রঘুরাম রাজনকে পদত্যাগে বাধ্য করা এটাই প্রমাণ করে যে গুরুত্বপূর্ণ পদে পেটোয়া লোকেদের বসানোই ভারতের সনাতন রীতি

২০ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:২৭

RBI এর গভর্নর রঘুরাম রাজন জানিয়ে দিয়েছেন তিনি আর দ্বিতীয় বারের জন্য ঐ পদ গ্রহণ করতে চাননা।
তিনি আবার তার পড়াশুনার জগতেই ফিরে যেতে চেয়েছেন।
রঘুরাম রাজন শিকাগো ইউনিভারসিটির অত্যন্ত অভিজ্ঞ অর্থনীতির অধ্যাপক।
অর্থনীতির গবেষক রূপেও তার যথেষ্ট সম্মান আছে।

তাতে কি?
এটা ভারত। এখানে যোগ্য লোক অত সহজে মর্যাদা পায়না।
প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ পদে পেটোয়া লোকেদের বসানোই এখানকার সনাতন রীতি।
সরকার পালটালেও এই মহান রীতির কোন পরিবর্তন হয়না।
সেজন্যেই সুস্থভাবে চলতে না পারলেও শরদ পাওয়ারের মত মন্ত্রী হয়ে যান ক্রিকেটের সর্বময় কর্তা।
প্রিয়রঞ্জন দাসমুনশি ফুটবলে বিশেষ অজ্ঞ হয়েও ফেডারেশন কর্তা ছিলেন।

বর্তমানেও কলেজের চৌকাঠ না পেরনো স্মৃতি ইরানি হয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী।
গজেন্দ্র "যুধিষ্ঠির" চৌহান, পহেলাজ নিহালনি বা চেতন চৌহান সব সরকারি পদেই চূড়ান্ত অযোগ্য কিন্তু পা-চাটা লোকের ভিড়।
সেখানে RBI গভর্নর পদে প্রকৃত শিক্ষিত সম্মানিত অর্থনীতিবিদ রাজন সাহেব সত্যি "বেমানান"।

তাছাড়া তিনি এই ৩ বছরে মাঝে মধ্যেই এমন সব ভয়ঙ্কর কথা বলেছেন যা মহান ভারতীয় সংস্কৃতির "চূড়ান্ত পরিপন্থী"।
তিনি অনেকবারই সংবাদমাধ্যমে বলেছেন যে, জাতপাতের রাজনীতি এবং ধর্মীয় গোঁড়ামির জন্যে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে।
আরে মশাই এসব কথা কেউ বলে !!!
মহান দেশপ্রেমিক সুব্রমন্যম স্বামী তো ঠিকই বলেছেন। রাজন সাহেব তাদের মত আগমার্কা "খাঁটি ভারতীয়" নন।
এই বয়সে তার পক্ষে নিজের এত দিনের শিক্ষাকে জলাঞ্জলি দিয়ে "খাঁটি ভারতীয়" হওয়ার শিক্ষা গ্রহণও সম্ভব ছিলনা।
আবার পদে পদে সরকারকে তোষামোদ করে কাজ চালিয়ে যাওয়াও তার ধাতে সইতনা।
তার চেয়ে এই ভাল হল।

কি আর হবে?
কিছুদিন অমর্ত্য সেনের মত কিছু মুখ্যুসুখ্যু "অ-ভারতীয়" লোক চেঁচাবে যে দেশ একজন প্রকৃত শিক্ষিত যোগ্য লোক হারাল।
আমরা কবেই বা তাদের কথা শুনেছি, যে আজ শুনব?

আর গভর্নরের পদ শূন্য থাকবেনা।
অনুপম খের, বাবা রামদেব এরকম অনেক মহান দেশপ্রেমিক এখনো তাদের পা-চাটার পুরষ্কার পাননি।

তাহলে চলুন, সবাই নিশ্চিন্তে বলি "মেরা ভারত মহান"।

০ টি +০/-০