![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরী...
মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা বাবা-মার ভীষন আদরের পরী...জন্মের সময় ভীষন সুন্দর হয় বলে বাবা-মা পরী নাম টা রাখে...না চাইতেই যেন সব আবাদার পূরন হয়ে যেত পরীর...মাঝেমাঝে পরীর মা ভীষন ভয় পায়...ভাবে মেয়ের এই সৌন্দর্য কখনো না তার বিপদের কারন হয়ে দাঁড়ায়...পরী আয়না দেখতে খুব ভালবাসতো...বড় হবার সাথে সাথে এলাকার ছেলে থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ বিভিন্ন হ্মেত্রে বভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হত...ছেলেরা অনেক উত্তপ্ত করত...তাই বাবা যেন পরীর সবসময়ের পথ চলার সঙ্গী ছিল...হঠাৎ পরীর বাবা দুর্ঘটনায় মারা যান...পরীর বাবা মারা যাবার পর বেশ পরীর মা বেশ অসহায় হয়ে পড়ে...পরী বুঝতে পারেনা সে কি করবে...কিভাবে মা কে সুস্থ করবে...এমন সময় পরীর চাচা পরীর একটা বিয়ের সম্বন্ধ আনে...ছেলেটির বাবা এলাকার বেশ প্রভাবশালী...কিন্তু সে কিছুতেই রাজি হয়না...কারন পরী জানত ছেলেটি ভাল না...অনেক মেয়ের সাথে সে বিশ্বাসঘাতকতা করে...অন্যের হ্মতি করে...বাবার হ্মমতার অপব্যবহার করে...বাবা প্রভাবশালী হওয়ায় রনি বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি...একদিন পরী যখন কলেজে যাচ্ছিল তখন হঠাৎ রনি পরীর সামনে এসে তার মুখে এসিড নিহ্মকরে...আর বলে তোর সৌন্দর্যের অহংকার শেষ করে দিলাম...বলে চলে যায়...পরী যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকে...চিৎকার করে কাঁদতে লাগে...মুহূর্তে পরীর আর্তনাদে যেন পুরো শহর ভারি হয়ে আসে...মুহূর্তে সে যেন সব কিছু অন্ধকার দেখে...যেন সে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে...মৃত্যু যন্ত্রনাটা যেন সে অনুভব করা শুরু করে দেয়...তারপর এলাকার কিছু লোক পরীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়...ধীরে ধীরে পরী সুস্থ হয়ে যায়...কিন্তু যখনই পরী আয়নার সামনে দাঁড়াতো তখনই সে যেন তার মুখের দাগ দেখে সব কিছুকে অর্থহীন মনে করত...মানসিকভাবে অসুস্থভালবাসতো..চলতোঐ ঘটনার পর থকে সবসময় মুখ ঢেকে চলতো...এভাবে কিছুদিন যাবার পর পরী একটা চাকরি লতো...বেশ ভালোই চলতে থাকে সব...একদিন তার সহকর্মী সিফাত জানায় সে তাকে বিয়ে করতে চায়...পরী খুব অবাক হয়ে তার কাছে জানতে চায় যে সে তাকে না দেখেই কিকরে তাকে বিয়ে করতে চায়...সিফাত বলে সে পরীর ব্যবহার আর মানসিকতা দেখে ভালবেসে ফেলেছে...তখন পরী সিফাতকে সব ঘটনা খুলে বলে এবং তার মুখ ও দেখায়...সিফাত খুব অবাক হয়...সে বলে আমার কোন সমস্যা নেই...আমি তোমার মুখ না দেখেই ভালবাসেছি তাই তুমি চাইলে আমি আমার বাড়িতে কথা বলবো...সিফাতের পরিবারের মানুষগুলোও অনেক ভালো ছিল...ছেলের ইচ্ছেটাকে তারা সম্মান করেছিল...সিফাত যখন পরীকে জানায় যে তার বাসার সবাই রাজি তখন পরী খুব অবাক হয়...ভাবে এখন ও কি এমন মানুষ আছে যারা কিনা আমার মত মেয়েকে ঘরের বউ বানাতে চায়...পরীর মা ও খুব খুশি হয়...ভাবে যাক মেয়েটা জীবনে অন্তত একজনকে পাশে পেল যে সারাজীবন তার পাশে থাকবে...সিফাত ধুমধাম করে বিয়ে করতে চাইতো কিন্তু পরী বলতো সে চায়না কারো কাছে সিফাত ছোট হয়ে থাকুক...তখন সিফাত বলে এখানে তো তোমর কোন দোষ নেই...আমি সবাইকে দেখাতে চাই যে বাহ্যিক সৌন্দর্যই সব না...কিছু নিচু মনের মানুষের জন্য মেয়েদের জীবনসঙ্গী ছাড়া হয়তো সারাটা জীবন পাড় করতে হয়...পরী তখন আর না করতে পারে না...খুশিতে সে কেঁদে ফেলে...তারপর তাদের ধুমধাম করে বিয়ে হয়...
অত:পর ২ বছর পর........
আজ পরী আর সিফাতের ঘর নতুন একটা ছোট্ট পরীর জন্ম হয়েছে....
২| ০৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩
মাইশা মালিহা বলেছেন: ধন্যবাদ আপু.....
৩| ০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম। শুভ কামনা আপনার জন্য। নিয়মিত ব্লগে সময় দেন, লেখালেখি করেন। আশা করি অল্পদিনেই সেফ হবেন। শুভ কামনা রইলো।
ভাল ভাল লেখা পোস্ট করুন। নিয়মিত ভাল ব্লগারদের লেখায় কমেন্ট করুন। পরিচিতি বাড়ান।
৪| ০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২৬
মাইশা মালিহা বলেছেন: ধন্যবাদ...চেষ্টা করবো ভাল কিছু লেখার....
৫| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪২
বিজন রয় বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম।
৬| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫৪
ওমেরা বলেছেন: ভাল লাগল । ধন্যবাদ আপু ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:২০
লাবণ্য ২ বলেছেন: পরীরা ভালো থাকুক। ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।