নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনেক কথার কিছু কথা

মালেক চৌধুরী

মালেক চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশ নিয়ে ভাবনা ও আমার রাজনীতি -২

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১


ধর্মনিরপেক্ষতা –

আমাদের দেশে অত্যাধিক তাত্বিক ‘বুজুর্গী’ জাহির করার প্রবণতার কারণে মূল সমস্যা সমাধানে পৌঁছা কঠিন হয়ে পড়ে।রাজনীতির ক্ষেত্রে বুদ্ধিজীবিদের তাত্বিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুঁথিগত হওয়ার কারণে বাস্তবতার সাথে এসবের মিলের চেয়ে অমিল বেশি থাকে।ধর্মনিরপেক্ষতার কথাই ধরেন।আমাদের দেশে কিভাবে কারা একটি ধারনার সৃষ্টি করেছে (হয়তো সচেতনভাবে পরিকল্পিত),ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা।আসলে ধর্মনিরপেক্ষতা হলো, সকল ধর্মের প্রতি সম মর্যাদা প্রদর্শন করা, রাষ্ট্রিয় অধিকারকে সকল ধর্মালম্বি নাগরিকের মাঝে সাম্যের ভিত্তিতে বন্টন করা অর্থাৎ সকল ধর্মের মানুষের প্রতি নিরপেক্ষ আচরণ করা।এই যদি হয় ধর্মনিরপেক্ষতার মূল সুত্র তাহলে ধর্মনিরপেক্ষতার সাথে ইসলামের মতপ্রার্থক্যটা কোথায়?ইসলামের কোথায় বলা হয়েছে অন্য ধর্মের প্রতি অসম্মান করতে হবে?একি রাষ্ট্রের অধিবাসি ভিন্ন ধর্মাবলম্বিদের অধিকারকে অস্বীকার করার জন্য ইসলামের কোথায় আদেশ করা হয়? বরং ইসলাম সকলের ‘হক’ অর্থাৎ অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কঠোর নির্দেশ দিয়েছে।সুতরাং ইসলাম ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে।

মানবতা ও মানবধিকার –
ইসলাম কি মানবতা ও মানবধিকার বিরোধি?এই প্রশ্নের উত্তর নিজের বিবেকের কাছে জিজ্ঞেস করুন।সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র যারা মানবতা ও মানবধিকারের কথা বলে তারা আসলে কি মনে-প্রাণে এসব নীতি-আদর্শে বিশ্বাস করে?কিন্তু আমাদের দেশ হতে পারে সত্যিকার মানবতা ও মানবধিকার নিশ্চিতকারি প্রথম আদর্শ রাষ্ট্র; কারণ এদেশে মানবজাতির জীবনের সাথে সম্পর্কিত সকল সমস্যা,চাহিদা এবং পৃথিবীর প্রায় সকল ধর্মের মানুষের এক মহা মিলন স্থল।তাই বিশ্ববাসির জন্য আমরা মহা সাম্যের ও মহা মিলনের বাস্তব উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি,প্রয়োজন শুধু সচেতনতা, সদিচ্ছা ও সঠিক আদর্শভিত্তিক নেতৃত্বের।

আধুনিকতা-

বর্তমান যুগ আধুনিক।এই যুগে রাজনৈতিক,সামাজিক ও ধর্মিয় বোধ ও চিন্তা-চেতনাকেও আধুনিক হতে হবে।ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবন যাপনকেও আধুনিক করা উচিত তবে এক্ষেত্রে মার্জিত ও পরিশীলতাবোধও মানসিকতায় ও স্বভাব-চরীত্রে আয়ত্ব করতে হবে এবং দৈনন্দিন কর্মকান্ডে এসবের সর্বোচ্চ ও সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহার আত্মস্থ করতে হবে।যেমন- ব্যক্তি জীবনে আপনাকে শুধু ফ্যাশন সচেতন ও ইংরেজী ভাষাকে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে ব্যবহার করলেই আপনি আধুনিক হতে পারলেন এধারনা হাস্যকর।আধুনিক ডিশগুলোর নাম জানলে,কাটা চামচ বা কাটি দিয়ে খেতে পারলে,ফাইভ ষ্টার হোটেলে যাওয়া আসা করলে,বয় ফ্রেন্ড-গার্ল ফ্রেন্ডদের সাথে অবাধ মিলামিশা করলে আধুনিক বা স্মার্ট হয়ে গেলেন এসব ধারনা এদেশে অনুকরণপ্রিয় পাগলরা চালু করেছে।এগুলো বৃটিশ আমলে ইংরেজদের দেখাদেখি ‘সাহেব’-‘বাবু’ বনার প্রবণতা থেকে এসেছে।বর্তমান বিশ্বে প্রতিটি স্বাধিন জাতি নিজেদের সংস্কৃতি,ঐতিহ্য,ভাষা ইত্যাদি বিষয়কে বিশ্বমানে উন্নিত করার চেষ্টা প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছে।আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে আধুনিকতা কি?লজ্জার কোনো কারণ নেই,কারো না কারো কাছ থেকেতো জানতে হবে যেহেতু আমাদের দেশে এসব বিষয় পাঠ্য বইয়ে পাওয়া যায়না।নিজের খেয়ে কেউ কাওকে কিছু শিখায়না।(এসব কথা আমি আমার বয়েসে ছোটদের বলছি,বড়রা মাফ করবেন)

