নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Be real, be yourself, be unique, be true, be honest, be humble, be happy”

নিক্সন

“মানুষকে ভালবাসার মধ্যে নিহিত আছে পরম তৃপ্তী”

নিক্সন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পারিবারিক নির্যাতন ও সাফাই

১১ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৩৩

গত কিছুদিন থেকে একটি বিষয় নিয়ে খূব তর্ক হচ্ছে অনলাইন বিশেষ করে ব্লগ পোষ্ট গুলোতে।
যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশী আলোচনা হচ্ছে তা ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সুপ্রীতি ধর
এবং তার একটি উচ্চবিলাষী মন্তব্য "গৃহকর্মীরা যখন গৃহকত্রী হয়"। তিনি এমন মায়ার চলে একজন
সেনা কর্মকর্তার বৌ কে বলেছেন কেন কাজের মেয়েটিকে এমন নির্যাতন করলো।
তিনি এও বলেছেন আয়েশা লতিফ নাকি কত নির্যাতন সহ্য করে এই কাজটি করেছেন।
আমার লেখাটি পড়ে খুব আশ্চর্য লাগলো এত উঁচু সমাজে বাস করে পেগন্যান্ট অবস্থায় কি
এতো নির্যাতন সহ্য করল যার প্রতিশোধ এই মেয়েটির উপর নিতে হবে? তিনি বলেছেন নানা
জটিলতাই ভুগে নাকি এমন কাজটি করেছেন। আমার লিখাটি পরে কি বলবো বুঝতেই পারছি না।
যদি ধরে নেই আয়েশা লতিফ নানা জটিলতাই ভুগছে তাহলে তিনি কেন সেই পারিবারিক অশান্তির জন্য প্রতিবাদ করেন নি?
কেন তিনি তার স্বামীকে কেন তালাক দেন নি? কেন তিনি তার স্বামীকে বা তার পরিবারকে এই অশান্তির বিষয়টি জানানি?
যদি তার মানসিক সমস্যা হয় তাহলে তিনি কি ডাক্তার দেখাতে পারতেন না?
তার জন্য কি এই নিরিহ অনাথ সামান্য একমোট ভাতের জন্য অন্যের বাড়িতে কাজ করে সেই মেয়েটিকে নির্যাতন করতে হবে???
মেরে মেয়েটিকে তাও রাস্তাই বের করে দেওয়া। এই অনাথ মেয়েটিকে ঠিক আরেকটি মহিলা উদ্ধার করেছে। সুপ্রীতি ধররা শুধু আছেন নারি অধিকার নিয়ে কথা বলতে।কিন্তু প্রশ্ন আমদের সমাজে এই খেটে খওয়া এই গৃহ কর্মীরা কাদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়???
বা আমদের দেশে নারিরা বিপদে পরলে কে এগিয়ে আসে?

তিনি বলেছেন এই গৃহ কর্মীরা নাকি অনেক সময় গৃহকত্রী হতে চায়।
আমার প্রশ্ন এই গৃহ কর্মীরা কি কার বাড়ি ঘর দখল করেছে?
কারো সংসারে কি আগুন দিয়েছে? কাউকে কি বাড়ি ছাড়া করেছে? তাহলে ওরা কিভাবে গৃহকত্রী হতে চায়?
যদি কাজের লোকের জন্য কারো ঘরে অশান্তি হয়ে থাকে তাহলে মনে রাখা উচিত এই জন্য কাজের লোকটি দায়ি নয় দায়ি আপনি! আপনার দুঃচরিত্র স্বামী বা স্ত্রী অন্য কেউ নয়। এই গৃহকর্মীরা পেটের দায়ে আপনাদের নির্যাতন সহ্য করে। আপনারা যা খুশি তাই করতে পারেন। কাজেই ওদের দোষ না দিয়ে আমদের মানসিকতার পরিবর্তন করি । দোষ পুরুষতান্ত্রিকতা বা নারিবাদের নয়,দোষ আমাদের অবিবেচক বিবেকের। যতদিন আমরা আমদের মানসিকতা পরিবর্তন ঘটাতে না পারব ততদিন এই ধরনের নির্যাতন চলতেই থাকবে। আমরা নিজেদের ক্রেডিট নেওয়ার জন্য হয়ত এই ধরনের অবিবেচক কথা বলতে পারব এবং কেউ কেউ হয়ত এই অন্যায়ের সাফাই গাইতে পারব। কিন্তু পরিবর্তন ঘাটাতে হবে আমদের বিবেকের। শুভ বুদ্ধির উদয় হোক আমদের সকলের।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সহমত লেখক আপনার সাথে।

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:০৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭

নতুন বলেছেন: তার এই কাজের সাজা দিলেই এই রকমের ঘটনা কমবে... নাতুবা বাড়তেই থাকবে।

১১ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২

নিক্সন বলেছেন: আমাদের দেশে বিচারিক কাজে দীর্ঘসূত্রিতা এবং পেশীশক্তির প্রভাব থেকে বের হতে পারলেই এই ধরনের অপরাধ প্রবণতা কমবে ।

৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮

নতুন বলেছেন: এইগুলি সমাজের ভন্ডামী....

এই মহিলার পরিচিতরা কিন্তু তদবির করছে যাতে তার সাজা না হয়...

তাহলে তাদের মানবতা/নৈতিকতা গেল কই?

১২ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:০৬

নিক্সন বলেছেন: আমাদের সমাজে এই রকম অনেক ভণ্ড আছে যারা বাইরের জগতে নিজেদের সাধু হিসাবে পরিচিত করি। কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো। নিজেদের ঘড়ের মধ্যে রয়েছে হাজার জামেলা। রয়েছে বৈষম্য সেইগুলো নিয়ে একটুও ভাবি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.