নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনেক কথার কিছু কথা

মালেক চৌধুরী

মালেক চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশ নিয়ে ভাবনা ও আমার রাজনীতি

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৩

ইসলাম,ধর্মনিরপেক্ষতা,বাঙালীত্ব,বাংলাদেশিত্ব, আধুনিকতা,মানবতা,মানবধিকার, মৌলিক অধিকার, নাগরিক অধিকার,সামাজিকতা,দেশপ্রেম,গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন - এই সকল বিষয়ের সমন্বয়ে একটি সঠিক রাজনৈতিক ধারার প্রচলনই এই মূহুর্তে অত্যন্ত জরুরী।আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এই ধরনের একটি রাজনৈতিক ধারার সৃষ্টি করা গেলে আমাদের রাষ্ট্রিয়,সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ শান্ত হতে পারে।তবে এটি আমার সম্পুর্ণ ব্যক্তিগত একটি চিন্থা যা সকলের সাথে বিনিময়ের উদ্দেশ্যে এখানে উপস্থাপন করছি।

ইসলাম ধর্মকে দূরে ঠেলে এদেশে কোনো নীতি-আদর্শ,তন্ত্র-মন্ত্র কাজ করবে?বর্তমান বাংলাদেশ, ১৯৪৭ এর দ্বিজাতী তত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পূর্বপাকিস্তানের স্বাধিন ভূখন্ড নয়কি?বাংলাদেশের বাঙালীরা বৃটিশ ভারতে হিন্দুদের দ্বারা (আমাদের দেশের হিন্দু ভাইরা আমাকে হিন্দু বিদ্বেষি মনে করবেন না, আমি আমার বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তি প্রদর্শনের জন্য সত্য ইতিহাস তুলে ধরছি মাত্র।আমার ব্যক্তিগত কোনো আবেগ এখানে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত) নির্যাতিত,নিপীড়িত ও বৈষম্যের স্বীকার হয়ে পাকিস্তানের সাথে একই রাষ্ট্রিয় কাঠামোর মধ্যে নিজেদের অস্থিত্ব রক্ষার সপ্ন দেখেছিলো, নয়কি?যদি ৪৭ সালে পাকিস্তানের সাথে আমরা না আসতাম তাহলে যুক্তির খাতিরে বলতে হয় আমাদের অবস্তা কি কাস্মির বা ফিলিস্তিনের মত (প্রায়)হতোনা?তাহলে এদেশের মানুষের ইসলাম ধর্মের প্রতি যে ভালোবাসা তা অস্বীকার করে কোনো রাজনীতি এদেশে সম্ভব?

মোসলমানের দেশ পাকিস্তান ও হিন্দুর দেশ হিন্দুস্তান এটিই হলো জিন্নার দ্বিজাতী তত্বের মূল কথা।যদিও এই তত্ব প্রথমে জীন্নাহ সাহেবের চিন্থা থেকে উত্থাপিত হয়েছিলো কিন্তু যেহেতু পরবর্তীতে মহাত্মা গান্ধী,জহরলাল নেহেরু,আমাদের নেতা হোসেন শহিদ সরওয়ারর্দী,শেরে বাংলা এ,কে,ফজলুল হক সহ তিনটি অংশের নেতারা মেনে নিয়ে পাকিস্থান ও ভারত আলাদা দুটি রাষ্ট্র প্রতিষ্টা করলেন,সেহেতু ধরে নিতে হবে দ্বিজাতী তত্বই ভারত বর্ষের রাজনৈতিক,ধর্মিয় ও সামাজিক বিভাজনের অপ্রিয় হলেও বাস্তবতা।সুতরাং এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই শুধু বাংলাদেশে নয়,ভারত-পাকিস্তানেও রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হবে,আর আমার এই বক্তব্যের প্রমান বর্তমানের পাকিস্তান ও হিন্দুবাদি বর্তমান ভারতের সরকার।তবে আমরা পূর্বপাকিস্তানের বাঙালীরা যখন উপলব্ধি করতে পারলাম যে আমাদেরকে মোসলমান জাতিয়তার মোহ সৃষ্টি করে পাকিস্তানের অধিনস্ত করা হয়েছে এবং আমাদের প্রতি ভ্রাতৃসুলভ নয় প্রভূসুলভ আচরণ করা হচ্ছে তখনই আমরা স্বাধিনতার দিকে অগ্রসর হতে শুরু করি এবং চুড়ান্ত ফয়সালা ১৯৭১ সালের স্বাধিনতা যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধিন রাষ্ট্র বাংলাদেশ।

৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর শুধু পাকিস্তানের সাথে স্বাধিনতার ফয়সালা হয়নি,আরও কিছু বিষয়ের চুড়ান্ত মিমাংসা হয়েছিলো তা হলো – ১। বাংলাদেশ বাংলাদেশি বাঙালীদের দেশ। ২। যারা ৪৭ সালে পূর্ব পাকিস্তানকে নিজের দেশ স্বীকার করে এদেশে ছিলেন তাঁদের দেশ বাংলাদেশ। ৩। যারা মোসলমান হওয়ার কারণে ভারত থেকে এদেশে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন তবে ৭১ এর স্বাধিনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন বা সমর্থক ছিলেন তাঁদের দেশ বাংলাদেশ। ৪। যেসব বিদেশি এদেশকে আপন করে স্থায়িভাবে এদেশে বসবাস করছিলেন বা করছেন তাঁদের দেশ বাংলাদেশ। যেসব উপজাতি নাগরিক বংশপরম্পরায় এদেশে বসবাস করে আসছেন তাঁদের দেশ বাংলাদেশ। অর্থাৎ বাংলাদেশ যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মোসলমানের দেশ এটি অর্জিত হয়েছে ৪৭ সালে,এটি ছিলো তৎকালীন আমাদের জাতিয় নেতাদের দূরদর্শি রাজনৈতিক কৌশল যার মাধ্যমে এদেশের মানুষকে তাঁরা বিনা রক্তপাতে হিন্দুস্তান থেকে বের করে নিয়ে এসেছিলেন।এই কৃতিত্ব মহান নেতা হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী,শেরে বাংলা এ,কে,ফজলুল হক ও মৌলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানির।দ্বিতীয় ও চুড়ান্ত অর্জন ৭১ সালে প্রাপ্ত স্বাধিনতা,যা ৪৭ সালের পূর্বপাকিস্তান গঠনেরই ধারাবাহিক রাজনৈতিক কৌশলের ফল।আর এই কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর সহযোগি নেতৃত্বের।যদিও ৭১ সালের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাঙালি জাতিয়তাবাদের আবহ তৈরি করার কৌশল আমাদের নেতারা গ্রহন করেছিলেন কিন্তু সাংবিধানিকভাবে বা বিশ্বাসের দিক থেকে তাঁরা সকল মূলুকের যেখানে যত বাঙালি আছেন তাঁদের আবাসস্তল হিসেবে বাংলাদেশ পরতিষ্ঠা করেন্নি।সুতারাং দুনিয়ার সকল ইহুদিদের রাষ্ট্র ইসরাইল হতে পারে কিন্তু বিশ্বের সকল বাঙালির (এখানে প্রবাসীদের কথা বলা হচ্ছেনা)দেশ বাংলাদেশ বানানোর পায়তারা হিসেবে বেশি বেশি বাঙালি জাতিয়তাবাদের জিকির তুলা খুব দূরদর্শিতার পরিচয় বহন করেনা।আমাদের ভাবা উচিত আরবরা যেমন ভাষার দিক থেকে আরব জাতি এবং নাগরীকত্বের দিক থেকে সৌদি,কুয়েতি,ইরাকি ইত্যাদি জাতিয় পরিচয় বহন করে।তাছাড়া ভাষার দিক থেকেওতো আমেরিকানরা ও বৃটিশরা নিজস্ব স্বাতন্ত্রতা ও জাতিয় পরিচয় বহন করে চলছে।মজার বিষয় হলো আমাদের রাজনীতিবিদদের ও মোটাবুদ্ধির অনেক বুদ্ধিজীবিরা মনে করেন (সম্ভবত অসচেতনভাবে) বাঙ্গালিত্ব পশ্চিম বঙ্গের বাঙালিদের সম্পত্তি তাই আমরা নিজেদেরকে বাংলাদেশি বললে সেই সম্পত্তির উত্তরাধিকার হারাবো,কিংবা তাঁরা মনে করেন ওরাই আসল বাঙালি আর আমাদের পূর্বপুরুষরা মঙ্গল গ্রহ থেকে এসেছিলেন তাই আমরা ‘মাঙ্গালি’।কিন্তু বাস্তবতা হলো আমরা ‘বাপের ভিটায়’ বাতি জ্বালাচ্ছি,আমরা বাঙালিত্বকে স্বাধিন জাতি ও বাঙ্গালির জাতি রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছি।তাই বাংলা আমাদের,আমরা বাংলার।(চলবে)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপাতত সুবিধে হয়নি; চলুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.