নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমরা একদিন করবো জয়............।

অাজমাল েহােসন মামুন

আমি একজন উন্নয়নকর্মী, শিক্ষক এবং ফ্রিল্যান্স লেখক। আমার উভয় চোখ ক্ষীণ দৃষ্টি সম্পন্ন। তাই ছোট কাল থেকেই অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাকে। তাই পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে দেশের ১২ টি প্রথম শ্রেণীর জাতীয় দৈনিকে লেখালিখি করি। আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যের উপর অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেছি। বর্তমানে হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত আছি। ইতোপূর্বে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলাম। দেশের ১৩টি দৈনিকে প্রতিবন্ধিতা, নারী ও শিশু এবং বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রায় ৩০০ প্রবন্ধ, ফিচার এবং মতামত প্রকাশিত হয়েছে।যোগাযোগের ঠিকানা:আজমাল হোসেন মামুনসহকারী শিক্ষক, হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চাপাইনবাবগঞ্জ। মোবাইল নং-০১৭০৪২৪৪০৮৯

অাজমাল েহােসন মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেম করার আগে সবার ভালোভাবে যাচাই করা উচিত

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:১৭

গতকাল বিডিনিউজ২৪ডটকম এবং অন্যান্য জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে স্কুলছাত্রী ধর্ষিত’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ সাইটে ব্যাপক ঝড় তুলেছে এতে সন্দেহ নেই।বেশিরভাগই পাঠক এবং সামাজিক যোগাযোগ সাইট ব্যবহারকারীরা নারীকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। সংবাদে বলা হয়েছে,পুরান ঢাকায় ধর্ষিত হয়েছেন মিরপুরের এক স্কুলছাত্রী। বরিশালের ওই কিশোরী মিরপুরের বাগবাড়িতে একটি মেসে থেকে স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেণিতে পড়েন।কিশোরী মঙ্গলবার সকালে তার প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে সোয়ারীঘাট এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে প্রেমিকের এক বন্ধুর বাসায় গিয়ে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।

“সেই বাসা থেকে বেরিয়ে সোয়ারিঘাটের লোহারপুল এলাকায় তার প্রেমিক পানি পান করার কথা বলে সেখান থেকে চলে যায়। এই সময় গাউছিয়া মার্কেটের ব্যবসায়ী সৈকত ইসলাম রানা ও তার দুই বন্ধু পাশের দুই বাসায় নিয়ে সেই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে।”

ধর্ষিত কিশোরী ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে লোহারপুলে এলে তার প্রেমিকের সঙ্গে তার দেখা হয়। প্রেমিককে ধর্ষণের ঘটনা জানানোর পর টহল পুলিশের সহায়তার ওই কিশোরী লালবাগ থানায় যান।

সংবাদটি পড়ে কিছু লেখার ইচ্ছে জাগলো। সবার জীবনে প্রেম আছে। তাই নারী-পুরুষ একে অপরকে ভালোবাসে। অবশেষে বিয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। প্রেমিকের বন্ধুরা ধর্ষণ করলো এটার বিচার না চেয়ে অধিকাংশ পাঠক মেয়েকে ধিক্কার জানিয়েছে। এ ধিক্কার জানানোর মাধ্যমে তারা মানবতা এবং নারীর স্বাধীনচেতা মনোভাবের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। আমরা জানি, প্রেম করে অনেকে বিয়ে করে। কেউ সুখি হয় ,কেউ হয় না। দেশের অনেকে বিয়ে করেছে । তারা অন্য ধর্মের মানুষকে বিয়ে করেছে প্রেমের মূল্য দিতে। যেমন ধরুন, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, সুপ্রিয় চক্রবর্তীকে, বাপ্পা মজুমদার চাঁদনিকে, ফেরদৌসী মজুমদার রামেন্দু মজুমদারকে বিয়ে করেছে। এ ছাড়াও আরো অনেক উদাহরণ রয়েছে।

কিশোর বয়সী নারী-পুরুষের আবেগ বেশি। তারা একে অপরকে কাছে পাওয়ার জন্য জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করে।ওই বালিকা প্রেমের টানে বিয়ে করে ঘর বাঁধার জন্য প্রেমিকের বাড়িতে গিয়েছিল। ১৮ বছরের নিচে বাংলাদেশি আইনে নারীর বিয়ে দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ।কিন্তু প্রেমিক বা স্বামী এ বয়সের নিচের যেকোন নারীর সাথে সম্মতি বা বিনা অনুমতিতে জোর পূর্বক সেক্স করলে সেটা অপরাধ।

কিন্তু তাই বলে, প্রেমিকের বন্ধুদের দ্বারা ধর্ষণকে আমরা ঘৃণার চোখে দেখতে পারি না। ধর্ষণের বিচার হতে হবে। ধর্ষকদের রেহাই নেই।নারী বলেই কি তাকে আমরা ধিক্কার জানাবো? আমাদের সকলকে মনে রাখতে হবে, সে যদি কারো বোন হতো, বা কন্যা হতো তাহলে কি আমরা চেয়ে চেয়ে দেখতে পারতাম।নিশ্চয় প্রতিবাদ জানাতাম।

কিন্তু আমরা উল্টো পথে চলতে শুরু করেছি। ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কথা না বলে ভিকটিমের দোষ দিচ্ছি। অনেক মন্তব্যকারী ধর্ষকদের বাহবা দিয়েছে।হায়রে সমাজ! সমাজের মানুষ। মানবতা আমরা হারিয়ে ফেলেছি।

পরিশেষে বলতে চাই, যাকে সাপে কামড়ায়নি কোনোদিন, সে বুঝবে না ব্যথা। ঠিক যার পরিবারের নারী ধর্ষিত হয়নি সে বুঝবে না কষ্ট।আমরা সবাই ধর্ষকদের বিচার দাবী করি। কারণ, অপরাধ অপরাধ। অপরাধীর ক্ষমা নেই। সকলকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আর প্রেম করার আগে ভালোভাবে যাচাই করতে হবে প্রেমিক বা প্রেমিকা প্রতারক কিনা?



“সেই বাসা থেকে বেরিয়ে সোয়ারিঘাটের লোহারপুল এলাকায় তার প্রেমিক পানি পান করার কথা বলে সেখান থেকে চলে যায়। এই সময় গাউছিয়া মার্কেটের ব্যবসায়ী সৈকত ইসলাম রানা ও তার দুই বন্ধু পাশের দুই বাসায় নিয়ে সেই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে।”

ধর্ষিত কিশোরী ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে লোহারপুলে এলে তার প্রেমিকের সঙ্গে তার দেখা হয়। প্রেমিককে ধর্ষণের ঘটনা জানানোর পর টহল পুলিশের সহায়তার ওই কিশোরী লালবাগ থানায় যান।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


যারা যাচাই করে, তারা ভালোবাসার লোক নন, উনারা ব্যবসায়ী।

২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৩৫

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ফেসবুক মোবাইল এইসব আইসা প্রেম হইয়া গেছে ইজি, আর দরা খাওয়া আরো ইজি। আগে প্রম করাও কঠিন ছিলো, ধরা খাওয়াও কঠিন ছিলো।

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

শায়মা বলেছেন: হা হা নদীভাইয়া তোমার এত অভিজ্ঞতা!!!!!!!!!! আহারে

৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৩০

নীলপরি বলেছেন: ভয়ংকর ঘটনা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.