![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সাধারন এক ছেলে।রাজনীতি নিয়ে মাথা ব্যথা নেই। তবে রাজাকার দেখলে থুথু মারতে ইচ্ছে করে।
বর্তমান সময়ে শিক্ষার প্রতি মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে এইটা আর বলার কিছু নেই।তবে যেটার বলার আছে তা হল,অভিভাবকের অতি আগ্রহ শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে যেরূপ প্রভাব ফেলছে ।অবিভাবকেরা তাদের সন্তানকে নিয়ে এত বেশি স্বপ্ন দেখতে থাকে যে সেখানে তাদের নিজস্ব স্বপ্নের স্থান খুব কম।আজও আমাদের অভিভাবকেরাই ঠিক করে দেয় শিক্ষার্থী কোন বিষয় পড়বে,তাদের স্বপ্ন কী।কিন্তু একবারও শিক্ষার্থীর নিজস্ব মতামতকে গুরুত্ব দেয় না।আমার এক মামাত ভাই সে সবসময় ব্যবসার প্রতি আগ্রহ ছিল।এই কথা বলা বাহুল্য যে সে খুব ভালো ছাত্র ছিল।সে যখন নবম শ্রেণিতে তার ইচ্ছে ছিল কমার্সে পড়ার।কিন্তু পরিবার তাকে ডাক্তার বানাবে।বেচারা অনেক কষ্ট করেও পরিবারকে বুঝাতে পারল না।তাকে একরকম জোর করেই বিজ্ঞানে পড়তে বাধ্য করল তার পরিবার।পরিবারের স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে নিজের স্বপ্ন তো পূরন হয়ইনি,পরিবারের স্বপ্নও পূরণ হল না।শুধু তা নয়,তার পড়ালেখা আর বেশিদূর এগোয়নি।এই রকম অনেক উদাহরণ আছে আমাদের চারদিকে যারা নিজের পচন্দ মত বিষয় বেচে নিতে পারে না।ফলে অকালেই ঝরে পড়ছে শিক্ষা জীবন থেকে।
বর্তমানে আরেক যুদ্ধ হল ভর্তি যুদ্ধ।কোমলমতী শিক্ষার্থীদেরকে এই যুদ্ধ মোকাবেলা করতে হয়।বছরের শুরু থেকে পড়ালেখার এত বেশি চাপ থাকে যে তারা সামান্য সময় পায়না খেলাধুলা করার।এত কম বয়সে তাদের উপর এমন চাপ তাদের ভবিষৎ জীবনে নীতিবাচক প্রভাব ফেলে।
আমার এক ছাত্রের মা তাকে বইয়ের পৃষ্টা পর্যন্ত মুখস্ত করিয়েছে ভর্তি পরীক্ষার জন্য।তাকে দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘুমের সময়টা ছাড়া সারা সময় টেবিলে বসিয়ে রাখত।মাত্র চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া একজন ছাত্র সারাদিন টবিলে বসে থাকলে তার চরিত্রে ও মনে কীরূপ নীতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে তা আমার ঐ শিক্ষার্থীকে দেখলে সহজেই বুঝা যায়।যে বয়সে শিশুরা খেলাধুলা,দুষ্টমি নিয়ে মেতে থাকবে সে বয়সে তাদের প্রতি এই আচরণ অন্যায়।তাদের মানসিক বিকাশে এইটা বাঁধাস্বরূপ।
©somewhere in net ltd.