নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনেক কথার কিছু কথা

মালেক চৌধুরী

মালেক চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শান্তি ও ন্যায়ের পক্ষে আমাদের করনীয়

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪

আমাদের দেশে দু’টি ধারা এক সাথে সমান্তরাল ভাবে চলছে, একটি শান্তি ও ন্যায়ের পক্ষে এবং অন্যটি অশান্তি ও অন্যায়ের পক্ষ।এই দু’টি ধারা সমগ্র পৃথিবীতে আছে এবং চিরকাল ছিলো;কিন্তু পৃথিবীর অন্য সব রাষ্ট্র ও সমাজে শান্তি ও ন্যায়ের পক্ষের ধারাটি প্রবল আর আমাদের দেশে বর্তমানে অশান্তির ও অন্যায়ের পক্ষের ধারাটি অনেক অনেক গুন প্রবল। এই দু’টি ধারার উৎসমূল হলো ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের প্রারম্ভিক গঠন প্রক্রিয়া।অর্থাৎ শিশু কাল বা পারিবারিক জীবনে যখন একজন মানব সন্তানের মনবিক গুণাবলি চর্চা বা আয়ত্ব করার সময় তখন আমাদের দেশের শিশুদেরকে আমরা কী শিক্ষা দিচ্ছি তা আমাদের সকলের আত্মপর্যালোচনা করা উচিত।‘ঐশী’-দেরকে আমরাই(মা-বাবারা)আমাদের ঘাতক বানিয়েছি।আমরাইতো আমাদের শিশুদের শিক্ষা দেই “মার খেয়ে আসবিনা মেরে আসবি”।আমরা সিনেমা দেখাই “ঢিসুম ঢিসুম”।আমরা কিনে দেই খেলনার পিস্তল-রিভলবার।আমরা আদেশ করি “ঐ শুয়রের বাচ্চার কাছে যাবিনা” “ঐ কুত্তার বাচ্চার সাথে যেনো না দেখি”।অর্থাৎ আমরা আমাদের সন্তানদের ব্যক্তিত্ব গঠন ও বিকাশের সময় নিজেরাই নিজের অজান্তে কিংবা অজ্ঞতা বশতঃ আশান্তি ও আন্যায়ের পথে পথচলার পথ ধরিয়ে দেই।আর এই কাজটি যদি একজন পিতা তাঁর চার জন সন্তানের ব্যক্তিত্বের মধ্যে ডুকিয়ে দেন,তাহলে অশান্তি সৃষ্টির কাজটি কি হারে এগিয়ে যাচ্ছে বিবেচনা করুন।অন্যদিকে অন্যজন পিতা তারও চার সন্তানকে শান্তির পক্ষে প্রস্তুত করতে চাইলেন এবং প্রাথমিক চেষ্টাটুকু করে বাকি পরিপূর্ণতা লাভের জন্য স্বাভাবিক ভাবেই স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সহ বাহিরের জগতে ছেড়ে দিলেন।কিন্তু সেখানে ঐ চার সন্তান সহ অদের মত আরও চার বাপের চার-চারা ষোল ‘বাপকা বেটা’-র সাথে মিলে মিশে যে ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটলো,তা তার নিজের জীবন,তার পরিবার,তার সমাজ, তার রাষ্ট্ সহ গুটা মানব জাতিকে কলঙ্কিত করে দিলো,ধ্বংস করে দিলো সমস্ত সমাজ ব্যবস্থাকে।তবুও কিছু মানুষ সকল প্রতিকূলতার মধ্যে থেকেও নিজের মন ও মানবিকতাকে ধরে রাখতে পারলো,আর এই মানুষদের নিয়েই শান্তি ও ন্যায়ের পক্ষের ধারা এগিয়ে যাচ্ছে বড় কষ্টকর পথ ধরে।কিন্তু আশান্ত সমাজ,রাষ্ট্র,পরিবার, বিপদ গ্রস্থ ও পথব্রষ্ট আপনজনকে চোখের সামনে দেখেও শান্তিতে থাকতে পারে?তাইতো তারা ভাবতে থাকেন নিজেদের করনীয় ও সমাধানের পন্থা নিয়ে। (চলবে)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.