![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যখন কোনো অবস্থার সমাপ্তি চান তখন তিনি এমন পরিস্হিতি ও উপকরন তৈরী করেন যা সব কিছুকে সেই সমাপ্তির দিকেই পরিচালিত করে।আপনারা ( যাদেরকে আল্লাহ দ্বীনের সঠিক গেয়ান দান করেছেন) বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি দেখে সহজেই বুঝতে পারবেন যে আল্লাহর ইচ্ছায় মুসলিম জাতির বিজয় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র ।
কোরআনে আল্লাহ (সুবঃ ) এই জাতির বিজয়ের ব্যাপারে প্রতিস্রুতি দান করেছেন। এবং তার রাসুল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লামও তার উম্মাহকে বিজয়ের সুসংবাদ দিয়েছেন। আর আপনার মনে যদি এই উম্মার বিজয়ের ব্যাপারে কোনো সন্দেহ থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার ইমান ও আক্বিদায় সমস্যা আছে। কারন কোরআন ও হাদিসে বর্নিত দলিল গুলি এতই মজবুত ও সুস্পষ্ট যে উপেক্ষা করার কোনো উপায় নাই।
আল্লাহ ( সুবঃ ) বলেন :- লাওহে মাহফুজের পর সকল আসমানি কেতাবেও আমি একথা দিয়েছি যে, যমিনের উত্তরাধীকারী একমাত্র আমার নেককার বান্দারাই হবে।( সুরা আল আম্বিয়া , আয়াত ১০৫)
আল্লাহ (সুবঃ ) আরো বলেন :- আল্লাহর বান্দা-রাসুলদের ব্যাপারে আমার এ সিদ্ধান্ত অনেক আগে থেকেই হয়ে আছে যে, তাদেরকে নিশ্চই ( আমার পক্ষ থেকে) সাহায্য করা হবে এবং আমার বাহিনী নিশ্চই বিজয়ী হবে।( সুরা আস সফফাত,আয়াত ১৭১-১৭৩)
আল্লাহ (সুবঃ ) আরো বলেন :- এই পৃথিবীতো আল্লাহতালারই, তিনি তার বান্দাদের মাঝ থেজে যাকে চান তাকেই এর (ক্ষমতার) উত্তরাধিকারী বানান। আর চুরান্ত শুভ পরিনতি কেবল মুত্তাকিদের জন্যই নির্ধারিত।( সুরা আল আরাফ , আয়াত ১২৮ )। সুতরাং সাময়িক সময়ের জন্য অন্য কেউ নেতৃত্ব দিলেও চুরান্ত ও ভালো পরিনতি কেবল মুত্তাকিদের জন্যই।
আল্লাহ (সুবঃ ) আরো বলেন :- তারা চায় তাদের মুখের ফুতকারে আল্লাহর দ্বীনের নুরকে নিভিয়ে দিতে, কিন্তু আল্লাহ (সুবঃ ) তার দ্বীনের নুরকে পূর্নতা দান না করে কিছুতেই ছারবেন না। যদিও কাফেররা তা চরম ভাবে অপছণ্দ করবে।( সুরা তাওবা আয়াত ৩২ )।
আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি যে কাফেররা তাদের সর্ব শক্তি নিয়োগ করেছে আল্লাহর দ্বীনের নুরকে নিভিয়ে দিতে।আর আল্লাহর নুর হলো তার মনোনিত দ্বীন ইসলাম এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লামের রিসালাহ। ইসলামের প্রচার ও প্রতিষ্ঠার কাজকে বাধা গ্রস্থ করার জন্য এমন কোনো হীন পন্থা নাই যা তারা গ্রহন করছে না।কিন্তু আল্লাহ তায়ালা সুস্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন তারা সর্বোতভাবে ব্যার্থ হবে।
আল্লাহর দ্বীনকে নিভিয়ে দেওয়ার জন্য তারা তাদের পাহাড় পরিমান সম্পদ ও উপকরন ব্যায় করছে। মুসলিম উম্মার অধিকাংশ লোকেরা আজ শুধু অনুযোগ করছে; তারা ইনিয়ে বিনিয়ে বলছে যে আমরা তাদের সাথে কি করে মোকাবিলা করব ? পৃথিবীর যত বড় বড় গনমাধ্যম, আর্মি, গোয়েন্দা সবই তারা নিয়ন্ত্রন করে। মোট কথা পৃথিবী তাদের করতলে।গোটা দুনিয়ার ধন ভান্ডার আজ তাদের নিয়ন্ত্রনে সুতরাং রনে ভংগ দেওয়া ছারা কোনো উপায় নাই।তাই আমাদের এমন কিছু করা ঠিক হবে না যা তাদের সাথে আমাদের সংঘর্ষ বাধিয়ে দেয়। তাই তাদেরকে মোকাবেলায় আমাদের শুধু নরম ভাষায় দাওয়াত দেওয়া উচিত, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পন্থা গ্রহন করা উচিত।
