post from the United States.

The Statesman published from New Delhi on March 27, 1971 and explained the two messages received on March 26:
Sheikh Mujibur Rahman made two broadcasts on Friday following the Pakistani troops move to crush his movement, says UNI.

In a message to the world broadcast by an unidentified wireless station monitored in Calcutta, the Awami League leader declared that "the enemy" had struck and that the people were fighting gallantly.

In a subsequent broadcast over a radio station, describing itself as "Swadhin Bangla Betar Kendra" (Free Bengal Wireless Station), monitored in Shillong, he proclaimed Bangla Desh an independent republic.

The Statesman published from Calcutta on March 27, 1971, lays out the timeline of the two messages from the previous day:
Mr. Rahman, in a message to the world broadcast by an unidentified wireless station monitored in Calcutta this morning declared that the enemy had struck and that the people were fighting gallantly.

In a subsequent broadcast over a radio station, describing itself as "Swadhin Bangla Betar Kendra" (Free Bengal Wireless Station) monitored in Shillong, Mr. Rahman proclaimed Bangla Desh an independent republic.

The Times of India published from Bombay on March 27, 1971, provides the text of the message received from the first broadcast in the morning:
Sheikh Mujibur Rahman said in a message to the world today that the people of Bangla Desh were fighting gallantly for their freedom.

The message, broadcast by an unidentified wireless station, was picked up here.

It was believed that the station was located at Chittagong or Chalna in East Pakistan.

Mr. Rahman said in the message: "Pakistani armed forces suddenly attacked the East Pakistan Rifles base at Bilkhana and Rajarbagh near here at zero hours today, killing a lot of [unarmed people].

"Stern fighting is going on with the EPR in Dacca and the police force. The people are fighting the enemy gallantly for the cause of the freedom of Bangla Desh.

"Every section of the people of Bangla Desh must resist the enemy forces at all costs in every corner of Bangla Desh.

"May Allah bless you and help you in the struggle for freedom from the enemy. Jai Bangla."

The Statesman from New Delhi on March 27, 1971, also provides the text of the first message:
Mr. Rahman said: "Pakistan armed forces suddenly attacked the East Pakistan Rifle base at Pielkhana and Rajabag police station in Dacca at zero hours on March 26, killing a number of unarmed people. Fierce fighting is going on with East Pakistan Rifles at Dacca.

"People are fighting gallantly with the enemy for the cause of freedom of Bangla Desh. Every section of the people of Bangla Desh are asked to resist the enemy forces at any cost in every corner of Bangla Desh. May Allah bless you and help in your struggle for freedom from the enemy. Jai Bangla."

In the evening on March 26, 1971, Swadhin Bangla Betar Kendro at Kalurghat came alive for the first time and broadcast multiple messages. These broadcasts were all monitored and reported on. Most significantly, one report from Kalurghat on that evening was monitored in India as saying: "The Sheikh has declared the 75 million people of East Pakistan as citizens of the sovereign independent Bangla Desh."

This announcement as well as the previous message was flashed around the world on news wires on the evening of March, 26, 1971. Bangladesh's declaration of independence thus became front page news on nearly all, if not all, major newspapers around the world published the following day on March 27, 1971. For example, The Los Angeles Times reported on its front page on March 27:

Sheikh Mujibur Rahman declared independence for East Pakistan Friday as the long smoldering feud between the two wings of the Islamic nation flamed into open civil war.

A clandestine radio broadcast monitored here from a station identifying itself as "The Voice of Independent Bangla Desh (Bengali homeland)," said, "The sheik has declared the 75 million people of East Pakistan as citizens of the sovereign independent Bangla Desh."

The documentary evidence confirms that Bangladesh's declaration of independence was heard on March 26, 1971, from Swadhin Bangla Betar Kendro at Kalurghat and reported on in world newspapers the following morning.

According to an article in the Bangladesh Observer published on April 23, 1972, the first persons to broadcast Sheikh Mujibur Rahman's declaration of independence in the evening on March 26, 1971, from Swadhin Bangla Betar Kendro in English were Ashikul Islam, a WAPDA engineer, and in Bengali, Abul Kashem Sandwip. Later in the evening M. A. Hannan also broadcast the declaration in a speech.

