![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু, তবে যা তোমরা যবেহ করতে পেরেছ তা’ ব্যতীত, আর যা মূর্তি পুজার বেদির উপর বলি দেওয়া হয় তা এবং জুয়ার তীরদ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা, এ সব পাপ কাজ। আজ কাফেরগণ তোমাদের দ্বীনের বিরুদ্ধাচরণে হতাশ হয়েছে; সুতরাং তাদেরকে ভয় করবে না, শুধু আমাকে ভয় কর। আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন মনোনীত করলাম। তবে কেহ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তখন আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।
সহিহ তিরমিযী, ৩৬৬১ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৬৬১। হযরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন. রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি প্রজ্ঞার ঘর এবং আলী তার দরজা।
* আল্লাহ ফিকাহ দ্বারা ভয় প্রদর্শন করতে ও সাবধান হতে বলায় হযরত আলী (রা.) বর্ণিত হাদিস অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ দ্বীনের পূর্ণাঙ্গ ফিকাহ সংকলন করা হযরত আলীর (রা.) দায়িত্ব ছিল।আর পূর্ণাঙ্গ ফিকাহ সংকলন করার জন্য কোরআন ও হাদিস সংকলন করাও হযরত আলীর (রা.) দায়িত্ব ছিল। কারণ রাসূল (সা.) প্রজ্ঞার ঘর হলেও তিনি এর দরজা ছিলেন না। সেজন্য কোরআন, হাদিস ও ফিকাহ সংকলন না করেই তিনি পৃথিবী ছেড়ে গেছেন। প্রজ্ঞার দরজা হযরত আলী (রা.)কোরআন, হাদিস ও ফিকাহ সংকলন না করায় কি হয়েছে?
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।
# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।
সহিহ বোখারী ৪৯৯ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৯৯। হযরত যুহুরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দামেশকে আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, আমি যা যা দেখেছি তার মধ্যে এ নামাযই আজ পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু এখন নামাজও নষ্ট হতে চলেছে।
সহিহ মুসলিম, ৪৫৭৬ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।
* হযরত আলী (রা.)কোরআন, হাদিস ও ফিকাহ সংকলন না করায় ঈমান পৃথিবী ছেড়ে সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট চলে গেছে এবং ইসলাম বিনষ্ট হয়েছে। সেজন্য তাঁর পুত্র কারবালায় তাঁর প্রতিপক্ষে ঈমান খুঁজে পাননি। তারা তাঁর মাথা কেটে ইয়াজিদকে উপহার দেয়।অবশেষে আল্লাহ পারসিক ইমাম আবু হানিফাকে (র.) একশতবার দিদার প্রদান করে তাঁর মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ফিকাহ সংকলন তৈরি করিয়ে নিলে সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থেকে ঈমান পৃথিবীতে ফিরে আসে।সবচেয়ে পরাক্রান্ত কুরাইশ খলিফা আমির হারুনুর রশিদ ইমাম আবু হানিফা (র.) সংকলিত ফিকাহ পরিশোধন করে অনুমোদন করলে ইসলামের স্বর্ণযুগ শুরু হয়।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
* মধ্যপ্রাচ্য ইহুদীর হাতে মার খাচ্ছে আমির অনুমোদীত হানাফী ফিকাহের সাথে মতভেদ করার কারণে।
সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।
সূরাঃ ৫৩ নাজম, ৩ নং ও ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। আর সে মনগড়া কথা বলে না।
৪। এটাতো ওহি যা তার প্রতি ওহি হিসেবেই পাঠানো হয়।
সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?