ব্যক্তিগত আধুনিকতা –
আমাদের ছোটবেলা মা-বাবা,দাদা-দাদি,নানা-নানি,খালা-ফুফু সহ গুরুজনেরা যেসব বিষয় প্রতি মূহুর্তে শিখাতেন তা হলো ‘পারিবারিক শিক্ষা’।এখন এগুলো কেউ শিখায় কিনা জানিনা,কারণ সবার বাড়ি ও সবার ঘরেতো গিয়ে দেখার সুযোগ নেই,তাছাড়া নাটক-সিনামায় বর্তমান সমাজচিত্র পাবেন সেই ভাগ্যও আমাদের কপালে নেই। বর্তমান আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির যুগে সবার ঘরে ঘরে ডিশ লাইন ও টেলিভিশন থাকলেও যেসব নাটক-সিনেমা দেখানো হয় তা দেখে যেসব প্রশ্ন যেকোনো বিবেকবান মানুষের মনে জাগে তা হলো – এসব যারা বানায় তারা কি আসলে শিক্ষিত ও আধুনিক মানুষ?কারা দেখে,ওরা কী দেখে?কেনো দেখে?টেলিভিশন চেনেল গুলো কি শুধু ব্যাবসা-বাণিজ্যের দিকটাই দেখবে?সরকার ও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও মন্ত্রনালয় কি শুধু অন্যদল ও অন্য নেতার গিবত গাওয়ার জন্য?এসব নাটক দেখে আমাদের বাচ্চারা কি শিখছে?জীবন সম্পর্কে তাদের ধারনা কি জন্মাচ্ছে?জীবন কি শুধুই রং-তামাশা,প্রেম-পিরীতি,টাউট-বাটপারি?এইতো গেলো আমাদের দেশের নাটক-টেলিভিশনের কথা।এসব প্রচারণার পর আমাদের দেশের টলিভিশন ও সিনেমার লোকজন কোন মূখে বলেন দেশিয় সংস্কৃতিকে রক্ষার জন্য ভারতিয় চেনেল গুলোর প্রচার আমাদের দেশে বন্ধ করতে হবে।তাছাড়া কোন যোগ্যতায় আশা করেন আমাদের চেনেল গুলো বিদেশিতো দূরে থাক অন্তত পশ্চিম বঙ্গের বাঙ্গালিরা দেখবে?যাইহোক,অন্য প্রসঙ্গে চলে গেলাম,ফিরে আসি মূল প্রসঙ্গে।

ব্যক্তিগত আধুনিকতা হলো –১। আপনার ষষ্ট ইন্দ্রকে আধুনিক করতে হবে।যেমন-(দৃষ্টি ইন্দ্র) আপনার দৃষ্টিকে আধুনিক করতে হবে।আপনার দেখা আর মুর্খের দেখার মধ্যে প্রার্থক্য থাকেতে হবে।আপনি কত সুন্দরভাবে,কত সুক্ষ্মভাবে,কত অর্থবহভাবে দেখলেন তার উপর নির্ভর করবে আপনি কত আধুনিক দৃষ্টি শক্তি সম্পন্ন মানুষ।একই কথা আপনার অন্যান্য ইন্দ্রের বেলায়ও প্রযোজ্য।অর্থাৎ আপনার সকল ইন্দ্রের উন্নত ব্যবহার ও উৎকর্ষতা অর্জন ও চর্চাই ব্যাক্তি জিবনকে আধুনিক করার প্রথম ধাপ।

