![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাবু তিনদিন ধরে নিখোঁজ।বড়বোনের বাড়িতে যায়নি,বোনের বাড়িতেও যায়নি,নানার বাড়িতেও না! ছেলেটা গেলো কোথায়।আত্নীয় স্বজনদের বাড়িতে তন্নতন্ন খোজার পরেও তাকে পাওয়া গেলো না।সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, বাবু এমন একটি ছেলে যে সারাক্ষণ কুনোব্যাঙের মতো ঘরের কোনেই থাকতেই পছন্দ করে,বন্ধুদের সাথে কম মিশে। আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে বেড়াতে গেলে একদিনের বেশী দুদিন থাকলে মাকে জালিয়ে তোলপাড় শুরু করে তুলে।কখন বাড়ি যাবে,কখন বাড়ি যাবে প্যানপ্যান করে।সে নাকি নিজের ঘরের বিছানা ছাড়া অন্য বিছানায় ঘুমাতে পারে না।এই ছেলে যে তিনদিন বাড়ির বাইরে থাকবে বাড়ির কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।
গোয়েন্দা কাহিনীতে যাকে সবচেয়ে কম সন্দেহ করা হয়,শেষে দেখা যায় সেইই কান্ডটা ঘটিয়েছে।বাবুর ফুফাতো ভাই সজলের সাথে বাবুর তেমন কোন যোগসূত্র ছিল না কিন্তু সেখান থেকেই তাকে উদ্ধার করা হয়।বাবুর মা বাবুকে অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে বাড়িতে নিয়ে এসেছে এবং তাকে কথাও দিয়েছে এবার এনড্রোয়েট ফোন কিনে দিবেই দিবে।বাবুর বন্ধুদের সাথে চমকপ্রদ এনড্রোয়েট ফোন দেখে বাবুর মন খারাপ হয় মাঝেমধ্যেই।তার বন্ধুরা মোবাইলে মজাদার সব গেমস,আকর্ষণীয় ভিডিও দেখে,গান শুনতে দেখে,বাবুরও আপসুছ জাগে ঈশ.... যদি একটা এনড্রোয়েট মোবাইল থাকতো তাহলে কতকিছুই না করতে পারতাম।অসম্ভবকেও সম্ভব করতে পারতাম।সেই আপসুছের রেশ কাটাতে বাড়িতে কয়েক ডজন বার বলার পরেও কাজ হয়নি বলে রাগে ক্ষোভে বাড়িতে থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিকল্প পন্থা অবলম্বন করেছে সে ।
বাবুর মার বকবকানিতে বাবুর বাবা বিকাস বক্স সেদিকে কর্ণপাত দিলো বললো,বাবুকে একটু আসতে বলতো।বাবু তার বাবার সামনে উপস্থিত হলো পাংশুবর্ণ মুখ করে। বিকাশ বক্স বাবুকে কাছে টেনে এনে বলল...বাবা শোনো,সবকিছুর একটা বয়স থাকে,নিয়ম থাকে সময় থাকে।তুমি যদি সেগুলো না মেনে চলো তাহলে তোমাকে হুঁচোট খেতে হবে। এই যে তুমি স্কুল ড্রেস পরে স্কুলে যাও নিয়ম মেনে।তুমি হাফপেন্ট পড়ে খেলতে পারো আমি পারি না বাবু মুখে হাসির আভা ফুটে উঠে।আর জীবনে সময়ের মূল্য অনেক বেশী।এই যে তোমার বন্ধুরা যাদের এনড্রোয়েট ফোন আছে তারা আগের মতো কি খেলতে আসে মাঠে ???তারা কি কথা কমিয়ে দিয়েছে???সারাক্ষণ তারা মোবাইলে ডোবে থাকে হয়তো ভিডিও গেম খেলে নয়তো গান শুনে। আগের মতো মনোযোগ দিতে পারছে কি পড়া লেখায়।বাবু চট করে বলে উঠলো....হ্যাঁ বাবা ক্লাস পরীক্ষায় আমাদের ক্লাসে যার রোল ১,সে অনেক খারাপ করছে।সময়ানুযায়ী,যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এনড্রোয়েট ফোন, ইন্টারনেট যে লাগবে না, তা নয়।সেটা ব্যবহারের জন্য সময় লাগে,বয়স লাগে।এখন দেখো তোমার বন্ধুদের মধ্যে যাদের এনড্রোয়েট ফোন আছে তারা কাজের চেয়ে অকাজই বেশি করছে।অনেক কিছুতে পিছিয়ে যাচ্ছে।অমনোযোগী হচ্ছে।জ্ঞান সংগ্রহ হতে দূরে সরে যাচ্ছে,জ্ঞান সংগ্রহে কমতি হচ্ছে,নিখোজ হয়ে যাচ্ছে ।
একটা কথা মনে রাখবে সময় ও স্রোত করো জন্য থেমে থাকে না।সময়ের কাজ সময়েই করতে হয়।আজকের কাজ কালকের জন্য ফেলে রাখা ঠিক নয়।সময়ের কাজ সময়মত করতে হবে।তুমি যদি ভালো তথ্য পেতে চাও বই খুঁজো,পত্রিকা পড়ো,ইংরেজি অর্থ জানার জন্য অভিধান পড়ো।দেখবে একটা শব্দ খুঁজতে গিয়ে মজার মজার অনেক শব্দ দেখে তোমার চোখ আটকে যাবে।একটা শব্দ খুঁজতে গিয়ে অনেকগুলো শব্দ পড়া হয়ে যাবে।
বাবু এখন বাংলা দ্বিতীয় পত্র বইয়ের রচনা পড়ছে।তার বাবার কথাগুলোর অনেকে মিল পাচ্ছে সময়ের মূল্য রচনায়।তার পড়তে মজা লাগছে...
১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৩৮
মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: যথার্থ বলেছেন
২| ২৫ শে মে, ২০১৭ রাত ২:৫২
সালমান মাহফুজ বলেছেন: ছোটগল্পের আঙ্গিকে লেখার ভাবনাটা ভালো । তবে গল্প হিসাবে জমে নি ।
তবুও চেষ্টার প্রতি আমার শুভ কামনা রইল ।
২৭ শে মে, ২০১৭ রাত ১:২৬
মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪০
নাগরিক কবি বলেছেন: সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করাটাই বুদ্ধিমানের পরিচয়।