* কোরআন ও এর বিবরণ হাদিসে মানসুখ থাকায় এবং আমির অনুমোদীত ফিকায় মানসুখ না থাকায় আমির অনুমোদীত ফিকাহের পরিবর্তে কোরআন মানসুখ ও হাদিস বাতিল হবে। এ সহজ কথা না বুঝে কোরআন ও হাদিস দিয়ে ফিকা্হ বাতিল করতে গিয়ে লোকেরা জাহান্নামের পথে চলে যায়।
সূরাঃ ৩৩ আহযাব, ৩২ নং ও ৩৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩২। হে নবী পত্নিগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও। যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর তবে পর পুরুষের সহিত কোমল কন্ঠে এমনভাবে কথা বলবে না, যাতে অন্তরে যার ব্যাধী আছে, সে প্রলুব্ধ হয়। আর তোমরা ন্যায় সঙ্গত কথা বলবে।
৩৩। আর তোমরা নিজগৃহে অবস্থান করবে এবং প্রচীন যুগের মত নিজদিগকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।তোমরা সালাত কায়েম করবে ও যাকাত প্রদান করবে। আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুগত থাকবে। হে আহলে বাইত (নবি পরিবার)! নিশ্চয়ই আল্লাহ চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।
# সূরাঃ ৩৩ আহযাব, ৩৩ নং আয়াতের তাফসির তাফসিরে ইবনে কাছির
৩৩। আহলাল বাইত আয়াতাংশ বিষয়ে ইকরিমা (রা.) বাজারে বাজারে বলে বেড়াতেন এ আয়াত রাসূলুল্লাহর (সা.) স্ত্রীদের জন্য বিশেষভাবে নাযিল হয়েছে। ইবনে আবী হাতিম (র.) বলেছেন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসও (রা.) এ কথা বলেছেন।
ইবনে জারীর (র.) বর্ণনা করেন, সাফিয়াহ বিনতে শাইবাহ (র.) বলেন, আয়েশা (রা.) বলেছেন, একদা ভোরে রাসূলুল্লাহ (সা.) উটের চুলের তৈরী একটি ডোরাকাটা চাদর গায়ে জড়িয়ে বের হন। তখন তাঁর নিকট হাসান আসলে তিনি তাঁকে চাদরের মধ্যে জড়িয়েনেন। অতঃপর হুসাইন (রা.) তাঁর কাছে আসলে তাঁকেও তিনি চাদরে জড়িয়ে নেন। এরপর ফাতিমা (রা.) এলে তাঁকেও চাদরে জড়িয়ে নেন। অতঃপর আলী (রা.) তাঁর কাছে আসেন রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকেও তাঁর চাদরে জড়িয়ে নেন। এরপর তিনি পাঠ করেন, আল্লাহতো শুধু চান তোমাদের হতে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।
* আল্লাহ হযরত আলী (রা.) ও তাঁর পরিবারের আরো তিন সদস্যকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করেছেন পূর্ণাঙ্গ ফিকাহ সংকলন তৈরী করার জন্য। কিন্তু তাঁরা সে দায়িত্ব পালন করেননি।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। আল্লাহ মানুষের প্রতি কোন অনুগ্রহ অবারিত করলে কেউ তা’ নিবারণকারী নেই। আর তিনি নিবারন করলে কেউ উহার উম্মুক্তকারী নেই।তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১।প্রশংসা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর, যিনি বার্তাবাহক করেন মালাইকাকে (ফেরেশতা) যারা দুই-দুই, তিন-তিন অথবা চার-চার পাখা বিশিষ্ট। তিনি তাঁর সৃষ্টিতে যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।
সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই আমি তোমাকে মানব জাতির ইমাম বানাব; সে বলেছিল আমার বংশধরগণ হতেও; তিনি বলেছিলেন, আমার প্রতিশ্রুতি জালেমদের প্রতি প্রযোজ্য হবে না।