কিন্তু আল্লাহর কোরআন বলে অন্য কথা। আল্লাহ তায়ালা বলেন:- তারা তাদের সম্পদ খরচ করতে থাকুক, এরপর একদিন এই খরচ করাটাই তাদের জন্য চরম আফসোসের কারন হয়ে দাড়াবে; অতপর তারা পরাজিত হবে অবশেষে কাফিরদেরকে জাহান্নামে একত্রিত করা হবে।( সুরা আনফাল , আয়াত ৩৬)। সুতরাং তাদের সম্পদের খরচ দেখে মুসলিমদের মুসলিমদের খুশি হওয়া উচিত কারন অচিরেই তারা নিঃস্ব হবে।
তারা তাদের অর্থনৈতিক রক্তক্ষরনের কথা গোপন রাখতে পারছে না । তারা নিজেরাই বলছে আফগান ও ইরাক যুদ্ধ তাদের জন্য ভিয়েতনাম ও কোরিয়ান যুদ্ধের চাইতে ব্যায়বহুল হয়ে দাড়িয়েছে। তাদের অর্থনীতিতে ধ্বস নামতে শুরু করেছে।
এটা তাদের হাতে কামাই এর পরিনতি তাদের ভোগ করতেই হবে। ইরাক আফগানে যুদ্ধে আসার জন্য কেউ তাদের বাধ্য করেনি।তারাই পায়ে পা্রা দিয়ে যুদধ করতে এসেছে।অচিরেই নিজেদের খনন করা কুপে নিজেরাই পতিত হবে।
বদরে আবু জাহেল ঔদ্বত্য প্রদর্শন করে পায়ে পারা দিয়ে সুফিয়ান নিষেধ করার পরও যুদ্ধ করতে এসেছিলো। কি পরিনাম হয়েছিলো তার । ঠিক একই পথ অবলম্বন করছে বর্তমানযুগের আবুজাহেলের ফোরাম ন্যাটো তথা ইউরোপ ও আমেরিকা।তাদের উপর কোনো যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়নি বরং তারা নিজেরাই এ যুদ্ধের আগুন জালিয়েছে।এর পরিনতি ইতিমধ্যে প্রকাশ পাওয়া আরম্ব হয়েছে।তাদের এই পরিনতিত অবধারিত।
আবু হুরাইরা (রাঃ ) হতে হাদিসে কুদসিতে বর্নিত রাসুলুল্লাহ (সাঃ ) বলেছেন:- আল্লাহ তায়ালা বলেন :- যে আমার বন্ধুদের সাথে শত্রুতা প্রদর্শন করবে আমি স্বয়ং ( আল্লাহ) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করব।
অতএব মনে রাখা দরকার মুসলমানরা আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেনি বরং স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন।সুতরাং অচিরেই তারা ধ্বংস হবে। এটা আল্লাহর ওয়াদা। নিশ্চই আল্লাহর ওয়াদা মি্থ্যা হবার নয়। আল্লাহু আকবার।
চলবে
২০ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩১
মাহমুদডবি বলেছেন: আমিন
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৩
িবদ্রোহী কন্ঠ বলেছেন: সেই দিনের অপেক্ষায় থাকছি । আল্লাহ মুসলিমদের সাহায্য করুক ।আমীন
২০ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৭
মাহমুদডবি বলেছেন: আমিন
৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৫
অদ্ভুত স্বপ্ন বলেছেন: ধুসর কুয়াশা বলেছেন: আল্লাহ্ আমাকে সেই দিন পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখুন যেন আমি তাদের ধ্বংস দেখে যেতে পারি।
২০ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৭
মাহমুদডবি বলেছেন: আমিন
৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৮
জ্বীন কফিল বলেছেন: আবু হুরাইরা (রাঃ ) হতে হাদিসে কুদসিতে বর্নিত রাসুলুল্লাহ (সাঃ ) বলেছেন:- আল্লাহ তায়ালা বলেন :- যে আমার বন্ধুদের সাথে শত্রুতা প্রদর্শন করবে আমি স্বয়ং ( আল্লাহ) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করব।
*******************
আল্লায় বোমা কান্ধে তেল আভিভের দিকে উইড়া যাচ্ছে এই দৃশ্য দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
২১ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৯
মাহমুদডবি বলেছেন: আল্লাহ যেন আপনাকে সেটা দেখে যাবার ব্যাবস্থা করে দেন।
৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৬