March 27, 1971: Major Zia's announcement
Swadhin Bangla Betar Kendro continued to broadcast from Kalurghat from March 26 till March 30, when Kalurghat was abandoned due to Pakistani air attacks.

On March 28, 1971, Indian newspapers reported that a Major "Jia Khan", or "Zia Khan", had also broadcast an announcement on March 27. Zia Khan was identified by the announcer as "Chief of the Liberation Army of Bangla Desh."

The Statesman published from New Delhi on March 28, 1971, reported:
In another broadcast the radio claimed that freedom-loving people of Baluchistan, the North West Frontier Province and Pakhtoonistan had declared independence, following the example of Bangla Desh.

The person who spoke on the radio was identified as "Major Jia, Chief of the Liberation Army of Bangla Desh."

The Times of India published from Bombay on March 28, 1971, reported:
Major Zia Khan, chief of the Bangla Desh liberation army, declared over the free Bangla Radio tonight that Bangla Desh would be rid of the Pakistani military administration in two or three days.

The West Punjabi soldiers "will be annihilated" if they did not surrender, he said.

The reports misidentified Major Ziaur Rahman as "Zia Khan" or "Jia Khan." The reports did not make any mention of a declaration of independence by Major Zia on March 27, 1971.

These two reports in the Indian newspapers on March 28 were not picked up by the world press. Beyond the Indian newspapers, a survey of major English language newspapers around the world on March 28, 1971, found no reports on Major Zia's broadcast on March 27.

March 28, 1971: Major Zia and the "provisional government" of Bangla Desh
On March 28, 1971, broadcasts from Swadhin Bangla Betar Kendro monitored in India announced that a provisional government of Bangla Desh had been formed and that Major Zia Khan, or Major Jia Khan (again misidentifying Major Ziaur Rahman) had been declared the temporary head of the provisional government. The Kalurghat broadcasts announced that the provisional government "would be guided by Banga Bandhu Mujibur Rahman."

The Statesman published from New Delhi on March 29, 1971 reported a speech by Major Zia declaring himself the provisional head:

In a broadcast over the Free Bangla Radio Major Jia Khan, commander-in-chief of the "liberation army" said: "I hereby assume the powers of the provisional head of the liberation army of Swadhin Bangla Desh.

"As provisional head I order the freedom fighters of Bangla Desh to continue the struggle till ultimate victory. Jai Bangla." He said the enemy was bringing additional troops both by the sea and by the air."

He appealed to all peace-loving peoples of the world to come to help of "the democratic minded fighting people of Bangla Desh."

Major Jia claimed that the "liberation army" had killed 300 men of the Punjab Regiment at Comilla. Other men of the regiment fled at the end of the fighting.

This report of the formation of a "provisional government" with "Major Zia Khan" as its temporary head was picked up and widely reported in the world press on March 29, 1971. For example, The Age from Australia reported on March 29:

Supporters of the East Pakistani leader, Sheik Mujibur Rahman, today formed a provisional Government under the temporary leadership of Major Zia Khan.

A rebel radio, announcing the new Government, identified Major Zia as head of the liberation army of Sheik Mujib's Awami League. The radio did not explain why Sheik Mujib had not been appointed leader of the Government.

There is however no report of Major Zia's declaration of independence in the world press on March 29, 1971.

March 30, 1971: The Dalil Potro and news reports
The official Bangladesh government document on the Liberation War, published in 1982 as 15 volumes is called Bangladesh Swadhinata Juddho: Dalil Potro, used by the current government to revise the textbooks, contains the text of Major Ziaur Rahman's Declaration of Independence in Volume 3. It reads as follows:

"Major Zia, Provisional Commander-in-Chief of the Bangladesh Liberation Army, hereby proclaims, on behalf of Sheikh Mujibur Rahman, the independence of Bangladesh.

"I also declare, we have already framed a sovereign, legal Government under Sheikh Mujibur Rahman which pledges to function as per law and the constitution. The new democratic Government is committed to a policy of non-alignment in international relations. It will seek friendship with all nations and strive for international peace. I appeal to all Government to mobilige public opinion in their respective countries against the brutal genocide in Bangladesh.