২। আধুনিক মন। মনকে আধুনিক না করতে পারলে আপনি কখনও আধুনিক হতে পারবেন না।মনকে আধুনিক করার আগে যদি আপনি প্রতিষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হোন তাতে হয়তো আপনি খুব বড় পদে চাকরি পাবেন,ক্ষমতা পাবেন কিন্তু অনুন্নত মন বা মানসিকতার কারনে আপনার মাজে ‘পাশবিক’ বিষয় গুলো থেকে যাবে এবং হটাৎ এমন কোনো কাজ আপনাকে দিয়ে আপনার মন করিয়ে নেবে যা আপনার অবস্থান থেকে করা উচিত না ।যেমন মাঝে মাঝে দেখবেন উচ্চ পদস্থ কোনো কর্মকর্তা,কোনো বড় নেতা,বড় জ্ঞানি কোনো ব্যাক্তি বাজে কাজ করে ফেলেন যা বিশ্বাস করতেও কষ্ট হয়।তাই মন আধুনিক করতে হবে এবং এজন্য সব সময় ভাবনা-চিন্থার বিষয় উন্নত হতে হবে।কুৎসিত,কুসংস্কার,হিংসা,বিদ্বেশ,অন্যায়,অবিচার,নোংরামি ইত্যাতি সকল নেগেটিভ বিষয় গুলোকে মনে স্থান না দিয়ে উন্নত ভাবনাতে মনকে মুগ্ধ রাখতে হবে।

৩। আপনার স্বভাব-চরীত্রকে আধুনিক করতে হবে।চুরি,বাটপারি,বদমাশি,বেইমানি,মোনাফিকি ইত্যাদি নিকৃষ্ট দুষ গুলো স্বভাব-চরীত্রে বহাল রেখে প্রকৃত আধুনিক হতে পারবেন না। ঠিকই একসময় ধরা পড়ে পত্রিকার শীরনাম হবেন নতুবা আপনজন ও পাড়া-প্রতিবেশি ভেতরে ভেতরে সবাই জেনে গিয়ে দূরে সরে যাবে এবং ঘৃণা করবে।

৪। আচারণ আধুনিক হতে হবে।বলনে,চলনে,কথায়-বার্তায়,শিষ্টাচার ও ভদ্রতায় আধুনিক হতে হবে।এইখানে এসে ফ্যাশনের বিষয়টি আসলো অর্থাৎ ফ্যাশন সচেতনতা আধুনিকতার আওতাভূক্ত একটি বিষয় কিন্তু একমাত্র বিষয় নয়।

৫। জ্ঞান-বুদ্ধি,বিবেক-বিবেচনা,শিক্ষা এবং সকল কর্মকান্ড, কর্ম পদ্ধতিকে ও কর্মকৌশলকেও আধুনিক করতে হবে।

আর এইসব অর্জন করতে পারলেই আপনি হতে পারেন প্রকৃত আধুনিক মানুষ বা আসল মানুষ।আমার বর্তমান আলোচনার বিষয় যেহেতু রাজনীতি তাই রাজনীতির ভাষায় বলছি,আমাদের দেশে সুষ্টু রাজনৈতিক ধারা প্রতিষ্ঠার পথে প্রথম পদক্ষেপ হতে হবে সমাজ সংস্কার এবং সমাজ সংস্কারের প্রথম ও প্রধান শর্ত আমাদের নতুন প্রজন্মকে প্রকৃত আধুনিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলা।


জনগণের সার্বিক চাহিদা ও অধিকার-

রাজনীতির মূল লক্ষ্য হলো দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যান ও উন্নতি সাধন করা।মানুষের জীবনের সাথে সম্পর্কিত প্রতিটি বিষয় বর্তমান যুগে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে রাষ্ট্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত,আর রাষ্ট্র রাজনীতির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।সুতরাং,রাজনীতিকে উপেক্ষা করে কোনো সমস্যা্রই সমাধান সম্ভব নয়।তাই আমরা আমাদের সমস্যা গুলোকে চিহ্নিত করতে হবে এবং সেসব সমস্যার রাজনৈতিক ভাবে সমাধান খুঁজতে হবে।দেশ নিয়ে বা রাজনীতি নিয়ে যারা ভাবেন তাঁরা নিজের মত করে এই ভাবনা গুলোই ভাবেন অর্থাৎ কীভাবে দেশের মানুষের সমস্যা গুলোর সমাধান করা যায়।