জ্বীন কফিল বলেছেন: আল্লাহর যায়গায় তার বান্দাদের অধ্যুষিত কোন রাস্ট্র হলেও আমি তারে আল্লাহর ইচ্ছা বলেই ধরে নিবো যান।
২১ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২০
মাহমুদডবি বলেছেন: আল্লাহই সবচেয়ে বড় পরিকল্পনাকারী । ভালো থাকবেন
৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:০২
মেংগো পিপোল বলেছেন: @জ্বীন কফিল ভাই আছেন কেমন? অনেক দিন পর আপনারে পাইলাম। যা হোক দুনিয়ার কিছুই আল্লাহ নিজে এসে করেন না ইল্লার মাধ্যমে করান। এখন কথা হলো আল্লা কি মিসাইল নিয়ে উড়বে না ঠাডা ফালাবে সেটা আল্লাহ তালাই ঠিক করবে। দেখেন পবিত্র কোরআনে একাটা আয়াত আছে যেখানে লেখা আছে- আপনি তাদের কে যাই বলেন না কেন? তারা ঈমান আনবেনা।
দেখুন এখন যদি বলি স্যান্ডি একটা গজব, আপনে দাত ক্যালাইয়া হাসা আরম্ভ করবেন,কারন ঐ যে ঈমান আনবে না।
আবার মায়ানমারে ভুমিকম্প যদি বলি রহিংগা মারার গজব, আপনে আবারও দাতক্যালাইয়া হাসবেন। কারন আবারো ঐ যে একই ঈমান আনবে না।
আর কে কারে কখন ছ্যাচা দিবে সেইটা এখন বুঝবেননা, একটা কথা বলি কাউরে দৌড়ানি দিতে গলে নিজেরও পিছন পিছণ ধাওয়া করতে হয়, আর সেই ধাওয়া করায় যে কষ্ট যে দৌড়াইয়া পালাইতাছে তারও কাছা কাছি কষ্ট।
২১ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:২৬
মাহমুদডবি বলেছেন: ফ্রেডরিক বার্বারোজ যে ৩ লক্ষ সৈন্য নিয়ে এসেছিলো সালাউদ্দিন আইয়্যুবীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। সে ছিলো বিশাল যোদ্ধা যার নাম শুনলে ইউরোপে কাপন ধরত সেই ফ্রেডরিককে আল্লাহ হাটু পানিতে ডুবিয়ে মেরেছিলেন। মুর্খ্য গুলি ই্তিহাস পড়ে দেখেনা । কফিলের মত মানুষদের সাথে তর্ক করে লাভ নাই
৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:৪৫
শৌখিন ছেলে বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।মাহমুদ ভাই ধন্যবাদ।
ফিলিস্তীনীদের উপর হামলা বন্ধের আহবান জানাই।
২১ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:৫১
মাহমুদডবি বলেছেন: হাসবুনাল্লাহ ওয়া নিমাল ওয়াকিল।
৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৪৭
ওয়ান টু নাইন বলেছেন: ইহুদী-খ্রিস্টান, কাফির-মুশরিকদের ধ্বংস অত্যাসন্ন ।
৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪৯
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আমিন ++++++++++++
১০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০২
মাহমুদডবি বলেছেন: ডেভিলস ডুম আপনার সকল মন্তব্য মুছে দিলাম কারন আপনি কেচাল করতে চাচ্ছেন। আপনি মুসলিম কিনা আমি তাও বুঝতেছিনা।
১১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪১
সাইবার ডাঃ ডেভিলস ডুম বলেছেন: আল্লাহ সুবহানাও্যাতায়লা দাওয়াত দেবার আগে হিকমত অর্জন করতে বলেছেন !! এর চেয়ে বেশী কিছু বলতে চাই না !
যৌক্তিক কেচালের উত্তর দিতে জাতে হবে
তা না হলে জ্ঞানী জ্ঞানী ভাব নিয়ে পোষ্ট দেয়া বাদ দেন ।
আপনাকে আঘাত দিয়ে থাকলে তার জন্য দুঃক্ষিত
২৬ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১৩
মাহমুদডবি বলেছেন: জ্বী আল্লাহ আপনাকেও অবান্তর প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দিক।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩০
ধুসর কুয়াশা বলেছেন: আল্লাহ্ আমাকে সেই দিন পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখুন যেন আমি তাদের ধ্বংস দেখে যেতে পারি।