* হযরত আলী (রা.) ফিকাহ সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন না করায় তিনি, তাঁর পরিবার ও তাঁর বংশধরদের প্রতি আল্লাহ তাঁর অনুগ্রহ নিবারণ করলেন। তাঁদের কারো পক্ষে ফেরেশতা যুদ্ধ করেনি।ইব্রাহীম (আ.) বংশিয় হলেও হযরত আলীর (রা.) বংশে এখনো মুসলিমদের বিশ্ব ইমাম হওয়া বন্ধ আছে।অথচ মারওয়ান ও হযরত আলীর চাচা হযরত আব্বাসের বংশে মুসলিমদের বহু বিশ্ব ইমাম হয়েছেন।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে নাও। তুমি যাকে ইচ্ছা ইজ্জত দান কর, আর যাকে ইচ্ছা বেইজ্জতি কর।তোমার হাতেই মঙ্গল।নিশ্চয়ই তুমি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
* আল্লাহ রাসূলকেই (সা.) শাসক বানিয়েছেন তিপ্পান্ন বছর বয়সে। সুতরাং তাঁর ইন্তেকালের পর তেত্রিশ বছর বয়সে হযরত আলীর (রা.) শাসক হওয়ার কথা ছিল না। তিনি সাতান্ন বছর বয়সে খলিফা হয়েছেন। সুতরাং তিনি সঠিক বয়সেই খলিফা হয়েছেন। হযরত ওসমানের (রা.) আগে তিনি বার বছর সময় পেয়েছেন। এ সময় কোরআন, হাদিস ও ফিকাহ সংকলন করে আমির হযরত ওমর (রা.)দ্বারা অনুমোদন করিয়ে সারা বিশ্বে এর শিক্ষার ব্যবস্থা করা যেত। হযরত আলী (রা.) সে দায়িত্ব পালন না করায় আল্লাহ তিনি, তাঁর পরিবার ও বংশকে ফিতনায় নিমজ্জিত করেন। তাঁর বংশের ইমাম মাহদী (আ.) সঠিক ফিকাহ প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব পালন করবেন বিধায় আল্লাহ তাঁকে ইব্রাহীম (আ.) বংশিয় বিশ্ব ইমাম নিযুক্ত করবেন। হযরত আলী (রা.) কোরআন, হাদিস ও ফিকাহ সংকলন করলে মুসলিমদের মধ্যে এত্ত বিভেদ হত না। এখন তাঁর অনুসারী শিয়ারাও বিভেদে জড়িত। সকল শিয়ার ইবাদতের নিয়ম এক রকম নয়।এসবের সব কিছুই হযরত আলী (রা.)কোরআন, হাদিস ও ফিকাহ সংকলন না করার ফল। হযরত আলী (রা.) তাঁর দায়িত্ব পালন করেননি, উল্টা তাঁর ভক্তগণ লানত দেয় হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমানকে (রা.)। সেজন্য লানত চিরকাল উল্টা তাদের দিকেই ফিরে এসেছে। নিজেদের প্রাপ্য লানত অন্যদেরকে প্রদান করার অবিচার থেকে বিরত না হলে তাদের উপর আল্লাহর লানত বর্ষণ বন্ধ হবে না। আর হানফী বিরোধী সকল দল আল্লাহর শাস্তি পেয়েছে, পাচ্ছে ও পাবে। কারণ তারা যাদের অনুসরন করছে তাদেরকে আল্লাহ দিদার প্রদান করেননি। ইব্রাহীম (আ.) বংশীয় কোন মুসলিম বিশ্ব ইমাম তাদের কাজ অনুমোদন করেননি। তথাপি তারা মুসলিমদের মাঝে বিভেদ জারী রেখেছে।
সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।
সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৫ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৫। হযরত এমরান ইবনে হুছাইন (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম হলো আমার যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা।এমরান বলেন রাছুলুল্লাহ (সা.) তাঁর যামানার পর দু’ যামানার উল্লেখ করেছেন, না তিন যামানার উল্লেখ করেছেন ত’ আমার সঠিকভাবে মনে নেই।এরপর তোমাদের পর এমন কিছু লোকের আবির্ভাব যারা সাক্ষ্য দান করবে অথচ তাদের নিকট সাক্ষ্য চাওয়া হবে না। তারা বিশ্বাস ঘাতকতা করবে। সুতরাং তাদেরকে কখনও বিশ্বাস করা যাবে না। তারা খুবই মোটা সোটা ও হৃষ্টপুষ্ট দেহের অধিকারী হবে।
সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৬ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৬। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, লোকদের মধ্যে সর্বোত্তম সময হলো আমার সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। তারপর এমন একদল লোকের উদ্ভব ঘটবে যাদের কেউ শপথ করার পূর্বে সাক্ষ্য দিবে এবং সাক্ষ্য দিবার পূর্বে শপথ করবে। ইব্রহীম নখয়ী (র.) বলেন, আমাদের মুরুব্বঈরা আমাদেরকে সাক্ষ্য দিবার জন্য ও ওয়াদা করার জন্য প্রহার করতেন। তখন আমরা ছোট ছিলাম।
* আল্লাহ তো বলেই দিলেন বিশ্ব ইমাম ইব্রাহীম (আ.) বংশীয়। তাহলে তাঁদের অনুমোদন বিহিন কোন কিছু এরা মানে কেন? হানাফী মাযহাব ছাড়া আর কিছু তো ইব্রাহীম (আ.) বংশীয় কোন বিশ্ব ইমাম অনুমোদন করেননি তাহলে সেই সবের নিয়ম অনুযায়ী ইবাদত করলে হবে কেন? এদের ইবাদত বাতিল। আল্লাহ এদেরকে জাহান্নামে দগ্ধ করবেন। তারপর কালিমার কারণে এরা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেলেও এদের প্রকাশ্য অঙ্গে জাহান্নামের চিহ্ন চিরকাল থেকে যাবে। সাহাবা, তাবেঈ ও তাবে তাবেঈর মাযহাব না মানার দায়মুক্তি আছে, তারপরের লোকদেরকে রাসূল (সা.) বিশ্বাস করতে নিষেধ করায় তাবে তাবেঈ যুগের পর থেকে হানাফী মাযহাব না মেনে জান্নাতে যাওয়ার কোন সুযোগ নাই। এসময় হানাফী মাযহাব না মেনে জান্নাতে যেতে হলে জাহান্নামের সাজা ভোগের পর যাওয়া যাবে। তার আগে কিছুতেই নয়। হযরত আলী (রা.) কোরআন, হাদিস ও ফিকাহ সংকলন করলে মুসলিমগণ সহজেই সেইসব মেনে নিতেন এবং তাদের বিভেদ অনেক কমে যেত। কারণ তিনি রাসূলের (সা.) খুব কাছের মানুষ ছিলেন। তবে হানাফী মাযহাবেও ঝামেলা নাই। কারণ কোরআনের সকল সূরা দ্বারা হানাফী মাযহাবের সঠিকতা প্রমাণ করা যায়। সেইসব প্রমাণ আমার নিকট সঞ্চিত আছে। কেউ দেখতে চাইলে আমি তাদেরকে সেইসব দেখাতে পারি এবং বুঝিয়ে দিতে পারি-ইনশাআল্লাহ।
১৫ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:০২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সকাল শুভই ছিল। বন্ধ থাকায় ফয়জরের পর লম্বা ঘুম দিয়েছি।
২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:৩৭
বিজন রয় বলেছেন: ইসলাম অনেক আধুনিক, কিন্তু মানুষ এটাকে সঠিকভাবে পালন করতে পারে না।
১৫ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:০৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইসলাম সঠিকভাবে পালন না করায় আল্লাহ মুসলিমদের থেকে তাঁর অনুগ্রহ নিবারণ করে রেখেছেন। সেজন্য তাদের পক্ষে ফেরেশতা যুদ্ধ করছে না।
৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:৫২
কামাল১৮ বলেছেন: কোরান সংকলন করেছ ওসমান একা আর হাদিস সংকলন করেছে হাজার হাজার আলেম।অতয়েব কোরানের থেকে হাদিস সংকলন অনেক উত্তম।কোরান ভুলবাল সংকলনের জন্য ওসমানকে হত্যা করা হয়।
১৫ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:০৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিদ্যমাণ হাফেজে কোরআনগণ দ্বারা অনুমোদীত বিধায় কোরআন সংকলনের প্রতি সন্দেহের অবকাশ নাই। তবে হযরত ওসমানের (রা)আগে হযরত আলী (রা) কোরআন সংকলন করে হযরত ওমর (রা) কর্তৃক অনুমোদন করিয়ে নিলে ভালো হত। হাদিস ও ফিকাহ হযরত আলী (রা) সংকলন করলে এ দু’টির গ্রহণযোগ্যতা বেশী হতো।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৮:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: শুভ সকাল চাচাজ্বী।