মানুষের মৌলিক চাহিদা অর্থাৎ অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান,চিকিৎসা,নিরাপত্তা,শিক্ষা,বিবাহ ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার দায়িত্ব বর্তমান যুগে রাষ্ট্রের।রাষ্ট্র এই কাজ গুলো সরকারের মাধ্যমে নিশ্চিত করে থাকে।তাই এই কাজ গুলো সুষ্টু,সঠিক ও উত্তমভাবে সম্পাদন ও পরিচালনার জন্য যোগ্য ও সৎ সরকারের প্রয়োজন।কারণ যোগ্য,সৎ ও দেশপ্রেমিক সরকার দেশের মানুষের সার্বিক সমস্যা ও চাহিদা গুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক সমাধানের জন্য কর্মসূচি গ্রহন করে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আমাদের দেশের রাজনীতি এইসব ভাবনার ধার ধারেনা।আমাদের রাজনীতি পরিচালিত হয় ক্ষমতায় আরোহণ ও ক্ষমতা ধারন করার লক্ষ্যে।আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক দল গুলোর কর্মসূচিতে জনগণের সমস্যা সমাধানের কোনো পরিকল্পনা থাকেনা,তাঁদের লক্ষ্য ও বক্তব্য থাকে প্রতিপক্ষকে সায়েস্তা করার অর্থাৎ সাংঘর্ষিক।সুতরাং জনগণের সার্বিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের জনকল্যানমূখি রাজিনীতি চর্চায় বাধ্য করার উদ্দেশ্যে বিকল্প ও সমান্তরাল অন্য একটি ধারার রাজনীতি নিয়ে আমি দীর্ঘদিন ধরে ভাবছি।অনেকে হয়তো চমকে উঠবেন এই ভেবে,এটি কেমন কথা ‘রাজনীতিবিদদের জনকল্যাণমূখি রাজনীতি চর্চায় বাধ্য করা’ এবং একাজের জন্য ‘বিকল্প ও সমান্তরাল’ অন্য ধরনের আরেকটি রাজনৈতিক ধারার প্রচলন করা। আসলেই আমার এই ধারনাটি একটু ব্যতিক্রমী তবে অসম্ভব বা অবাস্তব নয়।আমার সাথে আলোচনায় থাকলে এবং আমার লেখা গুলো মনযোগ দিয়ে ধারাবাহিক ভাবে পড়লে যেকোনো সচেতন ব্যাক্তি আশাকরি আমার ভাবনার সাথে একমত হবেন।

