নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হে আমাদের প্রতিপালক সকল প্রশংসা তোমারই

মাহমুদডবি

মনে রাখবা তোমার রবের কাছে তোমাকে হিসাব দিতে হবে।

মাহমুদডবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন জেনে নেই " নামাজ না পড়লেও ইমান ঠিক আছে" এই কথাটি সত্য কিনা

০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১১

ইহুদীরা সবসময় মুসলিমদের মসজিদের ফজরের জামাতের খোজ খবর রাখে কারন তারা জানে যখন মুসলিমদের মসজিদগুলোতে ফজরের জামাতে কাতারগুলো কানায় কানায় পুর্ন থাকবে সেদিন আর মুসলিমদের দমিয়ে রাখা যাবে না । যদিও আমরা দেখি জুমার দিন মসজিদে জায়গা না পেলেও বাকি সময় মসজিদে দুই কাতারই হতে চায় না। আমাদের সমাজে বিশেষ করে মুসলিম যুবকদের মাঝে একটি কথা খুব প্রচলিত তা হলো (নামাজ না পড়লেও ইমান ঠিক আছে)। আসলে সে জানেইনা নামজ না পড়লে সে মুসলিমই থাকে না। মুসলমানদের নিজেদের ধর্ম সম্পর্কে অগ্গতাই মুসলমানদের প্রধান শত্রু।



সালাত ত্যাগ করাকে হাদীসে মুমিন এবং কাফেরের মধ্যে পার্থক্যকারী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে : জাবির (রা: ) হতে বর্নিত, তিনি বলেন আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, " মুসলিম ব্যাক্তি ও মুশরিক ও কাফেরের মধ্যে্ পার্থক্য হচ্ছে সালাত পরিত্যাগ করা। "( সহীহ মুসলিম ২৫৬ ) । এই হাদিস অনুযায়ী বুঝা যায় ইচ্ছা পুর্বক সালাত ত্যাগকারী মুমিন থাকেনা কাফের হয়ে যায়।





অপর হাদিসে বর্ণিত হয়েছে : আব্দুল্লাহ ইবনে বুরাইদা (রা: ) তার পিতা থেকে বর্ননা করেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাদের এবং তাদের মাঝে নিরাপত্তার অংগিকার হচ্ছে সালাত। সুতরাং যে ব্যাক্তি তা পরিত্যাগ করলো সে কাফের হয়ে গেলো ।( সুনানে তিরমিজি ২৬২১, সুনানে নাসায়ী, সুনানে ইবনে মাজাহ ১০৭৯, মুসনাদে আহমদ ২২৯৩৭ )



অপর হাদিসে ইরশাদ হয়েছে : আবু দারদা (রা: ) থেকে বর্নিত , তিনি বলেন : আমার বন্ধু ( রাসুল সাল্লাল্লাহু ) আমাকে অসিয়াত করেছেন যে , তুমি আল্লাহর সাথে কোনো কিছু শরিক করবে না যদি তোমাকে টুকরা টুকরা করা হয় অথবা আগুনে পোড়ানো হয়, ইচ্ছাকৃত সালাত ত্যাগ করবে না কেননা যে ইচ্ছাকৃত ফরজ সালাত ত্যাগ করলো তার থেকে আল্লাহর দায়িত্ব মুক্তি হয়ে যায়। ( সুনানে ইবনে মাজাহ ৪০৩৪, মুসতাদরেক হাকেম ৬৮৩০ )



আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা: ) বলেন : যে সালাত আদায় করলো না তার কোনো দ্বীন নাই।



ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা: ) বলেন : যে ব্যাক্তি সালাত ত্যাগ করলো ইসলামে তার কোনো অংশ নাই।





সকল মুসলিম ভাইদের কাছে আবেদন আসুন নামাজ নিজে পড়ি এবং পরিবারের সবাইকে নামাজ পড়তে অনুপ্রানিত করি । আল্লাহ আমাদের তওবা কবুল করুন ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৩

নাজমুল হুদা নাজ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪১

মাহমুদডবি বলেছেন: জাযাকাল্লাহু খাইরান

২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৯

আজিজ বাংলাদেশী বলেছেন: আল্লাহ আমাদের ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরার তৈফিকদান করুন।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪২

