নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমরা একদিন করবো জয়............।

অাজমাল েহােসন মামুন

আমি একজন উন্নয়নকর্মী, শিক্ষক এবং ফ্রিল্যান্স লেখক। আমার উভয় চোখ ক্ষীণ দৃষ্টি সম্পন্ন। তাই ছোট কাল থেকেই অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাকে। তাই পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে দেশের ১২ টি প্রথম শ্রেণীর জাতীয় দৈনিকে লেখালিখি করি। আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যের উপর অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেছি। বর্তমানে হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত আছি। ইতোপূর্বে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলাম। দেশের ১৩টি দৈনিকে প্রতিবন্ধিতা, নারী ও শিশু এবং বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রায় ৩০০ প্রবন্ধ, ফিচার এবং মতামত প্রকাশিত হয়েছে।যোগাযোগের ঠিকানা:আজমাল হোসেন মামুনসহকারী শিক্ষক, হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চাপাইনবাবগঞ্জ। মোবাইল নং-০১৭০৪২৪৪০৮৯

অাজমাল েহােসন মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে পরিবার ও রাষ্ট্রীয় সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৯

মাদক শব্দের ইংরেজি অর্থে বলা আছে – an intoxicant consisting of opium, used for smoking; ‘মদ এর ইংরেজি প্রতিশব্দ Wine, port; liquor, alcoholic beverage, (alcoholic) drink, intoxicant, inebriant, booze; alcohol, sprits ইত্যাদি।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ এর মাদকদ্রব্যের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, হেট্রোসাইক্লিক ঔষধযুক্ত একটি প্রাকৃতিক বা আধা- প্রাকৃতিক বা সিনথেটিক নাইট্রোজেন যা সাধারণভাবে ঘুম বা অচেতন হয়ে উদ্বুদ্ধ করে উপশম প্রদান করে এবং এর সাথে আসক্তি জড়িয়ে দিয়ে ইহার উপর নির্ভরশীল করে তোলে তাকে মাদকদ্রব্য বলে।

UNDCP- মাদক যে সংজ্ঞা দিয়েছে তা হল – “Intoxication (N): It is the state that results from the intake of a quantity of a substance which exceeds the individual’s tolerance and produces behavioural and physical abnormalities.”

মাদক সমস্যা বাংলাদেশের অন্যতম সমস্যা। বিভিন্নভাবে মাদকের ভয়াবহতা রূপ নিয়েছে। এর মূল কারণ হচ্ছে মাদকসেবীদের মধ্যে রয়েছে যুব সমাজ, রিকশা চালক, শ্রমিক, ছাত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, এমন কোনো শ্রেণি পেশার মানুষ নেই, যে পেশার কেউ না কেউ মাদকাসক্ত নয়। এর ফলে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া এতে সন্দেহ নেই। মাদকাসক্ত মানুষ নিজ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের ক্ষতি করছে।

ইয়াবা হচ্ছে নতুন নেশাদ্রব্য। ইয়াবা গ্রহণকারী মাদকাসক্তরা নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তার মধ্যে কিডনি, লিভার ছাড়াও মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজকর্ম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী,শতকরা ৮০ ভাগ খুনের সঙ্গে মাদকাসক্তরাও কোনো না কোনোভাবে জড়িত।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশের মূল আইন হচ্ছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০। এই আইনকে যুগোপযোগী করার জন্য ২০০০, ২০০২ ও ২০০৪ সালে মোট তিনবার সংশোধন করা হয়েছে। সর্বশেষ ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনটি সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৭ এর খসড়াও চূড়ান্ত পর্যায়ে। এটি মাদকদ্রব্যের নিয়ন্ত্রণ, সরবরাহ চাহিদা হ্রাস, অপব্যবহার ও চোরাচালান প্রতিরোধ এবং মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনকল্পে প্রণীত আইন।

যেসব পরিবারের সদস্যরা মাদক গ্রহণ করে, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কিংবা যারা দরিদ্র শিশু, তারা সহজেই মাদকাসক্তের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এছাড়া যেসব পরিবারের অভিভাবকরা সন্তানদের প্রতি নজর রাখেন না; সেইসব পরিবারের শিশুরা মাদকাসক্ত বেশি হয় । এসব বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া উচিৎ।
পরিবারকে বেশি সক্রিয় হতে হবে। মাদকাসক্তি প্রতিরোধ সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে সরকারকে সবার সহযোগিতা করার মনোভাব থাকতে হবে। মাদকদ্রব্যের ভয়াবহ ক্ষতি যেমন, শারীরিক, পারিবারিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় ক্ষতির দিকগুলো তুলে ধরে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। বিশেষ করে মাধ্যমিক পর্যায়ে থাকতেই মাদকাসক্তির শারীরিক ক্ষতির দিকটি বুঝাতে হবে।
মাদকদ্রব্যের চোরাচালান, বিক্রয়, বিপনন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার ও সরকারী সংস্থা যেমন পুলিশ, বিজিবি এবং আইন বিভাগকে আরো বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নিতে হবে অভিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে, যাতে ছেলেমেয়েরা পাড়ার বা মহল্লার বখাটে ছেলেদের সাথে মিশে আড্ডা না দেয়। কেননা বখাটে বন্ধুদের খপ্পরে পড়েই প্রথম মাদক গ্রহণ করে থাকে।প্রচার মাধ্যমে মাদকাসক্তির কুফল আরো ব্যাপকভাবে প্রচার করা প্রয়োজন। দেশে চোরাচালানের সম্ভাব্য পয়েন্টগুলোতে চোরাচালান রোধের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতির সমাবেশ ঘটানোসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
মাদক সমাজকে গ্রাস করতে শুরু করেছে। মাদকের গ্রাসে দেশের যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে অপরাধ। এখন পাড়া-মহল্লা,অলিগলিতেও হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক। মাদকাসক্ত কিশোররাই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। এরাই বেশি নারী ও কিশোরীদের ইভটিজিং করছে বেশি। তাই মাদকের সর্বগ্রাসী ছোবল থেকে আমাদের দেশের যুবসমাজকে রক্ষায় পরিবার ও রাষ্ট্রকে নিতে হবে সম্মিলিত উদ্যোগ।  গড়ে তুলতে হবে গ্রাম ও মহল্লায় সামাজিক আন্দোলন ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: মাদক বন্ধ করতে সরকার অনেক রকম চেষ্টাই করলো।
কত গুলো কে গুলি করে মারলো। কিন্তু মাদক বন্ধ হয় নি।

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৬

নুরহোসেন নুর বলেছেন: যারা কিছুদিন আগে মাদক বন্ধের জন্য তৎপর ছিলো খোঁজ নিলে দেখা যাবে তারাই আবার মাদক সম্রাটদের ভুমিকা পালন করছে।
তাই নিজেরা সচেতন না হওয়া পর্যন্ত কোন সঠিক সমাধান হবেনা।

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:১৭

আখ্যাত বলেছেন:
অতিথির সামনে “যামু খামু” টাইপের অশুদ্ধ কথা বলার দোষে আপনার অবুঝ শিশুটিকে মারধর করাটা অমানবিক।
পরিবারে বিশুদ্ধ বাংলায় কথা বলা চালু করছেননা কেন? বাব যেভাবে কথা বলবে, শিশুরা সেভাবেই বলতে শিখবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.