দেশপ্রেম,গণতন্ত্র ও আইনের শাষণ –

দেশপ্রেম নিয়ে বেশি কিছু লিখার নেই।দেশের প্রায় সকল মানুষের মাঝেই দেশের প্রতি ভালোবাসা কমবেশি আছে।অপরাধ যারা করে বা দুর্নীতি যারা করে তাদেরও দেশের প্রতি ভালোবাসা আছে;তাদের অন্যায় কাজ গুলো ও স্বভাব-চরীত্র হলো অন্য বিষয়।আদর্শিক সংগ্রাম যাঁরা করেন তাঁদের সবাই সঠিক আদর্শের ভিত্তিতে আন্দোলন-সংগ্রাম করছেন তা না কিন্তু তাঁদের সকলেরই দেশপ্রেমের ক্ষেত্রে কোনো প্রশ্ন উত্থাপনের কোনো অবকাশ নেই। ভালোমন্ধ স্বভাবের সকল মানুষের দেশপ্রেম যে প্রায় সমান এর প্রমান পাওয়া যায় জাতিয় দলের কৃতিত্বে খারাপ-ভালো সব মানুষই উল্লাস করে,কোনো বাংলাদেশীর বিদেশে কোনো কৃতিত্বে সকল মতের,সকল স্বভাবের স্বজাতি ভাই আনন্দিত হয়।তাই এটি প্রমানিত সত্য, দেশপ্রেমে আমাদের কোনো ঘাটতি নেই, শুধু এই দেশপ্রেমকে একটি সমন্বিত ও ঐক্যবদ্ধ শক্তিতে রূপান্তরিত করে দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণের লক্ষ্যে ব্যবহার করা।
গণতন্ত্র-
আমাদের দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত শব্দ হলো সম্ভবত ‘গণতন্ত্র’।জনগণের শাসনকে গণতন্ত্র বলে তা এখন শুধু বইয়ের কথা নয়, সকলের জানা কথা।আধুনিক কালে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সরকার প্রতিষ্ঠার শান্তিপূর্ণ ও সর্বোৎকৃষ্ট উপায় হলো সাধারণ জনগণের অংশগ্রহনে নির্বাচন।সুতরাং,নির্বাচনই গণতন্ত্রের প্রথম ধাপ।তবে জনগণের সরাসরি ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন যেহেতু তাদের মতামতের প্রতিফলন নয়,সেহেতু নির্বাচনের নামে কোনো ধরনের গোজামিল বা বাড়াবাড়ি গণতন্রের আওতায় পড়েনা।কিন্তু একটি কথা নতুন শুনা গেলেও বাস্তবতার প্রেক্ষিতে সত্য যে,আমাদের দেশের মত অনুন্নত সামাজিক ও রাজনৈতিক মানসিকতা সম্পন্ন সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকদের দেশে সুষ্টু,স্বচ্ছ,স্বতঃস্ফূর্ত নির্বাচনও সৎ,যোগ্য ও দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদদের নির্বাচিত করে উত্তম সরকার গঠনের নিশ্চয়তা প্রদান করে না।এইজন্য,আমাদের দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে এবং গণতন্ত্রের মৌলিক বিষয় গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে,দেশপ্রেমের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্যমতের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সরকার পরিবর্তন ও সরকার পরিচালনার সাংবিধানিক ব্যবস্থা বা পন্থা খুঁজতে হবে।এক্ষেত্রে তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের জন্য “আচ্ছা নেইয়ে” হলেও দেশ ও জাতির জন্য উত্তম ব্যবস্থা।এছাড়া আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরে যেহেতু গণতন্ত্রের কোনো উপস্থিতির অস্থিত্ব নেই,সেহেতু তাদের দ্বারা এদেশে গণতন্ত্র বা এমন কোনো তন্ত্রের প্রচলন বা অনুসরণ সম্ভব নয় যা জনগণের মতামতের প্রতিফলন কিংবা তাদের চাহিদা গুলোর প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে।তাহলে উপায় একটাই সকল রাজনৈতিক দলকে গণতন্ত্রের সঠিক পথে চলতে হবে অথবা সকল বিজ্ঞ ও অভিজ্ঞ দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদদের অংশগ্রহণে জাতিয় সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করতে হবে।এক্ষেত্রে সরকার পরিবর্তন হবেনা শুধু এলাকা ভিত্তিক নির্বাচনের মাধ্যমে (যেভাবে উপ-নির্বাচন অনুষ্টিত হয়)মন্ত্রি-এম,পি’রা পরিবর্তন হবেন।এধরণের সরকার ব্যবস্থার চিন্থা করা গেলে যেসব বিষয়ের মিমাংসা ও সমাধান করে আমরা দেশের সার্বিক উন্নয়নের দিকে মনযোগি হতে পারবো সেসব বিষয় হলো-
১/ ঘন-ঘন নির্বাচন ও নির্বাচন কেন্দ্রিক ব্যয়,হানাহানি,দুর্নীতি ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
২/ নির্বাচনে দলিয় প্রভাবের চেয়ে ব্যক্তির নিজস্ব ভাবমূর্তী অধিক গুরুত্ব পাবে।
৩/ সরকারের যেহেতু পরিবর্তন হবে না,সেহেতু সরকারি কর্মসূচির ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকবে।
৪/ দলিয় অঙ্গ সংগঠনের আর কোনো প্রয়োজনীয়তা থাকবেনা কিংবা তাদের কোনো গুরুত্ব না থাকার কারণে নিজেরাই নিস্ক্রিয় হয়ে যাবে।
৪/ দলবাজি,চাঁদাবাজি,টেন্ডারবাজি ইত্যাদি অপকর্ম গুলো করে পার পাওয়ার আর কোনো সুযোগ থাকবে না।
৫/ প্রশাসনিক দলিয়করন বলে কোনো কিছু থাকবে না।

এইধরণের অনেক ইতিবাচক দিক আছে তবে বিষয়টি আরও আধিক পরিমাণে সার্বজনিন ভাবে চিন্তা-ভাবনা,আলাপ-আলোচনার দাবি রাখে।এটি একটি ভাবনা মাত্র যা মুক্তচিন্থা প্রকাশের স্বাধিনতার ‘লাই’ পেয়ে সকলের মাঝে তুলে ধরলাম। (চলবে

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


খিচুড়ী

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.