![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনের অব্যক্ত শব্দ গুলো এবার পাবে ভাষা। সাদাকালো অক্ষরের অক্ষরবৃত্তে প্রতিবাদী বাক্য হবে উত্তপ্ত ।।
২০০৯ সালে ওবামা যখন শান্তিতে
নোবেল পেলেন, পুরো পৃথিবী
ভ্যাবাচ্যাকা। সবচেয়ে অবাক ওবামা
নিজে। মাত্রই প্রেসিডেন্ট হলাম। কী
এমন করেছি যে আমাকে নোবেল দিতে
হবে।
পরে বোঝা গেল ব্যাপারটা। কিছু করার
জন্য নোবেল দেওয়া হয়নি। দেওয়া
হয়েছে, তিনি যেন ‘কিছু’ না করেন। কারণ
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা যখনই
‘কিছু’ করতে গেছেন, পৃথিবীতে যুদ্ধের
উত্তাপ ছড়িয়েছে। জর্জ ডব্লু বুশ
পৃথিবীতে যে যুদ্ধ ছড়িয়ে গিয়েছিলেন,
তারই ফলাফল আজও ভোগ করছে সবাই।
টুইন টাওয়ারে হামলা হলো। তিনি
গেলেন ইরাকে যুদ্ধ করতে!
সেই ক্ষত সামলে নেওয়ার দায়িত্ব ছিল
ওবামার। ওবামা শেষ পর্যন্ত কতটা সফল
হলেন সে হিসাব ইতিহাসই করবে। আমিও
অতটা জ্ঞানী–গুণী না।
তবে আমি কখনই ভুলতে পারব না, একজন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট (খুব সম্ভবত ব্রিটিশ
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে) ১০
নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বেরিয়ে
প্রথম হাত বাড়িয়ে করমর্দন করছেন
সেখানকার অতি সাধারণ
নিরাপত্তাকর্মী সঙ্গে! কিংবা
কালকেই দেখা সেই ভিডিও, বৃষ্টির
মধ্যে নিজের বিশেষ হেলিকপ্টার থেকে
নেমে ওবামা নিজেই ছাতা ধরেছেন।
আর লজ্জা লজ্জা ভঙ্গীতে সেই ছাতার
তলে হেঁটে যাচ্ছেন হোয়াইট হাউসের দুই
নারী কর্মী!
শুরু থেকেই শেষ পর্যন্ত এই ওবামা এমনই
অকৃত্রিম ছিলেন। কোনো ভনিতা নেই,
ভণ্ডামি নেই। যিনি করেসপন্ডেনট
ডিনারে নিজেকে নিয়ে চরম
ফাজলামো করতে পারেন। যিনি জিমি
ফ্যালনের টিভি শোতে এসে গান
গাইতে জানেন। বেয়ার গ্রিলসের ম্যান
ভার্সাস ওয়াইল্ডে কাচা মাছ চাবাতে
চাবাতে এমন ভঙ্গি করতে পারেন, তুমি
পারলা আমারে কাচা মাছ খাওয়াইতে!
আর বেয়ার তখন কেঁচো খুঁজছেন,
প্রেসিডেন্টের রাতের ডিনার!
আমরা তোমাকে মিস করব ওবামা,
ভীষণ মিস করব!
আর নোবেল কমিটি? নির্বাচনের আগেই
ট্রাম্প যেসব রণহুংকার ছেড়েছেন, আর
রিপাবলিকানদেরও যে অতীত রেকর্ড;
আজকালের মধ্যেই এক ট্রাক শান্তির
নোবেল পুরস্কার নিয়ে ট্রাম্পের
দুয়ারে হাজির না হলে পৃথিবীরই বিপদ
আছে!
©somewhere in net ltd.