"The Government under Sheikh Mujibur Rahman is sovereign legal Government of Bangladesh and is entitled to recognition fro

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে আর ছোট করছি না। তথ্যগুলো দেবার জন্য কৃতজ্ঞ।

৪৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

াহো বলেছেন:


স্টিকি Post

অপারেশন সার্চলাইট পেরিয়ে এসেছিল যে স্বাধীনতা দিবস!
২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৫ | মাহমুদা সোনিয়া



২৯. ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪
নেক্সাস বলেছেন: দারুন পোষ্ট। আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা।










ব্লগে প্রত্যেক জামায়াত BNP , সবাই পিতা মুক্তিযোদ্ধা

৫০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: nice post but 11tar smy karfu jari kora hle bongobondhu kivabe chitagong e news pathalen ta bujhlam na..

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৭

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: পোস্টের বিষয়বস্তু অপারশন সার্চলাইট নিয়ে। সেই কালরাতের পরিকল্পনা, স্বাধীনতার প্রথম প্রহরেই যাদের আমরা হারিয়েছি, তাঁদের জন্যই, তাঁদের স্মরণেই এই পোস্ট। সেই জেনোসাইডের মর্মবাণী উপলব্ধি করাটাই পোস্টের উদ্দেশ্য।

আর উপরে কিছু লিঙ্ক দিয়েছেন াহো ভাই। সেগুলো পড়লেই আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন।

ধন্যবাদ।

৫১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪১

মুয়াজ বলেছেন: Click This Link

৫২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪২

মুয়াজ বলেছেন: Click This Link

৫৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: লক্ষ প্রানের বক্ষ রঙিন
রঞ্জিত বাংলার মাঠ ,ময়দান
বুক ফাটা আর্তনাদ আজও
গর্জে উটে আঁধারিয়া মৃত্যুর শ্মশান ।
শক্ত হাতে অশ্র ধরে বাংলার দামালেরা
অগ্নিঝরা উত্তাল দিনের বজ্র সে নিনাদ
কানে বাজে বিভীষিকায় অতি ভয়ংকরে
তবুও শপথ আঁকে বীর বাঙ্গালী
রক্ত দিয়েও স্বাধীনতা আনবে বিজয় করে ।

সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের
রক্তিম শুভেচ্ছা

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: আপনার অনুভূতি কে সম্মান জানাই।

স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।

৫৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪৭

নোমান নমি বলেছেন: এটা আরও অনেকবার পড়তে হবে! অনেকবার। দারুন আপু।

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: থ্যাংকস নোমান। অনেক অনেক ভালো থাকো। :) :)

৫৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০৯

নেক্সাস বলেছেন: রাহো: তোমার মত পেইড দালালেরা আরেকজন মিথ্যাবাদী বলতে পারে।

আর মুক্তিযোদ্ধা কোন দলের কেনা সম্পত্তি নয়।
আওয়ামীলিগের চাইতে বিএনপিতেই সন্মুখ সমরে লড়াই করা যোদ্ধা বেশী।

আর রাহো আমি কি জানি জান? আমি জানি তুমি রাজাকারের ঔরসে জন্ম নেওয়া নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা।

আমি পোষ্ট দাতা মাহমুদা সোনিয়ার পোষ্টে কমেন্ট করেছি। রাহো তোমার পোষ্টে নয়। আমার অভিমত ব্যাক্ত করার স্বাধীনতা আমার আছে। বঙ্গবন্ধু মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিলেও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মানুষের বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছে এবং স্বীকার করুক আর নাই করুক আজকে বাংলার মানুষ সে স্বাধীনতা ভোগ করছে। কাজেই নিজের শালীনতা বজায় রাখা তোমার কর্তব্য। কাউকে ব্যাক্তি আক্রমণ করা কোন ভদ্রতা নয় আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা নয় শুধু আমার মাও একজন রনাঙ্গনের সাহসী সেবিকা। অবশ্য যে দলের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছ সে দলের আদর্শ তোমাদের নৈতিকতা শিক্ষা দেয় কিনা আমার জানা নেই।
প্রয়োজন হলে আমার গ্রামের বাড়ি চলে আস তারপর আমার মা এখনো জীবিত .মায়ের সাথে তোমার কিছুক্ষণ কথা বলিয়ে দেব। তারপর দেখে নেব তুমি কোন জাতের মুক্তিযোদ্ধার উত্তরসূরী