মাহমুদডবি বলেছেন: আমীন

৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৬

চ।ন্দু বলেছেন: আপনার পড়াশুনো কতদূর ভাইজান? ঈমানের সংজ্ঞাটা আগে বুঝার চেষ্টা করেন। হাদিসের উদাহরণ দেবার আগে হাদিসটা সঠিক কিনা তা যাঞ্চাই করে নিয়েন। মূল কথা হচ্ছে- ঈমান হচ্ছে বিশ্বাস -এর সাথে নামাজের কোন সম্পর্ক নেই। নামাজের সম্পর্ক আমলের সাথে। আর এটা আল্লার হক। এর গুরুত্ব বান্দার হকের থেকে কম। কারণ আল্লার হক আল্লা ক্ষমা করতে পারেন, যেহেতু তিনি অসীম দয়ালু, কিন্তু বান্দার হক আল্লা ক্ষমা করতে পারেন না। পাকালের বিচার- ঈমান, আমল আর দাওয়া -এই তিনটার উপর ভিত্তি করে হবে। ঈমান থাকলেই সে বেহেস্তে যাবে, যার কাছে নামাজের চাবি নেই সে তালা ভেঙ্গে বেহেস্তে ঢুকবে ঈমানের জোরে।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪০

মাহমুদডবি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য করার জন্য। ভাই আমিতো রেফারেন্স দিছি আপনি না হয় যাচাই করুন। ভুল হলে তওবা করবো। আগের কাফের মুশরিক যেমন আবু লাহাব, আবু জাহেল , উতবা শাইবা, ফেরাউন তারাও বিশ্বাস করতো আল্লাহ আছে । এবিষয়ে কোরআনে আয়াতও আছে।

আপনি হয়ত জেনে থাকবেন জাহেলি যুগে নবীজির (সা: ) নবুয়াত প্রাপ্তির পুর্বে কাবা যখন পুন নির্মান করা হয় তখন আবু জাহেলরা কাবায় কোনো অসৎ পথে উপার্জন করা টাকা ব্যায় করেনি তাই কাবার মুল আকার ছোট করা হয়েছিলো যেটা এখন হাতিমে কাবা নামে পরিচিত। কারন তারা বলেছিলো এটা আল্লাহর ঘর এতে অসৎ টাকা ব্যবহার করবে না। তারা উলংগ হয়ে কাবা তাওয়াফ করতো কারন তারা মনে করতো কাবা আল্লাহর ঘর এখানে তারা যে পোশাক পড়ে প্রসাব পায়খানা, স্ত্রী সহবাস করে, বাজারে যায় সেই পোশাক পড়ে কাবা তাওয়াফ করা বেয়াদবি হবে। নবিজীর ( সা: ) জন্মের আগে যখন আবরাহার কাবা ধ্বংস করতে আসছিলো তখন নবিজী ( সা: ) দাদা তাকে কি বলেছিলো জানেন ? বলেছিলো এটা আল্লাহর ঘর আল্লাহই রক্ষা করবেন। (নবিজী সা: ) পিতার নাম আব্দুল্লাহ । আব্দুল্লার মানে জানেন ? আব্দুল্লাহর মানে হলো আল্লাহর বান্দা। সুতরাং সেই জাহেলী যুগে তারা বিশ্বাস করতো আল্লাহ আছে। তাই বলে কি আবু লাহাব , আবু জাহেল বেহেস্তে গেছে?

আমরাও বিশ্বাস করি আল্লাহ আছে । এবার আপনিই হিসাব করুন শুধু বিশ্বাস করলেই হবে কি না ? না কাজেও তা দেখাতে হবে।

আপনি আমার পড়াশোনা কতদুর জানতে চাইছেন। আপনি যদি চান একদিন গরীবের এখানে এক কাপ চা খেয়ে যাবেন আর দেখে যাবেন।
আল্লাহ আমাদের সকলের ভুল মাফ করুন।




৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৬

আ.হ.ম. সবুজ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট । ভালো লাগলো ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৩

মাহমুদডবি বলেছেন: জাযাকাল্লাহু খাইরান

৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪০

আ.হ.ম. সবুজ বলেছেন: ভাই চান্দু, আপনার এই লখা পড়লে মুসলমানের ঈমান এমনেতেই দুর্বল হয়ে যাবে ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৪

মাহমুদডবি বলেছেন: আল্লাহ আমাদের হেদায়েতের উপড় অটল রাখুন ।

৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪২

কলমবাঁশ বলেছেন: আমীন।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৫

মাহমুদডবি বলেছেন: আমীন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.