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: আপনাদের দু জনের কাছেই অনুরোধ, দয়াকরে কোন ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না এখানে। আমি আপনাদের ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। আপনাদের ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক মাতাদর্শ থাকতে পারে। কিন্তু দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে এককভাবে ক্রেডিট নেয়া, কাদাছোঁড়াছুড়ি থেকে বিরত থাকুন। সুস্থ, অপরকে সম্মান প্রদর্শন, যার যে সম্মান প্রাপ্য তাকে সেটা দিতে কোন রাজনৈতিক কর্মীর ই কার্পণ্য করা উচিত নয়।

আমার পোস্টটি ছিল অপারেশন সার্চলাইট এর মত ভয়ঙ্কর জেনসাইড নিয়ে, স্বাধীনতার প্রথম প্রহরেই আমরা কি হারিয়েছি, সেটা নিয়ে। কোন ঘোষণা বাণী নিয়ে ছিল না। তাছাড়া মেজর জিয়া নিজেই সেটি নিয়ে কখনো কোন অহংকার করেননি। আলাদা করে ক্রেডিট নেন নি। সেই একই ভাবে বঙ্গবন্ধু এ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, স্বাধীনতায় তাঁর যে অবদান, সেটা অস্বীকার করাও ঠিক নয়।

এখানে আমরা এসব জাতীয় নেতাদের তাঁদের যুদ্ধকালীন সময়ে, স্বাধীনতায় তাঁদের অবদান নিয়ে বলুন। এর পরে কার কি রাজনৈতিক বিচ্যুতি হয়েছিল তা নিয়ে আলোচনা না করি।

স্বাধীনতা এ জাতির সর্বোচ্চ প্রাপ্তি, সেটা সম্ভব হয়েছিল কারণ সবাই তখন একতাবদ্ধ হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। আপনার বিশ্বাসকে সম্মান করি। কিন্তু একতরফা ভাবে, এক্কেবারে অন্ধভাবে কোন রাজনৈতিকভাবে স্বাধীনতার ইতিহাস বলা উচিত নয়।

৫৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্যবহুল গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট..প্রিয়তে নিলাম

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৫৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২৭

মাথাল বলেছেন: চমৎকার একটা দলিল হয়ে গেল। যেন যত্নে থাকে, কেও মুছে দিতে পারে না যেন।
ধন্যবাদ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা রইল।

৫৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১৪

আমি বোকা মানুষ বলেছেন: কাল থেকেই দেখছিলাম পোষ্টটি ঝুলতে। প্রথমে সামুকে ধন্যবাদ চমৎকার একটি পোষ্ট স্টিকি করার জন্য।

একটি সমৃদ্ধশালী তথ্যবহুল পোষ্টের জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা রইল।

৫৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৬

হাসি .. বলেছেন: চমৎকার হয়েছে পোষ্ট, এসব পড়া, জানা আমাদের উচিত
++

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: ভালো লাগলো জেনে।

৬০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন:
পোষ্টে ভালোলাগাসহ প্রিয়তে। খুব পরিশ্রমী একটি পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানাই।

স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা রইল।

৬১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: মুক্তি যুদ্ধা কারা যারা দেশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য সম্মুখ
সমরে বিজয় ছিনিয়ে আনল তারা ।
তারা কারা তারা ছাত্র , কৃষক , শ্রমিক , আর্মি , পুলিশ ,বুদ্ধিজীবী , আনসার , লেখক , সমাজ কর্মী , সংবাদ কর্মী , সেবাদানি কারী , নেতা ,
ইমাম , মুন্সী , সহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ।
স্বাধীনতার পর গণতন্ত্রের পরিবেশ গড়তে বিভিন্ন দলে মুক্তিকামী মানুষ বিভক্ত হয় । যে কোন দলেই মুক্তি যুদ্ধা থাকা অন্যরকম কিছু
নয় , সবারই সমান মর্যাদা ।
স্বাধীনতার সুদ্ধ চেতনায়
আমরা জাগ্রত দেশ সেবায় ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা রইল।

৬২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

রায়হান মাহবুব বলেছেন: অসাধারন। শেয়ার করলাম ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা রইল।

৬৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭

নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: +++++


২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: :) :)

৬৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫

আ.হ.ম. সবুজ বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্যবহুল পোস্ট । লেখিকাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ । অপারেশন সার্চলাইট নামক এই কালো অধ্যায়টি যদি প্রতিটি বাঙ্গালীর হৃদয়ে ধারন করে রাখে । তবেই এই দেশ ও জাতি খুজে পাবে স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ ।

ইতিহাসে ঘৃণিত এই কালো রাতটির কথা আমরা যেন কখনো ভূলে না যাই ।

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: মুক্তি যুদ্ধা কারা যারা দেশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য সম্মুখ
সমরে বিজয় ছিনিয়ে আনল তারা ।
তারা কারা তারা ছাত্র , কৃষক , শ্রমিক , আর্মি , পুলিশ ,বুদ্ধিজীবী , আনসার , লেখক , সমাজ কর্মী , সংবাদ কর্মী , সেবাদানি কারী , নেতা ,
ইমাম , মুন্সী , সহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ।
স্বাধীনতার পর গণতন্ত্রের পরিবেশ গড়তে বিভিন্ন দলে মুক্তিকামী মানুষ বিভক্ত হয় । যে কোন দলেই মুক্তি যুদ্ধা থাকা অন্যরকম কিছু
নয় , সবারই সমান মর্যাদা ।
স্বাধীনতার সুদ্ধ চেতনায়
আমরা জাগ্রত দেশ সেবায় ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা রইল।

৬৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

ফারিয়া বলেছেন: আপাতত প্রিয়তে থাকল, পাঠ দ্রুত করতে হবে!

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: থ্যাংকস ফারিয়া। :)

৬৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: সেটাছিলো অত্যান্ত নৃসংস হত্যাকান্ড :(

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২২

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: হুম। পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম নৃশংস হত্যাকাণ্ড!

৬৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪২

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: এটাতো সেই স্টিকি পোস্ট!নতুনকরে আবারো সবকিছু পড়ে ভালো লাগলো আপু।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২২

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৬৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০

এম হুসাইন বলেছেন: মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।

+++ সহ কৃতজ্ঞতা জানবেন।

ভালো থাকুন।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: thanks a lot :)

apnio valo thakun..

৬৯| ২০ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৩২

কালীদাস বলেছেন: মানুষ কত বড় ইতর হলে এই অপারেশন সার্চলাইটের জেনোসাইডের সাথে অন্য পলিটিকাল কিলিংকে কম্পেয়ার করে সেটাই চিন্তা করি।

ভাল ডকুমেন্টারি++++++++++

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

৭০| ০২ রা জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬

আরজু পনি বলেছেন:

সোনিয়া, দুই বছর পার করে ফেললেন...বর্ষপূর্তির শুভেচ্ছা রইল।। !:#P !:#P

জানি ব্যস্ত থাকেন, তারপরও ব্লগে যে একেবারেই অনিয়মিত হয়ে গেলেন!
মাঝে মাঝে পোস্ট দিলেই পারেন।

ভালো থাকুন।।

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: আপনি বরাবরই আমাকে ইমোশনাল ও সারপ্রাইজড করে দেন আপু। এরকম কেয়ারিং মানুষ আমি খুব কমই দেখছি। ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না, শুধু বলি আমি কৃতজ্ঞ!! সময় পেলেই লিখে ফেলব কথা দিলাম!! :) :)

৭১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: অনেক দারুণ একটি পোস্ট । হ্যাটস অফ ।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: thanks a lot.. valo thakben :)

৭২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৭

আরজু পনি বলেছেন:

কতোদিন নতুন পোস্ট দিচ্ছেন না !
মিস করি বড্ড আপনাকে ।

ব্যস্ততার ফাকেঁই শেয়ার দিয়ে দিন আপনার কোন ভাবনা ।

অনেক অনেক

♥ ঈদ মোবারক ♥

রইল আপনার জন্যে ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.